৩ শতাধিক জনবল নেবে পূবালী ব্যাংক

pubali

পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ৩টি পদে ৩৭৫ সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: পূবালী ব্যাংক লিমিটেড

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার
পদ সংখ্যা: ৫০ জন

পদের নাম: অফিসার
পদ সংখ্যা: ১২৫ জন

পদের নাম: জুনিয়র অফিসার, ক্যাশ
পদ সংখ্যা: ১৫০ জন

বিস্তারিত জানতে: www.pubalibangla.com/caree.asp ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ অক্টোবর ২০১৫, বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ক্যারিয়ার গড়ুন এভিয়েশন অপারেশনে

abc

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০০৪ সালে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজির যাত্রা শুরু। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় শিক্ষা ও প্রফেশনাল স্টাডিজ অনুষদের ৮টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করছে। আপনিও ‘এভিয়েশন অপারেশন প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সে’ ভর্তি হয়ে এভিয়েশন অপারেশনে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। কারণ এটি একটি দ্রুত ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল ক্যারিয়ার।

এভিয়েশন অপারেশন কী :
এয়ারলাইন্সের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্পেশ্যালাইজড কোর্স এটি। যেখানে এয়ারলাইন্স কার্গো ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ও সেলস, এয়ারপোর্ট অপারেশন, বোর্ডিং কন্ট্রোল, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কাস্টমার রিলেশন, এয়ারক্রাফট লিজিং, এয়ারলাইন্স ফিন্যান্স, এয়ারলাইন্স পলিসি ও আইন-কানুন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা :
এখানে এসএসসি/‘ও’ লেভেল উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। যেকোনো বিভাগ থেকে যেকোনো সালে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে পারবে। তবে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ পেতে হবে। এছাড়া কোর্সটি স্নাতকদের জন্য বেশি কার্যকরী।

ভর্তির সময় :
এ কোর্সে অক্টোবর- নভেম্বর ও মার্চ-এপ্রিল সেশনে ভর্তি কার্যক্রম চলে।

পরীক্ষার ধরন :
লিখিত ও মৌখিক উভয় ধরনের পরীক্ষা হয়। মূলত উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হয়। তবে পরীক্ষার প্রশ্ন সব সিলেবাস অনুযায়ী হয় এবং প্রতিষ্ঠান থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়।

কোর্সের খরচ :
সর্বমোট খরচ পড়বে মাত্র ১০,৫০০ টাকা।

যোগাযোগ:
কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি, মেইন ক্যাম্পাস, সেক্টর-১১, রোড-০২, বাড়ি-১৪, উত্তরা এবং ক্যাম্পাস-২, সেক্টর-২৯, রোড-১৬, বাড়ি-১৪, উত্তরা।

আলাপ : ৮৯৯১৩৭১, ০১৯২৬৯৬৩৬৫৩, ০১৯২৬৯৬৩৬৫৫।

ঘরে মোমের গোলাপ বানানোর সহজ উপায়

আজ আমি খুব সহজ উপায়ে আপনাদের গোলাপ বানানো শিখাব। যদিও দেখে মনে হতে পারে অনেক জটিল বিষয় কিন্তু আসলে তেমন কিছুই নয়। এমনকি উপকরণও লাগে খুবই সীমিত পরিমাণ। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে আসি বাসায় কীভাবে গোলাপের আদলে মোমবাতি তৈরি করা যায়।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

ঘরে মোমের গোলাপ বানানোর সহজ উপায়

– গোলাপি রঙের কিছু গলানো মোম

– সাদা রঙের মোমবাতি

– মোটা রশি যা সোলতে হিসেবে কাজ করবে

– ফুটন্ত গরম পানি

– একটি লাঠি

– ছুরি।

পদ্ধতিঃ

ঘরে মোমের গোলাপ বানানোর সহজ উপায়
প্রথমে একটি বাটিতে কোরানো গোলাপি রঙের মোম ও কোরানো সাদা মোম নিন। খেয়াল রাখবেন গোলাপি মোমের অংশটুকুই যেন বেশি থাকে।

এরপর একটি গামলায় গরম পানি নিয়ে মোমের ( wax ) বাতিতে এর উপর বসিয়ে দিন যেন মোম গলে যায়। মাঝে মাঝে লাঠিটি দিয়ে নেড়ে মোম দুটিকে মিশিয়ে দেবেন।

ঘরে মোমের গোলাপ বানানোর সহজ উপায়

এখন থেকে শুরু হবে একটু গুরু গম্ভীর কাজ। একটি কাঠের বোর্ডের উপর গলানো মোম ঢেলে ছোট ছোট বৃত্ত করুন। এই বৃত্তের শেপই নির্ধারণ করবে গোলাপের পাপড়িগুলোর সাইজ কেমন হবে। আপনি যদি বড় গোলাপ চান তবে বৃত্তগুলো বড় মাপের করুন। আর সংখ্যাও নির্ভর করবে আপনার উপর। তবে ৬টির কমে বৃত্ত তৈরি করবেন না। তাহলে গোলাপ দেখতে সুন্দর লাগবেনা।

ঘরে মোমের গোলাপ বানানোর সহজ উপায়

এরপর মোমের বৃত্তগুলো একটু নরম থাকতে থাকতে ছুরি দিয়ে সাবধানে তুলে ফেলুন।

ছবির মত করে রশির গাঁ ঘেঁষে বৃত্ত গুলো গোলাপের পাপড়ির আদলে প্যাঁচাতে থাকুন।

দেখুন তো গোলাপ ফুলের মত দেখাচ্ছে কিনা। আমার কাছে তো হুবহু গোলাপ ( Rose )ফুলই লাগছে। এবার চাইলে কোন মোম ( wax ) দানির উপর বসিয়ে দিতে পারেন।

লিখেছেনঃ রোজেন।

লং জার্নিতে অসুস্থ বোধ করেন ? জেনে নিন ৮টি সহজ সমাধান

Long journey

লং জার্নিতে অসুস্থ বোধ করেন? বাসে, গাড়ি, লঞ্চ ইত্যাদি বাহনে দীর্ঘ সময় যাত্রা করতে হলে অনেকেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘোরায়, কারো বুক ধড়ফড় করে, ক্লান লাগে, কেউ আবার বমি করেও ফেলেন। সব মিলিয়ে অত্যন্ত বাজে একটা অবস্থা। বিশেষ করে এই গরমের দিনে অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ কাজে রাস্তায় বের হলেও শরীর খারাপ লাগে। জেনে নিন এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার ৮টি উপায়।

১) বমি বমি ভাবের কারণে অনেকেই খালি পেটে যাত্রা শুরু করেন, যা একেবারেই অনুচিত। খালি পেটে যাত্রা বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও দুর্বলতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। অবশ্যই কিছু একটা খেয়ে যাত্রা শুরু করুন। তবে সেটা যেন হালকা কোন খাবার হয়। কোন গুরুপাক খাবার খাবেন না।

২) সাথে এক বোতল পানি রাখুন। একটু পর পর সামান্য এক ঢোক পানি পান করুন। এটা আপনার মনযোগ সরিয়ে রাখবে ও ভালো অনুভব করতে সহায়তা করবে।

৩) সবচাইতে সেরা উপায় হচ্ছে ঘুমিয়ে যাওয়া। ঘুমিয়ে গেলে আপনার সময়টা দ্রুত কেটে যাবে এবং অসুস্থতা বোধ করবেন না।

৪) কেন এমন হয়, তাঁর কারণটা খুঁজে বের করুন। অনেকের যেমন বেশী ঝাঁকুনি হলে খারাপ লাগে। অনেকের আবার পেছনের সিটে বসলে অসুস্থ বোধ করেন। অনেকের সমস্যা হয় বদ্ধ পরিবেশে। অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেটা দূর করুন। অনেকটাই ভালো বোধ করবেন।

৫) লেমন বা অরেঞ্জ ফ্লেভারের ছোট ছোট লজেন্স রাখতে পারেন সাথে। তেঁতুলের আচারও মন্দ নয়। খারাপ লাগলেই একটু মুখে দেবেন, ভালো লাগবে।

৬) বিশুদ্ধ বাতাসে থাকুন। বাস কিংবা গাড়িতে হলে জানালা খুলে দিন। লঞ্চে হলে ডেকে ঘোরাঘুরি করুন। তাজা অক্সিজেন আপনার শরীর খারাপ হতে দেবে না।

৭) শুকনো আদা কুচি রাখতে পারেন সাথে। এটা খুবই কার্যকরী ট্র্যাভেল সিকনেস দূর করতে। এছাড়াও ক্যান্ডি করা আদা, এলাচ , দারুচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদিও মুখে ফেলে রাখতে পারেন।

৮) শেষ অপশন হিসাবে ওষুধ তো রয়েছি। ফার্মেসীতে গেলেই ট্র্যাভেল সিকনেস দূর করার কিছু ওষুধ পাবেন। আমাদের দেশে যেমন এভোমিন বেশ জনপ্রিয়। তবে এক সাথে একটির বেশী ওষুধ খাবেন না, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

যেসব উচিত কাজের ফল আসলে খারাপই হয় বেশি!

Child

ভালো কাজ করা সবসময়েই ভালো। উচিত কাজ করাই জ্ঞানীর নিদর্শন। এই তো শেখানো হয়েছে আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে? কিন্তু সত্যিই কি তাই? সত্যিই কি বাস্তব জীবনের সাথে আমাদের ছোটবেলায় শেখা এই কথাগুলো মিলে যায়? আসুন জেনে নিই এমন কিছু উচিত কাজ যেগুলো করলে ভালোর বদলে খারাপ হবারই সম্ভাবনা বেশি রয়েছে আপনার।

১. অতিরিক্ত ব্যায়াম

শরীরচর্চা করা ভালো জিনিস। আমরা সবাই সেটা জানি। কিন্তু আরো তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য ভালো করার জন্যে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা কি ঠিক? ২০১২ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত শরীরচর্চা একজন মানুষের ভেতরে উদ্বিগ্নতা, হতাশা ও মানসিক অবসাদ এনে দেয়। শুধু তাই নয়, এটা মানুষের দাঁতের জন্যেও প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

২. সন্তানদের আগলে রাখা

কোন বাবা-মা চান তার সন্তান কষ্টে থাকুক? আর সন্তানদের কোন কষ্ট যাতে না পেতে হয় সেজন্যই তো আপনি আছেন, তাইনা? কিন্তু বাস্তবে এই ঠিক কাজটি করতে গিয়ে আপনি নিজের হাতেই সন্তানদেরকে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে দিচ্ছেন না সেটা কি বুঝতে পারছেন? ২০১৪ সালে ৭০ টি তথ্যসূত্র থেকে প্রায় ২ লক্ষ বাচ্চাকে নিয়ে পরীক্ষা চালায় একটি গবেষক দল। আর ফলাফল হিসেবে এটা পায় যে, যারা ছোটবেলা থেকে কিছুটা হলেও নিজেদের সন্তানকে সত্যিকারের জীবনটা চেনান, তাদেরকে কষ্ট পেয়ে, সহ্য করে নিয়ে বাস্তবতাকে মানিয়ে নিতে শেখান, তারাই মূলত হয়েছে ওঠেন ভবিষ্যতের সফল একজন সন্তানের বাবা-মা।

৩. বাচ্চাদেরকে মিথ্যে বলা

অনেক সময় মৃত্যু, কবরসহ নানারকম বড়মানুষী ব্যাপারকে আমরা ছোটদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করি। আর তারা জানতে চাইলে ছোট্ট করে কোন গল্প বলে তাদেরকে উঝিয়ে দেই যে ভয়ংকর জিনিসটা আসলে খুব ভালো কিংবা ব্যাপারটা একেআরই অন্যরকম। আর এই মিথ্যেগুলোকেই বলে সাদা মিথ্যা। এটাতে হয়তো আপনার বাচ্চাটা সাথে সাথে তেমন কোন সমস্যা তৈরি করছেনা। কিন্তু পরবর্তীতে বড় কোন ধরনের সমস্যা হতেই পারে। এ বছরেই করা এক গবেষনা থেকে জানা যায় যে, সেই বাচ্চাদের ভেতরে মিথ্যে বলার প্রবণতা ৬০ শতাংশ বেশি থাকে যারা কিনা বড়দের কাছ থেকে মিথ্যে কথা শুনেছে।

৪. সম্পর্ককে বাঁচানো

বন্ধুত্ব বা কোনধরনের সম্পর্ক খারাপ দিকে চলে গেলে কিংবা ঝামেলাপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করলেও আমরা চেষ্টা করি সেটাকে ঠিকঠাক করে ফেলতে। কারণ, সম্পর্ক গড়া খুব কঠিন, কিন্তু ভাঙা খুবই সহজ- এটাই জেনে এসেছি আমরা সবসময। কিন্তু বাস্তবে কোনো সম্পর্কই আসলে সবসময় একরকম থাকে না। আর যদি সেটা কাজ না করে তবে তা একেবারের মত ভুলে যাওয়াটাই ভালো। কারণ, ভবিষ্যতে এই ঝুলে থাকা সম্পর্কই তৈরি করতে পারে আপনার মস্তিষ্কের জন্যে বড়সড় ঝামেলা।

জেনে রাখুন মিষ্টি কুমড়োর বিচির অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

Pumpkin

আমরা অনেক সময় হয়তো না জেনেই এমন অনেক খাবার খেয়ে থাকি যেগুলোর অনেক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আবার হয়তো এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর আমরা উপকারিতা জানি না বলে সহজলভ্য হলেও না খেয়ে অবহেলা করি। মিষ্টি কুমড়োর বীজ এমনি একটি খাবার। এই খাবারটির অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। স্প্যানিশ একটি গবেষণার মতে মিষ্টি কুমড়োর বীজ কিছু নির্দিষ্ট উপাদানে ভরপুর বলে এটি মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারটি হচ্ছে তা হলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

মিষ্টি কুমড়োর বীজের পুষ্টিমূল্য

মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। এছাড়া এতে রয়েছে অনেক বেশী পরিমান জিংক যা প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, উদ্দিপকের উন্নয়নে, কোষের সঠিক বিভাজনে, ঘুম বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের রঙ এবং মেজাজ ভালো করতে বেশ ভালো ভূমিকা রয়েছে। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই উপকারী।

মিষ্টি কুমড়োর বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন যে এই বীজটির ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়োর বীজের বেশ সফলতা রয়েছে এবং এটির রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ।

জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, যেসব মহিলারা মেনোপজ অবস্থায় থাকেন তারা যদি বেশি করে মিষ্টি কুমড়োর বীজ খান তবে তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৩% কম থাকে।

সূর্যমুখী বীজেরও একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে। মিষ্টি কুমড়োর বীজের তেল প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

এতে থাকে অনেক বেশি পরিমানে ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

মিষ্টি কুমড়োর বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়োর বীজের প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। মিষ্টি কুমড়োর বীজ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে থাকার অনুভূতি থাকে।

তবে সবশেষে যে কথাটি না বললেই নয়, তা হচ্ছে মিষ্টি কুমড়োর বীজের অত্যন্ত উপকারিতা থাকলেও এটি খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে এক সাথে অনেক বেশি পরিমাণে যেন খাওয়া না হয়। খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ ১ কাপ মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে ২৮৫ ক্যালরি।

লেখক
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)
মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া।

এক অ্যাপেই ৫০ ভাষায় অনুবাদ

ms

গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে শব্দের ভাষান্তর ঠিক মত হয় না। এমন অভিযোগ অনেকেরই। অন্যদিকে গুগল ট্রান্সলেটরে মাত্র ২৭টি ভাষা ভাষান্তর করা যায়। অনলাইনে যারা নিত্যদিন শব্দের ভাষান্তর করেন তাদের জন্য সুখবর। পৃথিবীর শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ‘মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর’ নামে একটি ভাষান্তর করার অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের সাহায্যে ৫০ টি ভাষায় শব্দের ভাষান্তর করা যাবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের এই ট্রান্সলেটর অ্যাপটি অ্যাপলের আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড প্লাটফর্মের জন্য তৈরি করা হয়েছে। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন এবং ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচে এটি কাজ করবে।

এই অ্যাপটিতে টেক্সটের পাশাপাশি ভয়েসও ইনপুট হিসেবে দেয়া যাবে। অ্যাপটি ইনপুট দেয়া শব্দের ট্রান্সলেট করে পর্দায় দেখাবে। এই ট্রান্সলেটরে যেকোনো জায়গা থেকে শব্দ কপি করে পেস্ট করে ইনপুট হিসেবে দেয়া যাবে।

মাইক্রোসফট ইতোমধ্যে বিং ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের মাধ্যমে উইন্ডোজ ফোন এবং উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটারে ভাষান্তর করার সুযোগ দিচ্ছে।

যদিও মাইক্রোসফট তাদের স্কাইপের মাধ্যমেও ভাষান্তর করার সুযোগ চালু করেছে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, মাইক্রোসফটের এই অ্যাপ চালু হওয়ার ফলে গুগল ট্রান্সলেটরের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমবে। গুগলের ভাষান্তর সেবা অ্যানড্রয়েড, আইওএস এবং ডেস্টটপে পাওয়া যাচ্ছে।

কুরবানী সম্পর্কে বিভ্রান্তির জবাব ও কুরবানীর প্রয়োজনীয়তা

  • পাশা

Kurbani

বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি কুরবানী ঈদ আসলেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বেশ কয়েকজন চিন্তাশীল মানুষ কুরবানীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা বুঝানোর চেস্টা করেন কুরবানী এবং হজের মাধ্যমে অনেক টাকার অপচয় হয়। যা দিয়ে দেশের অনেক ভালো করা যেত। দেশী বিদেশী অনেক বুদ্ধিজীবি সহ এন বি আর এর সাবেক চ্যায়ারম্যনও বাদ যান নি। আমি ধরে নিচ্ছি ধর্মকে হেয় করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তারা হয়ত বিষয়টি জানেন না। অথবা নিছকই মতামত তুল ধরছেন। একটু আলোচনা করলেই কুরবানী প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব পাওয়া যাবে আশাকরছি। আসলে কুরবানীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝার জন্য ধর্মের খুব গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা কুরবানীর মাধ্যমে পশুর জবাই করাটাই মুল উদ্দ্যেশ্য নয়। এর সাথে সামাজিক ও রাস্ট্রীয় অনেক বিষয় জড়িত আছে যা হয়ত অনেকেরই জানা নাই। এবার একটু আলোচনায় আসি।

কুরবানি কারা করবেন? কুরবানী শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য। যারা ইসলামের অনুসারী কেবল মাত্র কুরবানী করা বাধ্যতামুলক। আবার সকল মুসলমানদের জন্যও নয়। মুসলমানদের মধ্যে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তাদের জন্য। অর্থাৎ অভাবী এবং ঋনগ্রস্থদের কোরবানী করার কোন প্রয়োজন নেই। এ থেকেই বুঝা যায় কুরবানী করা মুসলমানদের ব্যক্তিগত ইবাদতের একটি। সুতরাং এখানে রাস্ট্রের খরচ করার বিষয় অন্তভুক্ত নেই। আরো একটি বিষয় বুঝা যায় যে এখানে একটি অর্থনীতির বিষয় নিহিত আছে। কেননা কুরবানী অর্থবানরাই দিবেন। মুসলমানের জন্য যে পাচটি ইবাদত করা বাধ্যতামুলক তার মধ্যে কলেমা নামাজ এবং রোজা তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এবং হজ্ব এবং যাকাত সরাসরি সামাজিক রাস্ট্রীয় অর্থনীতির বিষয়টি জড়িত। এই হজ্বের পরই সকল মুসলমানদের জন্য কুরবানী করতে হয়। যার মধ্যে রাস্ট্রের অর্থনীতির একটা গুরুত্বপুর্ন অংশ জড়িত আছে।

এবার আসি কুরবানীর গুরুত্ব কি? কুরবানী করা কেন জরুরী। দেখা যায় তিনটি বিশেষ কারনে কুরবানী দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১। ব্যক্তিগত ২। সামাজিক ৩। রাস্ট্রীয়

প্রথমত কুরবানীর মাধ্যমে অর্থবানরা তাদের কস্টাজিত টাকা খরচ করেন। মানুষ যেখানে টাকার লোভ সামলাতে পারেননা কিন্তু দেখা যায় কুবরবাণী আসলে কুরবানী দেয়া চেষ্টা করেন। ফলে কাউকে কিছু দেয়ার প্রবনতা তৈরী হয়। এতে কুরবানী দানকারী ব্যক্তি আত্নশুদ্ধি হয়।

দ্বিতীয়ত সামাজিক কারন। হাদিসে বলা হয়েছে। রাসুল(সা) বলেছেন “যার প্রতিবেশী ক্ষুধার্থ অবস্থায় রাত্রি যাপন করে সে আমার উম্মত নয়।“ এবং অন্য একটি হাদিসে রাসুল বলেন,”আন্থীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী জান্নাতে যাবেনা” কুরবানীর নিয়মে বলা হয়েছে কুরবানীর মাধ্যমে জবাই কৃত মাংসের তিন ভাগের একভাগ অভাবী মানুষদের জন্য। আরেক ভাগ আত্নীয় স্বজনের মধ্যে যারা কুরবানী করেনাই তাদের এবং এক ভাগ নিজের জন্য। এখানে একটি গুরুত্ব পুর্ন বিষয় লক্ষ্যনীয়। আমরা যারা ব্যস্ততার কারনে প্রতিবেশী এবং আত্নীয়স্বজনের খোজ নিতে পারেনা তাদের জন্য খোজ নেয়া একটা সুযোগ। আত্নীয়দের সাথে দেখা এবং তাদের সাথে সম্পর্ক পুনস্থাপনের এর চেয়ে ভাল সুযোগ আর কোথায়? দ্বিতীয়ত যারা সারা বছর ভাল খাবার থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য অন্তত একবার ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। অনেকে হয়ত বলতে সারা বছর যারা উপোস থাকে তাদের জন্য বছরের একবার করে কি লাভ? লাভতো এটাই। অন্তত একবারতো হলো। শুধুতাই নয়। বছরের একবার অন্তত খোজ নেয়া হয়। তাদেরর সম্পর্কে জানা হবে। ফলে বছরের অন্য সময়েও তার খোজ নেয়ার মানসিকতা তৈরী হবে। মানুষের প্রতি মমত্ব বোধ বাড়বে। যেমন ধরুন সরকার মানুষের মাঝে অভ্যাস তৈরীর করা উদ্দেশ্য আয়কর মেলা করছেন। বৃক্ষ মেলা করছেন। যদিও এই কাজ গুলো সব সময়ই করা উচিত বা সবাই করেও থাকেন।

তৃতীয় কারনটি রাস্ট্রীয়, আমরা সবাই জানি অলস অর্থ রাস্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। অর্থের সার্কুলেশন যত বেশী হবে দেশের উন্নতি হয় ততবেশী। অর্থের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হলে অর্থকে গতিশীল করার কোন বিকল্প নেই। দেশের অভাব দুরীকরনের অন্যতম উপায় হলো অর্থের গতিশীলতা বাড়ানো ফলে এর সাথে সম্পৃক্ত হবে অনেক লোকজন এবং কমবে বেকারত্ব। টাকা যদি কেবল মাত্র এক শ্রেণীর লোকের হাতে স্থীর হয়ে যায় তাহলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে আরেকটা শ্রেনী অভাব গ্রস্থ হয়ে যাবে। এইভাবে চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। ধর্মীয় এবং রাস্ট্রীয় উতসবে দেশের অনেক বড় ধরনের অর্থের সার্কুলেশন হয়ে থাকে। যাকাত এবং কুরবানীও তার ব্যতিক্রম নয়। এনবিআর চেয়ারম্যানের তথ্য অনুয়ায়ী প্রতিবছর ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। অর্থাত টাকা গুলো হাত বদল হয়। আর এই টাকা গুলি সরাসরি ধনীক শ্রেণী থেকে গরীব শ্রেনীর হাতে যায়। যেমন দেশের বড় একটা শ্রেণী কুরবানী পশু মোটাতাজাকরন পেশায় নিয়োজিত। এছাড়া পশু খাদ্যের জড়িত আরেকটা শ্রেনী। এছাড়া পশুর চামড়া থেকে শুরু করে হাড় পর্যন্ত বেচাকেনার সাথে নিয়োজিত আছেন অনেক লোকজন। ফলে অর্থের সুষম বন্টনের এর চেয়ে ভালো উপায় আর আছে কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। এছাড়া চামড়া অত্যন্ত মুল্যবান সম্পদ। সারাবছর যত চামড়া উতপাদন হয় তার সিংহ ভাগ আসে কুরবানীর পশু থেকে। এই চামড়া হাত বদলের মাধ্যমে বিশ্বের আর্থিক সঞ্চালন হয়। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও তা আরো গুরুত্ব পুর্ন। কেননা বাংলাদেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় চামড়া থেকে।

কুরবানী নিয়ে যে ভিভ্রান্তি গুলো ছড়ানো হচ্ছে। প্র্থমত বলা হচ্ছে কুরবানী করা অমানবিক। কেননা পশু গুলোকে নিধন করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে বোদ্ধারা একটা সহজ কথাকে কেন পেচিয়ে বলছেন। মানুষের জীবন ধারনের প্রধান উপাদান খাদ্য আস একমাত্র প্রকৃতি থেকে। আর পশুরা প্রকৃতির একটি অংশ। উদ্ভিদ থেকে শুরু করে পশুরাও মানুষের খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং খাদ্য সংগ্রহ করতে হলে এদের কাছে যেতেই হবে। মানুষ সারা বছরই পশুর মাংস থেকে তাদের খাবার যোগাড় করছে। সুতরাং শুধুমাত্র কুরবানী ঈদের বেলায় মানবিকতা প্রশ্ন তোলাটা চরম বিভ্রান্তি । শুধ তাই নয় গরীব মানুষের রুটি রুজির উপর হামলা করার একটা প্রচেস্টা ছাড়া কিছু নয়। তাছাড়া আরেকটা প্রশ্ন করতে হয়? মানুষ খুন করার চাইতেও কি অমানবিক? কেননা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা পড়ছে। সে গুলো কি অমানবিক নয়। মানুষ মারার জন্য অস্ত্র উৎপাদনে যে অর্থ খরচ হয় কুরবানীর অর্থ কি তার চাইতে বেশী? আর উভয়ের ফলাফলে কোনটা লাভজনক তা বুঝার জন্য কি বেশী চিন্তা করার দরকার হয়?

তিনি আরো বলেছেন কুরবানী অর্থ গুলি অপচয় হয়। কিভাবে অপচয় হয়? কুরবানীর মাংস থেকে শুরু করে সব কিছুই যেখানে অর্থকরী। যার কোন কিছু ফেলনা নয় সেখান তিনি কিভাবে অপচয় বললেন তা আমার বোধগম্য নয়। আল্লাহ বলেন,” তোমাদের সম্পদে বঞ্চিতদের হক আছে।“ সুরতাং মুসলমান অর্থবানরা দান, ফেতরা জাকাত এবং কুরবানীর মাধ্যমে সরাসরি বঞ্চিত মানুষের কাছে তাদের হক ফিরিয়ে দিচ্ছেন। সুতরাং অপচয় হওয়ারতো প্রশ্নই উঠেনা। তাছাড়া কুরবানী কোন রাস্ট্রীয় সম্পদ থেকে দেওয়া বিধান নেই। কেননা রাস্ট্রের সম্পদ শুধু ধনীদেরই নয় গরীবেরও। অন্যদিকে একটা ধনীক শ্রেনী আছে যারা শুধুমাত্র নেশা দ্রব্য বিক্রী করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন। যার কোন উপকারী দিক তো নেইই, অপচয় তো বটেই পাশাপাশি মানুষকে দারিদ্রতার পথে ঠেলে দিচ্ছেন। অস্তির, অনিরাপদ করে তুলছেন পরিবার,সমাজ তথা রাস্ট্র।

কেউ কেউ বলছেন কুরবানী টাকা অন্য কোন সামাজিক কাজ করা যায়। কুরবানীতো একাধারে সামাজিক ও রাস্ট্রীয় কল্যান করেই যাচ্ছে। সুতরাং কুরবানীর সামাজিক কল্যানের জণ্য কুরবানী বন্ধ না করে নিয়মিত দান, জাকাত এই গুলো আদায়ের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করার তাগাদা দেয়া উচিত।

ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন টিপস! যেভাবে ইউটিউব ভিডিও র‌্যাঙ্ক বাড়াবেন এবং ভিউ বাড়াবেন।

  • মোহাম্মদ আসিফ

গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কোনও ভিডিও পাবলিশ করার কিছুক্ষণ পরেই সেটা গুগলের সার্চ রেজাল্টে টপ শো করছে কিন্তু সেখান থেকে আবার খুব দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে, সেটা হয় শুধু মাত্র প্রপার অপ্টিমাইজেশনের অভাবে।

ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন (Youtube Video Optimization):

নিম্নোক্ত ফ্যাক্টগুলো তখনই কাজে লাগবে যখন আপনার ভিডিওটি ভিওয়ারকে ভ্যালু দিতে পারবে। ভিডিওটি হতে হবে সুন্দর আর ইনফরমেটিভ।

ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কে আনতে “অনপেজ অপটিমাইজেশন ” আর “অফপেজ অপটিমাইজেশন” দুটোর গুরুত্ব রয়েছে। চলুন দেখা যাক ইউটিউব অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়।

অনপেজ অপটিমাইজেশন (On Page Optimization):

১. রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসঃ একটি ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডেরস মতই একটি ভিডিওর কিছু রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডস থাকবে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসের ভিডিও গুলোই সবসময় ইউটিউব সার্চে সবার উপরে প্রদর্শিত হয়। ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে সবচাইতে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড উল্লেখ করা জরুরি।

২. ভিডিও টাইটেলঃ ভিডিওর টাইটেলে সবচেয়ে টার্গেটেড কিওয়ার্ড দিতে হবে। টাইটেলে ভুল করে কোনওভাবেই ভিসিটরকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা! কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল শুরু করতে হবে আর খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে হবে যেন দেখা মাত্রই বুঝা যায় এটাই সঠিক ভিডিও। কোনও ধারাবাহিক ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতিটা ভিডিওর টাইটেলে সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে,এতে এর আগের আর পরের সিরিয়ালের ভিডিওটি ইউটিউবের সাজেস্টেড ভিডিওস এ শো করাবে।

৩. ভিডিও ট্যাগঃ রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও ট্যাগ পূরণ করতে হবে যেন ইউটিউব বুঝতে পারে এটা কিসের ভিডিও। ইউটিউব আপনার এই ট্যাগগুলো দেখেই ভিওয়ারের কাছে আপনার ভিডিও দেখাবে।

৪. ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ খুব সুন্দর করে ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। সাধারণত ৩০০+ শব্দের ডেসক্রিপশন ইউটিউব প্রাধান্য দেয়। ডেসক্রিপশন হতে হবে ইউনিক আর সাজানো যেখানে ভিডিওর ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। ডেসক্রিপশনে ৪ বার কি ওয়ার্ড উল্লেখ করা ভাল।

৫. থাম্বনেলসঃ থাম্বনেল একটি ভিডিওর প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে। ভিডিও আপলোডের আর প্রোসেসিং এরপর ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও থেকে ৩টি স্ন্যাপ নিয়ে থাম্বনেল সাজেস্ট করে তবে সবসময়ই কাস্টম থাম্বনলকে ইউটিউব র‍্যাঙ্ক করার জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

৬. ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্টঃ ভিডিও র‍্যাঙ্ক করাতে ট্রান্সক্রিপ্টের গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে ভাল কি ওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।

৭. চ্যানেল অথারিটিঃ ইউটিউব চ্যানেল অথারিটি ভিডিও র‍্যাঙ্কে ভূমিকা রাখে। চ্যানেল অথারিটি বলতে ভিডিও ভিউ এর সাথে সাথে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি , সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোর সাথে চ্যানেলের লিঙ্কিং।

মূলত এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অনপেজ অপটিমাইজেশন। চলুন এবার জানা যাক অফপেজ অপটিমাইজেশনে কি কি করা লাগে।

অফপেজ অপটিমাইজেশন (Off Page Optimization):

১. হাই রিটেনশন ভিউসঃ কতজন মানুষ আপনার ভিডিও দেখলো আর দেখলেও কত সময় দেখলো সেটা অনেক জরুরি। হাই রিটেনশন ভিউ মূলত ভিডিওর টোটাল লেন্থের অন্তত ৫০%-৬০% পর্যন্ত দেখাকে বুঝায়।

২. ভিডিও টিউমেন্টসঃ ভিডিও র‍্যাঙ্ক এবং চ্যানেল অথারিটি বাড়াতে টিউমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ! একটি ভাল ভিডিওতে অনেক পজিটিভ টিউমেন্ট থাকে, এর মানে ভিওয়ার ভিডিওটি গুরুত্ব দিয়েছে। কোনও ভাল টিউমেন্টে ধন্যবাদ কিংবা কারো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো র‍্যাঙ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার নিজ থেকে বসে বসে টিউমেন্ট করতে যাবেন না কারণ ইউটিউব স্প্যাম টিউমেন্ট বুঝতে পারে।

৩. সাবস্ক্রাইবারসঃ ভিওয়ার ভিডিওটি পছন্দ করলে পরবর্তী ভিডিও বা আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করবে যেটা শুধু ইউটিউব না বরং গুগলের কাছেও প্রাধান্য সৃষ্টি করবে।

৪. ফেভারিটসঃ ভিডিও র‍্যাঙ্কের অন্যতম ফ্যাক্ট হচ্ছে কতজন মানুষ ভিডিওটি ফেভারিট করলো আর আর “Watch Later” লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করলো।

৫. থাম্বস আপস/ডাউনস বা লাইকস/ডিজলাইকসঃ ভিডিও লাইক বা ডিজলাইকের উপর ভিডিও র‍্যাঙ্ক নির্ভর করে। কেউ ভিডিও পছন্দ করলে থাম্বস আপ দিবে আর বিরক্ত হলে থাম্বস ডাউন করবে। এটা ভিজিটরের কাছে ভিডিও এর ভিডিও কোয়ালিটি আর নির্ভরশীলতাও প্রকাশ করে।

৬.ব্যাকলিঙ্কসঃ ইনবাউন্ড লিঙ্কসমূহকে ইউটিউব ব্যাংকলিঙ্কস হিসেবে গণ্য করে। রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কস ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কের জন্য উপকারী।

৭. সোশ্যাল শেয়ারস এবং এম্বেডসঃ ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার এবং ব্লগ টিউনে এম্বেডের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে।

এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং এর জন্য অফপেজ অপটিমাইজেশনের কিছু কাজ।

কিছু কাজ যা ভুলেও করবেন নাঃ

* অন্য কারো ভিডিও ডাউনলোড করে সেটা আপলোড করবেন না। কিংবা কপিরাইটেড ভিডিও পাবলিশ করবেন না।

* ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর সেইম অ্যাকাউন্ট লগিন করা সময় নিজ থেকে View বাড়ানোর চোরা বুদ্ধি পরিহার করা উচিত। এতে চ্যানেল ব্যান খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে!

*ইউটিউব ভিউ এর সাথে সাথে লাইক/ডিজলাইকের একটা নির্দিষ্ট অনুপাত মেইন্টেইন করে। ভুলেও নিজ থেকে এগুলো করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো করলে ইউটিউব পুরো চ্যানেলকেই ব্যান করে দিতে পারে।

ভিডিও মার্কেটিং করে ইউটিউব এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয়

ভিডিও মার্কেটিং অনলাইনে আয়ের জন্য একটি অত্যন্ত সম্ভবনাময় খাত। আমাদের দেশে এখন খুব একটা বেশি না হলেও বহির্বিশ্বের এর চাহিদা বা জনপ্রিয়তা অনেক বেশি, আর দিন দিন তা বেড়েই চলছে। ২০১৬ সাল নাগাদ কনট্যান্ট মার্কেটিং কে পেছনে ফেলে ভিডিও মার্কেটিং এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞজনদের ধারণা।you tube marketing
ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ভিডিওটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব কারন এটিই এখন সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের সাইট। এই ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিজস্ব তৈরী ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় তা নিয়ে ২ পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কিভাবে আয় করা যায়?

আমি যদি মনে করি অনলাইনে মেশিন আমাকে টাকা বানিয়ে দিবে,তবে সেটি হবে আমার খুব ভুল ধারণা। একটা কথা মনে রাখতেই হবে যে,সাফল্য রাতারাতি আসেনা। সদিচ্ছা, সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম আর অধ্যবসায় সফলতার মুখ দেখায়। এটি সত্য যে প্রথম দিকে অনলাইনে আয় করাটা কিছুটা কঠিন, কিন্তু এই চারটি গুনের সমন্বয় যদি আপনার মধ্যে থাকে, সফলতা আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারবেনা কখনই। তখন কাজ কে আপনি খুজতে হবে না, বরং কাজই আপনাকে খুজে নিবে।
ইউটিউব ব্যবহার করে ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারি অনেক ভাবেই,কিন্তু যেগুলো বেশী কার্যকর সেগুলো হল,

ইউটিউব পার্টনার হয়ে:

Youtube-Marketing
ইউটিউব পার্টনারশিপ মানে ইউটিউব পরিবারের সদস্য হওয়া। পার্টনার হওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার আবেদন আসতে থাকে তাদের কাছে। যদিও আবেদন জন্য সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই তার পরও কিছু কিছু দিক বিবেচনা করে এ আবেদন গ্রহন করা হয়। যেমন,
–   ভিডিওটি সম্পূর্ণ, মানে ১০০% নিজের তৈরি হতে হবে। দেখতে, শুনতে, বা এর কনট্যাঁনট কোনকিছুই কপি করা যাবেনা অর্থাৎ গান, সুর, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, গ্রাফিক্স, ইমেজ কোন কিছুইনা। ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে।
–  একটি ভিডিও আপলোড করে বসে থাকলে চলবেনা,নিয়মিত আপলোড করতে হবে।অনেক বেশী দর্শক থাকতে হবে। যদি কারো ভিডিও বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়, অনেক জনপ্রিয়তা থাকে সেক্ষেত্রে ইউটিউব নিজেই আমন্ত্রন করে তাদের পার্টনার হওয়ার জন্য।
–  গুগল অ্যাডসেন্স এ অ্যাকাউন্ট থাকলে, পার্টনারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে তা অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।

পার্টনার হলে কি সুবিধা ?

ইউটিউব পার্টনার হয়ে যদি আমার ভিডিওটি প্রচার করি তাহলে বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারি যা বেশি আয়ের জন্য সাহায্য করবে। যেমন,
–  কোন ভিডিওটি কপি হওয়ার কোন ভয় থাকেনা কারন ভিডিওটির আলাদা আইডি থাকে এবং তা ট্র্যাক করা হয়।
–  কনট্যাঁনট লেংথ বা সাইজ লিমিট করে দেয়া হয়না ভিডিও আপলোড এর ক্ষেত্রে।
–  পার্টনার হলে সরাসরি ভিডিওটি ভাড়া দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে প্রথমে পেমেন্ট করতে তারপর ভিডিওটি চালাতে পারে।
–  পার্টনার হওয়ার সব থেকে বড় সুবিধা হল ভিডিওটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রমট করা হয়। এতেকরে ক্লায়েন্ট কে অনেক ভাল মানের ভিডিও উপহার দেওয়া যায়।

যেভাবে পার্টনারশিপ কনফার্মেশন বোঝা যাবে,

–  প্রথমে ইউটিউব এ সাইন ইন করতে হবে।
–  অ্যাকাউনট সেটিং এ গিয়ে ইমেইল সিলেকশন এ যেতে হবে
–  ইউটিউব নিউ লেটার এ গিয়ে আপডেট (ইউটিউব ব্রডকাস্ট) এ ক্লিক করতে হবে।
–  তারপর সেভ করতে হবে।

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে :

9
গুগল এডসেন্স হল গুগল দ্বারা বিজ্ঞাপন প্রদানের ব্যবস্থা। এ প্রোগ্রামটি ওয়েবসাইট পাবলিশারদের জন্য তৈরি হয়েছে যাতে তারা তাদের ওয়েবসাইট বা ভিডিওর মাধ্যমে কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে এবং আয় করতে পারে। যেমন আমি যদি আমার ওয়েবসাইট বা ভিডিওতে আডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করি আর এসব বিজ্ঞাপনে যদি ক্লায়েন্ট ক্লিক করে তাহলে পার ক্লিকের জন্য ওয়েব বা ভিডিওর মালিক টাকা পাবে গুগল থেকে। এসব বিজ্ঞাপন গুগল মেনেজ এবং কন্ট্রোল করে।

গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদনের যোগ্যতাঃ

–  যদি ভিডিওতে গুগল আডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চাই তাহলে প্রথমে গুগলএ অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এ অ্যাকাউন্ট করতে কোন টাকা লাগে না,সম্পূর্ণ ফ্রী।
–  অ্যাকাউন্ট করার পর আডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এ আবেদনের জন্য ইউটিউব পার্টনার হতে হবে। ইউটিউব থেকে পার্টনারশিপের যে মেইলটি পাঠান হয়, আবেদন করার সময় সে লিঙ্কটা অ্যাড করে দিতে হয়। তাছাড়া এ আবেদন গ্রহণযোগ্য হবেন
–  আবেদনের জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকাটা ভাল,এতে সেই ওয়েব বা ভিডিওর প্রতি বিশ্বস্ততা বারে।তবে এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে যদি ভাল মানের ভিডিও নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং অনেক বেশী অডিয়ান্স থাকে তাহলে।
–  ইউটিউব অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক দিয়ে আডসেন্স অ্যাকাউন্ট সাবমিট করা হয়।
ভিডিও তৈরির সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখবো, ভিডিওতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে যেন তা আলাদা উইন্ডো তে ওপেন হয়, তা না হলে সেটা ক্লায়েন্টের বিরক্তি ঘটায়।

আবেদন গ্রহনের ধাপ,

দুই ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গুগল।
–  যদি আমি আডসেন্সের জন্য আবেদন করি তাহলে প্রথমে গুগল আমার ইমেইল, ওয়েবসাইটের ঠিকানা, আবাসিক ঠিকানা সব থিক আছে কি না দেখবে।
–  প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলে গুগল আমাকে একটি কোড নাম্বার সহ ইমেইল পাঠাবে যাতে থাকবে আমি এখন বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য জজ্ঞ।র সেই কোড টি আমি আমার ভিডিও এর নিদিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিলে গুগল থেকে অ্যাড পাওয়া যাবে।

যেভাবে বোঝা যাবে আবেদন গ্রহন হয়েছে কিনা,

–  আডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর হোম এ গিয়ে হোসট অ্যাকাউন্ট লেভেলএ গিয়ে তা দেখব।
–  আডসেন্স অ্যাকাউন্ট এ যখন ৳১০০ এর বেশী হবে তখন গুগল তা পে করে।

অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমেঃ

2
কোন কম্পানির পণ্য বা সেবা যদি আমার ভিডিও বা ওয়েব এর মাধ্যমে প্রমট করে তা অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেই তাহলে তাহলে সেখান থেকে একটা পারসেনটেজ পাওয়া যায়, একেই বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব।

এর জন্য যা প্রয়োজন,

–  প্রথমেই নিজের ব্রান্ডিং বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ফেস ভেলু বাড়াতে হবে
–  খুব ভালো কনটেন্ট এবং ভাল মানের ভিডিও হতে হবে,যাতে করে ভিজিটর আকৃষ্ট হয়।
–  ভিডিও মার্কেটিং পোর্টফলিও থাকলে তা থেকে জানা যায় সব কিছু জানা যায়। এতে করে ক্লায়েন্টের সহজে সব বুঝতে পারে।
–  ইউটিউব পার্টনার হওয়াটা ভাল কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় নয়।
–  একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রেফারেন্স এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরী করলে তা ক্লায়েন্টের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য অনেক বেশী সহায়ক।
–  কিছু ওয়েব ২.০ (ফ্রী ওয়েবসাইট) থাকাটা ভাল এতে নিজের পরিচিতি বারে। অনলাইনে আয়ের জন্য প্রচুর দর্শক চ্যানেল অনেক জরুরী। আর এই চ্যানেল বাড়ানোর জন্য নিজের পরিচিতি অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।
–  আর্টিকেল সাবমিট সাইট এর সাথে ভাল যোগাযোগ থাকতে হবে। এর মাধ্যমে ভিজিটর বাড়ান যায়।ফেস ভেল্যু বাড়ানোর জন্য এটি সহায়তা করে।
উপরোক্ত বিষয়গুলোর সাথে ভিজিটর বা দর্শক জড়িত। যার ভিজিটর যত বেশী সে ততবেশি আয় করতে সক্ষম। মুলত দর্শক বা ভিজিটর কে মাথাই আমরা অনলাইনে কাজ করি। তাই আমার ভিডিওটি যদি দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে তবেই আমার সফলতা আর এর জন্য আমার ভিডিওর মান হতে হবে উৎকৃষ্ট।