বাংলাদেশের তৈরি অ্যাপেল স্টোরের জনপ্রিয় গেম এখন অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজে

ant

“বাংলাদেশী ডেভেলপারদের তৈরি সফল ও জনপ্রিয় মোবাইল গেম কোনটি?” – এ প্রশ্নের উত্তরে সবার প্রথমে উঠে আসে অ্যাপেল স্টোরের ‘ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টস’ গেমটির নাম – কেননা বাংলাদেশের তৈরি এটিই একমাত্র গেম যা অ্যাপেল স্টোরে ১৫ মিলিয়নের অধিক ডাউনলোড এবং বিশ্বের ৯৮ টি দেশে শীর্ষস্থান দখল করে । বর্তমানে গেমটি অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ স্টোরেও পাওয়া যাচ্ছে ।

বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী ‘ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টস’ গেমটিকে অন্য গেমগুলো থেকে করেছে ব্যতিক্রমধর্মী এবং মজার । যেগুলোর প্রথমেই আসে পিঁপড়া মারার কথা ! গেমটিতে স্ক্রিনের নিচের অংশে কিছু পরিমান খাবার থাকবে এবং সে খাবার খেতে স্ক্রিনের চারপাশ থেকে ক্ষুধার্ত পিঁপড়া আসতে থাকবে । গেমারের কাজ হবে – স্ক্রিনে টাচ করে প্রতিটি পিঁপড়াকে পিষে মারা এবং পিঁপড়ার হাত থেকে খাবার রক্ষা করা । দ্বিতীয়ত, এতে চারটি গেম মোড আছে ; বিশেষত বাচ্চাদের জন্য আছে কিড মোড – যা কিছুটা কার্টুনধর্মী করে বানানো । তৃতীয়ত, এ গেমটিতে বিভিন্ন রকমের পিঁপড়ার পাশাপাশি সেগুলোর সক্রিয়তার মাঝেও দেখা যাবে বৈচিত্র্যতা ; এদের মধ্যে অন্যতম – মনস্টার পিঁপড়া, যার এক কামড়েই গেম ওভার হয়ে যেতে পারে । সময় অতিক্রমের সাথে সাথে পিঁপড়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকবে । এছাড়াও গেমটিতে পৃথক পৃথক ব্যাকগ্রাউন্ড, মিউজিক সহ রয়েছে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য ।

রাইজ আপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদুল হক মনে করেন – তাদের বানানো ‘ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টস’ গেমটি অ্যাপেল স্টোরের মতো অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজেও ভালো সারা জাগাবে ।

গেমটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, ভিজিট করুন www.riseuplabs.com – এই সাইটে ।

 তানিম

সাবধান >> কোক আর কাঁঠাল একত্রে খেতে যাবেন না হতে পারে হঠাৎ মৃত্যু!

kathal

আমাদের জাতীয় ফল কাঠাল। কাঠালে আছে প্রচুর পরিমানে শক্তি। কিন্তু এই কাঠাল আপনার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

মনে করুন, আপনি কাঠাল খেতে পছন্দ করেন। তো পেটপুরে কাঠাল খেলেন আর আপনার আলসার আছে বলে পেটে গ্যাস হতে পারে তাই আপনি কাঠাল খাওয়ার পর গ্যাস হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঠান্ডা একটা কোক জাতীয় পানীয় খেলেন আর ভাবছেন আপনার পেটে গ্যাস হবে না। পেটে গ্যাস না হলেও আপনার পাকস্থলিতে এক ধরনের বিষ উৎপন্ন হবে যা কোবরার থেকেও বিষাক্ত আর তাতেই আপনার মৃত্যু হতে পারে। আপনি ভাবছেন এটা কি সত্য?

কিছুদিন আগে থাইল্যান্ডে এক পর্যটক কাঠাল খাওয়ার পর কোক পান করে অতঃপর তার মৃত্য হয়।

যে ৬টি দৈহিক সমস্যা মোটেও উপেক্ষা করা উচিৎ নয়

matha

খুব বেশি খারাপ অবস্থায় না পড়লে আমরা ডাক্তারের মুখাপেক্ষী একদমই হতে চাই না। এমনিই সেরে যাবে, এরকম একটু আধটু হতেই পারে, এসব কোন রোগের পর্যায়েই পড়ে না… এ ধরনের কথাগুলো বলে আমরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপসর্গ এড়িয়ে যাই। অথচ জানেন কি, ছোট ছোট এই শারীরিক উপসর্গগুলোই একটা সময় বড় রোগের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে! আর নারীদের মাঝে সবসময়ই রোগ চাপিয়ে রাখার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আর নয় অবহেলা। কিছু উপসর্গ দেখা দিলে আজই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যে উপসর্গগুলো উপেক্ষা করবেন না সেগুলো নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

স্বাস্থ্য সমস্যা ১- দাঁতে ব্যাথাঃ

প্রিয় আইসক্রিম খেতে গেলে কিংবা পছন্দের ঠান্ডা পানীয় পান করার সময় দাঁত শিরশির করে উঠে অনেকের। প্রচন্ড দাঁতে ব্যাথা শুরু হয় তখন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় যদি দাঁত বেশি সেনসিটিভ মনে হয় তাহলে আপনার উচিত হবে ক্যাভিটি পরীক্ষা করা। যন্ত্রনাদায়ক দাঁতে ব্যাথার মানে কিন্তু আপনার দাঁতের নার্ভ বা স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যের এই উপসর্গটি উপেক্ষা করা মোটেও উচিত নয়। নতুনা ধীরে ধীরে ব্যাকটেরিয়া আপনার পুরো মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা থেকে বড় ধরনের রোগের জন্ম হতে পারে। তাই সময় থাকতেই দাঁতে ব্যাথা সমস্যার সমাধানের জন্য ডেন্টিস্ট এর কাছে যান।

স্বাস্থ্য সমস্যা ২- পেটের অভ্যন্তরীণ ব্যাথাঃ

অনেক সময় আমাদের এমন পেট ব্যাথা হয় যেন খুব অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছি। অথচ হয়ত পরিমানে তেমন বেশি খাবার খাইনি। অনেকের প্রায় প্রতিদিনই এই ধরণের পেট ব্যাথা হয়। বিশেষ করে নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের পুর্বে এই ব্যথা যেন আরো বেড়ে যায়। আপনার যদি সবসময়ই এমন পেট ব্যাথা লেগে থাকে তবে মোটেও হেলা করবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের কাছে যান। এটা ভালো হয় যে ডাক্তার পরীক্ষার মাধ্যমে দেখবে আপনার পেটের অভ্যন্তরীন কোন বড় সমস্যা আছে নাকি গ্যাসজনিত কারনেই এত পেট ব্যাথা হয়।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৩- হঠাৎ করা মাথাব্যাথাঃ

কোন কারন ছাড়াই কি আপনার হুট করে মাথা ব্যাথা শুরু হয়? এতটাই মাথা ব্যাথা যে কোন কাজে ঠিকমত মন ও দিতে পারছেন না? তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যান। কারন হুট করে মাথাব্যাথা করাটা কিন্তু আপনাকে হৃদজনিত বড় রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বেশি খারাপ কিছু ঘটার আগেই তাই ডাক্তার পরামর্শ মেনে চিকিৎসা করে ফেলুন।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৪- বুকে জ্বালা পোড়া করাঃ

ঝাল জাতীয় খাবার খেলে অনেকের বুকে জ্বালা পোড়া শুরু হয়। কিংবা হঠাত বুকে প্রচন্ড চাপ অনুভব করেন। ঠিক যেন মনে হয় বুকের উপর ভারী একটা পাথর রাখা আছে। এই উপসর্গ কিন্তু আপনাকে হার্ট অ্যাটাকের আগাম বার্তা দিচ্ছে। তাই অবহেলা না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন যতটা জলদি সম্ভব।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৫- নারীদের শরীরে অতিরিক্ত লোম থাকাঃ

নারী পুরুষ উভয়ের দেহেই লোম থাকে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু নারীদের দেহে অতিরিক্ত লোম থাকাটা মোটেই কাম্য নয়। বিশেষ করে মুখে, বুকে, পেটে কিংবা স্তনের বোটার চারদিকে লোম থাকা মানে আপনার হরমোনে সমস্যা রয়েছে। এর মানে আপনার Polycystic Ovary Syndrome (PCOS) এর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাই গাইনী ডাক্তারের কাছে যান এবং এই ব্যাপারে আলোচনা করুন। বেশি দেরী করলে হয়ত এই সমস্যাই আপনাকে বন্ধ্যা করে দিতে পারে।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৬- অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে যাওয়াঃ

আপনি যদি ডায়েট করে থাকেন এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমানে দেহের ওজন কমে তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়া মোটেও ভালো লক্ষন নয়। এর মানে হচ্ছে আপনার দেহে বড় কোন গোলমাল হতে চলেছে। তাই চুপ করে না থেকে ডাক্তারের কাছে যান। সময় থাকতেই সমস্যার সমাধান করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ছোট ছোট জলের বিন্দু মিলেই যেমন বড় সমুদ্র হয়ে যায় ঠিক তেমনি ছোট ছোট স্বাস্থ্য উপসর্গগুলোই এক সময় বড় রোগের কারন হয়ে দাঁড়ায়। ছোট খাটো এই উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করা তাই মোটেও উচিত নয়।

দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ লবনের ৭ টি বিস্ময়কর অজানা ব্যবহার!

01

02

মূলত রান্নায়ই লবন ব্যবহার করা হয়। অথচ এর বাইরেও এই সাধারন লবনকেই আপনি অসাধারণ ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। দাগ উঠানো থেকে শুরু করে পরিষ্কারের কাজ সবখানেই রয়েছে এই লবনের ব্যবহার। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া কীভাবে সাধারন লবন ব্যবহার করবেন অসাধারন কাজে।

১। ইস্ত্রির কঠিন দাগ উঠাতে
দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর অনেক সময় ইস্ত্রিতে কঠিন দাগ পড়ে। আর এই দাগ পড়লে তা পরবর্তিতে পোশাকে লেগে যায়। ফলে ইস্ত্রি এক প্রকার বাতিলই হয়ে যায় দাগ পড়লে। একটি ওয়াক্স পেপার নিয়ে তাতে বেশ অনেকখানি লবন ঢেলে একটা লেয়ারের মত করে নিন। ইস্ত্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় গরম করুন। এবার লবনের উপর ইস্ত্রিটি ঘষতে থাকুন। দাগ উধাও হয়ে যাবে।

২। টেবিলে ডিম পড়ে গেলে
অনেক সময় অসাবধানতায় হাত ফসকে ডিম পড়ে ভেঙে যায়। আর তখন তা পরিষ্কার করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ভাঙা ডিমের উপর ভালোকরে লবন ছিটিয়ে দিন। ১৫মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার একটা কিচেন টিস্যু বা পেপার দিয়ে মুছে ফেলুন। সহজেই পিচ্ছিল ডিম পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩।প্যান বা তাওয়ায় আগুন নেভাতে
তাড়াহুড়া করে রান্না করতে গেলে উচ্চতাপ দেয়া থাকলে অনেক সময় প্যান বা তাওয়ায় আগুন ধরে যায়। এরপর কখনও এমন হলে পাশে থাকা লবন বেশি করে প্যান বা তাওয়ায় ঢেলে দেবেন। আগুন নিভে যাবে।

৪। প্যান বা কড়াই থেকে পোড়া দাগ উঠাতেঃ
প্রায়ই রান্নার সময় অসাবধানতায় কড়াই বা প্যানে খাবার পুড়ে আটকে যায়। আর এই আটকে যাওয়া পোড়া খাবার তুলতে হয়রান হতে হয় আপনাকে। পুড়ে যাওয়া কড়াইয়ে ৩/৪ টেবল চামচ লবন আর একটু পানি মিলিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার করে ফেলুন। দেখবেন, পুড়ে যাওয়া খাবার সহজেই উঠে যাচ্ছে।

৫। পাতিল ধোয়ার স্পঞ্জ থেকে তেল চটচটে ভাব দূর করতে
তেলযুক্ত থালা বাসন ধোয়ার পর স্পঞ্জে প্রচুর পরিমানে তেল জমে। একটা চটচটে ভাব সৃষ্টি হয় তখন।
একটা বাটিতে লবন আর পানি মিলিয়ে সেটাতে স্পঞ্জটি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে দেখবেন, তেল চটচটে ভাব একদম গায়েব।

৬। সাদা বেসিন বা টাইলস এর হলুদাভাব দূর করতে
প্রায়ই দেখা পুরো বেসিন পরিষ্কার হলেও কোনায় কোনায় হলুদ দাগ জমে থাকে। কিংবা সাদা টাইলসের ফাঁকে হলুদাভাবের সৃষ্টি হয়। সমপরিমান তারপিন আর লবন মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি হলুদ স্থানে ঢেলে স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে ভাব চলে আসবে। (ঘষার পুর্বে অবশ্যই হাতে হাতমোজা পরে নিবেন)

৭। বেসিন বা বাথরুমের নিষ্কাশন পথ পরিষ্কার করতে
তেল, চর্বি, চুল ইত্যাদি জমে অনেক সময় বেসিন বা বাথরুমের নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে যায়।
সমপরিমান বেকিং সোডা আর লবন মিশিয়ে নিষ্কাশন পথে ঢেলে দিন। এবার এক কাপ ভিনেগার ঢেলে দিন। দেখুন ম্যাজিকের মত কাজ করবে। এবার চুলায় একটু গরম পানি করে সেখানে ঢেলে দিন। ব্যাস, আটকে যাওয়া নিষ্কাশন পথ খুলে যাবে আর ময়লা ও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

দেখলেন তো অতি সাধারণ লবনের কত চমৎকার ব্যবহার রয়েছে। আর তাই এখন থেকে প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করবেন রান্নাঘরের সাধারণ লবন।

রেফারেন্সঃ লাইফ হ্যাকিং ট্রিক্স

নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলকে ঘন ও কালো করে তোলার সম্পূর্ণ নতুন একটি পদ্ধতি!

Hair

চুল মেয়েদের সোন্দর্যের অন্যতম অংশ। লম্বা, কালো, ঘন চুল কে না পছন্দ করে! কিন্তু আবহাওয়ার বৈরতা আর আমাদের অবহেলার কারণে চুলের সৌন্দর্য কমে যায় ধীরে ধীরে । চুল ঝরে পড়া বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজানোও কমে যায় দিন দিন। আবার রোদের তাপে চুল লালটে হয়ে যায়। এই নষ্ট চুলকে ঘন কালো করার জন্য কত কিছু ই না করে থাকি আমরা। কিন্তু জানেন কি, একটি দারুণ সহজ উপায়ে পেতে পারেন ঘন কালো চুল।না, ক্যাস্টর অয়েল নয়। আজ আমরা জানব অন্যরকম কিছু উপাদানের ব্যবহারে উপায়ে চুল ঘন করার কৌশল। হলফ করে বলা যায়, এই উপায়টির কথা আপনি আগে কখনোই শোনেন নি। আসুন জেনে নেই চুল ঘন কালো করার জাদুকরী সেই উপায়টি।

যা যা লাগবে

• ২ টেবিল চামচ ইউক্যালিপটাস তেল
• ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ এর তেল
• ১০ টেবিল চামচ খাঁটি নারকেল তেল

যা করবেন

ইউক্যালিপটাস তেল, লবঙ্গ এর তেল, খাঁটি নারকেল তেল মিশিয়ে একটি তেল তৈরি করুন। আপনি তেলটি একটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

• তেলটি মাথায় খুব ভাল করে ম্যাসেজ করুন।
• ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সবচেয়ে ভাল হয় সারারাত মাথায় তেল রেখে দেওয়া।
• এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
• ভাল ফল পেতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন।

কীভাবে কাজ করে?

ইউক্যালিপটাস তেল এবং লবঙ্গ এর তেল মাথার তালুর রক্ত চলাচল সক্রিয় করে চুলের গোঁড়া মজবুত করে থাকে। চুলকে ঘন করার পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

অনেকসময় ইউক্যালিপটাস তেল এবং লবঙ্গ তেল ব্যবহারে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ ইউক্যালিপটাস তেল এবং লবঙ্গ এর তেলের সাথে ১৫ গুন বেশী পরিমাণে নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে।

কোথায় পাবেন?

ইউক্যালিপটাস তেল আমাদের আশেপাশের দোকানে পাওয়া যাবে না। এটি পাওয়ার জন্য যে কোন বড় বিদেশি সুপারশোপ গুলোতে খোঁজ করে দেখতে পারেন। সম্ভব হলে বিদেশ থেকে আনিয়ে নিতে পারেন এই তেলটি।

লবঙ্গের তেল আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারেন। কয়েকটি লবঙ্গ নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। ১ টেবিল চামচ লবঙ্গের গুঁড়ার সাথে ১/২ কাপ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। তেল ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করুন।

নিজেকে চাঙ্গা ও সতেজ রাখতে কোল্ড কফির রেসিপি শিখে নিন !

coffy

কোল্ড কফি বর্তমানে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় পানীয়। আর এর জনপ্রিয়তার মুল কারন হচ্ছে কম খরচে ও খুব সহজে কোল্ড কফি বানানো যায়। ঢাকা শহরের প্রায় সব বেস্টুরেন্টে অন্যান্য পানীয়ের সাথে কোল্ড কফিও পাওয়া যায়।  এই গরমে এক গ্লাস কোল্ড কফি আপনাকে আরও চাঙ্গা ও সতেজ করে দেবে। আপনি খুব সহজে ঘরে বসেই তৈরী করতে পারবেন কোল্ডকফি। আজ তাসনীম তারান্নুম এর কোল্ড কফির রেসিপি শিখব । চলুন দেখে নেই কিভাবে কোল্ড কফি তৈরি করতে হয়।

কোল্ড কফির রেসিপি :

উপকরণ :

  • কফি ২ চা চামচ
  • দুধ ৫০০ মিলি ( আমি ইউ এইচ টি দুধ ব্যবহার করেছি।আপনি চাইলে এক কেজি দুধ কে অর্ধেক করে ব্যবহার করতে পারবেন)
  • গুড়া দুধ ২ টেবিল চামচ
  • কনডেনস মিল্ক ২ টেবিল চামচ
  • দুই স্কুপ ভ্যানিলা আইস্ক্রিম
  • চিনি পরিমাণ মতো
  • চকলেট সিরাপ (সাজানোর জন্য)

প্রণালি :

একটা কাপে এক টেবিল চামচ কুসুম গরম পানির সাথে কফি মিশিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডার এ একে একে সব উপকরণ ও কফি মিক্সড করে ব্লেন্ড করে নিন ৩/৪ মিনিট । এবার পরিবেশন এর গ্লাস এ চকলেট সিরাপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দিন। কফি ঢেলে এবার উপরে সামান্য কফির গুড় ও চকলেট সিরাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।

কোল্ড কফির রেসিপি তে কোন আইস ব্যবহার করা হয়নি কারন আগেই আমরা দুই স্কুপ ভ্যানিলা আইস্ক্রিম ব্যাহবার করেছি। আপনি চাইলে আইস ব্যবহার করতে পারেন। আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহাফেজ ।

যে কোন ভাষাকে অনুবাদ করতে Ace Translator ডাউনলোড করে নিন !

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ছোট্ট একটা সফটওয়্যার ( Ace Translator ) নিয়ে হাজির হলাম যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই যে কোন ভাষাকে অনুবাদ করতে পারবেন। বাংলা ভাষা সহ পৃথিবীর আরো অনেক ভাষাই আপনি সহজেই অনুবাদ করতে পারবেন।

সাধারণত আমরা কোন ভাষার ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করতে গেলেই গুগুল ট্রান্সলেটের সাহায্য নিয়ে থাকি। কিন্তু সমস্যা হলো নেট কানেকশন না থাকলে আমরা গুগুল ট্রান্সলেট ব্যবহার করতে পারিনা। তা ছাড়া গুগুল ট্রান্সলেটের বাংলা ট্রান্সলেটটাও হয় কিছুটা অন্য রকম । তাই আমি আজ আপনাদের কাছে ছোট্ট একটি সফটওয়্যার শেয়ার করবো , যার ট্রান্সলেটটা গুগুল ট্রান্সলেট থেকে অনেক সুন্দর হবে। সফটওয়্যার টির দাম ৯৯.৯৫ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫১৭.৯৩ টাকা। বিশ্বাস না হলে ওদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিন। ভয় পাবার কিছু নেই, আজ আমরা আপনাকে সফটওয়্যারটি বিনামূল্যেই দিচ্ছি সিরিয়াল কি সহ। তাই উপভোগ করতে পারবেন আজিবন বিনামূল্যে।  Ace Translator  ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন মাত্র ২ মেগাবাইট।

ডাউনলোড লিঙ্ক – এখানে ক্লিক করুন

Ace Translator ডাউনলোড হয়ে গেলে নিচের পথ অনুসরন করুন:

১। ডাউনলোড হয়ে গেলে। জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। এর পর ইন্সটল করুন। ইন্সটল হয়ে গেলে ওপেন করুন। নিচের ছবির মতো আসবে।

01

২। Unlock এ ক্লিক করলে নিচের মতো আসবে। User ও Serial# এ নোট প্যাড ( ফোল্ডারে দেওয়া আছে ) থেকে কপি করে পেস্ট করুন। OK প্রেস করুন।

02

৩ । ছবির মতো করে ভাষা নির্বাচন করুন। কিছু লিখুন। Translate এ ক্লিক করে উপভোগ করুন। সাথে পাচ্ছেন উচ্চারন সুবিধা।

03

Ace Translator দিয়ে উপকার পেলে কিংবা ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে মন্তব্য করুন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ ।

খাঁটি মধু চেনার উপায়

Honey

আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের ভিতরে মধু অন্যতম। মধু খেলে অনেক রোগ বালাই সেরে যায়। তাই আমরা সুস্থ্য থাকার জন্য মধু কিনে থাকি এবং সেই মধু খেয়ে থাকি। সমস্যা হচ্ছে মধু কেনার সময় আমাদের জানা থাকে না মধুটি খাঁটি মধু নাকি ভেজাল মধু। তাছাড়া যারা কৌটা কিনেন আনেন, এয়ার টাইট বিধায় সেগুলোও যাচাই করা সম্ভব হয় না। তবে অনেক ব্যক্তিতে দেখেছি খোলা মধু কিনে এনে বাসায় বসে পরীক্ষা করেন। এটা নিতান্তই অজ্ঞতা অথবা বোকামী। কেনার সময়ই যদি মধু চেক করে আনা যায় তবে ঠকার সম্ভবনা খুব কম থাকে। খাঁটি মধু চেনার উপায়ঃ-

কেনার সময় তাৎ্ক্ষনিক পরীক্ষাঃ

(১) যদি খোলা মধু কিনে থাকেন তাহলে এক গ্লাস পানি নিন। তার ভেতরে এক কর্ক বা এক চামচ পরিমান মধু নিন। তারপর চামচ ছাড়া গ্লাসটি হাতে নিয়ে ঘড়ির কাটার মতো কয়েকটা দোলা দিন। যদি সম্পূর্ন গুলে যায় তবে ভেজাল মধু আর যদি গোল গোল থাকে তাহলে খাঁটি মধু।

(২) বাম হাতে ১ চামচ মধু নিন। তারপর সেই মধুর মধ্যে ১ চামচ চুন দিন (পানের দোকানের পাশে থাকলে)। তারপর একটু মিক্স করুন, তারপর যদি দেখেন হাত তাৎক্ষনিক আগুনের মতো গরম হয়ে গেছে তাহলে বুঝবেন খাঁটি মধু। আর যদি দেখেন ঠান্ডা, তাহলে যা বোঝার বুঝে নিবেন।

(৩) যদি স্মোকার হন তাহলে পকেট থেকে একটি  কাগজ বের করুন। তাতে অল্প পরিমান মধু ঢালুন। লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তাহলে বুঝবেন খাঁটি মধু। আর যদি দেখেন নিভে গেছে তাহলে বুঝবেন কিনলে ঠকবেন।

(৪) কঠিন চালাকি করুন। বিক্রেতার চোখের কোনে এক ফোঁটা মধু ঢালতে বলুন। খাঁটি মধু চোখে দিলে চোখ সাময়িক সময়ের জন্য জ্বালাপোঁড়া করবে, তারপর ঠিক হয়ে যাবে। চোখের ক্ষতি হবে না। কিন্তু বিক্রেতা যদি চোখে লাগাতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তাৎক্ষনিক ওকে ধরে আচ্ছা রকম প্যাদানি দিয়ে দিন।

বাসায় গিয়ে পরীক্ষা করাঃ

(১) যারা তাৎক্ষনিক পরীক্ষা করতে পারবেন না তারা বাসায় নিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ঘন্টা দুই তিনেক পর বের করে যদি দেখেন জমাট বেধে গেছে কিংবা তলানী পড়েছে তাহলে বুঝবেন ভেজাল মধু।

(২) এক টুকরা সাদা কাপড়ের উপর এক চামচ মধু ঢালুন। মিনিট পনের পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকলে ভেজাল মধু। আর দাগ না থাকলে খাঁটি মধু নিশ্চিত হবেন।

(৩) বাসায় যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে ১ ফোটা মধু ঢালুন। মধুতে পিঁপড়া আসলে ভেজাল মধু। পিঁপড়া না আসলে খাঁটি মধু।

টি-ব্যাগ ফেলে দেয়ার আগে এটি পড়ুন

Full tea

গরম পানিতে টি-ব্যাগটি ভিজিয়ে নেয়ার পর কোনো সবাই ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। কিন্তু ভাবতেই পারবেন না এই ব্যবহৃত টি-ব্যাগ দিয়ে কী অসাধারণ কাজ হয়!

নিচের এই ১২টি ব্যবহার পড়ুন। টি-ব্যাগটি ছুঁড়ে ফেলার আগে অন্তত একবার ভাবতে বাধ্য হবেন।

১. মুখের ঘা
মুখে সাদা এক ধরনের ঘা হয়। এটা সাধারণত অ্যালার্জি বা পুষ্টির অভাবে হয়। টি-ব্যাগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধাণ সম্ভব। চা’র মধ্যে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড যা রক্তনালিকার সঙ্কোচক এবং প্রদাহ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

২. কালশিরে দাগ দূর করা ও রক্তপাত বন্ধ করা
টি-ব্যাগের ট্যানিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন ছোটখাট কাটাছেড়া এবং আঘাতে সাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

৩. চোখের সৌন্দর্য
নানা কারণেই চোখের নিচে কালোদাগ পড়ে। এটি চোখের নিচের ত্বক বিবর্ণ হলে অথবা রক্ত সরবরাহ হঠাৎ করে বেড়ে গেলে এমন দাগ দেখা যায়। এমন হলে টেবিলে পেছন দিকে হেলে বসে পড়ুন। এবার টি-ব্যাগ ভিজিয়ে চোখের উপর কয়েক মিনিট রাখুন।

৪. রোদে পোড়া
ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর হবে নিমেষেই। টি-ব্যাগ থেকে কিছু চা বের করে পানিতে ভিজিয়ে হালকা করে পোড়া অংশে ঘষে দিন।

৫. ছেঁড়া ত্বক সারানো
খালি হাতে মুষ্ঠিযুদ্ধ বা অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে ত্বক ছিড়ে যেতে পারে বা জড়ে যায়। টি-ব্যাগ এর সহজ সমাধান। টি-ব্যাগ গরম পানি ভিজিয়ে নেয়ার পর যে লাল পানিটা বের হবে সেটি ত্বকের এ ধরনের আঘাত সারাতে চমৎকার কাজ দেয়।

৬. রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করতে
দুর্গন্ধ দূর করতে টি-ব্যাগ খুব কাজ দেয়। যেকোনো ধরনের দুর্গন্ধ শোষণ করতে পারে এটি। রেফ্রিজারেটরে গন্ধ হলে ব্যবহৃত টি-ব্যাগ রেখে দিন। আর ফ্রিজের অনাকাঙ্ক্ষিত আর্দ্রতা দূর করতে ব্যবহার করুন একটি শুকনো টি-ব্যাগ।

৭. ছাদের বাগান পরিচর্যা
গাছের পুষ্টি জোগান দিতেও ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ। চায়ের ট্যানিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পলিফেনল গাছের দ্রুত বৃষ্টি ত্বরান্বিত করে।

৮. বাসার পরিষ্কার হিসেবে
তেল চর্বি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন চা। ‍মুখ দেখার আয়না, টেবিল, ফার্নিচার এমনকি আপনার মুখ থেকে তেলতেলে ভাব দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ।

৯. থালা বাসনে জং ধরবে না
চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন আপনার ধাতব বাসনকোসনে মরিচা ধরা প্রতিরোধ করবে। এই রাসায়নিকটি ধাতুর অক্সাইড তৈরি হওয়া বিলম্বিত করে।

১০. কাঠের আসবাবপত্রের আঁচড় দূর করতে
চাকে বলা হয় প্রাকৃতিক রঙ। কাঠের আসবাবপত্রের গায়ে আঁচড় লাগলে একটি টি-ব্যাগ থেকে চা ঘষে দিন দাগ মিলিয়ে যাবে। এই কাজটি করতে পারেন চুলের যত্নে। শ্যাম্পু করার পর চায়ের পেস্ট মাখলে চুলের অনাকাঙ্ক্ষিত রঙ, আর্দ্রতা দূর হবে একই সঙ্গে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া রোধ হবে।

১১. কম্পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করুন
চায়ের পলিফেনল এবং ফাইটোকেমিক্যাল দারুণ কম্পোস্ট হিসেবে কাজ করে। চা গাছের চারার দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

১২. শক্ত মাংস নরম করতে
মাংস ম্যারিনেট করতে অনেক সময় লাগে। এ কাজটি চা দিয়েও করতে পারেন। চার মধ্যে থাকা ট্যানিন মাংসপেশীগুলো ছিঁড়ে ফেলে ফলে যেকোনো শক্ত মাংস সহজে কাটা যায়, দ্রুত ম্যারিনেটও হয়।

সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করা কেন জরুরী?