আজ বাজারে আসছে নতুন ইলিশ

hilsa

১৫ দিন দেশের নদীগুলোতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার রাত থেকে আবারো মাছ ধরা শুরু করেছেন নদী তীরের জেলেরা। আর তাই শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের সকল বাজারে উঠবে নতুন ইলিশ।

এদিকে মৎস্য অধিদফতর বলছে, প্রচুর সংখ্যক ইলিশ সাগর থেকে নদীতে উঠে এসেছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। এবার ইলিশের আকারও বড়। সাগর থেকে উঠে আসা মাছ বেশি পরিমাণে ধরা পড়লে শনিবার পদ্মা ও মেঘনাসংলগ্ন ইলিশের আড়তগুলোতে মাছের দাম কম হবে বলে মনে করছে পদ্মাসংলগ্ন মাওয়া মৎস্য আড়তের ইলিশ ব্যবসায়ীরা।

ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত বছরের চেয়ে এবার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা চার দিন বেশি ছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ করা হয়। তবে জেলেরা নিষেধ না মেনে প্রচুর ইলিশ ধরেছে বলে জানা গেছে। ওই সব ইলিশ বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করা হয়েছে। আজ রাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সেগুলো বাজারে আসবে।

জার্মান কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেস্ট ইলেকট্রনিক্সে চাকরির সুযোগ

Best

জার্মান কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডে কিছুসংখ্যক জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড

পদের নাম: রিজিওনাল ম্যানেজার, ডিলার ম্যানেজমেন্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর/সমমান
অভিজ্ঞতা: ৫ বছর।

পদের নাম: রিজিওনাল ম্যানেজার, শপ ম্যানেজমেন্ট
অভিজ্ঞতা: ৫ বছর।

পদের নাম: টেরিটরি সেলস অফিসার, ডিলার ম্যানেজমেন্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

পদের নাম: কর্পোরেট সেলস ম্যানেজার
অভিজ্ঞতা: ৫ বছর।

আবেদনের ঠিকানা: মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগ, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, সিটি সেন্টার, লেভেল-১৬, ব্লক-১৫/সি, ৯০/১ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।

যেভাবে পাঠাবেন: ডাকযোগে অথবা hr@bestelectronicsltd.com এ ই-মেইল করে পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ অক্টোবর ২০১৫

মাথাব্যথা দূর করার জাদুকরী উপায়

head

মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বেশিরভাগ মানুষই মাথার যন্ত্রণা কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করেন৷ এই ধরণের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি ক্ষতিকর৷তাই ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এ ব্যথা দূর করতে চেষ্টা করুণ। তবে দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা অবশ্যই চিন্তারবিষয়।

মাথাব্যথার মত সাধারণ বিষয়ও অবহেলা করা উচিত নয় কারণ এর আড়ালে থাকতে পারে ভিন্ন কোন রোগ যা হয়ত সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে খুব সহজ উপায়ে মাথাব্যথা উপশম করার বেশ কিছু উপায়, যা অবলম্বন করলে খুব সহজেই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়:

১। পানি:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানিশূন্যতার কারণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাই পানি পান করে সহজেই আপনি মাথা ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারবেন। যখন আপনার মাথা ব্যথা সাধারণ পর্যায়ে থাকবে তখন একগ্লাস পানি পান করে নিন । এরপর ধীরে ধীরে অল্প করে পানি পান করুন। তবে মাথা ব্যথার সময় যেকোন কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২। আইস প্যাক:
এটি মাথা ব্যাথা কমানোর আক্ষরিক একটি পদ্ধতি। হাল্কা মাথা ব্যাথা বা খুব বেশি মাথা ব্যথার সময় আইস প্যাক বা বরফের প্যাকেট মাথার উপর ধরলেও মাথা ব্যাথা কমে যায়।

৩। হট ওয়াটার:

মাথা ব্যথার জন্য গরম পানি খুব উপকারী। এ জন্য একটি গামলায় গরম পানি নিন আর ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার সেই গরম পানিতে মিশিয়ে একটি টাওয়েল সেই পানিতে চুবিয়ে মাথায় ধরুন দেখবেন মাথা ব্যথা সেরে যাবে।

৪। লেবু:
লেবু দেহের এসিড-এলকালাইন (acid-alkaline ) এর মাত্রা ঠিক রাখে তাই মাথা ব্যথার জন্য লেবু খুব উপকারী। মাথা ব্যথার সময় কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। পেটে গ্যাসের সমস্যা হলেও অনেক সময় মাথা ব্যথা করে থাকে।

৫। অ্যাপল:
আপেল ও আপেল সিডার ভিনেগার উভয়ই মাথা ব্যথা হঠিয়ে দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা শরীরের অ্যাসিড-ক্ষারীয় ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে। উপরন্তু, কেবল সবুজ আপেলের গন্ধ মাইগ্রেনের মাথাব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

৬। মেন্থল:
মাইগ্রেইন এর সমস্যা দূর করার জন্য মেন্থল একটি অনেক ভালো উপকরণ। শতাব্দী ধরে মাথা ব্যথা দূর করার জন্য মেন্থল ব্যবহার করা হচ্ছে। চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানীয় এর সাথে মেন্থলের ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক দিন যাবৎ যদি মাথা ব্যথায় ভুগতে থাকেন অর্থাৎ সমস্যাটা যদি ক্রনিক হয়ে থাকে তাহলে ভালো এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, চিকিত্সা নিন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন।

কোন প্রকার এ্যান্টিভাইরাস ছাড়ারই ভাইরাসের মুক্ত থাকবে আপনার পিসি !

Deep F.

আজকাল এ্যান্টিভাইরাস ছাড়া কোন কম্পিউটার কল্পনা করা যায় না। কিন্তু এই এ্যন্টিভাইরাস গুলোর আছে অনেক সমস্যা। প্রায় সব কয়টি এন্টিভাইরাসই কম্পিউটারের স্পীড কিছুটা হলেও স্লো করে দেয়। আবার এদেরকে নিয়মিত ইন্টারনেট হতে আপডেট দিতে হয়। আবার এদের আছে ফুলভার্সন, হাফভার্সন, ক্রাক, কি-জেন কত কি। কি দরকার এত ঝামেলা। তাহলে এখন থেকে ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করুন আপনার প্রিয় কম্পিউটারটি।

আসলে আমি এখানে ডিপফ্রিজ নিয়ে কথা বলব, যা এমনি একটি সফটওয়ার যার মাধ্যমে উইন্ডোস নিরাপদ থাকবে ১০০% । কম্পিউটারের স্পীড কখনোই স্লো হবে না । এ ছাড়া ডিপফ্রিজথাকলে ভাইরাস স্কেন করার ঝামেলও থাকে না । কি মজা! এইটা কি আসলেই সত্যি!!!!!!!!!! হ্যা আসলেই সত্যি।

ডিপফ্রিজ কিভাবে কাজ করে?

ডিপফ্রিজ ইন্সটলের পর আপনি যদি কম্পিউটারে কোন ফাইল সেভ করে রিস্টার্ট দেন তাহলে সে ফাইলটি আর থাকবে না । কম্পিউটারে জমা আছে এমন কোনো ফাইল ডিলিট করে রিস্টার্ট করলে সে ফাইলটি আবার ফিরে পাওয়া যাবে । এক কথায় ডিপফ্রিজ করার পরবর্তী অবস্থায় কম্পিউটারের যতকিছুই পরিবর্তন করুন না কেন, রিস্টার্ট করার পর কম্পিউটার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে । একারণে কম্পিউটার চালু আবস্থায় যদি কখনো ভাইরাস ঢুকে পড়ে রিস্টার্ট করার পর সেটি আর থাকে না । তাই এই পদ্ধতিতে আপনি ভাইরাস নিয়ে নিশ্চিন্তে গবেষনা করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি কোন হ্যাকিং সফটওয়্যার নিয়ে গবেষনা করতে চান, তাহলে ডিপফ্রিজ তো আপনাকেই খুজছে।

ডিপফ্রিজ সেটআপ প্রনালী:

  • যে ড্রাইভে উইন্ডোস সেটআপ করা আছে সে ড্রাইভে ডিপফ্রিজ সেটআপ করুন  অর্থাৎ সি ড্রাইভে ইন্সটল করুন।
  • কম্পিউটার নতুন করে সেটআপ সহ সকল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল দেবার পর ডিপফ্রিজ সেটআপ করে নেয়া ভাল । ডিপফ্রিজ সেটআপ করার সময় কম্পিউটারের সব কয়টি ড্রাইভ ( C drive, D drive, E driver… ) টিক চিন্থ সহকারে দেখা যাবে । কম্পিউটারের যে ড্রাইভে উইন্ডোস setup করা আছে সে ড্রাইভ ছাড়া বাকী ড্রাইভগুলোর টিক চিন্হ সরিয়ে দিয়ে সেটাপ কমপ্লিট করুন । এতে সুবিধা হবে এই যে, যে ড্রাইভ গুলো আপনি টিক চিন্হ দিবেন না সেগুলো তে ডিপফ্রিজ এ্যাকটিভেট হবে না। ফলে আপনি সি ড্রাইভ বাদে সকল ড্রাইভে যেকোন ফাইল সেভ করতে পারবেন। ফাইল সেভ করার প্রয়োজনা না হলে (যেমন অফিসের পিসির বা সাইবার ক্যাফের জন্য) সব কয়টি পার্টিশানে ডীপ ফ্রীজ সেটাপ করতে পারেন ।
  • সেটাপ শেষ করার সাথে সাথে কম্পিউটার রিস্টার্ট হবে । রিস্টার্ট হবার পর একটি ডায়ালগ বক্স আসবে । Ok করে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করুন ।
  • ডিপফ্রিজ সেটআপ করার পর সেটিকে আর রিমোভ করা যাবে না । তাই সেটাপ করার আগে ভাল করে এর ব্যবহার জেনে নিন । প্রয়োজনে আপনি ডিপফ্রিজ ওপেন করে প্রয়োজনীয় ফাইল সেভ আথবা সেটাপ করতে পারেন অথবা যে ড্রাইভে ফ্রিজ করা নেই সে ড্রইভে প্রয়োজনীয় ফাইল সেভ করতে পারেন ।
  • সিফট কী চেপে ধরে টাস্কবারে ডিপফ্রিজএর আইকনে ক্লিক করুন । একটি ডায়ালগ বক্য আসবে । পাসওয়ার্ড দিয়ে ok করুন ।
  • Boot thawed সিলেক্ট করে দু’বার ok করে রিস্টার্ট করুন ।
  • প্রয়োজনীয় ফাইল সেটাপ অথবা সেভ করে আগের নিয়মে ডিপফ্রিজওপেন করে frozen সিলেক্ট করুন । রিস্টার্ট করার পর কম্পিউটার আবার ফ্রীজ অবস্থায় ফিরে আসবে ।

ডিপফ্রিজওপেন করার পর যে সমস্ত ফাইল সেভ করতে চান সেগুলোতে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে ডিপফ্রিজ ব্যবহার করে কোন লাভ হবে না । কোন ফাইল সেভ করতে চাইলে সেটিকে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে ভাইরাস রিমোভ করে নিন । এর একটা বিশেষ সুবিধা হলো যে কিছু কিছু ট্রায়াল সফটওয়ার আছে যেগুলোক ১ সপ্তাহ , ১০ দিন, ২০ দিন, ১ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় । ঐ সব সফ্টওয়ার সেটাপ করার পর ডিপফ্রিজ করলে সেটিকে সব সময় ব্যবহার করা যাবে ।

ডাউনলোড DeepFreeze 5.০ ফুল ভার্সন: link: http://saiful50.googlepages.com/DeepFreeze5.zip

আমি এটি সাফল্যের সাথে এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করছি।

কেন কম বয়সী মেয়েরা বাবার বয়সী পুরুষদের প্রেমে পড়ে ?

Girl

ব্যাপারটা যে কেবল বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু মোটেও নয়। অতীতেও ছিল, তবে অবশ্যই এতটা প্রকট ভাবে দেখা যায়নি। পিতার বয়সী কিংবা তাঁর চাইতেও বেশি বয়সের পুরুষদের প্রেমে পড়াটা, কিংবা প্রেম করে বিয়ে করাটা তরুণীদের জন্য ইদানীং খুব সহজ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কমবয়সী একটি মেয়ে প্রেমে হাবুডুবু খেলে বেশিরভাগ পুরুষের জন্যই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব একটি ব্যাপার। আবার অনেক পুরুষই সূক্ষ্ম কৌশল বাদ দিয়ে বেশ মোটা দাগেই কমবয়সী মেয়েদের পটাবার চেষ্টা করে থাকেন। পুরুষের কারণটি পরিষ্কার, একটি তরুণী নারীকে সঙ্গী হিসাবে কামনা করেন তারা। কিন্তু একটি কমবয়সী মেয়ে কেন প্রেমে পড়ে বাবার বয়সী একজন পুরুষের? কী সেই কারণ গুলো?

প্রেমিকের মাঝে বাবাকে খোঁজা

বিচিত্র শোনালেও অন্যতম প্রধান কারণ এটাই যে মেয়েরা যদি নিজের বাবার খুব ভক্ত হয়ে থাকে, তবে কোনো পুরুষের মাঝে বাবার ছায়া দেখা মাত্রই প্রেমে পড়ে যায়। যেহেতু বাবা একজন মধ্যবয়সী পুরুষ, তাই স্বভাবতই এই বয়সী অন্য পুরুষদের মাঝেই বাবার ইমেজ খুঁজে পাওয়া সহজ। বাবার মতন যতœ নেয় বা স্নেহ করে, এমন মধ্য বয়সী পুরুষদের প্রতি সহজে আকৃষ্ট হয় এক শ্রেণির মেয়েরা। বিশেষ করে কোনো কারণে যাঁরা বাবাকে হারিয়ে ফেলে, তারা।

আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

একজন মধ্যবয়সী পুরুষ মানেই অর্থনৈতিকভাবে তিনি যথেষ্ট স্থির ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত। মেয়েরা সেই আর্থিক নিরাপত্তাটাই খোঁজে, বিনা পরিশ্রমে নিজের জন্য সুখ নিশ্চিত করতে চায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, মেয়েরা শুধু সেইসব মধ্যবয়সী পুরুষদের প্রেমেই পড়ে যাঁরা আর্থিক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

সুখের সংসারের লোভ

পুরুষটি যদি নিজের স্ত্রী সংসারকে অনেক ভালোবেসে থাকেন ও তাঁদের নিয়ে অনেক সুখী হয়ে থাকেন, অনেক মেয়েই তাঁদের এই সুখ দেখে লোভে পড়ে যায়। বিশেষ করে পারিবারিক অশান্তি দেখে বেড়ে উঠেছে এমন মেয়েরা। তারা ভাবে পুরুষটি নিজের প্রথম স্ত্রীকে যেমন ভালোবাসছে বা যতœ করছে, তাকেও তেমনটা করবে। সেই সুখের স্থানে নিজেকে বসাবার লোভে মেয়েরা প্রেমে পড়ে বাবার বয়সী একজন পুরুষের।

নিজে কিছু করতে না পারা

অনেকে মেয়েই আছে পরাশ্রয়ী উদ্ভিদের মতন। তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না, প্রতিটি ব্যাপারেই অন্য মানুষের সহযোগিতা চায়। তারা মনে করে যে একজন “ম্যাচিউর” পুরুষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। তাই বেছে নেয় সঙ্গী হিসাবে পিতার বয়সী পুরুষকে।

যৌনতার আনন্দে-অভিজ্ঞতায়

অনেক মেয়ে মনে করে একজন মধ্যবয়সী পুরুষ মানে যৌনতা সম্পর্কে অনেক বেশি অভিজ্ঞ কমবয়সী একজন তরুণের তুলনায়। অনেকের আবার ভালোই লাগে মধ্যবয়সী পুরুষকে। তা ছাড়া এই বয়সী পুরুষের অতি অবশ্যই একাধিক নারীর অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। ফলে একজন কমবয়সী তরুণীকে ভালো বোঝে সে। সব মিলিয়ে তরুণীরা নিজের চাইতে অধিক বয়সের পুরুষকে সঙ্গী রূপে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে যৌনতা বেশ একটা বড় ভূমিকা পালন করে।

তরুণ প্রেমিক থেকে আঘাত পাওয়া

নিজের প্রথম প্রেমিক যদি আঘাত দিয়ে চলে যায়, তবে অনেক মেয়েই অধিক বয়সের পুরুষদের দিকে ঝোঁকে। কারণ তাদের মনে হয় তরুণ প্রেমিকেরা ভালোবাসায় অসৎ ও অস্থির আর বয়স্ক পুরুষেরা স্থির ও নির্ভরযোগ্য।

বিয়ের বয়স হয়েছে কিন্তু সামর্থ্য নেই, এমন ব্যক্তিদের মহানবী (সা.) যা করতে বলেছেন ..!

Marraige

আমাদের সমাজে অনেকে ব্যক্তিকেই দেখা যায় বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু লোকটি বেকার। অর্থ্যাৎ তার আয় করার কোন রাস্তা নেই। এই রূপ ব্যক্তিরা কি বিয়ে করতে পারবে? আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্য যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী এবং গোপনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামথ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।

মানুষ বিয়ের মাধ্যমেই তার চরিত্র ও সতীত্বকে রক্ষা করতে পারে। ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। পোষাক যেমন মানুষের দেহকে ঢেকে রাখে, নগ্ন ও কুশ্রী বিষয়গুলো প্রকাশ হতে দেয় না, বিবাহ তেমনি স্বামী-স্ত্রীর দোষ ক্রটি ও যৌন উত্তেজনা ঢেকে রাখে, প্রকাশ হতে দেয় না।

কোরআনের বানী “আপনার পূর্বে আমি অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি এবং তাদের জন্য স্ত্রী ও সন্তানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।” (রা’দ-৩৮) “আর তোমরা তোমাদের সন্তানদের বিয়ে দাও যাদের স্বামী বা স্ত্রী নেই। আর তোমাদের বিয়ের যোগ্য দাস-দাসীদের বিয়ে দাও।’ (নূর-৩২)
আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ [রা.] থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, ‘ হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্য যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, গোপনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামর্থ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।[বুখারী, মুসলিম, মিশতাক হা/৩০৮০ নিকাহ অধ্যায়।] উপরোক্ত কোরআন ও হাদীসের আলোচনা থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, সামর্থ্য না থাকরে কখনোই বিয়ে করা যাবে না। যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরকে মহানবী (সা.) সিয়াম পালনের জন্য বলেছেন।

১১টি অ্যাপ স্মার্ট করে তুলবে আপনার জীবন !!!

Apps

সব কাজে স্মার্টফোনের ব্যবহারে নানা ক্ষতির কথা বলা হলেও কিছু অ্যাপ সত্যিই উপকারী। এগুলো আপনাকে রীতিমতো স্মার্ট করে দিতে পারে। এখানে জেনে নিন এমনই ১১টি অ্যাপের কথা যেগুলো আপনার জীবনটাকে স্মার্ট করে দিতে পারে।

১. Duolingo : স্বল্প সময়ে পড়া, লেখা, শোনা এবং বলার কাজে দক্ষতা এনে দেবে এই অ্যাপটি। এর মাধ্যমে ১৩টি ভাষা আয়ত্ত করে ফেলতে পারবেন। তাই অন্য কোনো দেশে যাওয়ার আগে অ্যাপটির মাধ্যমে বহু সহায়তা পেতে পারেন। মস্তিষ্কের কগনিটিভ কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেবে এটি। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ফ্রি পাওয়া যাবে ডুয়োলিঙ্গো।

২.  Longform : মোবাইলের মাধ্যমে সাংবাদিকতার গভীরে যেতে পারবেন এই অ্যাপটির মাধ্যমে। এ পেশায় আপনার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে লংফর্ম। সেই সঙ্গে ভোকাবুলারি, স্মৃতিশক্তি এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে আপনার। আইওএস-এ ফ্রি মিলবে।

৩. Kindle : বই পাগল মানুষরা এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বইয়ের খবর গুছিয়ে রাখতে পারবেন। পছন্দের বই বিক্রির তথ্যও পাবেন এর মাধ্যমে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে ফ্রি অ্যাপটি।

৪. Today in History : আজকের দিনটিতে ইতিহাসে কি ঘটেছিল তার তথ্য সরবরাহ করবে দারুণ এই অ্যাপটি। ইতিহাসের বহু তথ্য প্রতিদিনই পেতে পারে এর মাধ্যমে। এমনিতে ফ্রি, তবে বিজ্ঞাপন ছাড়া সংস্করণ পেতে ২.৯৯ ডলার গুনতে হবে।

৫. Buddhify : মেডিটেশন আমাদের দেহ-মনের বহু উপকার সাধন করতে পারে। আর সঠিক পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে মেডিটেশনের সুবিধা পেতে পারেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। দাম পড়বে ৪.৯৯ ডলার।

৬. GarageBand : পিয়ানো এবং গিটার সম্পর্কে মৌলিক শিক্ষা পেতে পারেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। সংগীত নিয়ে যাদের গবেষণার ইচ্ছা রয়েছে, তাদের জন্যে ফ্রি অ্যাপটি হতে পারে দারুণ উপকারী।

৭. TED : টেড টকস-এর যাবতীয় ভিডিও লাইব্রেরি পেতে পারেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। ফ্রি অ্যাপটিতে কাস্টম প্লে লিস্টসহ বিষয়ভিত্তিক আলোচনা এবং অফলাইনে ভিডিও দেখার সুযোগ পাবেন।

৮. The Elements in Action : ভবন তৈরির নানা উপকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে। ভিডিওসমৃদ্ধ অ্যাপটিতে প্রতিটি উপকরণ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাবেন। এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পরিষ্কার লিখিত বিবরণী দেখতে পারবেন। আইওএস স্টোরে পাবেন যার দাম পড়বে ৩.৯৯ ডলার।

৯. DailyArt : প্রতিদিন একটি করে অসাধারণ চিত্রকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন আপনি। তার সঙ্গে চিত্রকর্ম ইতিহাসের কিছু অংশ সরবরাহ করা হবে। যারা চিত্রকর্ম নিয়ে সামান্য গবেষণা করেন তাদের মস্তিষ্কের বহু উপকার সাধিত হয়। ফ্রি মিলবে, তবে প্রো সংস্করণ পাবেন ৪.৯৯ ডলারে।

১০. Khan Academy : নতুন কিছু শিখতে হলে খান একাডেমির অ্যাপটি নামিয়ে নিতে পারেন। হাজার হাজার ফ্রি ভিডিও পাবেন। বীজগণিত, মাইক্রো ইকোনমিকস কি নেই এতে। ইতিহাস এবং সংগীতবিদ্যাও পাবেন। শুধু শেখাই নয়, শেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা হবে আপনার।

১১.  Lumosity Brain Trainer : এই অ্যাপের পেছনে যে বিজ্ঞানের কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এর দ্বারা নিঃসন্দেহে মস্তিষ্কের কগনিটিভ কার্যক্রম গতিশীলতা পাবে। স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইকিউ বৃদ্ধি পাবে লুমোসিটি অ্যাপের মাধ্যমে। ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে পুরো সুবিধা পেতে হলে ১১.৯৫ ডলার খরচ করতে হবে। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরী পেতে পারেন যেভাবে

job

বর্তমানে চাকরীর ক্ষেত্রে সব থেকে যেটিকে বেশী মূল্যায়ন করা হয় সেটি হল কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা। যেকোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাথেই কম বেশী কর্মক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতার একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। আর এটি চাকরী জগতে নতুনদের জন্য চরম হতাশার কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরী পেতে সহায়তা করবে এমন কিছু পরামর্শ।

১) আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক এমন একটি কর্মক্ষেত্র বা শিল্প প্রতিষ্ঠান বেছে নিনঃ
আপনার প্রথম করণীয় হলো নিজে কাজ করতে ইচ্ছুক এমন কর্মক্ষেত্র বেছে নেয়া এবং সে সম্পর্কে যত বেশী পারা যায় তথ্য সংগ্রহ করে ফেলা। আপনি যত বেশী জানবেন আপনার জ্ঞান বাড়বে আর সেই সাথে আপনার চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে।

২) ইন্টার্নশীপের জন্য আবেদন করে যান সেটা বেতনভিত্তিক হোক অথবা অবৈতনিকঃ
চাকরি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলোতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কাজের জন্য ইন্টার্নদের নিয়োগ দানের আপডেট দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি আপনার পছন্দমত কাজের জন্য সহজেই সেখানে নিবন্ধন করতে পারেন। আপনার কর্মক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এর থেকে ভালো আর কিছু হয়না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ইন্টার্নশীপ শুরু করুন।

৩) স্বেচ্ছাসেবা বা স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করুনঃ
আপনি যদি একটি ইন্টার্নশীপ পেতে অসমর্থ হন সেক্ষেত্রে আপনি সন্ধ্যায় বা সপ্তাহান্তে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন। যেমন অলাভজনক খাত এবং স্বাস্থ্য বা শিল্পখাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ইন্টার্নশীপ করার মতই মূল্যবান হতে পারে।

৪) দক্ষতা সনাক্ত করুনঃ
আপনার কাজের দক্ষতা সমূহ সনাক্ত করুন এবং একটি তালিকা বানান। মনে রাখবেন আপনি কি জানেন আর জানেননা সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে সব সময় অবগত থাকতে হবে। চাকরীর ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা সমূহ আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে। আপনার এই দক্ষতা নতুন চাকরী বা শিল্পক্ষেত্রে কিভাবে সুফল বয়ে আনতে পারে সে সম্পর্কে অবশ্যই অন্যকে জানাতে ভুলবেন না।

৫) একটি পূর্ণাংগ সিভি তৈরি করুনঃ
কথায় আছে “প্রথমে দর্শনধারী পরে গুনবিচারি। “তাই আপনার চাকরীর জন্য সিভিটি যত্ন সহকারে তৈরি করুন। আপনার ব্যক্তিগত শিরোনাম দিয়ে শুরু করুন। সর্বদা ব্যাপক যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। আপনার প্রধান দক্ষতা এবং আপনি কি বিষয়ে পারদর্শী তা উল্লেখ করতে হবে। আপনার কর্ম অভিজ্ঞতা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগে রাখুন।

চাকরী পাবেন কি পাবেন না এসব নিয়ে না ভেবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ইন্টারভিউ স্থানে পৌছান। যেকোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর সপ্রভিতভাবে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর কোন কিছু না জানা থাকলে সংক্ষেপে সরি বলুন। নিজের দক্ষতা সমূহ ব্যাখ্যা করুন। আপনার আত্মবিশ্বাসী উত্তরই দেখবেন আপনার অভিজ্ঞতা হিসাবে গণ্য করা হবে।

নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে চীন ও ইউএই: সবুজ অর্থনীতির দিকে ঝুঁকছে পৃথিবী

Green

ক্রমশ সবুজ অর্থনীতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে বিভিন্ন দেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ অনেক বেশি ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করবে। সবুজ জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাম্প্রতিক দুটি ঘোষণা এসেছে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। খবর সিনহুয়া ও অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চীনের নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্টেট কাউন্সিল গত সপ্তাহে একটি সংশোধিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। ওই পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং প্রকৃতির ক্ষতি না করে বিদ্যমান ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। একই সময় জাতিসংঘে টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তার দেশ একটি বৈশ্বিক জ্বালানি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী।

তিয়ানজিন গ্রিন সাপ্লাই চায়না সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মু লিংলিং বলেন, চীনে সবুজ অর্থনীতির প্রতি নজিরবিহীন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি বড় আকারের বিনিয়োগ ও বিপুল সংখ্যায় ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এইচএসবিসির এক প্রতিবেদনেও চীনের এ প্রবণতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সবুজ অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় জোর দিচ্ছে চীন। এজন্য দেশটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি করে সবুজ পণ্য নিয়ে আসতে প্রণোদিত করছে। চীন সরকার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি সবুজ বন্ড এবং সবুজ তহবিল প্রতিষ্ঠা করতে চাপ দিচ্ছে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী সুহাইল আল মাজরুই বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সাল নাগাদ সবুজ জ্বালানি খাতে আমিরাতের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে।

মাজরুই বলেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শতভাগ জ্বালানি আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। তাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভূমিকা ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনা। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাই আমরা, কারণ বেশির ভাগ দেশ থেকে তা আমদানি করা যায়।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ আমিরাতের ৩০ শতাংশ জ্বালানি আসবে পরমাণু ও সৌরশক্তি থেকে। ২০২০ সালের মধ্যে পারমাণবিক জ্বালানি থেকে ২০-২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ (৫ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট) উৎপাদন করবে আমিরাত। উপসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানির চাহিদা ২০১৪ সালে ৯ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বৃদ্ধি উদ্বেগজনক।

আল মাজরুই বলেন, আপনি যদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের গত ১০ বছরের জ্বালানি চাহিদার ইতিহাস দেখেন, তবে দেখতে পাবেন গড়পড়তা প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ। তবে বছরভেদে এটি ভিন্ন হতে পারে। কোনো কোনো সালে চাহিদা বেড়েছে। ২০১৪ সালে জ্বালানি চাহিদা বেড়েছে ৯ শতাংশ।

জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের ভর্তুকির কারণে নাগরিকদের মধ্যে জ্বালানি ব্যবহারে দায়িত্বহীনতা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিকদের মধ্যে জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কর্মস্থলে হালকা ঘুমের উপকারিতা অনেক

Sleep

দুপুরের হালকা ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এ কারণে কর্মজীবীরাও কর্মস্থলে খানিকক্ষণ বসেই ঘুমিয়ে নিতে পারেন দুপুরে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরের হালকা ঘুমে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে। খবর এসবিএস অস্ট্রেলিয়া।

দেখা গেছে, দুপুরে যারা পরিমিত ঘুমান, তাদের শরীরের রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম থাকে। এমনকি উচ্চরক্তচাপের রোগীরাও এ সময় হালকা ঘুমের অভ্যাস তৈরি করলে পরবর্তীতে তাদের ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা অন্যদের তুলনায় কমে যায়। ফলে তাদের সুস্থতা রক্ষার ব্যয়ও কমে যায়।

গবেষণার এ চমকপ্রদ ফল বিষয়টি নিয়ে ভাবাচ্ছে অনেক বিশেষজ্ঞকে। কর্মস্থলে সবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একে কর্মীকল্যাণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার কথাও বলছেন অনেকেই। ২০০৯ সালে ড্যানিস কাই নামে এক বিশেষজ্ঞ এবং তার সহকর্মীরা এক গবেষণায় দেখতে পান, দুপুরের হালকা ঘুম মানুষের সৃজনশীলতা ও মস্তিষ্কের ধার বাড়ায়। দুপুরের পরিমিত ঘুমের আগে ও পরে ওয়ার্ড এনালজি পরীক্ষার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন কাই।

দেখা গেছে, কর্মীদের যেকোনো সমস্যার সৃজনশীল সমাধান তৈরিতে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে কর্মস্থলে পরিমিত ঘুম। তবে এক্ষেত্রে একটা ‘কিন্তু’ থাকে— এ ঘুম কার্যকর হয়ে ওঠার শর্ত দুটি। প্রথমত. এ ঘুম সীমাবদ্ধ থাকবে হালকা তন্দ্রাচ্ছন্নতায়। দ্বিতীয়ত. সমস্যাগুলো কর্মীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে হবে ঘুমানোর আগেই।

আসলে বিষয়টা হলো, সমস্যার সৃজনশীল সমাধান ঘুমের কারণে নয়, বরং এ নিয়ে কর্মীর চিন্তার ব্যাপকতাই এর সমাধান বের করার মূল সূত্র। চমত্কার একটি তন্দ্রাচ্ছন্ন মুহূর্ত তথা মস্তিষ্কের হালকা বিশ্রাম কর্মীর চিন্তা পদ্ধতিকে আরো ধারালো করে তোলে। সমস্যাটি গভীর হলে কাজের মাঝে হালকা বিরতি হয়ে উঠতে পারে এ তন্দ্রাচ্ছন্নতার মতোই কার্যকরী।

কর্মক্ষেত্রে এ হালকা ঘুমের আরো অনেক উপকারিতা আছে। কর্মক্লান্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় কাজের ধার বাড়াতে হালকা ঘুম বা পাওয়ার ন্যাপের জুড়ি নেই। এ ধরনের ঘুমের পর মস্তিষ্ক আবারো সচল হয়ে ওঠে অনেকাংশেই। এমনকি হালকা বিশ্রামের পর নতুন কাজে হাত দিলে তার শুরুটাও হতে পারে চমত্কার।