বিনোদনের নতুন দুয়ার খুলে আসছে দীপ্ত টিভি

DEEPTO

অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো দেশীয় টিভির দর্শকদের ভারতীয় চ্যানেল থেকে ফিরিয়ে আনতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে যাচ্ছে দীপ্ত টিভি। তবে অপেক্ষা ছিলো আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারের। অবশেষে এলো সেই ঘোষণা।

দীপ্ত টিভি থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করবে বিনোদনমূলক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি। এই ঘোষণা উপলক্ষে সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাজী মিডিয়া লি. ও দীপ্ত টিভি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিন হাসান এবং চ্যানেলটির সিইও উরফী আহমেদসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

চ্যানেলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীপ্ত টিভি হাজির হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে নতুন ভাবনার বৈচিত্র্যপূর্ণ সব বিনোদন অনুষ্ঠান নিয়ে। নিজস্ব ভবন, নিজস্ব স্টুডিও আর নিজস্ব সেটে দীপ্ত টিভি নির্মাণ করছে নিজেদের সবগুলো অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানগুলো নির্মিত হচ্ছে দীপ্ত টিভির নিজস্ব টেকনিশিয়ান এবং কুশলী পরিচালকদের হাতে।

তারা আরো জানিয়েছে, টিভি চ্যানেল বিমুখ দর্শকদের দেশীয় চ্যানেলে ফিরিয়ে আনতে দীপ্ত টিভি নিয়ে আসছে রকমারি গল্পের অনন্য সব মেগা সিরিয়াল। প্রাথমিক অবস্থায় তিনটি মেগা সিরিয়াল সপ্তাহে ৬ দিন প্রচারিত হবে। তারমধ্যে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক আশাপূর্ণা দেবীর কালজয়ী উপন্যাস ‘বালুচরী’ থেকে নির্মিত হচ্ছে মেগা সিরিয়াল ‘অপরাজিতা’। হার না মেনে, পরাজিত না হয়ে কীভাবে একজন নারী এই সমাজের সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে জয় করে সেই গল্পই দেখানো হয়েছে এই নাটকের। এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নতুন মুখ মন্দিরা।

এদিকে ঢাকা শহরের একটি যৌথ পরিবারের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আর পাওয়া না পাওয়ার ভিড়ে ভালবেসে হারিয়ে ফেলা একজনের স্মৃতির খোঁজ নিয়ে দীপ্ত টিভিতে আসছে মেগা সিরিয়াল ‘খুঁজে ফিরি তাকে’। এখানে মূল চরিত্র বনানীর নাম ভূমিকায় দেখা যাবে রিক্তাকে।

আর গ্রামের এক সহজ-সরল-সাধারণ মেয়ের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘পালকি’। সাধারণ মেয়ে পালকির অসাধারণ নারী হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে দীপ্ত টিভিতে হাজির হচ্ছে এই মেগা সিরিয়ালটি। পালকি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্নিগ্ধা।

ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি বিদেশি ভাষার বিখ্যাত টিভি সিরিজগুলো বাংলায় ভাষান্তর করে দেখাতে যাচ্ছে দীপ্ত টিভি। পৃথিবী ব্যাপি প্রায় ৬০টিরও বেশি দেশে প্রচারিত ও সমাদৃত বিখ্যাত তুর্কি ধারাবাহিক ‘সুলতান সুলেমান’ আসছে দীপ্ত টিভির পর্দায়। অটোমান সাম্রাজ্যের রোমাঞ্চকর সময় আর ধ্রুপদী প্রেমের আখ্যান নিয়ে সপ্তাহে ৬ দিন দেখা যাবে সুলতান সুলেমানকে।

দীপ্ত টিভির কর্মকর্তারা জানান, কেবল বড়দের জন্যই না, দীপ্ত টিভি নিয়ে আসছে ছোটদের জন্যও দারুণ সব বিনোদন। শিশু-কিশোর আর কার্টুনভক্ত সব বয়সী দর্শকদের জন্য দীপ্ত টিভিতে বাংলায় ডাবিং করে প্রচারিত হবে ‘বেনটেন আর দ্যা পাওয়ারপাফ গার্লস’।

এছাড়া দীপ্ত টিভিতে রয়েছে কৃষি বিষয়ক ধারাবাহিক অনুষ্ঠান। রয়েছে মর্নিং শো- সাত সকালের আড্ডা। থাকছে গানের অনুষ্ঠানসহ আরো অনেক কিছু। আর এসবের মধ্যে দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে থাকছে দীপ্ত টিভির নিয়মিত সংবাদ পরিবেশনা।

‘অ্যাভাটার ২’ ছবির প্রথম ঝলক

av-2

ঘোষণা আগেই হয়েছিল। এবার চরিত্রদের চিত্রায়ণ শুরু হল। ‘অ্যাভাটার ২’ ছবির প্রথম চরিত্রের ইলাস্ট্রেশন প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি।

ছবির পরিচালক জেমস ক্যামরুন জানিয়েছিলেন, ছবির মোট তিনটি সিক্যুয়াল তৈরি হবে। এই ছবিতেও আছেন জো সালডানা ও সিরউরনে ওয়েভার।

ছবির গল্প যদিও এখনও প্রকাশ পায়নি। তবে ২০১৭ সালে যে ‘অ্যাভাটার ২’ মুক্তি পাবে, তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

লিনকিন পার্কের স্টুডিওতে বাংলাদেশের জায়েদ

Jaed
বিশ্বখ্যাত গানের দল লিনকিন পার্কের স্টুডিওতে যাচ্ছেন বাংলাদেশী তরুণ জায়েদ হাসান। তবে গান গাইতে নয়, যাচ্ছেন একদিনের একটি কর্মশালায় অংশ নিতে ও ‘স্টেজলাইট মান্থলি মিউজিক কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার পুরস্কার গ্রহণ করতে।
কর্মশালায় জায়েদকে সংগীত পরিচালনায় মাস্টারিং, আরও সূক্ষ্মভাবে শব্দধারণ ও সংশ্লিষ্ট কাজগুলো হাত–কলমে দেখিয়ে দেবেন লিনকিন পার্কের শব্দ প্রকৌশলী ও সদস্যরা।
গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত ‘স্টেজলাইট মান্থলি মিউজিক কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সুর তৈরি করে সাউন্ডক্লাউডে আপলোড করেছিলেন প্রতিযোগীরা। সেগুলো থেকে  সেরা গান বাছাই করে লিনকিন পার্ক আন্ডারগ্রাউন্ড নামের একটি গ্রুপ। এভাবে প্রতি মাসে শত শত প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল একজন করে ১২ জন প্রতিযোগীকে। পুরস্কার হিসেবে সেই ১২ জনকে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার ডলার সমমানের গানের যন্ত্রপাতি। আর ১২ মাসে বিজয়ী ১২ জনের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জায়েদ হাসান।
বেশ কিছু দিন ধরে সংগীত নিয়ে কাজ করছেন জায়েদ হাসান। তিনি গানের সুর করে অনলাইনে ছাড়েন শ্রোতাদের জন্য।

কবিগুরুর বৌঠানের বিদেশ জয়

Bouthan

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ বিভূঁইয়েও প্রশংসিত হলো কবিগুরুর বৌঠান কাদম্বরী দেবীকে নিয়ে তৈরি ছবি ‘কাদম্বরী’৷ ওয়াশিংটন ডিসির সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির সম্মান পেল সুমন ঘোষের এ ছবি৷ সেরা অভিনেত্রী হলেন কঙ্কণা সেনশর্মা৷

এছাড়া ওই চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের সম্মান পেয়েছেন অস্কার নমিনেশন পাওয়া ছবি ‘কোর্ট’-এর পরিচালক চৈতন্য তমহন৷

কাদম্বরীতে মদে আজও নেশাতুর বাংলা সাহিত্য৷ প্রবন্ধে-নিবন্ধে, মুখরোচক বইয়ে কবির বৌঠানকে আজও সময় সুযোগ পেলেই হাজির করেন লেখককূল৷ ‘জীবনস্মৃতি’ কিংবা ‘ছেলেবেলা’র পাতা ছাড়িয়েও আর দূরে দূরে গহিন কোন সম্পর্কের খোঁজে ডুবুরির মতো খলবলে সন্ধান আজও জারি আছে৷

সেই খোঁজ উঠে এসেছিল সিনে পর্দাতেও৷ পরিচালক সুমন ঘোষ কবি ও তার বৌঠানকে তুলে এনেছিলেন ছায়াছবিতে৷ সে ছবিই আবার বয়ে আনল সেরার স্বীকৃতি৷ ওয়াশিংটনে পাওয়া এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত কঙ্কণা৷

ছবিটিতে রবি ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

সালমান খানের ১২ অজানা তথ্য

Salman

বলিউডের সেরার সেরা নায়কদের মধ্যে একজন সালমান খান। কোনও সিনেমায় তাঁর উপস্থিতিই হিট করিয়ে দেয় ছবিটিকে। নামী প্রযোজক থেকে পরিচালক সকলে হন্যে হয়ে পড়ে থাকেন সালমানকে সিনেমায় সই করানোর জন্য। দিলদরিয়া এই বলিউড স্টার শুধু অভিনয়েই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। প্রযোজনাতেও হাত লাগিয়েছেন আর সেখানেও সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সালমানের প্রযোজিত ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ সিনেমাটি ৬০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে।

আম অভিনেতাদের মতোই বলিউডে কেরিয়ার শুরু করা সালমান খান প্রথমে কাউকে নিজের তারকা পিতা সেলিম খানের পরিচয় দেননি। একক দক্ষতায় নিজের বিশ্বজোড়া পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। এহেন সালমান খান সম্পর্কে আমজনতার আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। জেনে নিন সালমান খান সম্পর্কে এমনই অজানা কিছু তথ্য।
সালমান খান কখনও রিভিউ পড়েন : না সালমান খান কখনও সিনেমার রিভিউ পড়েন না। তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত হতেও দেখা যায় না এই সুপারস্টারকে। তিনি জানেন, তাঁর সিনেমা দর্শক ভালোবাসবেনই।

ক্যাটরিনার সিনেমা দেখেন না : যদি তিনি সেই সিনেমায় থাকেন তাহলে আলাদা কথা, নাহলে ক্যটরিনা কাইফের কোনও সিনেমা দেখেন না সালমান।
বাজিগর-এ না : শাহরুখ খানকে যে সিনেমা বলিউডে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, আব্বাস-মস্তানের পরিচালিত সেই ‘বাজিগর’ সিনেমার প্রস্তাব পেয়েও ছেড়ে দেন সালমান। কারণ তিনি কোনও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে চান না বলে জানিয়েছিলেন।
কর্মহীন সালমান : প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সুপারহিট হয়েছিল। অথচ তার পরেও প্রায় ৬ মাস কর্মহীন হয়ে কাটাতে হয়েছে সালমানকে। যদিও এখন সেসব পিছনে ফেলে বলিউডে ২৫ বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন সালমান।

আসল নাম : সালমান খানের আসল নাম আব্দুল রশিদ সেলিম সালমান খান।

মখমলের রুমাল : বলিউড সুপারস্টার সালমান খান সুতির নয়, মখমখের রুমাল ব্যবহার করেন।

গাড়ির শখ : বাইকের প্রতি অগাধ টান রয়েছে সালমানের, একথা সবাই জানেন। তবে জানেন কি, গাড়ির প্রতিও একইরকম আসক্তি রয়েছে সালমানের। বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ-বেনস্জ বা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি চালাতে ভালোবাসেন সালমান।

বাবা সেলিমের নাম ভাঙাননি : এখনকার বেশিরভাগ তারকা পুত্র বা কন্যা বাবা-মায়ের নাম ভাঙিয়েই বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করেন। সেপথে হাঁটেননি সালমান। বিখ্য়াত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান যে তাঁর বাবা তা প্রথমদিকে কাউকে না বলে প্রতিষ্ঠিত হন সালমান।
স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে পথীকৃত : সালমান খান বলিউডে আসার আগে ফিটনেস নিয়ে কোনও নায়ক মাথা ঘামাতেন না। সালমান আসার পরে তাঁকে দেখে ফিটনেস ট্রেন্ড শুরু হয় বলিউডে। যা এখন সকল অভিনেতা মেনে চলেন।

লুকনো প্রতিভা : অভিনয় করা ছাড়াও সালমান খান সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখেন, ছবি আঁকেন, ছবি তোলেন, সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন ও অবশ্যই গান করেন।
সাবানে দুর্বলতা : নানা ধরনের সুগন্ধী সাবানের প্রতি অত্যধিক দুর্বলতা রয়েছে সলমনের। তাঁর বাথরুম একাধিক দামী সাবানে ঠাসা।

বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ঈদ ম্যাগাজিন

Kona

ঈদের দিন:
বিটিভি
বিটিভিতে ঈদের দিন রাত ১০টার সংবাদের পর প্রচার হবে ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন আনন্দ মেলা। গান, নাচ, নাট্যাংশ ইত্যাদি থাকবে এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে। এতে থাকবে একক, দ্বৈত এবং দলীয় সংগীত।
এ ছাড়া থাকবে ফোক শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি দলীয় পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন নাদিয়া-লিখন প্রমুখ। নাট্যাংশগুলোতে অভিনয় করেছেন জিল্লুর রহমান, শাহীন, আনিস, লিটন, উত্তম প্রমুখ। এটি উপস্থাপনা করেছেন আনজাম মাসুদ।

চ্যানেল আই
রাত ১২টায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ভালোবাসার বাংলাদেশ (পর্ব-১)
উপস্থাপনা ও পরিচালনা জিল্লুর রহমান।
ঈদের দ্বিতীয় দিন
চ্যানেল আই
বিকেল সাড়ে ৪টায় গেইম শো কৃষকের ঈদ আনন্দ। পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় শাইখ সিরাজ। রাত ১২টায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ভালোবাসার বাংলাদেশ (শেষ পর্ব) উপস্থাপনা ও পরিচালনা জিল্লুর রহমান।

এটিএন বাংলা
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘পাঁচফোড়ন’। পরিচালনা করেছেন সানজিদা হানিফ।
দেশ টিভি
সন্ধ্যা ৬টায় ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান : ঈদের ‘ক খ গ’।

অস্কারে যাচ্ছে জালালের গল্প (ভিডিওসহ)

Jalaler-Golpo

বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সম্মাননা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস তথা অস্কার। আসন্ন ৮৮তম অস্কার আসরে বিদেশি ভাষার ছবির বিভাগে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ‘জালালের গল্প’।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

গেল মাসে মুক্তি পাওয়া ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘জালালের গল্প’ সারা দেশে প্রসংশিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবেও প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, গেল ২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্তুগালে অনুষ্ঠিত ১৯তম আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি হয় ‘জালালের গল্প’। এতে অভিনয়ের জন্য উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান মোশাররফ করিম।

গেল গত নভেম্বরে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার চালু হওয়া ‘অ্যা উইন্ডো অন সাউথ এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে একমাত্র বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয় ছবিটি।

গেল চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত সপ্তম জয়পুর চলচ্চিত্র উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নেয় এটি। এর জন্য সেরা নবাগত নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন আবু শাহেদ ইমন।

গেল এপ্রিলে ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৩তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পায় ‘জালালের গল্প’।

গেল ফিজির রাজধানী সুভায় গত ১৭ থেকে ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ফিজি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত হয় ‘জালালের গল্প’।

গেলত বছরের অক্টোবরে ১৯তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড পেয়েছে ছবিটি। উৎসবটির মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ `নিউ কারেন্টস` বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি ছবি হিসেবে ‘জালালর গল্প’র বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়।

ছবিটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত মোহাম্মদ ইমন ও আরাফাত রহমান। আরো অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, মোশাররফ করিম, মৌসুমী হামিদ, শর্মীমালা, নূরে আলম নয়ন, মিতালী দাশ, ফজলুল হক, আহমেদ গিয়াস ও অনেকে। সংগীত পরিচালনায় চিরকুট ব্যান্ড।

ভিডিও দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন: জালালের গল্প

আইটেম গানে মোশাররফ করিম

Mosarrof Karnm

আইটেম গানে অভিনয় করলেন এ সময়ের প্রিয়মুখ মোশাররফ করিম। নাটকের শিরোনাম ‘ব্যাকআপ আর্টিস্ট’। এতে বিভিন্ন চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাবে। তারই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো আইটেম গানে অভিনয় করলেন এ তারকা। এ প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বললেন, ‘ব্যাকআপ আর্টিস্ট’ নাটকের গল্প ভিন্নধর্মী। এতে আমি একজন ব্যাকআপ আর্টিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর আইটেম গানে অংশ নেয়া তারই একটি অংশ।’ পলাশ মাহবুবের রচনা এবং আবুল হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় এ নাটকে আরো অভিনয় করেছেন জাহিদ হোসেন শোভন, জুঁই করিম, মৌসুমী সরকার, পাভেল প্রমুখ। নাটকটি ঈদের তৃতীয় দিন বিকাল ৩টায় বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচার হবে।

বিদেশে বাংলা সুরের দূত সায়েরা রেজা (ভিডিওসহ)

রুনা রহমানঃ সৃষ্টির রহস্য সুরের মূর্ছনায়। সুর যার আছে প্রকৃতি তাকে কাছে টানবেই। চাইলেও সে পারবেনা দূরে থাকতে। সুরের পাখিরা দিকে দিকে ছড়িয়ে দেয় তাদের সুরের লহমা, সুর সাগরে ত হয় স্নাত অগণিত শ্রোতা। শ্রোতা ও ভক্তের পুনঃপুন অনুরোধে যে সুর সাধিকা বাধ্য হয়েছেন মিডিয়া জগতে ফিরে আসতে, যার সুরে মূখরিত আমেরিকার অনেক স্টেটের মঞ্চ, কে – সে? তার কথা জানতে ইচ্ছে করছে, তাইতো!

বলছিলাম সুরের সাধিকা সায়েরা রেজা সম্পর্কে। যিনি দীর্ঘ দশ বছর দূরে ছিলেন মিডিয়া জগৎ থেকে। বিয়ের পর বাঙ্গালী নারীদের সমঝোতা করতে হয় নিজের ক্যারিয়ার ও পারিবারিক প্রয়োজনের সাথে! ৯৭ সালে বিয়ে হয় সায়েরার। বিয়ে মানেই দায়িত্ব, সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মিডিয়া থেকে দূরে থাকা। পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে যার সুর সাধনার জন্য, চাইলেই কি সে পারে সঙ্গীত থেকে দূরে থাকতে?

সুরের সাথে খেলা করতে করতে যার বেড়ে ওঠা, মিডিয়া থেকে দূরে থাকলেও সুরের সাধনায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি তার। কারণ তার বিয়ে হয়েছে যে মানুষটির সাথে তিনি একজন সুরের পূজারি, যে সায়রাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছেন সুর সাধনায়। সেই পূজারির কর্মক্ষেত্র এমন এক পরিবেশে যেখানে একজন সুর সাধিকার মূল্যায়নে কোন কমতি নেই। তার স্বামী একজন উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। প্রতিমাসে সেনা কমিউনিটির ক্লাবে রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় এবং সায়েরা রেজা সে সকল অনুষ্ঠানের মূখ্য শিল্পী হিসাবে গান পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন সকলকে। তিনি সব ধরনের গান গেয়ে থাকেন। সায়েরার কণ্ঠ আর দশটা নারী শিল্পীদের মতো নয়। ব্যতিক্রমি কণ্ঠের অধিকারী হওয়ার দরুন বিশেষ কিছু গান তার কণ্ঠে আলাদা রকমের আবেদন তৈরী করে। সায়েরার কণ্ঠে লালন সঙ্গীত অনেক বেশী আবেদনময়ী।

শিশু একাডেমির সেই ছোট্ট মেয়েটির সৌভাগ্য হয়েছে আমেরিকার শহরের ‘মেট্রোপলিটন রুম’- ভেন্যুতে গান করার। এটি এমন একটি ভেন্যু যে কেউ চাইলেই এখানে গান পরিবেশন করতে পারেননা। আমেরিকার স্বনামধন্য এমন কোন শিল্পী নেই যারা এ ভেন্যুতে গান পরিবেশন করেননি। সায়েরা রেজা এবং তানভির শাহীন প্রথম কোন বাংলাদেশী শিল্পী, যারা প্রথম বাংলা ভাষায় এই ভেন্যুতে গান করলেন। তানভির শাহীন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।

সায়েরা রেজা স্বামীর কর্মসূত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করারও সুযোগ পেয়েছেন। মুগ্ধ করেছেন ইউএন হেড কোয়ার্টারের টপ লেভেলের বিভিন্ন ভাষাভাষি বিশিষ্টজনদের।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের মধ্যে ২০১৪ সালের বার্ষিক গালা অনুষ্ঠানে সলো প্রোগ্রামে তিনি বাংলা, হিন্দী ও ইংরেজী তিনটি ভাষায় গান পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানে রোজেন ক্রাসের গাওয়া ইংরেজী ভাষায় ‘৫০০ সরষব’ং’ গানটি পরিবেশন করেন, এই গানটি শুনে পেট্রা নামে একজন শ্রোতা কাঁদতে শুরু করেন। তিনি সায়েরাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তুমি কিভাবে এত দরদ দিয়ে এই গানটি গাইলে? এই গানের অর্থের সাথে আমার জীবনের অনেক মিল রয়েছে। এই খবরটি অনেক পত্র-পত্রিকা এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল। সায়েরা রেজা সেদিন নিজেকে ধন্য মনে করেছিলেন, সার্থক হয়েছে তার সুরের সাধনা।

সায়েরা শিশু একাডেমিতে ৩ বছর তালিম নিয়েছেন। এরপর ফোক গানে নীনা হামিদ, ক্য¬াসিকেল ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে ওস্তাদ সমীর চক্রবর্তী এবং আধুনিক ও পপ্ গানের জন্য পিলু মমতাজের কাছে তালিম নিয়েছেন। সায়েরা বিটিভি’র রবীন্দ্র সঙ্গীতের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। তিনি শুধু গানই করতেন না, গানের পাশাপাশি উপস্থাপনা করতেন। ‘অঙ্কুর’, ‘আমরা নতুন’ এবং শিক্ষা সম্পর্কিত ‘শিক্ষাঙ্গণ’ নামে বিটিভি’তে তিনটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হিসাবে দীর্ঘ ৮ বছর উপস্থাপনা করেন তিনি। শিশু শিল্পী হিসাবে তার পদচারণা ছিল অবারিত। সেই তাকেই বিয়ের পর দূরে থাকতে হয়েছিল স্বপ্নের এ জগৎ থেকে।

২০০৬ সালে স্বামীর সাথে ইউকে-তে যান, সেখানে তিনি ইউকে-র দুটি বাংলা চ্যানেল এস টিভি এবং বাংলা টিভি-তে নিয়মিত গান করেন। বিশেষ করে এস টিভি-তে ‘সুর জলসা’ নামে একটি লাইভ প্রোগ্রামে তিনি নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। এ অনুষ্ঠানটি ৩/৪ ঘণ্টা ব্যাপী হতো। এ অনুষ্ঠানে তাকে বেশীর ভাগ সময়ই অনুরোধ করা হতো ফোক গান গাওয়ার জন্য। লালন গীতিতে তার যে আধিপত্য রয়েছে এটা স্বীকার করেছিলেন লালন স¤্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন। সায়েরা রেজা তার প্রথম অ্যালবামে ফরিদা পারভীনের একটি গান পরিবেশন করার জন্য অনুমতি নিতে গেলে তার কণ্ঠ শুনে তিনি ও এ মন্তব্য করেছিলেন।

1_28

বিভিন্ন মঞ্চে যখন সায়েরা সঙ্গীত পরিবেশন করতেন, ভক্তরা বারবার তার কণ্ঠ শোনার জন্য একটা অ্যালবামের নাম, কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে জানতে চাইতেন। তখনো তার কোন অ্যালবাম প্রকাশ হয়নি, তাই তিনি অনুভব করেছিলেন অ্যালবাম প্রকাশ করতে হবে। ২০০৭ সালে দেশে ফিরেই অ্যালবাম প্রকাশের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন। তার প্রথম অ্যালবাম ‘সুখের অমিল’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে জি সিরিজ-এর ব্যানারে। এই অ্যালবামের একটি গান ‘ধার ধারি না পাড়া পড়শির, ধার ধারি না কারো’ সে সময়ের হাই সোল্ড ভিডিও ছিল। আজও এ গানের আবেদন ফুরিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন লেজার ভিশন ‘এক নিমিষে’। সায়রার অর্জনের মধ্যে আরো রয়েছে ‘কমন জে-ার’ সিনেমার টাইটেল সং, ৯৬ সালে জাহিদ হাসানের বিপরীতে করেছেন প্যাকেজ নাটক ‘আমারো পরানো যাহা চায়’, ৮৮ সালে চম্পার ছোট বোন হিসাবে অভিনয় করেন ‘গর্জন’ সিনেমায়। এছাড়া লেখালেখির অভ্যাস তো ছিলই, আছেও।

২০১২ সালে সায়েরা রেজা স্ব-পরিবারে হজ্জ্ব করেন। হজ্জ্ব করার পর তিনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন আর গান করতে পারবেন কিনা! বিভিন্ন ভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা করে জানতে পারেন, ‘যে কোন শিক্ষা চর্চা করা যায় শালিনতার মাঝে। এখনও তিনি গান করছেন, দেশকে দেশের ভাষাকে তুলে ধরছেন অন্য ভাষাভাষির সামনে তার কণ্ঠের সুললিত মাধূর্য মিশিয়ে।

সায়েরা রেজা স্বামী, ছেলে রাফি রেজা আর মেয়ে অপ্সরা রেজাকে নিয়ে সম্প্রতি ঘুরে গেলেন দেশ থেকে। শিল্প-সাহিত্য প্রেমী এই দম্পতিদের নিউজার্সির বাড়ীর বেসমেন্টে তৈরী ষ্টুডিওতে প্রতিমাসে আড্ডা বসে ইউএন-এর ‘ঊনবাংগাল’ সাহিত্য সংগঠনের সদস্য কবি কাজী জহির, ফারুক আজম, হাসান ফেরদৌস, নিলুফার রেজা, তনিমা হাদীর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আগত যে কোন শিল্পী নিয়মিত আসেন এ আড্ডায়। সুর সাধনার জন্য ভিনদেশে তিনি একটা ষ্টুডিও তৈরী করেছেন যেন তার সুর সাধনায় কারো কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। প্রবাসে বাংলাদেশীদের অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয় যে! গান রেওয়াজ করবার সময় প্রতিবেশীদের কারো যেন কোন সমস্যা না হয় সে জন্য তিনি প্রফেশনাল এ স্টুডিও তৈরী করেছেন। এখানে ৫০ জন এক সঙ্গে বসে আড্ডা দিতে পারে। স্বামীর সহযোগিতায় বাংলা গানের দূত হয়ে সায়েরা রেজা এগিয়ে যাবেন বলে শ্রোতারা মনে করেন।

ভিডিও দেখার জন্য এই লিংক ব্রাউজ করুন: Mujkurane ki Wajah – A Hindi Cover Song by Sayera Reza

হাওয়ায় চড়ে রিকশা চলে…

riksa   রিকশার কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভাসে রঙিন কাগজ আর বাহারি রঙের ডিজাইনে ভরা তিন চাকার একটি বাহন। আদিরূপে রিকশায় শোভা পায় নামকরা বাংলা সিনেমার নায়ক নায়িকার ছবি। রাজপুত্রের সঙ্গে বেদেনীর প্রেম, সঙ্গীনীকে রক্ষা করতে খলনায়কের ওপর নায়কের চড়াও হওয়া কিংবা লক্ষ্মী ঘরোনীর নামায আদায়ের সব দৃশ্যই চলে আসে রিকশার পেছনে থাকা দেড় থেকে দুই হাত চওড়া ক্যানভাসে।

আমাদের চলতি পথে এই রিকশার গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই। রিকশা শব্দটি জাপানি হলেও এই বাহনটি বাঙালির ঐতিহ্যে মিশে আছে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে। সহজলভ্য এই বাহনটি দ্রুত এবং রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে বেশ পটু। এছাড়া মালামাল বহন করতেও পালন করে উপকারী ভূমিকা।

riksa-2প্রয়োজনেই যে শুধু রিকশায় ওঠা হয় তা নয়, মাঝে মাঝে শখের বসে চলে রিকশা ভ্রমণ। বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরের খোলা হাওয়া খেতে বিকেলে বা সন্ধ্যায় ঘোরা, বন্ধুদের সঙ্গেও দল বেধে দু-চারটি রিকশায় হয়ে যেতে পারে ভ্রমণ। প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে কিছু সময় ঘুরতেও হাওয়াই ভেসে চলা রিকশা আসতে পারে প্রথম বাছাইয়ে। বৃষ্টিবিলাসী মনটা মাঝে মাঝেই ভিজতে চায় রিকশায় চড়ে। একা একা ঘুরে পুরো শহর দেখা বা শহরের অদূরে প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনেও রিকশা দারুণ সঙ্গী হতে পারে।

উপকারী এই বাহনে শুধু ঘুরলেই হল না, যাত্রী হিসেবেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন ধরুন,

222165

– একটি রিকশায় দুইজনের বেশি যাত্রী হওয়া ঠিক নয়। এতে চালকের যেমন কষ্ট কম হয়, যাত্রীরও কষ্ট কম হয়। হঠাৎ যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতেও চালকের পক্ষে সুবিধা হয়।

– রিকশায় যদি তিনজন উঠতেই হয় তবে সেখানেও একটি বিষয় বিশেষভাবে মনে রাখতে হয়। রিকশার সিটে বসা দুজন মোটামুটি নিরাপদ থাকলেও অপরজনকে বসতে হয় রিকশার হুডের কাছে। যিনি হুডের কাছে বসছেন তার পা অবশ্যই রিকশার বাম পাশে রাখতে হয়। এতে পাশ দিয়ে অন্য কোনো বাহন যাওয়ার সময় পায়ে ধাক্কা লাগার ভয় থাকে না।

– যারা সিটে বসে যান তাদেরও খেয়াল রাখতে হয়, নিরাপত্তার জন্য একটা পা অবশ্যই চালকের সিটের নিচে থেকে আসা রডের সঙ্গে ঠেস দিয়ে বসতে হয়।

– একা একা যদি রিকশায় যেতে হয় তবে ঝাঁকুনি বেশি লাগে। তাই সামান্য ধাক্কা, রাস্তায় থাকা ছোট গর্ত পেরুতে বা কোনো ইট-খোয়ার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় জোরে ঝাকুনির সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এমন সমস্যায় যাত্রীকে ছিটকে সামনে পড়ে যেতে দেখা যায়। তাই বসার সময় অবশ্যই চালকের সিটের নিচের রডের সঙ্গে পা শক্ত করে ঠেস দিয়ে বসতে হয়। একটা হাত দিয়ে রিকশার হুড ধরে বসলে নিজের নিরাপত্তা আরও বাড়ে।

– রিকশায় বসে খেয়াল রাখতে হয় রাস্তার অন্য যানবাহনের চলাফেরা। নিরাপদে চলতে চালকেও মাঝে মাঝে সাবধান করে দেয়া যেতে পারে।

রিকশা ভ্রমণকে নিরাপত্তার সঙ্গে আনন্দময় করতে সাধারণ এই ব্যাপার গুলো মাথায় রাখলে বিড়ম্বনা এড়ানো যায় অনেকাংশেই। আপনার চলার পথের সঙ্গী এই রিকশায় চড়ে প্রতিদিনই নিজের প্রয়োজন মেটান। অবসরে নিজেকে হাওয়াই ভাসাতে চলুন না রিকশার হুড ফেলে। এই সুযোগে বুক ভরে নিন প্রাকৃতিক হাওয়া।