জে. এস. ট্রিমিংসে চাকরি

js

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান জে. এস. ট্রিমিংস লিমিটেডে কিছুসংখ্যক জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: জে. এস. ট্রিমিংস লিমিটেড

পদের নাম: মার্কেটিং ম্যানেজার
অভিজ্ঞতা: ৭ বছর।

পদের নাম: মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (মার্কেটিং)/স্নাতকোত্তর
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

আবেদনের ঠিকানা: জে. এস. ট্রিমিংস লিমিটেড, ৪১৭-৪১৮ তেজগাঁও বা/এ, ঢাকা-১২১২।

আবেদন পাঠাবেন যেভাবে: প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল (info@jstrimmings.com) ঠিকানায় জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৩ অক্টোবর ২০১৫

জনবল নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

Dhaka-South

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ওয়ার্ডের জন্য অস্থায়ীভাবে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মী’ নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ওয়ার্ড নং: ৫৫, ৫৬ ও ৫৭

পদের নাম: পরিচ্ছন্নতা কর্মী
পদ সংখ্যা: ১৮০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি
বয়স: ১৮-৩০ বছর
বেতন: দৈনিক মজুরি ২৬৫ টাকা।

আবেদনের ঠিকানা: সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, নগর ভবন, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০১৫

বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়লে

foreign

শিক্ষা, জীবন ও জীবিকার সন্ধানে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। এসব জনগণকে প্রতিনিয়তই অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের বহুমুখী কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে। বিদেশে অবস্থানকালে কোন ব্যক্তির যদি কোন প্রকার কনস্যুলার সেবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে কিংবা দেশে তাঁর নিকটজন তাঁর পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের সাথে যোগাযোগপূর্বক কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

বিদেশে আটক বাংলাদেশীদের দেশে প্রত্যাবাসন

প্রবাসে কোন বাংলাদেশী আটক হলে বা কারাদন্ড হলে এবং তার আত্মীয়-স্বজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগে যোগাযোগ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বল্পতম সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে। তবে, এক্ষেত্রে যোগাযোগের সুবিধার্থে আটক ব্যক্তির সঠিক ও বিশদ পরিচয় বিবরণী (নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, আটকের স্থান ও সম্ভাব্য টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি) এবং আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর থাকা প্রয়োজন।

প্রবাসে কোন বাংলাদেশীর দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) বরাবর আবেদন করলে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়।

এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অন্য যে কোন সমস্যা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) বরাবর আবেদন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক জনশক্তি, কর্মসংস্হান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমতি নিয়ে বিদেশে গমন করেন, তাদের মধ্যে কেউ বিদেশে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনশক্তি, কর্মসংস্হান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহায়তায় এবং উক্ত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক প্রদত্ত খরচে তাদের দেশে ফেরৎ আনার ব্যবস্হা গ্রহণ করে।
ক্ষতিপূরণ আদায়ে সহায়তা

প্রবাসী বাংলাদেশীরা চাকুরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে চাকুরির শর্তানুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীগণের আবেদনের ভিত্তিতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো আদায়কৃত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়। উল্লেখ্য যে আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নোক্ত দলিলাদি/তথ্যাদি থাকা প্রয়োজন।

  • মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট/পরিচয়পত্র;
  • নিয়োগকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা;
  • মৃত্যুর স্থান, তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ;
  • আবেদনকারীর পূর্ণ ঠিকানা;
  • বৈধ উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সনদ।

এছাড়াও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বা পঙ্গুত্ববরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।

দ্বৈত নাগরিকত্ব

কোন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) অথবা ইউরোপের কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে সে দেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য পঠিতব্য শপথ বাক্যে বা কোন দলিলে যদি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না থাকে, তাহলে তাঁর বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে বিদেশী নাগরিকত্বধারী প্রবাসী বাংলাদেশী তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার ও নবায়ন করতে পারবেন।
মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা

প্রবাসে কোন বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা অথবা নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবকের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রবাসে তার লাশ সনাক্ত/দাফনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্হান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সাথে সমন্বয়পূর্বক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয়/বধ অভিভাবককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বরাবর মৃত ব্যক্তির নিম্নোক্ত তথ্যাবলীসহ একটি আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়।

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব প্রমাণের সনদপত্র; পাসপোর্ট (প্রথম পাঁচ পাতা)/ট্রাভেল পারমিট-এর অনুলিপি; চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (যেমন, চাকরিস্থল, চাকরিদাতার পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যাদি যদি থাকে)।

উপর্যুক্ত তথ্য সম্বলিত আবেদন পত্র প্রাপ্তির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত তিন কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনপত্রটি প্রয়োজনীয় কার্যার্থে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে প্রেরণ করে থাকে। উল্লেখ্য, লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার পর তা নিকটাত্মীয়/বৈধ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) (ঠিকানাঃ ৮৯/২, কাকরাইল, ঢাকা। ফোনঃ ৯৩৩৯৭০৫,  ৯৩৫০৮৪৮; ফ্যাক্সঃ ৮৩১৯৯৪৮) সম্পাদন করে থাকে। পক্ষান্তরে, বিদেশে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কোন নিকটাত্মীয় বা শুভানুধ্যায়ী তাঁর সাথে থাকলে তিনি সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্ট মিশন একই রকম সহযোগিতা প্রদান করবে।

জরুরী অবস্থায় সহায়তা

প্রবাসী ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত অবস্থায় হঠাৎ কোন জরুরী বা দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার শিকার হলে সে দেদশে অবস্হিত বাংলাদেশ দূতাবাস অথবা বাংলাদেশে অবস্হিত প্রবাসী ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে (যেমনঃ প্রাকৃতিক বা অন্য কোন দুর্যোগ আক্রান্ত প্রবাসীদের এক স্হান থেকে অন্য নিরাপদ স্হানে সরিয়ে নেয়া)। প্রবাসে হারিয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তির সন্ধান লাভের জন্যও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করে।

এছাড়াও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও অণু বিভাগ নিম্নোক্ত সেবা প্রদান করে থাকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কনস্যুলার সেবা ও ডকুমেন্ট সত্যায়নের সময়সূচী:

ডকুমেন্ট গ্রহণের সময় সকাল ৮:৩০ থেকে বেলা ১১:০০টা পর্যন্ত
ডকুমেন্ট প্রদানের সময় একই কর্ম দিবসে বিকাল ৩:০০টার পর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ কর্তৃক এই সকল সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়:
দলিল-দস্তাবেজ প্রত্যয়ন সংক্রান্ত নিয়মাবলী

১. বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদ (Board/University Certificate):

সরকারী/বেসরকারী বোর্ড/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যাচাই (verification) প্রত্যয়নপূর্বক (attestation) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের/বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশিষ্ট শাখা কর্তৃক প্রত্যয়ন এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নোটারী পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়ন ক’রে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদ পত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহের প্রত্যয়ন করে।
২. পারিবারিক সনদসমূহ ও বিবাহসংক্রান্ত অন্যান্য দলিলাদি(Family Certificate and Marital Documents):

ইউপি চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত পারিবারিক দলিলসমূহ নোটারী পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়নপূর্বক এবং বিবাহসংক্রান্ত দলিলাদি নোটারী পাবলিক ও আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন সাপেক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষর প্রত্যায়িত করে।
৩. জন্ম সনদ/মৃত্যু সনদ (Birth/Death Certificate):

সিটি কর্পোরেশন/স্যানিটারী ইন্সপেক্টর (Sanitary Inspector) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদসহ হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদ গ্রহণযোগ্য। মৃত্যুর সনদ (death certificate) সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সরকারী ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত হতে হবে। নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।

৪. অবিবাহিত সনদপত্র (Marital Status Certificate):

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রদত্ত “অবিবাহিত সনদপত্র” নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৫. অভিভাবক সনদপত্র (Guardianship Certificate):

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অভিভাবক সনদপত্র (guardianship certificate), পারিবারিক আদালতের রায়ের কপি (প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সত্যায়িত) নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন ক’রে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৬. পুলিশ প্রত্যয়নপত্র (Police Clearance Certificate):

সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট পুলিশ প্রত্যয়নপত্র স্বাক্ষর করে একটি অধিপ্রেরণ পত্রের মাধ্যমে পররাষ্ট্র সচিব বরাবর প্রেরণ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত প্রত্যয়ন পত্রের সীল ও স্বাক্ষর প্রতিস্বাক্ষরিত করে স্ব স্ব জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট কার্যালয়ে প্রেরণ করে থাকে ।
৭. বাণিজ্যিক সনদপত্র (Commercial Documents) :

বীমা ও বাণিজ্যিক সনদপত্র (Insurance and Commercial documents) স্হানীয় চেম্বার অব কমার্স, প্রযোজ্য, ক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার, অথবা সংশ্লিষ্ট বীমা অফিস ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়নপূর্বক নোটারী পাবলিক কর্তৃক প্রতি-সত্যায়নপূর্বক জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৮. ব্যাংক বিবরণী/সনদপত্র (Bank Statement):

ব্যাংক বিবরণী বা সনদপত্র অর্থ মন্ত্রণালয় ও অনুমোদিত নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়নপূর্বক জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত বিবরণ/সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৯. আম মোওুারনামা (Power of Attorney):

বিদেশ থেকে প্রেরিত আম মোক্তারনামা (power of attorney) সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্হিত বাংলাদেশ দূতবাস/মিশন কর্তৃক সত্যায়ন করে অনুলিপিসহ দুই প্রস্হ জমা দিতে হয়। সংশিষ্ট ব্যক্তি অথবা যথাযথভাবে কর্তৃকপ্রাপ্ত (authorized) ব্যক্তি তাঁর পাসপোর্ট-এর কপিসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে উওু সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যায়িত করে
১০. অনুদিত সনদ (Translated Documents):

যে কোন অনুবাদ প্রত্যয়নের জন্য মূল সনদপত্র ও এর অনুবাদ অভিন্ন অনুমোদিত নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যায়িত করে। উল্লেখ্য, উভয় সনদপত্রের ওপর সংশ্লিষ্ট অনুবাদ প্রতিষ্ঠান ও অনুবাদকের সীল ও স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।
দলিলাদি প্রত্যয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ বিবেচ্য বিষয়সমূহ

যিনি সেবা গ্রহণে ইচ্ছুক তিনি নিজে উপস্হিত থেকে অথবা তাঁর পক্ষে কোন নিকটাত্মীয় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে দলিলাদি জমা দেবেন। পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য পাসপোর্টের প্রথম তিন পৃষ্ঠার অনুলিপি জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট না থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুলিপি অথবা চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার থেকে ছবিসহ প্রত্যয়নপত্র বা গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্রসহ জমা দিতে হবে।
বিদেশে অবস্হানকারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্টের প্রথম তিন পৃষ্ঠার অনুলিপি এবং কর্তৃত্বপ্রাপ্ত (authorized) ব্যক্তির মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
নিম্নোক্ত দলিলাদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন করা হয় নাঃ

  • জীবনবৃত্তান্ত;
  • ভিসার জন্য আবেদন;
  • অনুদান বা সাহায্যের আবেদন;
  • ব্যবসায় সংক্রান্ত দলিলপত্রাদি;
  • সরকারী সার্কুলার, গেজেট বা কোন সরকারী আদেশ (তবে ক্ষেত্র বিশেষে সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সত্যায়নসহ লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে নোটারী পাবলিক কর্তৃক পুনঃসত্যায়ন করা হলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যায়িত করে থাকে)।

কিভাবে নেবেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, নমুনাসহ

clearance

বিদেশে যাওয়া বা বিদেশে চাকুরির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। পুলিশ ক্লিয়রেন্স সার্টিফিকেট এর অর্থ হচ্ছে, যাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়া হচ্ছে তিনি কোন অপরাধী নন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগও নেই।

ঢাকার বাসিন্দাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে রমনায় অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। সকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইংরেজী ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়িত করে দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস’, রুম-১০৯,

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স,

৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, রমনা, ঢাকা।

হেল্পলাইনঃ- ০১১৯১০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০, ৯৯৯-২৬৩৫

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেবার পদ্ধতি:

একটি সাদা কাগজে বাংলা বা ইংরেজীতে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বরাবর আবেদন করতে হয়, সাথে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হয়। পাসপোর্টের যে সকল পৃষ্ঠায় প্রার্থী সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে যে সকল পৃষ্ঠা এবং যদি নবায়ন করা হয়ে থাকে তবে নাবায়নের পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করতে হয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে মূল পাসপোর্টও প্রদর্শন করতে হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট গৃহীত হয় না।

ঠিকানা সংক্রান্ত নিয়মাবলী:

  • পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানার যে কোন একটি অবশ্যই ঢাকা মহানগর এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ঐ ঠিকানায় বসবাস করতে হবে। যদি পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা অথবা “থানা এলাকার” পরিবর্তন হয় তবে নিকটস্থ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিকানা সংশোধন করে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে। প্রার্থীর দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রে উল্লেখিত ঠিকানার সাথে প্রার্থীর বর্তমান বসবাসের ঠিকানার মিল থাকা জরুরি।
  • যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপিসহ তার পক্ষে আত্মীয়/অনুমোদিত ব্যক্তি আবেদন পত্র দাখিল করতে পারেন।
  • পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানা যদি ঢাকা মহানগরীর বাইরে হয় তবে ঠিকানাটি যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়।

সাথে যা যা প্রয়োজন:

  • বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় কোড নম্বর- (১-২২০১-০০০১-২৬৮১) এর অনুকূলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ট্রেজারী চালানের মূলকপি। ব্যাংক চালানের কোড নম্বর  এর ঘরে কোন প্রকার ঘষামাজা / ফ্লুইড ব্যবহার করা যাবে না এবং সঠিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সিল দেয়া হল কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম.আর.পি) ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরুপ জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদত্ত সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হয়।
  • শুধুমাত্র “স্পেন” সংক্রান্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে তার আবেদনসহ উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রের সাথে ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে “সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়” বরাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা ০৩ এ দাখিল করতে হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেয়া

আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে সিরিয়াল নম্বরসহ একটি টোকেন দেয়া হয়। টোকেনে একটি তারিখ উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট থানায় টোকেনটি জমা দিতে হয়। এরপর থানার তরফ থেকে একটি তদন্তর্কায সম্পন্ন করা হয়। এই তদন্তের সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হয়।

বাংলাদেশে বসবাসরত/কর্মরত বিদেশী নাগরিক/বিদেশী পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজে অথবা অনুমোদিত ব্যক্তি দ্বারা আবেদনপত্র দাখিল করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।

পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট আবেদনের নমুনা

বরাবর,

পুলিশ কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

ঢাকা।

বিষয়ঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী এই মর্মে আবেদন করছি যে, আমি/ আমার……………………………………….বিদেশ যাওয়া/ স্থায়ীভাবে বসবাস করা/ ……………………………………………………………………………….. জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন। আমার…………………………………………………………………… পাসপোর্ট অনুযায়ী বৃত্তান্ত নিম্নরুপঃ-

নাম……………………………………………………………………………………..

পিতা/ স্বামী…………………………………………………………………………….

ঠিকানা…………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………

পাসপোর্ট নম্বর ……………………..ইস্যুর তারিখ ………………………………..

স্থান ………………………………………………….

অতএব, মহোদয়ের নিকট আবেদন, আমি যাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক

তারিখ………………..

………………………….

ফোন………………………

আজকের রেসিপি: ইলিশ কাবাব

elish-kabab-

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • ইলিশ মাছ ১টি
  • পেঁয়াজ কুচি
  • পাউরুটি দুই পিস
  • টোস্ট বিস্কুটের গুড়া
  • ধনেপাতা কুচি
  • কাঁচামরিচ কুচি
  • ডিম ২টি
  • লবণ পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

  • প্রথমেই ইলিশ মাছটি সেদ্ধ করে নিতে হবে।
  • এমনভাবে পানিতে সেদ্ধ করতে হবে যেন পানিও শুকিয়ে যায় এবং মাছটাও সেদ্ধ হয়।
  • এরপর মাথা, লেজের অংশ ও পাখনার অংশটুকু কেটে রাখতে হবে।
  • এরপর মাছের পেটের ভেতরটা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • মাছের কাঁটা বেছে রাখতে হবে।
  • এরপর পাউরুটির টুকরো, কাঁচা ডিম, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে মাছটিকে ভর্তা বানাতে হবে।
  • এরপর পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সেই পানি আবার নিংড়ে ফেলে দিতে হবে। এরপর টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়া সেই মাখানো অংশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
  • এবার একটু বাটার অয়েল একটি ট্রেতে মেখে নিতে হবে।
  • এরপর মাখানো মাছের কিমা দিয়ে আবার মাছের আকৃতি তৈরি করা হবে। তারপর মাছের মাথা ও লেজটুকু যথাস্থানে বসিয়ে দিতে হবে।
  • এরপর মাইক্রোওভেনে ২০ মিনিটের জন্য চড়িয়ে দেব। হয়ে যাবে ইলিশ কাবাব।

অল্প পড়াশোনা করে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টিপস

প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর মনেই একটা আকাঙ্খা থাকে ভালো রেজাল্ট করার। তাই অল্প পড়াশোনা করে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টিপস । আশাকরি এতে সকল ধরনের ছাত্র-ছাত্রীরা লাভবান হবেঃ

(১) পরিকল্পনা করুনঃ পরিকল্পনা ছাড়া এই পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে তার শতকরা ৯৮% কাজই সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাই আজ থেকে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে ফেলুন। যেমন-আপনি প্রতিদিন প্রতিটা বইয়ের ১টি করে প্রশ্ন পড়বেন।

(২) শুধু পড়ুন, মুখস্থ করবেন নাঃ সবার মুখস্থ বিদ্যা ভালো না। তাই যেটা পড়বেন সেটা শুধু পড়ুন কিন্তু মুখস্থ করতে চেষ্টা করবেন না। বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। অনেক সময় এমন হয় শুধু পড়ার কারনে আপনার পুরো বিষয়টা পরীক্ষার হলে মনে পড়ে যায়। জোর করে যদি মুখস্থ করতে যান তাহলে ভুলে যেতে পারেন। যেটা খুবই স্বাভাবিক। দেখবেন খবরের কাগজ কিন্তু আমরা মুখস্থ করি না, কিন্তু খবরগুলো ঠিকই আমাদের মনে থাকে। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

(৩) পড়ার সময় লিখে পড়ার চেষ্টা করুনঃ যে প্রশ্নটি পড়বেন সেটার উত্তরগুলো খাতা কলমের সাহায্যে লিখে লিখে পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে পড়াও মনে থাকবে, চোখের সাহায্যে অন্তরেও গেঁথে যাবে। বেশী লেখার দরকার নেই। মেইন পয়েন্টগুলো দুচার লাইন করে লিখুন।

(৪) সময়ের কাজ সময়ে করুনঃ পড়ালেখায় সফলতা পেতে হলে সময়ের কাজ আপনাকে সময়ে করতেই হবে। বেশীক্ষন পড়তে ভালো লাগেনা? ঠিক আছে। তাহলে প্রতিদিন ২ ঘন্টা ফিক্সড করে নিন। ওই ২ ঘন্টাই পড়বেন। ওই সময়ে অন্য কোন কাজ করবেন না। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

(৫) প্রতিযোগী ঠিক করে নিনঃ রেসের মাঠে একা দৌড়ালে যেমন কোন লাভ নেই, ঠিক তেমনি পড়াশোনায়ও ভালো রেজাল্ট করতে প্রতিযোগী সেট করার কোন বিকল্প নেই। আপনার থেকে দুই ধাপ ভালো কোন ছাত্র-ছাত্রীকে টার্গেট করুন। মনে মনে বলুন নেক্সট পরীক্ষায় আমি ওর থেকে কমপক্ষে ২০ মার্কস বেশী ওঠাবো বা ২ পয়েন্ট বেশী অর্জন করবো। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

(৬) আড্ডা কমিয়ে দিনঃ আমি কিন্তু বলিনি একদম আড্ডা দিবেন না! কিন্তু আড্ডা দেয়ার সময় কমিয়ে দিন। এখন পর্যন্ত আড্ডায় কোন উৎপাদনমুখী কিংবা ভালো টপিকস নিয়ে আলোচনা হয় না। কি নিয়ে আলোচনা হয় তা আমি আপনি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিন যদি ২ ঘন্টা আ্ড্ডা দেয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা আধা ঘন্টা কমিয়ে দিন। এভাবে আড্ডা দেয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

(৭) ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশুনঃ কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আপনি যদি এভারেজ কিংবা খারাপ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মেশেন তাহলে আপনার উপরে কিন্তু খারাপ প্রভাবই পরবে। ভালো প্রভাবের জন্য ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশুন, কথা বলুন, প্রয়োজনে তাদের সাথে আড্ডা দিন।

(৮) ধর্মকর্মে মন দিনঃ শুধু পরীক্ষার আগে স্রষ্টার নাম জপে কোন ফায়দা হয় না। প্রতিদিন অল্প অল্প করে ধর্ম কর্মে মন দিন। আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ফেলুন। তাহলে স্রষ্টাও আপনার উপরে খুশি হবেন। শুধুমাত্র্র বাবা-মা কিংবা টিচারের মন জয়ের জন্য কাজ করলে হবে না। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

(৯) নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস করুনঃ নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষুধা লাগলে আপনার কেমন লাগে?? ঠিক তেমনি প্রতিদিন অল্প পড়ুন বা বেশী পড়ুন একটা নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এলোপাতারি সময়ে না পড়ে, নিদির্ষ্ট সময়ে যেমন রাত ৮ থেকে ১২টা বা রাত ১০টা পর্যন্ত এই সময়টা শুদুই পড়ুন। অন্যকোন কাজ করবেন না।

(১০) টিভি দেখা কমিয়ে দিনঃ ছাত্র-ছাত্রীর অন্যতম কাজ হচ্ছে টিভি দেখা। সচরাচর সবাই টিভি দেখে নিজেকে নায়ক নায়িকা বা গায়ক গায়িকা ভাবতে পছন্দ করে। কিন্তু মনে রাখবেন টিভিতে যা কিছু দেখি সবই কিন্তু প্রফেশনাল লোকজন করে। তাদের পেশাই হচ্ছে ওইটা করা। তাই আপনি যদি তাদের মতো কল্পনা করেন কিন্তু পড়ালেখা না করেন তাহলে কিন্তু কোন কাজ হবে না।

আরো অনেক টিপস আছে কিন্তু বেশী দিলে ভুলে যাবেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনার পড়াশোনার পরিমানের উপর নির্ভর করবে আপনার পরবর্তী কর্ম জীবনের সফলতা।

সূত্র: মুক্তমঞ্চ.কম

কোরানের আয়াত পাঠ করে যেভাবে রোগী সুস্থ করা হয় (ভিডিও সহ)

Qurani

সম্মানিত ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম,আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আল্লাহ তায়ালার একটি নিদর্শন। দেখুন শুধু মাত্র কোরানের আয়াত পাঠ করে যেকোন রোগী  সুস্থ করা যায় । অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটি বাস্তব ঘটনা। আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন মাত্র।শুধুমাত্র কোরানের আয়াত পাঠ করে যেভাবে রোগী সুস্থ করা হয় তার একটি ভিডিও দিলাম। আশা করছি ভালো লাগবে।

মালা আলী,ইরাকের কুর্দিস্তানের বাসিন্দা। তার নিজেরএকটি হসপিটাল রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র কুরআনের আয়াত পাঠ করে অনেক কঠিন রোগেরও মুক্তি দিয়ে থাকেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকেও সকল ধরনের সাহায্য সহযোগীতা পেয়ে আসছেন বহু দিন ধরে। শুধু মাত্র আল্লাহর ক্ষমতা বলে ই তিনি মানুষের চিকিৎসা করে থাকেন বিনিময়ে দোয়া ছাড়া আর কিছুই নেন না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যে কেউ আসতে পারে এই হসপিটালে।
তার চিকিৎসার ধরন হলো, কুরআনের আয়াত লেখা, মোনাজাত করা ও রোগিকে উচ্চারন করতে বলা।আল্লাহ তায়ালার ঈষারায় মুক্তি মেলে অনেক কঠিন রোগেরও।

ভিডিও দেখার জন্য এই লিংকটি ব্রাউজ করুন: MIRACLE OF ISLAM, This Man heals by the permission of Allah. 100 % TRUTH, NO DECEPTION

বাংলাদেশে বহু মানুষ জানেই না যে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

diabetes

বাংলাদেশে আগামী ২০ বছরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ২০ লাখে। বেসরকারি একটি সংস্থা হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এমনই তথ্য দিচ্ছে। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা ডা: বিল্লাল হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ধারণা করা হয় বাংলাদেশে ষাট লাখ রোগী আছে। এর মধ্যে ত্রিশ লাখ লোক বর্তমানে চিকিৎসার আওতায় আসতে পেরেছেন। বাকী ত্রিশ লাখ লোক জানে না যে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত”।বর্তমানে দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে একটি বড় অংশ চোখের সমস্যায় ভুগছেন। ধারণা করা হয়, প্রায় ১৮ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে চোখের সমস্যায় ভুগছেন ।

সেইসাথে সময়মত চিকিৎসা না নেয়ার কারণে তাদের অনেকেই অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমনই প্রেক্ষাপটে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আজ বুধবার ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, একসময় ধারণা করা হতো বয়স্কদের মাঝে এই রোগটি দেখা যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আস্তে আস্তে কমবয়সীরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে ২০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের লোকজন এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানান ডা: বিল্লাল হোসেন। তবে অনেককেই চলমান প্রক্রিয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা এবং এ সংক্রান্ত সেবার আওতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ডা: হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলোতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ দ্রুতগতিতে নগরায়ন ঘটছে। মানুষের জীবনযাপন বা লাইফ স্টাইল পরিবর্তন হচ্ছে। খাবারের অভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে। এসব কারণে বিশ্বের অন্যান্য অনেক এলাকার মত বাংলাদেশেও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

তথ্যসূত্র – বি.বি.সি

এক ইনজেকশনে পুরো ছয়মাস নিরাপদ মাত্রায় থাকবে উচ্চ রক্তচাপ

blood_pressure

একবার ইনজেশন দিলে ছয়মাস রক্ত চাপ নিরাপদ মাত্রায় থাকবে। এমন একটি ইনজেকশন বের করেছেন একদল গবেষক। ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় এ ইনজেকশন বিপ্লব ঘটাবে বলে ধারণা করছে গবেষক দলটি। হাইপারটেনশন সাময়িকীতে এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হিরোনোরি নাকাগামি এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। রক্তচাপ বাড়ানোর হরমোন তৈরির সঙ্গে জড়িত দেহের ডিএনএ’কে বোকা বানায় নাকাগামি’র নেতৃত্বাধীন গবেষক দলের তৈরি টিকা। প্রাথমিক ভাবে ইঁদুরের দেহে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ডিএনএ দিয়ে তৈরি এ টিকা দিয়ে ভবিষ্যতে মানুষের বেলায়ও সুফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ড. হিরোনোরি নাকাগামি।

পৃথিবীতে যে কয়েকটি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয় তার অন্যতম উচ্চ রক্তচাপ। ইন্টারনেট থেকে পাওয়া একটি তথ্যে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে ২৫ বছরের উর্ধ জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বিশ্বে প্রতি বছর উচ্চ রক্তচাপ এবং এর আনুষঙ্গিক জটিলতায়ে এক কোটি ৭৩ মানুষ মারা যান।

উচ্চ রক্তচাপকে নিরাপদ মাত্রায় রাখার জন্য বাজারে অনেক ওষুধ আছে। এ জন্য দিনে অনেককেই দুইটি বা তারচেয়ে বেশি ওষুধ খেতে হয়। এদিকে, উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে অনেকেই এ রোগকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন না। বা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেন না। এর পরিণামে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপে হৃদপিণ্ড বা কিডনির মারাত্মক হয়।

দৈনিক বড়ি খাওয়া যে রোগীর জন্য বাড়তি ঝামেলা তা জানেন চিকিৎসা- গবেষকরা। দৈনিক খেতে হবে না কিন্তু দেহে দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব থাকবে এমন ওষুধ বের করার জন্য অনেক দিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর এ ক্ষেত্রে জাপানি গবেষকদের এ আবিষ্কার উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হয়?

Usa-Visa

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য আমেরিকা যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শিথিল করা হয়েছে। তথ্য সুবিধার জন্য কল সেন্টারে ফোন করে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় সহায়তাও নিতে পারবেন বাংলাদেশী নাগরিকরা।  কল সেন্টার রবি হতে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি চালু থাকবে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে বর্তমানে  ১৪ সেপ্টেম্বর হতে চালু হয়েছে । http://dhaka.usembassy.gov ওয়েব ঠিকানায় লগ-ইন করে ভিসা আবেদনকারীরা ভিসার জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন। নতুন ওয়েবসাইট ও কলসেন্টার হতে বাংলা এবং ইংরেজিতে তথ্য দেওয়া হবে। যে কারণে ভিসার আবেদন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য পাওয়া আরও সহজতর হবে। পূর্বে অনলাইনে আবেদনের পর আবেদনকারীদের সাইমন সেন্টারে সশরীরে গিয়ে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি জানা লাগতো। নতুন নিয়মে আবেদনকারীরা ওয়েবসাইট হতেই ব্যক্তিগত কিংবা দলগতভাবে সাক্ষাৎকারের সময়সূচির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার আবেদনের নির্দেশনা জানতে পারবেন ও এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও পাবেন।

নতুন পদ্ধতিতে আবেদনকারীরা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি যদি পান তাহলে এইচএসবিসি ব্যাংকের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম শাখায় ভিসা ফি জমা দিতে পারবেন ও এক বছর মেয়াদি টাকা জমার রসিদ পাবেন। গত ৩১ আগস্ট হতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ভিসা ফি জমা নেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়। তবে যারা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন, তবে তারা সেই টাকা জমার রসিদ ব্যবহার করেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে ৩১ আগস্টের পর হতে শুধু এইচএসবিসি ব্যাংকেই ভিসা ফি জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে  এই লিংকে ক্লিক করে ফরম পূরণ করতে পারবেন: http://www.ustraveldocs.com