জনবল নেবে জিএসকে

gsk

জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডে কিছুসংখ্যক জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেড

পদের নাম: ম্যানেজার, মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিবিএস
অভিজ্ঞতা: ৪-৫ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা
কাজের ধরন: ফুলটাইম/পার্টটাইম

আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেড, হাউজ-২এ, রোড-১৩৮, গুলশান-১, ঢাকা।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ অক্টোবর ২০১৫

নিঃশ্বাসে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখুন সতেজতা খুব সহজে: দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

frsh-brth

নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটি সমস্যা। এই সমস্যায় যারা ভোগেন তারাই বিব্রতকর অবস্থা সম্পর্কে ভালো করে বুঝতে পারেন। মুখ পরিষ্কার রাখার পরও অনেকেই এই নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন নানা কারণে, এর মধ্যে ধূমপান করা, মাড়ির ইনফেকশন, দাঁতের গোঁড়া থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি সমস্যা অন্যতম। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেক সহজেই দীর্ঘক্ষণ নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখতে পারবেন। আজকে জেনে নিন এই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে দূরে থেকে দীর্ঘক্ষণ সতেজতা ধরে রাখার দারুণ কিছু উপায়।

১) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন

মুখ যখন খুব বেশি শুকিয়ে যায় অর্থাৎ মুখের ভেতরে স্যালিভার উৎপাদন কমে যায় তখনই মূলত ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মাতে থাকে এবং মুখে দুর্গন্ধ হতে থাকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন দেহের এবং মুখের ভেতরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন, বেশ খানিকটা সময় নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখতে পারবেন।

২) জিহ্বা পরিষ্কার করুন

দুবেলা ভালো করে দাঁত ব্রাশ করলেই দাঁত ভালো রাখা এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকার আশা করা যায় না। এর সাথে আপনাকে অবশ্যই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে জিহ্বা পরিষ্কার করা। ভালো করে জিহ্বা পরিষ্কার করুন দু বার। এতেও অনেকটা সময় নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করতে পারবেন।

৩) চিনি মুক্ত চুইংগাম চিবোন

আমরা যখন কোনো খাবার খাই তখন আমাদের মুখের ভেতরে স্যালিভার উৎপাদন বেড়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কিন্তু সর্বক্ষণ তো খাবার খাওয়া সম্ভব নয়, এর খুব ভালো সমাধান হচ্ছে চুইংগাম চিবোনো। তবে অবশ্যই চিনিমুক্ত চুইংগাম ব্যবহার করবেন নতুবা দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।

৪) চা/কফি পান করা কমিয়ে দিন

চা/কফির ক্যাফেইন আমাদের দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে। অর্থাৎ আমাদের দেহের আর্দ্রতা যেমন হারায় তেমনই হারায় মুখের ভেতরের। স্যালিভার উৎপাদন কমে যায়, ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে থাকে মুখে। তাই চা/কফির পরিমাণ কমিয়ে আনুন দীর্ঘক্ষণ সতেজ নিঃশ্বাস ধরে রাখতে চাইলে।

৫) ধূমপান বন্ধ করুন

সিগারেটের নিকোটিন মুখের স্যালিভা উৎপাদন গ্রন্থির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দিয়ে থাকে। এতে করে মুখে প্রতিনিয়ত ব্যাকটেরিয়া জন্মায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া শুরু করে যা মুখ পরিষ্কার রাখলেও চলে যায় না। একমাত্র সমাধান ধূমপান বন্ধ করে দেয়া।

৬) নিয়মিত চেকআপ করুন

মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা হওয়ার পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার চাইতে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে সমস্যা এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়াও দাঁতের গোঁড়া বা মাড়িতে ইনফেকশন হয়েছে কি না তা বোঝার জন্যও ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তাই নিয়মিত চেকআপ করিয়ে মাড়ি ও দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করে নিঃশ্বাসের সতেজতা বজায় রাখুন।

চীনে বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের সেতুতে ফাটল!

Glass Road

চীনের তিন হাজার পাঁচশো ৪০ ফুট উঁচু পাহাড়ের গায়ে তৈরি কাচের সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত সোমবার (৫ অক্টোবর) একজন ভ্রমণকারী ফাটল ধরা ব্রিজের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি জানান, কাচের প্ল্যাটফর্মটি ফেটে যাওয়ার সময় তিনি ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন।

চীনের হেনান প্রদেশে ইউনতাই পর্বতমুখী একটি পাহাড় ঘিরে ইউ শেপের এ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে। জনগণের প্রবেশের জন্য প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয়।
কাচের ওয়াকওয়েটি ফেটে যাওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন ও এটি মেরামতের জন্য আপাতত এখানে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সাক্ষী পর্যটক জানান, তিনি ব্রিজটির শেষ সীমানায় পৌঁছাতেই ঠুং করে কাচ ভাঙার শব্দ শোনেন ও পায়ের নিচে কম্পন অনুভব করেন। নিচের দিক তাকিয়ে দেখেন সেতুতে ফাটল।

ইউনতাই পর্বতের এক মুখপাত্র জানান, এক টুরিস্টের হাত থেকে স্টেইনলেস স্টিলের মগ পড়ে ওয়াকওয়ের গ্লাস ভেঙে গেছে। তবে তিন স্তরের ওয়াকওয়ের প্রথম স্তরটিই শুধু ভেঙেছে। তাই সেটা গুরুতর বিপদজনক কিছু নয়। তবুও পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে পর্টকদের আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি কর‍া হয়েছে।

চীনের সপ্তাহব্যাপী জাতীয় দিবসের ছুটিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারণা অনুযায়ী, এ সময় সেখানে পাঁচশো ৩২ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিলো।
দু্ইশো ২৩ ফুট চওড়া ও আটশো ৫৩ ফুট দীর্ঘ এ প্ল্যাটফর্মটি তিন স্তর বিশিষ্ট কাচের পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে। যার ওজন প্রায় আটশো কিলোগ্রাম।

কোকাকোলা ৬০ মিনিটে হার্ট, ব্রেনসহ গোটা শরীরে বিষ ছড়িয়ে দিতে পারে

Cocacola

ভারতীয় বিজ্ঞানী নীরজ নায়েকের এক গবেষণায় কোকাকোলা পানে মারাত্নক বিপদ হতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এ গবেষনায় চড়া রোদ, গরমে দীর্ঘ পথ হেঁটে এসে পানির তৃষ্ঞা মেটাতে এক বোতল ঠান্ডা কোকাকোলায সাময়িক আরামই জীবনে যে কী মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে তা দেখানো হয়েছে। গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কোকাকোলার একটি ক্যান ৬০ মিনিটের মধ্যে হার্ট, ব্রেন-সহ গোটা শরীরে স্রেফ বিষ ছড়িয়ে দেয় পর্যায়ক্রমে। দুনিয়ায় আলোড়ন

ফেলে দেওয়া একটি ব্লগে নীরজ নায়েক লিখেছেন, এক বোতল কোকাকোলায় ১০ চা চামচ চিনি থাকে। মানুষের শরীর প্রতিদিন যতটা চিনি গ্রহণ করতে পারে, এটা তার ১০০ গুন বেশি। এই পরিমাণ চিনি একবারে খেলে বমি অনিবার্য। কিন্তু কোকাকোলা খেলে তা হয় না। তার কারণ, কোকে থাকা অতিমাত্রায় ফসফেরিক অ্যাসিড।

অর্থাৎ‌ প্রথম ১০ মিনিটেই শরীরে ১০ চা চামচ চিনি ঢুকছে। পরের ২০ মিনিটে রক্তে সুগারের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে অতিমাত্রায় ইনসুলিন তৈরি হতে থাকে। লিভার এই বিপুল পরিমাণ চিনি ফ্যাটে রূপান্তরিত করে দেয়।

তারপরের ৪০ মিনিটে শরীর প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ করে। এর জেরে চোখের মণি প্রসারিত হয়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, লিভার আরও চিনি রক্তে মেশাতে
থাকে। একই সঙ্গে মস্তিষ্কে অ্যাডিনোসিন রিসেপ্টরগুলি ব্লক হয়ে যায়। ফলে তন্দ্রা ভাব আসে। মিনিট ৪৫ পর ডোপেমাইন হরমোন অতিমাত্রায় ক্ষরণ শুরু হয়। মস্তিষ্ক শিথিল হতে শুরু করে। যা হেরোইনও করে।

৬০ মিনিট পরে শরীরে ফ্যাটের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। বেশি পরিমাণে কোকাকোলা খেলে ধীরে ধীরে রক্ত সম্পূর্ণ বিষাক্ত হয়ে যায়। অকাল মৃত্যুই
তখন ললাট-লিখন। বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ কোটি মানুষ কোক পান করেন | তাঁদের প্রতি বিজ্ঞানী নায়েকের সাবধানবাণী‚ কোকা কোলায় আসক্তি কার্যত মাদকাসক্তির মতোই ক্ষতিকারক।

‘অ্যাভাটার ২’ ছবির প্রথম ঝলক

av-2

ঘোষণা আগেই হয়েছিল। এবার চরিত্রদের চিত্রায়ণ শুরু হল। ‘অ্যাভাটার ২’ ছবির প্রথম চরিত্রের ইলাস্ট্রেশন প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি।

ছবির পরিচালক জেমস ক্যামরুন জানিয়েছিলেন, ছবির মোট তিনটি সিক্যুয়াল তৈরি হবে। এই ছবিতেও আছেন জো সালডানা ও সিরউরনে ওয়েভার।

ছবির গল্প যদিও এখনও প্রকাশ পায়নি। তবে ২০১৭ সালে যে ‘অ্যাভাটার ২’ মুক্তি পাবে, তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত ঘোষণার আহ্বান

Egg

স্বল্পমূল্যে ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পোল্ট্রিকে করমুক্ত খাত হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি)।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি উদ্যোগে ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সংগঠনটি এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক জনসচেতনতা এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা অনেক বেড়েছে। কিন্তু ডিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনার কারণে এবং সঠিক প্রচার ও পরিল্পনার অভাবে ডিমের কাঙ্খিত চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।’

ডিমের চাহিদা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন বক্তারা।

একই অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশর জন্য অপুষ্টি একটি বড় অভিশাপ। অপুষ্টির কারণে মা ও শিশু রোগাক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা খর্বাকৃতি হচ্ছে। অসময়েই মানুষ জরাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা খাতে বাড়ছে খরচ।’

এ থেকে বের হওয়ার জন্য সকলের অধিকহারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অজয় কুমার রায়।

প্রসঙ্গত, ডিম দিবস উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা এবং ময়মনসিংহে র‍্যালি এবং আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি দেশে ৬৪ জেলার পোষ্টার এবং মোবাইল ফোনে খুদে বার্তায় মাধ্যমে ১৫ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারির কাছে ডিম দিবসের বার্তা পাঠানো হয়।

এর আগে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন থেকে র‍্যালি বের করে।

র‍্যালিটি পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. বিল্লাহ আলম, বিপিআইসিসির  আহ্বায়ক মসিউর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।

বয়স ৩০ হবার আগেই ধনী হতে চান?

Dhoni

-কানিজ দিয়া

আমাদের দেশে একটি ভালো চাকরী খুঁজে পেতেই ৩০ বছর বয়স পার হয়ে যায়। সেখানে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হয়ে যাওয়া একটু অসাধ্য সাধনই বটে। অনেকের মতে বাবা/মামা/চাচার জোর না থাকলে একটি অসম্ভব একটি কাজ। কিন্তু আসলেই কিন্তু তা নয়। আমাদের অনেকের সমস্যা আমরা একসাথে একের অধিক দিকে ভাবতে পারি না। এবং আমাদের মনের ভেতর কোনো কিছু একবার ঢুকে গেলে তার পেছনে ছুটে সময় পার করে দিই। এই কাজটি করা উচিত নয়। সব দিক বুঝে, নিজের জন্য ভালো বেশ কয়েকটি পথ খুলে নিলেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় খুব সহজে।

১) একদিক লক্ষ্য করে ছুটে চলবেন না

অনেকেই রয়েছেন যারা সরকারী চাকুরীর পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে থাকেন বা একদিক লক্ষ্য করে তা না পাওয়া পর্যন্ত তার পেছনে ছুটে চলেন। এই কাজটি করবেন না। একদিক লক্ষ্য করে ছুটতে যাবেন না। একটি স্থানে নিজেকে কিছুটা সেট করে নিয়ে নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পারেন। অর্থাৎ কোনো একটি চাকুরীতে ঢুকে নিয়ে তবে সরকারী বা তার চাইতে বড় কোনো স্থানের চাকরী খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যান।

২) অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজুন

শুধুমাত্র একটি চাকুরীর আশায় বসে থেকে ভাববেন না আপনি ধনী হয়ে যাবেন। চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করুন। ছোটোখাটো কোনো ব্যবসা খোলার চেষ্টা করুন। নিজের উপার্জনের মাধ্যম বাড়িয়ে নিন ২৫ বছরের পর থেকেই।

৩) প্রতিটি অর্থের হিসেব রাখুন

কোথায়, কখন, কি কারণে কতোটা অর্থ ব্যয় করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব রাখুন। বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে কখনোই ধনী হওয়া সম্ভব নয়। হয়তো মানুসগ আপনাকে কিপটে বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে একটু টিটকারি হজম করে নিন।

৪) ধার বা লোণ না করার চেষ্টা করুন

যদি প্রতি মাসেই আপনার ধার বা লোণ করে মাস পার করতে হয় তাহলে আপনি কখনোই নিজের উপার্জনের কিছুই রাখতে পারবেন না। মাস শেষে যদি কষ্টও হয় তাহলে একেবারে বিপদে না পড়লে ধার বা লোণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। কারণ এটি এক ধরণের পিছুটানের মতোই কাজ করে।

৫) বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করুন

কোথায় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে লভ্যাংশের কিছু অংশ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে সে ব্যাপারে নিজেকে তৈরি করে নিন। নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন। এবং এমন স্থানে করুন যাতে আপনাকে লসের মুখে পরতে না হয়।

৬) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করুন

২৫/৩০/৩৫/৪০ বছর এভাবে করে একটি একটি করে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা করুন। যেমন ২৫ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী এবং সেখান থেকে এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য, ৩০ বছর বয়সে এতো বেতনের চাকুরী বা ব্যবসা শুরু এবং এতো টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য এভাবে প্ল্যান করে তা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যান।

৭) সঞ্চয় করুন যতোটা সম্ভব

প্রতি মাসে যতোটা সম্ভব সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার যদি একটু হিসেব করে ব্যয় করে সঞ্চয়ের অভ্যাস থাকে তাহলে সেই সঞ্চয় ইনভেস্ট করে নিজেকে ধনী করার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।

৮) অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পেছনে অর্থ ব্যয় বন্ধ করুন

অতিরিক্ত এবং অযথা জিনিস কেনার অভ্যাস দূর করে ফেলুন একেবারেই। অনেকেরই দামী মোবাইল বা অন্যান্য অনেক কিছুর শখ থাকে। কিন্তু সেটা পড়ে করলেও চলবে। এখন একটু কষ্ট করে এই অযথা জিনিসগুলো ত্যাগ করে দিলে তা আপনার ভবিষ্যতটাকেই উন্নত করবে।

লাইফহ্যাকসে প্রকাশিত ‘10 Ways To Become a Millionaire by Age 30’ হতে অনুপ্রাণিত এবং লেখিকার নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে লেখা।

জরিপ প্রতিবেদন: ৬২% মার্কিনীর কোন সঞ্চয় নেই

Dollar

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিন জন নাগরিকের মধ্যে এক জনের সঞ্চয়ী হিসাব নেই অথবা থাকলেও তাতে সঞ্চয় ১ হাজার ডলার বা তার চেয়ে কম। ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৩১ শতাংশ নাগরিকের কোন সঞ্চয় নেই। আর, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৯ শতাংশের কোন ব্যাংক হিসাব নেই। গোব্যাংকিংরেটসের এক জরিপে মার্কিনীদের অর্থ ব্যবস্থাপনার হতাশাজনক এ চিত্র উঠে এসেছে। খবর আরটি।

জরিপে দেখা যায়, কম বয়স্ক মার্কিনীদের মধ্যে কপর্দকশূন্য হবার একটি ঝোঁক রয়েছে। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত সঞ্চয় রয়েছে শুধু বয়স্ক ও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের।

গোব্যাংকিংরেটসের পক্ষে গুগল কনজিউমার সার্ভে এ জরিপ পরিচালনা করে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনায় ৫ হাজার ৬ জন উত্তরদাতা এ জরিপে অংশ নেন। গোব্যাংকিংরেটসের পারসোনাল ফিন্যান্স বিষয়ক কলামিস্ট ক্যামেরন হাডলস্টোন বলেন, আমেরিকানদের এত বড় একটি অংশের সঞ্চয়ের এ দৈন্যদশা খুব উদ্বেগজনক। জরুরী প্রয়োজন মেটানোর মত নগদ অর্থ তাদের নেই। এ ধরণের পরিস্থিতিতে তাদের ধার করতে অথবা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের ওপর নির্ভর করতে হয়। অপ্রত্যাশিত ব্যয় মেটাতে এমনকি তাদের অবসর ভাতার অর্থও চলে যায়।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, জেনারেশন এক্স, যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৫৪ বছর, তাদের ৩১ শতাংশের কোন সঞ্চয় নেই। পাশাপাশি মিলেনিয়াম প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৯ শতাংশের কোন সঞ্চয় নেই। একই অবস্থা বিশ্বযুদ্ধ উত্তর প্রজন্ম বেবি বুমারসদের (৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী)। এদের ২৮ শতাংশের কোন সঞ্চয় নেই।

অন্যদিকে জেনারেশন এক্সের ১৬ শতাংশ, বেবি বুমারসদের ১৭ শতাংশ ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ২০ শতাংশ নাগরিকের ১০ হাজার ডলার অথবা তারও বেশি অর্থ সঞ্চয় রয়েছে। দেখা গেছে, আয় ও সঞ্চয়ের মধ্যে একটি সর্ম্পক রয়েছে, ধনী আমেরিকানরা বেশি অর্থ সঞ্চয় করেছে। জরিপে দেখা গেছে, যাদের আয় ৭৫ হাজার ডলার বা তার বেশি তাদের ১ হাজার ডলারের বেশি সঞ্চয় থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে যারা ১ লাখ ডলার বা তার চেয়ে বেশি আয় করছে, অন্য যে কোন শ্রেণির চেয়ে  তাদের ১০ হাজার ডলার সঞ্চিত থাকার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া, ৬২ শতাংশ মার্কিনীর সঞ্চয়ের পরিমাণ শূণ্য।

এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংকরেট ডট কম পরিচালিত জরিপেও সঞ্চয়হীন আমেরিকানের হার ৬২ শতাংশ দেখা গিয়েছিল।

ইন্টারনেট: ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

state-of-broadband-2015

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯। অন্যদিকে ভারতের ১৫৫ ও পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৬তম।

আইটিইউ ও ইউনেসকো প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব ব্রডব্যান্ড ২০১৫’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রতি ১০০ জনে ৬ দশমিক ৪ জন। ভারতে ৫ দশমিক ৫ জন ও পাকিস্তানে এই হার ৫ দশমিক ১ জন। জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের সেপ্টেম্বরের সভায় এই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ ও এর হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড তালিকায় ১৮৯ দেশের মধ্যে ১৩২তম অবস্থানে আছে। এখানে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। একই পয়েন্ট নিয়ে ভারত বাংলাদেশের এক ধাপ ওপরে অর্থাৎ ১৩১ তে। এখানেও পাকিস্তান পিছিয়ে আছে। পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৫ আর ব্যবহারকারীর হার হার ১ দশমিক ১ শতাংশ।

ব্রডব্যান্ড কমিশনের পুরো প্রতিবেদন http://www.broadbandcommission.org/documents/reports/bb-annualreport2015.pdf এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

Google Map এ আপনার এলাকার স্থাপনা/রাস্তা Add করুন

Google Map

গুগল ম্যাপ। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অনন্য নাম ! জিপিএস ছাড়া উন্নত বিশ্বের দৈনন্দিন জীবন অচল। কিন্তু আমাদের দেশে অবহেলিত! দেশের ডিজিটাল ম্যাপিং এর অবস্থা খুব করুন। অনেক দেশে শুধু ব্যবহারকারীদের অবদানের জন্য নগরীগুলো ডিজিটাল ম্যাপিং এর সবোর্চ্চ শিখরে পৌছেছে। কিন্তু আমাদের দেশে কনট্রিবিউটর খুব কম। চলুন আমরা সবাই দেশকে ডিজিটাল বানাতে অবদান রাখি, আর শিখে ফেলি কিভাবে ম্যাপ এডিট করতে হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে আবার চালু হয়েছে গুগল ম্যাপ মেকার কার্যক্রম। ফলে আবার গুগল মানচিত্রে অবদান রাখতে পারবেন আগ্রহীরা। পুনর্বার চালুর সময় মানচিত্র সম্পাদনা, যোগ করার ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তনও। সম্পাদনাটি সহজ এবং সঠিক করতে প্রতিটি দেশে আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের (রিজিওনাল লিডস) সঞ্চালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে যে কেউ সম্পাদনা কিংবা তথ্য যোগ করলে সেটি আঞ্চলিক দায়িত্বপ্রাপ্তর অনুমোদনের পরে প্রকাশ পাবে। পাশাপাশি আগের কয়েকটি সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

গুগল ম্যাপ এডিট খুব সহজ কাজ! নেট ব্যবহার করতে জানেন এমন কেউ আলাদা কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই গুগল ম্যাপে অবদান রাখতে পারবেন।

প্রথমে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট বা গুগল একাউন্ট লাগবে।

এবার গুগল ম্যাপ এডিটরের এই লিংকে প্রবেশ করুন। http://www.google.com/mapmaker

নতুন করে এড করতে চাইলে Add New এ click করেন

Add a Place এ click করে, নির্দিষ্ট স্থানে plag করে, Category select করেতে হবে,

Enter Name এ নির্দিষ্ট নাম দিতে হবে, এরপর Continue এ click করে, Add more name আরো নাম যুক্ত করতে পারবেন,

এরপর Save এ click করতে হবে।

রিজিওনাল লিডরা সবকিছু দেখে সম্মতি দিলেই ম্যাপে প্রকাশ পাবে ওই ফিচার।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে http://www.mappingbd.org এবং http://google.com/mapmaker ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন ।