খাটো পুরুষদের দীর্ঘদেহী দেখাতে ৭টি ফ্যাশন টিপস

যে পুরুষদের উচ্চতা খুব বেশি নয়, তাদের মন খারাপের কিছু নেই। ফ্যাশনেবল কিছু টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত খাটো পুরুষরা দীর্ঘদেহী দেখাতে পারে। এখানে নিন ৭টি ফ্যাশন টিপস।
image_268996.monochromatic-outfits-fashion-for-men

১. স্লিম ফিট পোশাক পড়ুন : আঁটোসাঁটো পোশাকে আপনাকে আরেকটু বেশি লম্বা দেখাবে। সরু প্যান্ট পড়ুন। এতে পায়ের দৈর্ঘ্য স্পষ্ট হবে। একইভাবে শার্টের ক্ষেত্রেও সরু ফিট আপনাকে আরো দীর্ঘদেহী করবে।

২. প্যাটার্ন বেছে নিন : শার্ট বা প্যান্টে স্ট্রাইপ বা আড়াআড়ি রেখার ডিজাইন বেছে নেবেন না। লম্ব রেখা ব্যবহার করুন। এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।

৩. রংয়ের মিশেল : গাঢ় ও হালকা রংয়ের সমন্বয় করুন। ঘন রংয়ের প্যান্ট বা জিনসের সঙ্গে হালকা রংয়ের শার্ট বা গেঞ্জি আপনাকে লম্বা অবয়ব দেবে।

৪. একরঙা পোশাকের কৌশলী ব্যবহার : এক রংয়ের পোশাকেও নিজেকে আরো বেশি দীর্ঘকায় করে ফেলতে পারেনে। এ ক্ষেত্রে একই রংয়ের খুব বেশি ভিন্নতায় মিশেল ঘটাবেন না। তা ছাড়া কালো, সাদা, বাদামী বা ধূসর রংয়ের মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারেন।

৫. জুতো : স্নিকার বা সমান সোলের জুতো এড়িয়ে চলুন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেঁটে দেখাবে আপনাকে। বুট বা উঁচু সোলের জুতো পরুন।

৬. পোশাকের স্তর : গোটা দেহের পোশাকে স্তরের মাধ্যমেও অবয়ব পাল্টে ফেলা যায়। এতে আরো হালকা এবং দীর্ঘ দেহের চিত্র ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। একটি পাতলা টি-শার্টের ওপর যদি স্লিম ফিট শার্ট পরা হয়, তবে বেশ স্মার্ট ও দীর্ঘ দেখাবে আপনাকে।

৭. স্যুটের ক্ষেত্রে… : সিঙ্গেল ল্যাপেলড জ্যাকেট পরুন পিকসহ। ব্লেজারটি দুই বাটনের হলে খুব ভালো। ডাবল ব্রেস্ট জ্যাকেটের ক্ষেত্রে খাটো পুরুষদের সিঙ্গেল বা ডাবল বাটনের জ্যাকেট বা কোট পরা উচিত। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

ইসলামে পোশাকের আটটি মূলনীতি

Dress

ইসলামে পোশাকের আটটি মূলনীতি রয়েছে:

১. পোশাক-পরিচ্ছদ টাইট বা আঁটসাঁট হওয়া চলবে না। অর্থাৎ পোশাক হতে হবে ঢিলে ঢালা। এমন পোশাক পরিধান করা যাবে না, যে পোশাক পরিধান করার পরও লজ্জাস্থানের অবয়ব বোঝা যায়। রাসূলুল্লাহ সা: ওই সব লোকদের অভিসম্পাত করেছেন যারা পোশাক পরার পরও উলঙ্গ থাকে।

২ এমন পাতলা বা ফিনফিনে কাপড় পড়া যাবে না যে কাপড় পরার পরও লজ্জাস্থান দেখা যায়।

৩. নারী-পুরুষের এবং পুরুষ-নারীর পোশাক পরিধান করা যাবে না। এখন অনেক ছেলেদের দেখা যায় যারা হাতে বিভিন্ন রকমের বালা পরিধান করে,কানে দুল দেয়,গলায় মালা বা চেইন পরে, পাঞ্জাবির সাথে ওড়না পরে ইত্যাদি। অন্য দিকে মেয়েরা তাদের নিজস্ব পোশাক পরিধানের পরিবর্তে জিন্সের প্যান্ট, টিশার্ট, স্কিন টাইট গেঞ্জি, পাঞ্জাবি
ইত্যাদি পরিধান করছে। রাসূলুল্লাহ সা: ওই  সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধারণ করে এবং ওই সব নারীকে লা’নত করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে।

৪. পুরুষের স্বর্ণের অলঙ্কার পরা যাবে না। স্বর্ণ পুরুষের জন্য হারাম। অনেক ছেলেদের দেখা যায় গলায় স্বর্ণের চেইন ব্যবহার করে। হাতে স্বর্ণের আংটি পরে। বিশেষ করে বিয়েতে মেয়ে পক্ষ ছেলেকে স্বর্ণের আংটি ও গলার চেইন দেয়। হজরত আবু হুরাইয়া রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা: পুরুষকে স্বর্ণের আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। শুধু আংটি নয়, পুরুষের জন্য স্বর্ণের যেকোনো অলঙ্কার হারাম।

৫. পুরুষের রেশমি কাপড় পরিধান করা যাবে না। এটা পুরুষের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি

দুনিয়াতে রেশমি কাপড় পরিধান করবে আখেরাতে তার জন্য কোনো অংশ নেই। অন্য একটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রেশমি কাপড় দুনিয়াতে কাফেরদের জন্য আর মুমিনদেরজন্য পরকালে।

৬. বিজাতীয় পোশাক পরিধান করা যাবে না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের নির্ধারিত ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে এমন পোশাক পরিধান করা জায়েজ নেই। যেমন খ্রিষ্টানদের ক্রুশ অঙ্কিত পোশাক, হিন্দুদের মতো উল্কি আঁকা, সিঁদুর পরা ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্য কোনো জাতির অনুসরণ করবে সে সেই জাতির উম্মত হিসেবে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, লা’নত বর্ষিত হোক সেই সব নারীর ওপর যারা উল্কি এঁকে নেয় এবং যারা উল্কি আঁকায়, যারা চুল উঠিয়ে ফেলে, ভ্র প্লাক করে, সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দাঁত কেটে চিকন করে, দাঁতের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি করে যা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়।

৭. বেশি চাকচিক্য পোশাক পরিধান করা যাবে না, যাতে বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করে। নারী-পুরুষ উভয়ই পর নারী বা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য বেশি চাকচিক্য পোশাক পরিধান করা যাবে না। বিশেষ করে নারীরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তারা যেন (নারীরা) যা সাধারণত প্রকাশমান এমন সৌন্দর্য ছাড়া অতিরিক্ত সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে বেড়ায়।’

৮. পুরুষের টাকনুর নিচে পোশাক পরিধান করা যাবে না। আজকাল অধিকাংশ পুরুষকে দেখা যায় তারা তাদের প্যান্ট পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুল দেয়। এর মধ্যে যারা নামাজি তারা নামাজের সময় তাদের প্যান্ট টাকনু পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়। আসলে টাকনু পর্যন্ত কাপড় পরা পুরুষদের সব সময়ের জন্য আবশ্যক, শুধু নামাজের সময় নয়। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব পুরুষ অহঙ্কারের (ফ্যাশনের) জন্য টাকনুর নিচে কাপড় পরে মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।’

পূর্বোক্ত পোশাকের নীতিমালা মেনে চললে বর্তমানে দেশে বিরাজমান অস্থিরতা অনেকাংশে কমবে। টিনেজার ও যুব সমাজকে তাদের সঠিক পথে চালনা করা সহজ হবে। তাদেরকে চারিত্রিক অবক্ষয়, ঝরে পড়া সর্বোপরি নেশা থেকে বাঁচানোর সম্ভব হবে। তা ছাড়া আমরা আমাদের জাতি সত্তা ও ধর্মীয় সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারব।নচেৎ আমাদের ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অধিক অস্থিরতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

♥মহান আল্লাহ সূরা আ’রাফের ২৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘হে বনি-আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জা স্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেজগারির পোশাক, এটি সর্বোত্তম।’ অন্য দিকে বেহায়াপনা, বেল্লাপনা ও উলঙ্গপনাকে হারাম করা হয়েছে। একই সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আপনি বলে দিন, আমার পালনকর্তা প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীল বিষয়গুলো হারাম করেছেন। এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে।

সৌরভ গাঙ্গুলী হচ্ছেন আসিসির চেয়ারম্যান!

S. Ganguly
অবাক হওয়ার মতই খবর, শুধু ভারত নয় বিশ্ব ক্রিকেটে একটি বিতর্কিত নাম শ্রীনিবাসন। ক্রিকেটের এই খলনায়ককে সরিয়ে এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের(আসিসি) সভাপতি হতে চলেছেন ক্রিকেট ইন্ডিয়ার সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী!  তবে রবিবার এমনই খবর প্রচার করেছে কলকাতার একটা জনপ্রিয় অনলাইন।
জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের নাম ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন অঙ্ক৷ গুঞ্জন চলছে আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে শ্রীনিবাসনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠবেন মনোহরা৷ তাই এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে, এসজিএমে শশাঙ্ক বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে শ্রীনিকে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে রাখা হচ্ছে না।
স্বাভাবিকভাবেই খোঁজ পড়েছে নতুন চেয়ারম্যানের। আর এ পদে বোর্ড কর্তাদের নামের তালিকায় সবচেয়ে পছন্দের নামটি সৌরভ গাঙ্গুলী। সৌরভদের চেষ্টাতেই বিসিসিআইয়ের সভাপতির আসনে বসতে চলেছেন শশাঙ্ক। তাই ক্রিকেটের দাদার সঙ্গে নতুন সভাপতির আসনে বসতে যাওয়া মনোহরের সম্পর্কটাও তাই আমে-দুধে। তাই শশাঙ্কও চান আসিসির চেয়ারম্যান পদে সৌরভই বসুক। দেখা যাক কি হয় শেষ পর্যন্ত।

বিশ্বে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ বাংলাদেশ মডেল হিসেবে স্বীকৃত

Comunity Clinik

বিশ্বে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ স্বাস্থ্যসেবা। বিশ্বে এটি পরিচিতি পেয়েছে, ‘বাংলাদেশ মডেল’ হিসেবে।

এই ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’-এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এখন পরিচালিত হচ্ছে দেশব্যাপী।

আর এ উদ্যোগকে স্থায়ী রূপ দিয়ে গ্রামীণ জনপদের অসহায়-দরিদ্র মানুষের নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্ট’ গঠনে আইন করছে সরকার।

আইনের আওতায় ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশে স্থাপিত সব কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি খসড়াও প্রস্তুত করেছে। আর আইনের খসড়া সম্পর্কে মতামতের জন্য তা অনলাইনে প্রকাশও করা হয়েছে।

খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে আইন হিসেবে পাস হলে ট্রাস্টের তহবিলের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রামের গরিব-দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেন কমিউনিটি ক্লিনিকের।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৯৮ সালের ২৮ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ১২ হাজার ৮শয়ের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে। গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতরা তাদের দোরগোড়ায় স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নিচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ কোটির বেশি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছেন বলে পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে, বিশ্বে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’-এ বাংলাদেশ মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগের স্থায়ী রূপ দিতে এখন আইন করছে সরকার।

‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্ট আইন- ২০১৫’ খসড়ায় ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। আইনের আওতায় কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় ট্রাস্টিবোর্ড গঠন করতে হবে। ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত কোনো ব্যক্তি।

এছাড়া স্বাস্থ্যসচিব, অর্থবিভাগের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি, সরকার মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তি (একজন চিকিৎসক হতে হবে), সদস্য থাকবেন।

আর ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্যসচিব থাকবেন কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ক্লিনিক পরিচালনায় ব্যয় নির্বাহে ট্রাস্টের নামে তহবিল থাকবে। তহবিলের দুই অংশের মধ্যে একটি স্থায়ী তহবিল এবং অপরটি চলতি তহবিল হিসাবে পরিচালিত হবে। স্থায়ী তহবিল সরকারের এককালীন দেওয়া অর্থ, যা ব্যাংকে জমা থাকবে। এর লভ্যাংশের সমুদয় বা আংশিক অর্থ স্থায়ী তহবিল হিসাবে জমা থাকবে। আর সরকারের জাতীয় বাজেট থেকে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ যাবে চলতি তহবিলে।

এছাড়া স্থানীয়ভাবে দেওয়া কোনো কর্তৃপক্ষের অনুদান, অর্থলগ্নীকারী ব্যাংক-বিমার স্বেচ্ছাধীন অনুদান, প্রবাসীদের অর্থিক সহায়তা, সরকার অনুমোদিত দেশি-বিদেশি উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ, সমাজের বিত্তবান, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠন থেকে স্বেচ্ছাধীন পাওয়া অর্থ চলতি তহবিল হিসাবে পরিচালিত হবে। চলতি তহবিলের অর্থও ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে এবং ট্রাস্টের যে কোনো কাজে তা ব্যয় করা যাবে।

ট্রাস্টিবোর্ড প্রতিবছর ৩০ জুনের পর আগের অর্থবছরের সম্পদিত কার্যাবলীর একটি প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করবে।

২০১৫ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়া Revitalization of Community Health Care Initiatives in Bangladesh (RCHCIB) প্রকল্পের আওতায় সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ট্রাস্টে ন্যস্ত হবে।

ট্রাস্টের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি গেজেট বা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত হবে। এছাড়া ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনায় একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে ট্রাস্টিবোর্ড।

ট্রাস্টিবোর্ডের দায়িত্ব ও কার্যাবলী
কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব ও কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের নিরবচ্ছিন্ন সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক, আর্থিক ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সম্পাদন।

দায়িত্বের মধ্যে আরো রয়েছে- ট্রাস্ট্রের তহবিলের অর্থ সংগ্রহ ও ব্যবহার, ট্রাস্টের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা

এ ছাড়া সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসূচির সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্তকরণ, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সপোর্ট গ্রুপ সক্রিয় ও গতিশীল করা এবং সরকার বা উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশিত অন্যান্য কাজ সম্পাদন করাও ট্রাস্টিবোর্ডের দায়িত্ব।

বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়ছে

Dollar

রফিকুল ইসলাম পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও লন্ডন। মাসখানেক বিদেশে অবস্থান করে ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী-সন্ত‍ানের পছন্দের কিছু কিনতে পারেননি। কারণ এসব দেশ ভ্রমণের পর তাদের কাছে আর কোনো অর্থ ছিলো না।

শেষ পর্যন্ত শুধু ঘুরে ফিরেই খালি হাতে দেশে ফিরেছেন রফিকুল ইসলাম।

শুধু রফিকুল ইসলাম একা নন। তার মতো অনেকেই সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণে কেনাকাটা করতে গিয়ে পড়েছেন আর্থিক সংকটে। ফলে কিছু না কিনেই ফিরতে হয়েছে দেশে।

এমনই আর একজন নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণকারী মো. মাজিদুল হক। বছরের প্রায় পুরো সময় ঘুরে বেড়ান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একসঙ্গে অর্থ নিয়ে যেতে না পারার কারণে প্রতিমাসেই দেশে আসতে হয় টাকা নিতে। এ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় আছেন তিনিও। মাজিদুল ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের কাছে গিয়েও কোনো সুফল পাননি।

এই অর্থ সংকটের কারণ বিদেশ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ৭ হাজার ডলারের বেশি নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। আর সার্কভুক্ত দেশগুলোতে এই সীমা ৫ হাজার ডলার।

বিদেশে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণ পিপাসুরা বহনকারী (অটোমোটেড টেলার মেশিন) এটিএম কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোর কাছে আবেদন করেছিল সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ডলারের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার করার।

ব্যাংকগুলো গ্রাহকের বিদেশে আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে ডলারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার  বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার ডলার নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন বৈদেশিক ম‍ুদ্রার রিজার্ভ আড়াই হাজার কোটি ডলারের উপরে। বর্তমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এ পরিমাণ বৃদ্ধি করা কোনো কঠিন কাজ নয়।

কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যত বাড়বে দেশের জন্য ততই মঙ্গল।

যদিও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিদেশ যাওয়ার সময় নিয়ে যাওয়া ডলারের পরিমাণ ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ  বলেন, সাবির্ক অবস্থা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৭ হাজার ডলার নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে এটা আরো কম ছিলো। গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়িয়ে ৪ হাজার করা হয়।

সেভ দ্য চিলড্রেন : নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Save

Save the Children(সেভ দ্য চিলড্রেন) is the world’s leading, independent organization for children. Save the Children invites applications for the following positions.
Position:

  • Senior Advisor – Program Management
  • Deputy Program Director – District Implementation
  • Senior Manager – Communications and Media
  • Programme Specialist – Software Development
  • Lecturer (Port and Shipping Management)
  • Lecturer (Maritime Law)

No. of post: 04
Educational requirements: Post Graduation/ Graduation in relevant discipline from a reputed university.
Experience: Should have job position related experience.
Age Limit: Not mentioned
Salary: As per organization pay scale.
Duty Station: Dhaka
Job Nature: Full Time
Published on: October 05, 2015
Closing Date of the Circular: October 10, 2015

Click this image for large view:

Save the children

দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেও নিজেকে সুস্থ রাখুন

Computer
কাজকর্ম সহজ করতেই নাকি আমরা দিন দিন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছি! কিন্তু প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যদি শারীরিক সমস্যাতেই ভুগতে শুরু করি, তাহলে উপায় কী? যদি প্রতিদিন অফিসে বা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে করার মতো কাজ হয়, তাহলে এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ধরুন আপনাকে প্রতিদিন লম্বা সময় ধরে ডেস্কটপের সামনে বসে কাজ করতে হয়। আর তা করতে গিয়ে আপনি চোখ, কাঁধ, গলা, পিঠ বা হাতের ব্যথায় ভুগতে শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে কী করবেন? সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়।
কাঁধের জন্য যা করণীয়
ডেস্কটপে বসে কাজ করার ক্ষেত্রে টেবিল-চেয়ারটা মাপমতো হওয়া খুবই জরুরি। আপনার উচ্চতা অনুযায়ী চেয়ারের সিটারটা উঁচু বা নিচু করে এমনভাবে বসুন, যাতে সোজাসুজি তাকালে আপনার চোখ মনিটরের ওপরের সীমানা বরাবর থাকে। কনুই দুটোকে চেয়ারের হাতলের বিশ্রামে রেখে কাজ করুন। ডেস্কটপের কিবোর্ড-মাউস যদি আলাদা ট্রেতে থাকে তাহলে কবজিটা সেখানে রাখুন আর তা যদি টেবিলের ওপর থাকে, তাহলে কবজি সেখানে রেখে কাজ করুন। খেয়াল রাখতে হবে চেয়ারের হাতলের চেয়ে কিবোর্ড-ট্রে কিংবা টেবিল-টপ যেন বেশি উঁচু না হয়ে যায়। এভাবে বসে কাজ করলে আপনার কাঁধে চাপ পড়বে না।
চোখের বিশ্রাম
দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থেকে কাজ করলে চোখে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। তাই কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ পর পর একটু বিরতি নিতে চোখ বন্ধ করুন, খানিক অন্যদিকে তাকান, দূরে কোনো কিছুর দিকে একটু চোখ স্থির করুন। অফিস, ঘর বা বাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকানোর সুযোগ থাকলে একটু সেদিকে তাকান। সম্ভব হলে সবুজে তাকান, চোখ স্নিগ্ধ হবে। আর চোখে ক্লান্তি এলে একটু চোখ পিট পিট করে বারবার চোখের পাপড়ি বন্ধ করুন, মেলুন, বন্ধ করুন। এতে চোখের ভেতরের তরল সঞ্চারিত হয়, চোখকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া কাজ করতে করতে চোখ ব্যথা হয়ে গেলে চোখের পাপড়িতে হাতের তালু বা আঙুলে হালকা চাপ দিন, কিছুটা আরাম পাবেন। আর অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন আপনার মনিটরের সেটিংস যেন অতিরিক্ত ব্রাইট বা কন্ট্রাস্ট না থাকে, সম্ভব হলে একজন বন্ধুর সহায়তা নিয়ে মনিটরের কালার ও লাইট সেটিংস ঠিক করে নিন।
ঘাড়ের ব্যায়াম
সহজ কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমেই আপনি দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার ঘাড়ের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারেন। সামনের দিকে ঘাড় নামিয়ে থুতনিটা বুকের কাছে ঠেকিয়ে দিন, এবার আবার ঘাড় সোজা করে যতটা সম্ভব পেছন দিকে ঠেলে দিন। আবার সোজা হয়ে কাঁধ সোজা রেখে একবার বাঁ দিকে, একবার ডান দিকে মুখ ফেরান। একই বিষয় পর পর কয়েকবার করে দিনে কয়েক দফা করুন। আপনি ঘাড়ের ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
পিঠ নিয়ে সতর্ক হন
যতটা সম্ভব মেরুদণ্ড সোজা করে বসে কাজ করার চেষ্টা করুন। কাজ করতে করতে উবু হয়ে গেলে খেয়াল হওয়া মাত্রই আবার সোজা হয়ে বসুন। দুয়েক ঘণ্টা কাজের পরই সম্ভব হলে একবার মাথা যতদূর সম্ভব পেছন দিকে ঠেলে দিয়ে আবার সামনের দিকে নামিয়ে আনুন। এভাবে দুয়েকবার মেরুদণ্ডসহ শরীরের ওপরের অংশটাকে সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে করুন। এতে যেমন শরীরের জড়তা দূর হবে, তেমনি পিঠের ব্যথা থেকেও রেহাই পাবেন।
হাতের জন্য
দুই হাত সোজা করে সামনের দিকে মেলে দিন। এবার আঙুলগুলো যতটা সম্ভব চারদিকে ছড়িয়ে দিন। হাতে শক্ত মুঠি করে সব আঙুল ভেতরে নিয়ে আসুন। আবার সব আঙুল ছড়িয়ে দিন। এতে লাগাতার টাইপ করার কারণে হাতে যে ব্যথা হয় তা প্রশমিত হবে। সম্ভব হলে দিনে দুয়েকবার কনুই ভাঁজ করে হাত গুটিয়ে নিয়ে আবার মেলে দিয়ে হালকা হাতের ব্যায়াম করুন। এতে হাতের পেশিগুলোও শিথিল থাকবে।

নিজের মতবাদের দুর্বলতা সম্পর্কে ডারউইনের স্বীকারোক্তি

Charles-Darwin

১৮৫৯ সালে ডারউইন তার The Origin of Species by Means of Natural Selection বইটি  প্রকাশ করে। তিনি এই বইয়ে বিবর্তনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তির ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বইয়ে বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমাণ উপস্থাপন করার কোন সুযোগ তার ছিল না। তখনো কোষ আবিষ্কৃত হয়নি। সব ধরণের পরীক্ষণ চালাতো হতো আদিম অণুবীক্ষণ যন্ত্রে। প্রকৃতপক্ষেই, এ কারণেই তার পুরো বই জুড়েই পেশাদারিত্বের অভাব লক্ষ করা যায় এছাড়াও এমনসব সিদ্ধান্ত যার ভিত্তি  পরীক্ষণের বদলে ধারণা ও অনুমান।
পরবর্তিতে ডারউইন তার The Descent of Man  বইতেও একই রকম বৈজ্ঞানিক ধারণার অবতারণা করেন। দু’ বইতেই তিনি তার থিওরির দুর্বলতা ও অসংলগ্নতা স্বীকার করে নিয়ে থিওরিটির বাস্তবে সত্যে পরিণত হবার ব্যাপারে বইজুড়ে বার বার  সন্দেহ পোষণ করেন।
ব্রিটিশ শারীরবিদ এইচ এস লিপসনডারউইনের এ আশঙ্কা সম্পর্কে মন্তব্য করেন-
“ডারউইনের অরিজিন অব স্পিসিসি পড়ে আমি দেখলাম ডারেইনকে যেভাবে দেখানো হয় তিনি নিজে তার     চেয়ে অনেক কম নিশ্চিত ছিলেন। যেমন,  ‘থিওরির দুর্বলতা’ (Difficulties of the Theory) শীর্ষক অধ্যায়টি লক্ষণীয়   রকম আত্ম-সংশয়ের নিদর্শন। বিশেষ করে,  একজন শারীরতাত্বিক হিসেবে, চোখের উৎপত্তি সম্পর্কে তার মন্তব্য আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।”
ডারউইন এ ধরণের স্বীকারোক্তি আরো দিয়েছেন যেগুলো পরবর্তীতে তার ছেলে ফ্রাঙ্কিস ডারউইন এর সম্পাদনায়  Life and Letters of Charles Darwin নামে সংগৃহীত হয়েছে। ডারউইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তৎকালীন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের কাছে লিখিত এসব চিঠি তার থিওরির ব্যাপারে স্বীকারোক্তিতে ভরপুর। সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের শাখায় নিজের অজ্ঞতা প্রকাশে তার কোন জড়তা ছিল না।
ডারউইনের বক্তব্যগুলো::
আমার বইয়ের এই অংশে আসার অনেক আগেই অনেকগুলো দুর্বলতা পাঠকের সামনে আসবে। তাদের কিছু কিছু এতই মারাত্মক যে আমি এগুলো নিয়ে চিন্তা করতেও অস্বস্তিতে পড়ে যাই।
তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার প্রফেসর Asa Gray এর কাছে লিখিত চিঠিতে তিনি বলেন
“আমি ভালো করেই জানি আমার অনুমান সত্যিকার বিজ্ঞানের চৌহদ্দির বেশ বাইরে”
E. Haeckel এর কাছে  লেখা চিঠিতে বলেন-
     “পরবর্তী ধাপসমূহে ‘অপ্রয়োজনীয় কাঠামোর বিলোপ’ বিষয়ক সমস্যাটি কি তোমাকে হতবুদ্ধি করেছে? …এ সমস্যাটি আমাকে এখনো বিমূঢ় করে রেখেছে।”
তার বন্ধু ও বিজ্ঞানী Sir Joseph Dalton Hooker এর কাছে লিখিত চিঠিতে-
          “মাঝেমাঝেই আমি সন্দেহে পড়ি যে শেষপর্যন্ত আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হব।…
    কখনো কখনো আমি কল্পনায় দেখি আমি আমার থিওরির দুর্বলতাগুলো দূর করেছি। কিন্তু ঈশ্বর জানেন, এটা বোধহয় অলীক চিন্তাই। …”
  ..তুমি বইট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছো, আর আমি শুধু বলতি পারি আমি আত্মহত্যার জন্যে প্রস্তুত আছি। আমি মনে করতাম এটা ঠিকভাবেই লেখা হয়েছিল, কিন্তু নতুন করে লেখার জন্যে অনেকগুলো অভাব দেখতে পাচিছ। ”
ব্রিটিশ ভূতাত্বিক Charles Lyell এর কাছে লেখায়-
“এত দূর্বোধ্য সমস্যার আলোচনা করার ভানও আমি করতে পারছি না। সবকিছুর উৎপত্তির রহস্য আমরা সমাধান করতে পারবো না। ”
ডারউইন দেখলেন যে তার থিওরির বিরুদ্ধে সবচেয়ে জোরালোভাবে দাঁড়াচ্ছে অবস্থান্তর আকৃতি (transitional forms বা প্রজাতি থেকে প্রজাতিতে রুপান্তরের ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী গঠন) এর অভাব। তাই তিনি ১৮৫৯ সালে তার অরিজিন অব স্পিসিস বইয়ের “থিওরির দুর্বলতা” অধ্যায়ে বলেন-
”যদি প্রজাতিসমূহ অচেতন ক্রমবিন্যাসের মাধ্যমে অন্য প্রজাতি থেকেই এসে থাকে, তাহলে কেন আমরা সর্বত্র অসংখ্য অবস্থান্তর আকৃতি দেখি না? …,যেহেতু এই থিওরির মতে অগণিত অবস্থান্তর আকৃতির অস্তিত্ব থাকা প্রয়োজন, তাহলে কেন আমরা সেগুলোকে অগণিত সংখ্যায় ভূত্বকে খুঁজে পাই না?……কেন তাহলে প্রত্যেক ভূতাত্বিক বিন্যাস (Formation)  ও প্রত্যেক শিলাস্তর এমন মধ্যবর্তী আকৃতিতে (Transitional Form) ভর্তি নয়?……ভূতত্ব নিশ্চিতভাবেই এমন সূক্ষভাবে ক্রমবিকশিত অঙ্গাণু দেখাতে পারেনি এবং এটাই সম্ভবত আমার থিওরির বিরুদ্ধে সবচেয় সুস্পষ্ট  ও জোরালো আপত্তি।”

ফেসবুক টাইমলাইনে পর্নো এলে যেভাবে প্রতিকার করবেন

facebook-timeline

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তির নেশায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে থাকি এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট/তথ্য আদান-প্রদান করি। আমাদের ফেসবুকে থাকে হাজার হাজার বন্ধু। আমরা যা স্টাট্যাস দেই তা আমাদের সকল বন্ধু দেখেন। কিন্তু আপনি নিজে কোনো স্টাট্যাসে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছেন না, অথচ আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক পর্নো ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। এতে নিশ্চয়ই আপনার মান সম্মানে আঘাত লাগছে।

এটা এক ধরনের ম্যালওয়ার যা প্রন-ট্রোজান নামে পরিচিত। কারও দেয়া লিংক খারাপ ফেসবুক অ্যাপস ক্লিকে আক্রান্ত হতে পারে আপনার আইডিটি। আক্রান্ত আইডি থেকে সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ২০ এর অধিক পর্নো বন্ধুদের টাইমলাইনে ট্যাগ হতে থাকে এবং সমস্ত পিসিতে ম্যালোওয়ার ছড়িয়ে পড়ে।

টাইমলাইনে পর্নো এলে যা করবেন:

১. তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

২. যে সব পর্নো ভিডিও আপনার টাইমলাইনে ইতোমধ্যে শেয়ার হয়েছে সেইগুলি ডিলিট ও রির্পোট করুন।

৩. ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনার পিসিটি স্ক্যান করুন। কিছু কিছু ভাইরাস স্ক্যান করতে ব্যর্থ হয় এবং তা F-Secure scan, Trend Micro scan, ESET scan, Microsoft security software এর যে কোন একটি দিয়ে অনলাইনে সরাসরি স্ক্যান করুন। যদি আপনার ব্রাউজার গুগলক্রোম হয় তবে browser-specific scan স্ক্যান করুন।

৪. আপনার ব্রাউজারের ভার্সন আপডেট করুন।

৫. আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি স্ট্রং করে ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline?>>>Enable করুন।

৬. Suspicious ব্রাউজারের আড-অন রিমুভ করুন।

৭. এর পরেও আবারও পর্ণে শেয়ার হলে ,৭-৮ ঘন্টার জন্য আপনার একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভ করুন।

৮. আপনার একাউন্টে পর্নো শেয়ারের পরিণতির জন্য (দুঃখিত) একটি স্ট্যাটাস দিন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও খারাপ পোস্ট চোখে পড়ে বা কোনও লিঙ্ক চোখে পড়ে তা যেন ক্লিক না করেন।

টাইমলাইনে যেন পর্নো না আসে তার জন্য করণীয়:

১. কারও দেয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।

২. ফেসবুকে ছড়ানো খারাপ ভিডিওতে ক্লিক বা শেয়ার করবেন না ।

৩. ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline? >>>Enable করুন।

৪. খারাপ ফেসবুক অ্যাপ বা গেইমস এ ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক অ্যাপ ডিলিট করুন।

অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল সম্প্রচারে আসবে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল গুলো

satalite-chanel-ict-news

দেশের সব স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে টিরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচার সুবিধা দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) নির্দেশনার আলোকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে সম্প্রচারের মানোন্নয়নের পাশাপাশি বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৫ সালের মধ্যে প্রচলিত অ্যানালগ পদ্ধতি পরিবর্তন করে ডিজিটাল সম্প্রচারব্যবস্থা চালুর জন্য সদস্য দেশগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে আইটিইউ। এ সময়ের মধ্যে যেসব দেশ এটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবে, সেসব দেশে টেলিভিশন দেখতে হবে ডিজিটাল টু অ্যানালগ কনভার্টার কিনে। এতে ছবি ও শব্দের মান তুলনামূলক খারাপ হবে।

আইটিইউর নির্দেশনা অনুসরণ করে এরই মধ্যে ২৯টির বেশি দেশ অ্যানালগ সম্প্রচারব্যবস্থা পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ ডিজিটাল সম্প্রচারব্যবস্থা চালু করেছে। এ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে আরো ১২টি দেশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব দেশকেই এ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ফলে কয়েক বছরের মধ্যে অ্যানালগ সম্প্রচারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ধরনের সম্প্রচারব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও পরবর্তী সময়ে সহজলভ্য থাকবে না।

বর্তমানে দেশে অনুমোদন পাওয়া স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ২৮। সম্প্রচারের জন্য বিদেশী স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে চ্যানেলগুলো। প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ পরিশোধ করছে বছরে প্রায় ২ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর ৫০ লাখ ডলারের বেশি দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ভাড়া বেড়ে ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে পৌঁছবে বলে খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিটিআরসির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো) সভাপতি ও এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। তিনি বলেন, দেশের অনেক এলাকায়ই ক্যাবল টিভির নেটওয়ার্ক নেই। ফলে এসব এলাকার দর্শক বর্তমানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার হওয়া টিভি চ্যানেলগুলো দেখতে পান না। টিরেস্ট্রিয়াল সুবিধা দেয়া হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দর্শকদের কাছেও নিজেদের অনুষ্ঠান পৌঁছে দিতে পারবে দেশী চ্যানেলগুলো।

সরকারের কাছ থেকে এখনো এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পাননি উল্লেখ করে মোসাদ্দেক আলী বলেন, এর সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয় জড়িত। তবে কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবনা এলে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের টিরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে ক্যাবল নেটওয়ার্কের সংযোগ ছাড়াই বিটিভির অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে দর্শক। একুশে টেলিভিশনকেও আগে একই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। যদিও পরে এ অনুমোদন বাতিল করা হয়।

বিটিভির বিদ্যমান টিরেট্রিয়াল সম্প্রচারব্যবস্থার সঙ্গে ডিজিটাল টিরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারব্যবস্থার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। প্রস্তাবিত সম্প্রচারব্যবস্থা ডিজিটাল হওয়ায় এর জন্য দর্শকদের সেটটপ বক্স নামের একটি বিশেষ যন্ত্র কিনতে হবে। ডিজিটাল সিগনাল গ্রহণের জন্য ব্যবহার করতে হবে এটি। সাধারণত প্রতিটি সেটটপ বক্সের দাম ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চাইলে দর্শকদের এটি বিনামূল্যে বা স্বল্পমূলে দিতে পারে। কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে তহবিল গঠন করেও এ ব্যবস্থা চালু করতে পারে তারা।

বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ডিজিটাল সম্প্রচারব্যবস্থা চালু হলে আরো ভালো মানের ছবি দেখতে ও শব্দ শুনতে পারবে দর্শক। ব্যবস্থাটি চালু করতে যে ব্যয় হবে, স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো কনসোর্টিয়াম গঠনের মাধ্যমে সহজেই তা বহন করতে পারবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সুপারিশেও এ ধরনের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে।
ডিজিটাল টিরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারব্যবস্থা চালু করা দেশগুলোর বেশির ভাগই এজন্য আল্ট্রা হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ইউএইচএফ) ব্যান্ড ব্যবহার করছে। বিটিভির টিরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএইচএফ) ব্যান্ডে ১৭৪-২৩০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে ভিএইচএফের তুলনায় ইউএইচএফ ব্যান্ডে ব্যান্ডউইডথ বেশি থাকায় অধিকসংখ্যক চ্যানেলের সম্প্রচার সম্ভব। এছাড়া বর্তমানে দেশে ইউএইচএফ ব্যান্ডের ৫২২-৬৯৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গ অব্যবহার রয়েছে। এজন্য ইউএইচএফ ব্যান্ডের এ তরঙ্গ ডিজিটাল সম্প্রচারব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে বিটিআরসি। এ সম্প্রচারের জন্য ডিজিটাল ভিডিও ব্রডকাস্টিং-টিরেস্ট্রিয়াল (ডিভিবি-টি) মান নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল সম্প্রচারব্যবস্থা চালুর রোডম্যাপসহ এটি কার্যকর করার নির্দিষ্ট সময়সীমা আইটিইউকে জানাতে হবে। বিটিআরসি এ রোডম্যাপ তৈরির কাজ করছে।
উল্লেখ্য, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন চ্যানেলকে তরঙ্গ বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় সম্প্রচার যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য বিটিআরসির অনুমতি নিতে হয়।