হাজার টাকারও কমে বিজ্ঞাপন ছাড়া ইউটিউব!

Youtube red

  • তন্ময় মীর

পছন্দের কোনো একটি গান বা ভিডিওর জন্য ইউটিউবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন; কিন্তু সঙ্গে এসে জুটছে বিরক্তিকর সব বিজ্ঞাপন। একটায় ক্লিক করে সরিয়ে দিতেই আরেক লিংকে ঢুকে যাচ্ছেন। বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই মেলে না। তবে এখন যদি আপনি প্রতি মাসে ১০ ডলার (আসলে ৯ দশমিক ৯৯!) বা প্রায় ৮০০ টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন, তাহলে বিজ্ঞাপনমুক্ত সাবস্ক্রিপশন পরিসেবা পাবেন ইউটিউব থেকে। ম্যাশেবলের খবরে জানা গেল, এই বিশেষ সেবার নাম ইউটিউব রেড।

ইউটিউব রেডের মাধ্যমে আপনি ইউটিউব সাম্রাজ্যের সব ভিডিও বা মিউজিক দেখতে পাবেন বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন ছাড়া। এই পরিসেবা গুগলের প্লে মিউজিকের ক্ষেত্রেও চালু হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর থেকে এই সেবা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরে অন্যান্য দেশে চালু হয়েছে। আইফোনের গ্রাহকদের এই পরিসেবা গ্রহণের জন্য খরচ হবে প্রায় ১২ দশমিক ৯৯ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক হাজার টাকা।

এ বিষয়ে ইউটিউবের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, একটি পর্নো সাইটের সঙ্গে এর নামের সংগতি রাখা হলো কেন? এর উত্তরে ইউটিউবের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি পণ্যের জন্য নাম নির্বাচন করাটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমরা আমাদের গবেষণায় ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, রেড শব্দটি ইউটিউবের সঙ্গে একান্ত সংশ্লিষ্ট। এটি ভালোবাসা ও রেড কার্পেটের মতো বিষয়কে ইঙ্গিত করে!’

ইউটিউবের এই ‘রেড’ কার্পেটের সুবিধা নিয়ে এখন থেকে এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহক। এতে অফলাইন, প্লে লিস্ট করার মতো সুবিধাগুলোও থাকছে। তবে মূল ইউটিউব বা বিজ্ঞাপনযুক্ত ইউটিউবের কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। বাংলাদেশে এই সুবিধা কবে নাগাদ আসবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

প্যারিস হামলার পর ফেসবুকের ‘সেফটি চেক’ নিয়ে বিতর্ক

safety check
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর বন্ধুদেরকে নিজের নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানাতে ফেসবুক চালু করেছে ‘সেফটি চেক’ অপশন। এর মাধ্যমে নিজেকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। তবে কার্যকর এই ব্যবস্থাটি নিয়ে খোদ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
অনেকেই অভিযোগ করছেন প্যারিস হামলার একদিন আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অনুরূপ জঙ্গি হামলায় ৪০ জন নিহত হলেও তখন এই অপশনটি চালু করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে ফেসবুক বর্ণবাদী আচরণ করেছে বলে ফেসবুকে ঝড় উঠেছে।
বৈরুত হামলার সময় সেফটি চেক অপশন চালু না করার একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, প্যারিসের হামলায় আমরা সেফটি চেক করার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে লেবাননের বৈরুত বা অন্যান্য স্থানের বোমা হামলার সময় কেন আমরা তা করিনি? আমাদের নীতি ছিল, প্রাকৃতিক কারণে কোনও বিধ্বংসী ঘটনা ঘটলে এজন্য আমরা সেফটি চেক করব। কারণ এর একটি নির্দিষ্ট শুরু ও শেষ থাকে। সন্ত্রাসী হামলার সময় এই অনুমানটি করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া প্যারিসের ঘটনার আগে মানবসৃষ্ট কোন দুর্যোগ নিয়ে এই ব্যবস্থাটি চালুই করা হয়নি। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট সব বিধ্বংসী ঘটনার জন্য সেফটি চেকের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। সবাইকে ধন্যবাদ যারা প্রশ্ন করেছেন এবং নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাপানে সুনামি আঘাত হানার ‘সেফটি চেক’ চালুর সিদ্ধান্ত নেন মার্ক জাকারবার্গ। ২০১৪ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। চলতি বছর নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ফেসবুকের এই অপশনটি চালু করা হয়েছিল। সূত্র: দ্য ভার্জ

কীভাবে শুরু হয়েছিল গুগল?

Google

আজকাল কিছু মনে না পড়লে, বা জানতে চাইলে ‘গুগল’ সার্চ করা হয়। মানুষের স্মৃতিশক্তি অনেকটাই হয়ে পড়ছে গুগলভিত্তিক। অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবেন না একসময় পৃথিবীতে গুগল ছিল না। চাইলেই এক সার্চে হাজার হাজার তথ্য পাওয়া যেত না। কারণ তখনো গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতার দেখা হয়নি।

১৯৯৫ সালে দেখা হয় গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন এবং ল্যারি পেজের। ব্রিন তখন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। সেই সময় নতুন আরেক ছাত্রকে ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো তাঁকে। স্ট্যানফোর্ডের সেই নতুন ছাত্রের নাম ল্যারি পেজ। ল্যারি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন মিশিগানে। এখন পিএইচডি করতে চাচ্ছেন স্ট্যানফোর্ডে।

দুজনই পিএইচডি শুরু করলেন স্ট্যানফোর্ডে। ১৯৯৬ সালে তাঁরা একটি রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন।  ইন্টারনেট সার্চিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁরা আরো সহজ এবং দ্রুতগতির কোনো ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছিলেন। তাঁরা তাঁদের নতুন এই প্রযুক্তির নাম দেন ‘পেজ র‍্যাংক’। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেজের সংখ্যা এবং তাঁদের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে সাইটগুলো সার্চ রেজাল্টে চলে আসত।

প্রথমে পেজ এবং ব্রিন তাঁদের সার্চ ইঞ্জিনের নাম রাখলেন ‘ব্যাকরাব’। কারণ কোনো ওয়েবসাইটের ভেতরের খবর যাচাই বাছাই করে তা সার্চ রেজাল্টে দেখাতো। পরে তারা নিজেদের তৈরি সার্চ ইঞ্জিনের নাম বদলে রাখেন গুগল (google), অবশ্য এই নামও এসেছে ভুল করে googol লিখতে গিয়ে হয়ে গেল google!

একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডোমেইন দিয়েই চালু ছিল গুগলের ওয়েবসাইট google.stanford.edu এবং z.stanford.edu নামে।

১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম গুগলের নামে আলাদা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

অফিস নেওয়ার পয়সা ছিল না তখন পেজ ও ব্রিনের হাতে। তাই বন্ধুর গ্যারেজ ভাড়া করে সেখানেই গুগলের কার্যক্রম শুরু করেন তাঁরা। ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অবস্থিত সেই গ্যারেজ এখন পরিচিত ‘গুগল গ্যারেজ’ নামে। গুগলের প্রথম কর্মী হিসেবে যোগ দেন স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডির ছাত্র ক্রেইগ সিলভারস্টেইন।

১৯৯৮ সালে গুগলে প্রথম বিনিয়োগ করেন সান মাইক্রোসিস্টেমসের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি বেচটোলসিম। এক লাখ ডলার ছিল তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ। এর পর পরই ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইনকরপোরেটেড হয় গুগল।

১৯৯৯ সালের মার্চে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোতে নিজেদের অফিসে যাত্রা শুরু করে গুগল। যদিও সেই সময়ই গুগল বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন পেজ ও ব্রিন। কারণ এটা তাঁদের প্রচুর সময় নষ্ট করছিল এবং লেখাপড়ার ব্যাঘাত হচ্ছিল।

এক্সাইটের প্রধান নির্বাহী জর্জ বেলের কাছে গুগল বিক্রির প্রস্তাব দেন পেজ ও ব্রিন। মাত্র ১০ লাখ ডলার চেয়েছিলেন তাঁরা এর বিনিময়ে। এক্সাইটের পক্ষে দর কষাকষি করেন ভিনোদ খোসলা। তিনি সাড়ে সাত লাখ ডলারে কিনতে চেয়েছিলেন গুগলকে। কিন্তু পেজ ও ব্রিন রাজি না হওয়ায় সে সময় বিক্রি হয়নি গুগল।

ওই বছরের ৭ জুন আড়াই কোটি ডলারের বিনিয়োগ পায় গুগল। ক্লেইনার পার্কিন্স কওফিল্ড অ্যান্ড বায়ার্স এবং সেকুইয়া ক্যাপিটাল এই অর্থ বিনিয়োগ করেছিল গুগলে। এরপর শুধুই সামনে এগিয়ে যায় গুগল। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট গুগলের শেয়ার ছাড়া হয় বাজারে। সে সমই ল্যারি পেজ, সার্গেই ব্রিন ও এরিক শ্মিডিট একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যাতে বলা হয়েছিল আগামী ২০ বছর তাঁরা গুগলে একসঙ্গে কাজ করবেন। তাঁর মানে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই তিনজনের কেউ গুগল ছাড়তে পারবেন না!

অনলাইন গণমাধ্যম সম্পাদকদের সংগঠন ‘অনেব’র আহ্বায়ক মোস্তফা জব্বার

Mustafa-Jabbar

অনলাইন গণমাধ্যম সম্পাদকদের সংগঠন ‘অনলাইন নিউজপেপার এডিটর’স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(অনেব)-এর আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সংবাদ সংস্থা আবাস-এর প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা জব্বার। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন ঢাকানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক লতিফুল বারি হামিম। কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন, বিশেষায়িত অনলাইন নিউজপোর্টাল বহুমাত্রিক.কম এর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জলছবি.কম এর সম্পাদক জামসেদ ওয়াজেদ, মুক্তিনিউজ.কম এর সম্পাদক শাহ পরান সিদ্দিকি তারেক ও সময় সংবাদ.কম এর প্রধান সম্পাদক শহিদুন আলম। সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা জব্বার সভায় অনলাইন গণমাধ্যমের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ, চূড়ান্তপ্রায় সরকারি নীতিমালার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। বিকাশমান গণমাধ্যম হিসেবে অনলাইন সংবাদপত্রের সম্পাদকদের দায়িত্ব, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত থাকা এই সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘মিডিয়ার স্বাধীনতার বিষয়টি আপেক্ষিক। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার যেমন অনেক অপপ্রয়োগ আছে, একই সঙ্গে সাংবাদিকদেরও আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ সকল ধরণের গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন নীতিমালার দাবি পূনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কাগজের পত্রিকার ক্ষেত্রে যদি ডিসি অফিসের একটি ফরম পূরণ করে অনুমোদন পাওয়া যায়, তবে অনলাইনের ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার ফি ছাড়া নিবন্ধনের সুযোগ দিতে হবে।’ অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য চূড়ান্তপ্রায় সরকারি নীতিমালায় যাতে আমলাতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বহিপ্রকাশ না থাকে এবং নীতিমালাটি যেন স্টেকহোল্ডারবান্ধব হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত-সুপারিশ পৌছানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করে মোস্তফা জব্বার। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনেব’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও নিউজ২১বিডি’র সম্পাদক একেএম শরিফুল ইসলাম খান, ফিন্যান্স ওয়ার্ল্ড.কমের সম্পাদক আই এইচ শরীফ, অনেবের সদস্য সচিব মাসুম শরিফ, দ্য বিডি এক্সপ্রেস.কম এর সম্পাদক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজপোর্টাল এসোসিয়েশন(বনপা)’র সাধারন সম্পাদক ও প্রাইম নিউজ বিডি.কম এর সম্পাদক গিয়াস আল মামুন ও দেশ মিডিয়া ২৪.কম এর সম্পাদক রাসিদুল হাসান বুলবুল প্রমুখ।

জেনে নিন ? যে কারণে ডিজলাইক বাটন দিল না ফেসবুক (ভিডিওসহ)

Reactions

সেপটেম্বরের শুরুর দিকে মার্ক জাকারবার্গের দেওয়া ঘোষণার পর সবাই ধরেই নিয়েছিলেন লাইক বাটনের পাশাপাশি ফেসবুকে যুক্ত হচ্ছে ডিজলাইক বাটন। ব্যবহারকারীদের দাবির মুখে এই বাটন যুক্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন জাকারবার্গ। তবে তখন অনেকেই এই বাটন যুক্ত করার বিরোধিতা করেছিলেন। অবশেষে ফেসবুক কোন ডিজলাইক বাটন যুক্ত না করে এর পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ৬টি ইমোজি যুক্ত করল যা লাইকের পাশে দেখা যাবে।  কিন্তু কেন যুক্ত করা হলো না ডিজলাইক বাটন? এ ব্যাপারে ফেসবুক নিউজ টিমের প্রধান অ্যাডাম মসেরি ব্লুমবার্গকে জানান, “আমরা যে ধরণের প্রডাক্ট সবার জন্য তৈরি করতে চাই, পোস্টে ডিজলাইক দেওয়ার ব্যবস্থা কোনভাবেই তার সাথে যায় না।”

বর্তমানে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ডে চালু হওয়া নতুন এই ইমোজি ব্যবস্থার মাধ্যমে লাইকের পাশাপাশি ভালবাসা, রাগ, আনন্দ, বিস্ময়, দুঃখ প্রকাশের সুযোগ রয়েছে যা শুধুমাত্র ডিজলাইক বাটনের মাধ্যমে সম্ভব হতো না।  মসেরি আরও জানান, তাদের বলা হয়েছিল এমন কিছু যুক্ত করতে যার মাধ্যমে কেউ কমেন্ট না করেই তার সম্পূর্ণ অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে পারবে খুব সহজেই। আর নতুন এই ফিচার যুক্ত করতে তিনি সমাজ বিজ্ঞানীদের সহায়তা নিয়েছেন বলেও জানান।  বর্তমানে কেবল এই দুটি দেশে ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হলেও শীঘ্রই অন্যান্য দেশেও এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
এখানে ভিডিও দেখুন:

ওপেন শটঃ হোম ইউজারদের জন্য অসাধারণ একটি ভিডিও এডিটর (ভিডিওসহ)

openshot-main

ইদানীং পাইরেটেড উইন্ডোজ ছেড়ে ওপেন সোর্স লিনাক্স বিশেষ করে উবুন্টু ব্যবহারের বেশ সাড়া পড়েছে। সঙ্গত কারণেই চুরি করা সফটওয়্যারের পরিবর্তে লিনাক্স ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো সফটওয়্যার বিপত্তি। লিনাক্সের জন্য সফটওয়্যারের এক বিশাল ভা-ার রয়েছে এবং এখানে উইন্ডোজের প্রায় প্রতিটি সফটওয়্যারেরই বিকল্প সফটওয়্যার পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই বিপুল ভা-ার থেকে একটি একটি করে ডাউনলোড ও ইন্সটল করে তা আপনার কার্যোপযোগী কি না তা দেখার ধৈর্য্য না থাকারই কথা।

ভিডিও এডিটিং কমবেশি আমরা সবাই হয়তো করে থাকি। সাধারণত পেশাদার কাজে অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহার করা হলেও আমার মতো সাধারণ ব্যবহারকারীরাও এমন ভিডিও এডিটর ছোটখাটো কাজে ব্যবহার করে থাকে। লিনাক্সের এমন একটি সফটওয়্যারের সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দেব যেটি ব্যক্তিগত ভিডিও এডিটিংয়ের কাজে বেশ উপকারী হবে বলে মনে করি।

ওপেনশট

ওপেনশট একটি লিনাক্সভিত্তিক ভিডিও এডিটর প্রোগ্রাম। এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই একাধিক ভিডিও ক্লিপ একত্র করা, ভিডিও ও অডিও ক্লিপ একত্র করা, স্থিরচিত্র ব্যবহার করে স্লাইডশো তৈরি করার মতো ছোটখাটো কাজগুলো করা সম্ভব। কেবল তাই নয়, হোম ভিডিও এডিটিং, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনচিত্র, অনলাইন ফিল্ম ইত্যাদি মাঝামাঝি মানের কাজের জন্যও ওপেনশট জনপ্রিয়।

ডাউনলোড

এখানে ক্লিক করে ওপেনশট ডাউনলোড করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উবুন্টু ১০.০৪-এর জন্য নতুন কোনো সংস্করণ বের না হলেও ৯.১০-এর জন্য উপযোগী করে তৈরি সংস্করণটিই অধিকাংশ কম্পিউটারে কোনো সমস্যা ছাড়াই চলে।

ব্যবহার

ভিডিও এডিটরটি ডাউনলোড ও ইন্সটল সম্পন্ন হলে অ্যাপ্লিকেশন থেকে সাউন্ড অ্যান্ড ভিডিও সাবমেনুতে ওপেনশন পাবেন। প্রোগ্রামটি রান করুন। ফাইল থেকে ইমপোর্ট ফাইলস-এ ক্লিক করে কাজের জন্য ছবি, ভিডিও বা অডিও ফাইল ইমপোর্ট করুন।

openshot-import-files

উদাহরণ হিসেবে ছবি ইমপোর্ট করে দেখানো হলো। ইমপোর্ট সম্পন্ন হলে ছবিগুলোকে টাইমলাইনে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করুন নিজের পছন্দমতো।

openshot-add-files-to-timeline

এবার প্রজেক্ট ফাইলের পরের ট্যাব ট্রানজিশন থেকে পছন্দসই ট্রানজিশন ইফেক্ট নির্বাচন করে তা ছবিগুলোর মাঝে বসিয়ে দিন। এবার প্লে বাটন চেপে দেখুন কী তৈরি করলেন। এভাবে আপনি নিজেই ধীরে ধীরে দক্ষ এডিটর হতে পারবেন। যখন আপনার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখন ভিডিওটি এক্সপোর্ট করার জন্য ফাইল থেকে এক্সপোর্টে ক্লিক করুন। এখানে সিম্পল ও অ্যাডভান্সড নামে দু’টো ট্যাব পাবেন। সিম্পল থেকেও ভিডিও আউটপুট ফরম্যাট সিলেক্ট করে নিতে পারেন। অথবা অ্যাডভান্সড ট্যাব থেকে বাড়তি সেটিংস ঠিক করে ভিডিওটি এক্সপোর্ট করতে পারবেন।

openshot-transition

openshot-export-file-simple

openshot-export-file-advanced

অন্যান্য সুবিধাদি

ইমেজ সিকুয়েন্সিং

আপনি চাইলে একটি ভিডিওক্লিপকে কতগুলো ইমেজ আকারে বের করতে পারবেন ওপেনশটের সাহায্যে। সোর্স ভিডিও ফাইলটির প্রতিটি ফ্রেমকে পিএনজি ফাইল আকারে সেভ করাই ওপেনশটের কাজ।

মাল্টিপল টাইমলাইন

অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো-তে যারা অভ্যস্ত, তারা অবশ্যই জানেন টাইমলাইনে কতগুলো লেয়ার হিসেবে যোগ করা যায়। ঠিক একই সুবিধা ওপেনশটেও রয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য একটি টাইমলাইন, অডিওর জন্য একটি টাইমলাইন, ভিডিওর জন্য একটি টাইমলাইন, ট্রানজিশন ইফেক্টের জন্য একটি টাইমলাইন এভাবে একাধিক টাইমলাইন যোগ করতে পারবেন।

ডিজিটাল ভিডিও ইফেক্ট

ব্রাইটনেস, গামা, গ্রেস্কেল ইত্যাদি উন্নততর ইফেক্ট যোগ করার সুবিধা রয়েছে ওপেনশটে। ট্রানজিশন ছাড়াও এসব বাড়তি সুবিধা ওপেনশটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মন্তব্য

সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি ভিডিও এডিটরের নাম ওপেনশট। পেশাদার কাজেও বেশ ব্যবহারোপযোগী লিনাক্সের এই সফটওয়্যারটি যদিও তা কোনোভাবেই ফাইনাল কাট প্রো’র মতো উচ্চমানের নয়। এক কথায়, ঘরোয়া কাজে এবং প্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো বিজ্ঞাপন বা অনলাইন ভিডিও তৈরিতে লিনাক্সের জন্য দারুণ একটি সফটওয়্যার ওপেনশট।

এখানে ভিডিও দেখুন:

সেট আপ দেয়া ছাড়াই উইন্ডোজে সহজেই নতুন পার্টিশন তৈরি করুন

Make-A-New-Drive-Without-New-Set-Up

– 

কম্পিউটারের হার্ডডিক্সে বেশ কয়েকটি ড্রাইভ থাকে। কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে নতুন ড্রাইভের দরকার হয়। সাধারণত নতুন ড্রাইভ করার জন্য হার্ডডিক্সের পার্টিশান ভেঙ্গে নতুন করে সেট আপ দিতে হয়। এতে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য হারিয়ে যায়।

তবে আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করে থাকেন, তবে কোন তথ্য না হারিয়েই, নতুন করে সেট আপ না দিয়েই নতুন একটি ড্রাইভ পেতে পারেন। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের Shrink Volume নির্দেশনা দিয়ে পুরাতন পার্টিশনের অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে নতুন ড্রাইভ বানাতে পারবেন।

কার্যপ্রণালী

ধরুন, আপনি আপনার কম্পিউটারের Audio and Video ড্রাইভটি ভেঙ্গে নতুন আরেকটি ড্রাইভ বানাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

    •  ডেক্সটপ থেকে Computer বা My Computer আইকনে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন।
    •  Manage সিলেক্ট করুন।

niloy1

      • Manage খুললে তালিকা থেকে Disk Management-এ ক্লিক করুন। এখানে হার্ডডিক্সে থাকা সব ড্রাইভ দেখা যাবে।
      • এবার যে ড্রাইভটির জায়গা নিয়ে নতুন ড্রাইভ বানাতে চান (এখানে Audio and Video) তাতে ডান ক্লিক করুন।

niloy2

      • Shrink Volume নির্বাচন করুন। কয়েক সেকেন্ড সময় নিবে এটি চালু হতে।
      • Enter the amount of space in MB: ঘরে কাঙ্খিত জায়গা দেখা যাবে। আপনার নতুন ড্রাইভটির সাইজ কত বড় হবে তা এখানে নির্ধারণ করুন। প্রতি গিগাবাইটের জন্য 1024 MB করে হিসেব করুন। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, নতুন ড্রাইভের জন্য পুরাতন ড্রাইভের অর্ধেক বা তার চেয়ে কম জায়গা নির্বাচন করতে হবে।
      • স্পেস নির্ধারণ শেষে Shrink বাটনে ক্লিক করুন।
      • কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে Unallocated Space নামে একটি নতুন ড্রাইভ তৈরি হয়ে যাবে। এটিতে দান ক্লিক করে New Simple Volume নির্বাচন করুন। ফরম্যাট পার্টিশন চালু হবে, এখানে নেক্সট চেপে Assign the following drive letter থেকে ড্রাইভ লেটার নির্ধারণ করে নেক্সট চাপুন।
      • সবশেষে Finish চাপুন। কোন তথ্য না হারিয়ে বিনা সেট আপে আপনার নতুন ড্রাইভ তৈরি হয়ে যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ভাষান্তর করবে গুগল ট্রান্সলেট

WhatsApp

বার্তা বিনিময়ের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে বিনিময় করা তথ্যের ভাষান্তর করবে ‘গুগল ট্রান্সলেট’। এ জন্য অ্যাপটির নতুন সংস্করণ বাজারে ছেড়েছে গুগল। অ্যানড্রয়েডের হালনাগাদ সংস্করণ ‘মার্শম্যালো’ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ডিভাইসে এ সুযোগ মিলবে। নতুন এ সুবিধা চালু হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভিন্ন ভাষাভাষী ব্যক্তিদের সঙ্গে স্বচ্ছন্দে বার্তা বিনিময়ের সুযোগ পাবে। এত দিন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভিন্ন ভাষায় বিনিময় করা বার্তাগুলো কপি করে গুগল ট্রান্সলেটে অনুবাদ করত। আবার নিজের মনের কথা বন্ধুর ভাষায় রূপান্তর করে হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করত। ফলে মনের ভাব বিনিময়ের সময় বেশি প্রয়োজন হতো। কিন্তু নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনের মধ্যেই গুগল ট্রান্সলেটের সাহায্যে বার্তাগুলো রূপান্তর করা যাবে।

বাংলাদেশ-সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করবে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে

IT
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। এছাড়া সৌদি বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধিসহ দু’দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (৭ অক্টোবর) সৌদি সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-সুওয়াইয়েলের দফতরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে এসব বিষয়ে একমত প্রকাশ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আইসিটিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-সুওয়াইয়েলের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা এবং বর্তমান সরকারের নানাবিধ কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। হাই-টেক পার্কসহ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো সৃষ্টিতে গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি প্রযুক্তি-জ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।
এ সময় সৌদি মন্ত্রী ড. আল-সুওয়াইয়েল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সৌদি আরবের সমসাময়িক অগ্রগতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে পলককে অবহিত করেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে সৌদি মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পলক।
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম।

ইন্টারনেট: ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

state-of-broadband-2015

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯। অন্যদিকে ভারতের ১৫৫ ও পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৬তম।

আইটিইউ ও ইউনেসকো প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব ব্রডব্যান্ড ২০১৫’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রতি ১০০ জনে ৬ দশমিক ৪ জন। ভারতে ৫ দশমিক ৫ জন ও পাকিস্তানে এই হার ৫ দশমিক ১ জন। জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের সেপ্টেম্বরের সভায় এই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ ও এর হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড তালিকায় ১৮৯ দেশের মধ্যে ১৩২তম অবস্থানে আছে। এখানে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। একই পয়েন্ট নিয়ে ভারত বাংলাদেশের এক ধাপ ওপরে অর্থাৎ ১৩১ তে। এখানেও পাকিস্তান পিছিয়ে আছে। পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৫ আর ব্যবহারকারীর হার হার ১ দশমিক ১ শতাংশ।

ব্রডব্যান্ড কমিশনের পুরো প্রতিবেদন http://www.broadbandcommission.org/documents/reports/bb-annualreport2015.pdf এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।