২ শতাধিক জনবল নেবে উইনার গ্রুপ

careers

উইনার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান উইনার কসমেটিক্স অ্যান্ড কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডে ২ শতাধিক জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: উইনার কসমেটিক্স অ্যান্ড কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড

পদের নাম: জেনারেল ম্যানেজার, সেলস
পদ সংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ/মাস্টার্স
অভিজ্ঞতা: ১০ বছর।

পদের নাম: এপিএস/পিএস (চেয়ারম্যান)
পদ সংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর
অভিজ্ঞতা: ৪ বছর।

পদের নাম: গ্রাফিক্স ডিজাইনার
পদ সংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/এইচএসসি
অভিজ্ঞতা: ৩ বছর।

পদের নাম: স্টোর এক্সিকিউটিভ
পদ সংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

পদের নাম: কাস্টমার রিলেশন এক্সিকিউটিভ, মহিলা
পদ সংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/এইচএসসি
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান
পদ সংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি/অষ্টম শ্রেণি
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

পদের নাম: বিক্রয় প্রতিনিধি
পদ সংখ্যা: ১০০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/এইচএসসি
অভিজ্ঞতা: ২ বছর।

পদের নাম: মেশিন হেলপার
পদ সংখ্যা: ১০০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি/অষ্টম শ্রেণি
অভিজ্ঞতা: ১ বছর।

যোগাযোগের ঠিকানা: চেয়ারম্যান, উইনার গ্রুপ, রোজ টাওয়ার, ডিইপিজেড সড়ক, ইউনিক বাসস্ট্যান্ড, মধ্য গাজীরচট, আশুলিয়া, সাভার।

যোগাযোগের শেষ সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রহিম আফরোজে চাকরির সুযোগ

RahimAfroze

রহিম আফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড ‘অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ করবে। আগ্রহীরা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: রহিম আফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড

পদের নাম: অফিসার, মিনি/মাইক্রো-গ্রিড
পদ সংখ্যা: ০১ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ার ইন ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক্স/মেকানিক্যাল
অভিজ্ঞতা: ১-২ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের ঠিকানা: রহিম আফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড, আরজেদ চেম্বার, ১৩ মহাখালী বা/এ, ঢাকা-১২১২।

আবেদনের শেষ সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সূত্র: বিডিজবস ডটকম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চাহিদা মত ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান লাভের উপায় !

C37P2T x - chromosome, y - chromosome. Image shot 2010. Exact date unknown.
x – chromosome,    y – chromosome

গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে, তা কি আসলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।

মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।

প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।

এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে।

Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।

এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।

আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

ভ্রমণ: স্বরূপকাঠির তিন ভাসমান বাজারে

-মুস্তাফিজ মামুন

01

আই সি ডি ডি আর বি: কলেরা হাসপাতাল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য

Colera

বিদেশি সাহায্যে ১৯৬০ সালে যাত্রা শুরু করে আইসিডিআরবি। এখানে বিনামূল্যে কলেরা ও ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা এবং গবেষণা করা হয়। রোগী দেখার জন্য সর্বমোট ৮৮ জন চিকিৎসক এখানে কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রোগের সঠিক ডায়গনোসিস করার জন্য নিজস্ব ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। আইসিডিআরবি তে কোন প্রকার বহি:বিভাগ সেবা ও অপারেশনের ব্যবস্থা নেই। এখানে কেবিন নেই। সিট/বিছানা সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। রোগীর সংখ্যার উপর সিট/বিছানার সংখ্যা নির্ভর করে।

অনুসন্ধান ডেস্ক ও রোগীর ভর্তির নানা দিক

আইসিডিআরবি তে জরুরী বিভাগ ও অনুসন্ধান ডেস্ক পাশাপাশি অবস্থিত। প্রধান গেট থেকে এর দূরত্ব ৮০ গজ। রোগী ভর্তির জন্য প্রথমেই জরুরী বিভাগে যেতে হবে। জরুরী বিভাগের ডাক্তার রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি দেখেন শুধু ঔষুধ দিলেই চলবে তবে সেই রোগীকে আর ভর্তি করা হয় না। তবে রোগীর অবস্থা বেশী খারাপ হলে তাকে সরাসরি ভর্তি করা হয়। তবে এর জন্য কোন টাকা পয়সা প্রদান করতে হয় না। এছাড়া চিকিৎসা চলাকালীন ভর্তিকৃত রোগীর থাকা, খাওয়া, ঔষধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

বিশেষত্ব

বিদেশী সহায়তায় পরিচালিত ICDDRB তে ১ জন:১ জন এটেনডেন্ট থাকে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভিত্তিতে “স্বাস্থ্য বার্তা” নামে একটি পত্রিকা বের হয়। ICDDRB-র চাকুরীজীবিদের ১ থেকে ৫ বছরের শিশুদের লালন পালনের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার রয়েছে।

ব্লাড ব্যাংক

কলেরা ও ডায়রিয়াতে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ICDDRB তে রয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ নিজস্ব ব্লাড ব্যাংক। প্রধান দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ২০ গজ সামনে হাতের বাম পাশের ভবনের ২য় তলায় ব্লাড ব্যাংক অবস্থিত। নিজেদের রোগীদের জন্যই শুধু এখান থেকে রক্ত সরবরাহ করা হয়।

এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ভিন্নতা

কলেরা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভর্তিকৃত রোগীদের কিডনী, হৃৎপিন্ড, ডায়াবেটিস বা যে কোন চিকিৎসার প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে আনা নেওয়ার জন্যই নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। বাহির থেকে কোন রোগী আনতে এসব এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয় না। ICDDRB-র নিজস্ব ৮টি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

হাসপাতালে ডায়াগনোসিস এর ব্যবস্থা

আইসিডিআরবি-র নিজস্ব ডায়াগোনসিসের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অতি অল্প খরচে টেষ্টের পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার নাম ও ফি নিম্নরূপঃ-

Sl

Particulars

Cost (BDT)

01. StoolCS For Sal, Shig and Vibrio SPP

600.00

02. Ear Swab (L) For CS

500.00

03. TC, DC, HB, Hetand ESR

200.00

04. Widal

260.00

05. HDV

700.00

06. HSVI (lg6)

650.00

07. Sugar F

60.00

08. Stool RME

700.00

09. Cytology

180.00

বিবিধ

কলেরা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী সাধারণত এখন মারা যায় না। তারপরও মারা গেলে সর্বোচ্চ ৬টি লাশ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। তবে তা অল্প সময়ের জন্য।

হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে নিজস্ব ঔষধের দোকান রয়েছে। এটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।

হাসপাতালটি আন্তর্জাতিক মানের হওয়াতে এখানকার অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত। বছরে একবার অগ্নি নির্বাপনের মহড়া হয়ে থাকে।

প্রতিষ্ঠানের সেবা বা অন্য কোন কারণে অভিযোগ থাকলে তাও নির্ভয়ে জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধান দরজার পাশেই অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট www.icddrb.org ঠিকানাতেও অভিযোগ করা যায়।

অল্প সময়ের জন্য ৩০-৩০ টি গাড়ি পার্কিং করা যায়।

ঠিকানা ও ফোন নং

মহাখালি কাঁচা বাজার থেকে মহাখালি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের দিকে ২০০ গজ সামনে হাতের বাম দিকে আইসিডিআরবি অবস্থিত।

ফোন নং – ৮৮০৬৫২৩-৩২। ফ্যাক্স – ৮৮-০২-৮৮১৯১৩৩, ৮৮২৩১১৬

জরুরী বিভাগের নম্বর – ৯৮৯৯০৬৭। ওয়েব সাইট – www.icddrb.org

যে কারণে ইসলামে কোন মহিলা নবী নেই

No nabi

ইসলাম ধর্মে এই একটি জিনিসই ব্যতিক্রম যে, এই ধর্মে কোন মহিলা নবীর আগমন ঘটেনি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা ঠিক কি কারণে কোন মহিলাকে নবী হিসেবে প্রেরণ করেন নি? পিসটিভি বাংলায় একজন মহিলা এই প্রশ্নটি সরাসরি ডাক্তার জাকির নায়েকের কাছে করেন।

উত্তরে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন, যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানবজাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন; তাহলে সেই অর্থে নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইসলামে কোনো নারী নবী আসেনি এবং এটাই সঠিক। কারণ একজন নারীকে যদি নবী হতে হয় তাহলে তাকে সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিতে হবে। কিন্তু কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে পুরুষরা হলো পরিবারের প্রধান। সুতরাং পুরুষ যদি পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দেবে? এছাড়াও একজন নবীকে নামাজের ইমামতি করতে হয়। আর আপনারা জানেন, নামাজে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সাজদাহ ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজের নেতৃত্ব দিত তবে জামাআতের পেছনে যে সকল পুরুষ সলাত আদায় করত এটা তাদের এবং ইমাম উভয়ের জন্যই বেশ বিব্রতকর হত।

এখানে আরো অনেক ব্যাপার রয়েছে। যেমন- একজন নবীকে সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়। কিন্তু এটা একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না।

অপরদিকে একজন পুরুষের পক্ষে পিতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা একজন মহিলার মাতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা থেকে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু আপনি যদি নবী বলতে শুধু বোঝেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি আল্লাহ পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ও খাঁটি ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে- আমি এখানে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করব মারইয়াম আ. এর নাম। তিনি ছিলেন মনোনীত এবং পরিশুদ্ধ। তিনি ছিলেন ঈসা আ. এর মা।

সুরাহ আল ইমরানের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- ‘যখন ফেরেশতারা বলেছিল, হে মারইয়াম! আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন বিশ্বজগতের নারীদের ওপর।’

এছাড়াও সুরাহ তাহরিম-এ ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়ার কথা উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন- ‘আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর (আছিয়া) অবস্থা বর্ণনা করেছেন।’

ফিরাউনের স্ত্রী আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন- ‘হে আমার রব! আমার জন্য বেহেশতের মধ্যে আপনার সন্নিকটে ঘর নির্মাণ করে দিন, আর আমাকে ফেরাউন থেকে এবং তার (কুফুরি) আচরণ থেকে রক্ষা করুন, আর আমাকে সমস্ত অত্যাচারী লোকজন থেকে হিফাজত করুন। আত-তাহরিম, আয়াত ১১

একটু কল্পনা করুন, তিনি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সম্রাট ফারাও-এর স্ত্রী। অথচ তিনি আল্লাহর ভালবাসার জন্য নিজের আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করতে চেয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি বুঝাতে চান আল্লাহর পছন্দের, পবিত্র ও খাঁটি তাহলে আপনি তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন।

এক মানুষ হারানো শহরের কাহিণী: প্রকৃতির ফিরে আসা

strange-story

মাত্র ৫০ বছরে জাপানের ইউবারি শহরের জনসংখ্যা কমেছে ৯০ শতাংশ। শহরের অবশিষ্ট বাসিন্দাদের বেশির ভাগই বুড়োবুড়ি। শিশুরা নেই বলে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠশালা! আর পাঁচ-ছয় বছর পরই ইউবারিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন পেনশনভোগীরা। আর তা হলে ইউবারিই হবে বিশ্বের প্রথম এমন শহর! দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে মানুষ হারানো এই শহরের হালচাল।

শহরের মানুষ হারানো
একসময় জাপানের কয়লার রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই শহরের বেশির ভাগ দালানকোঠাই এখন পরিত্যক্ত। শহরের পথঘাটে ডর-ভয়হীন চড়ে বেড়ায় বুনো হরিণেরা। দেশটির সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডুতে অবস্থিত ইউবারি। শিল্পোন্নত বিশ্বের খুব কম শিল্প-শহরের সঙ্গেই তুলনা চলে ইউবারির পরিস্থিতির। ১৯৬০ সালের দিকে এই শহরের জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজারের মতো। কয়লার শেষ খনিটাও বন্ধ হয়ে গেল। আর বাইরের খনিশ্রমিকেরাও চলে গেলেন ১৯৯০ সালে। তখনই জনসংখ্যা নেমে আসে ২১ হাজারে। পরবর্তী দুই দশকেই এই সংখ্যা নেমে আসে অর্ধেকে, মাত্র ১০ হাজারের কাছাকাছি।

বয়স্কদের শহর ইউবারি
পরিসংখ্যান নিয়ে বসলে অনেক হিসাবেই সবার ওপরে উঠে আসতে পারে এই শহরের নাম। ইউবারিই এখন জাপান এবং হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্কদের শহর। ২০১০ সালে এই শহরের বাসিন্দাদের গড় বয়স ছিল ৫৭ বছর। ২০২০ সালের মধ্যে এই গড় চলে যাবে ৬৫ বছরে। আর তখন ৪০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় ৮০ বছর বয়সীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন এখানে। এভাবে ইউবারি তখন বিশ্বের একমাত্র পেনশনভোগী সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে পরিণত হয়ে উঠতে পারে।

শিশু নেই, তাই নেই পাঠশালাও!
শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমাগত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে ইউবারি। এখানকার তরুণ-তরুণীরা কাজের খোঁজে পাড়ি জমিয়েছেন দূর-দূরান্তে। আর ছেলেমেয়েরা না থাকলে বাড়িঘর আগলে থাকা বুড়োবুড়িদের সংসারে নাতি-নাতনিরাই বা থাকবে কোথা থেকে? শহরের প্রতি ২০ জনে মাত্র একজনের বয়স এখন ১৫ বছরের ​নিচে। একটা শিশু জন্মাতে জন্মাতে অন্তত এক ডজন মানুষ মারা যান ইউবারিতে। জাপানের আর সব শহরের মতোই ইউবারিতেও একসময় অনেক স্কুল-কলেজ ছিল। কিন্তু এখন মাত্র একটা স্কুলেই চলছে শিশু, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।

জাপানের ছোট্ট সংস্করণ
জন্ম ও মৃত্যুহারসহ জনসংখ্যার নানান পরিসংখ্যানে ইউবারি শহরকে পুরো জাপানের একটা ছোট্ট সংস্করণ হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। দেউলিয়াত্বের শিকার এই শহরের শেষ হাসপাতালটিকে ছোট করে এনে একটা ক্লিনিকে পরিণত করার সময় খ্যাতনামা চিকিত্সক তোমোহিকো মুরাকামিও ঠিক এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন। কয়েক বছর আগে মুরাকামি বলেছিলেন, ‘২০৫০ সালের জাপানের একটা মাইক্রোজম এখনকার ইউবারি।’ পরিসংখ্যান বলছে, ২০৬০ সালের জাপানে প্রতি ১০ জনে চারজন নাগরিকের বয়স হবে ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি। ইউবারি প্রায় এক দশক আগেই বয়সের এই গড় অতিক্রম করেছে।

প্রকৃতির ফিরে আসা
দুনিয়ার বহু মানুষের কাছেই হয়তো—ফিরিয়ে দাও সে অরণ্য, লও এ নগর কেবলই কথার কথা! কিন্তু ইউবারিতে ঠিক যেন এই ঘটনাই ঘটছে। শিল্প-শহরটির কয়লাখনি, কারখানা, বাণিজ্যিক দালানকোঠা আর বসতবাড়ির বেশির ভাগই পরিত্যক্ত। আগে থেকেই প্রকৃতিঘেরা এই শহরকে যেন আবারও দখলে নিয়ে নিতে খুবই সক্রিয় প্রকৃতি। পরিত্যক্ত দালানকোঠা, মাঠ-ঘাটে গাছ-গাছালির অবাধ বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোটখাটো বন্য প্রাণীও ফিরে আসছে এখানে। জনবিরল রেলস্টেশন তো বটেই শহরের পথেঘাটেই দেখা মিলবে বুনো হরিণের।

উটপাখির ডিম খেতে চাইলে

মানুষের রসনাতৃপ্তির বৈচিত্র্যের বোধহয় কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। নতুন নতুন খাবার আর স্বাদের সন্ধানে খাবারের নিয়ত নতুন সংযোজন করে চলছে মানুষ। এই তালিকায় আরেক সংযোজন উটপাখির ডিম।

এই খাবারটি খেতে চাইলে অবশ্য আপনাকে যেতে হবে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের এক রেস্তোরাঁয়। লন্ডনের ফুলহ্যাম এলাকার ‘উইংগস এগস’ নামে রেস্তোরাঁটি শুধুই ডিমপ্রেমীদের জন্য।  এই রেস্তোরাঁর মেন্যুকার্ডের নতুন আইটেম ‘উটপাখির ডিম।’ বয়েল, সেদ্ধ বা স্ক্র্যাম্বলড, আপনার মনের মতো অন্য কোনো রান্নায় খেতে পারবেন রেস্তোরাঁর নতুন এই আইটেম।

শুধু উটপাখিই নয় এই রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় কোয়্লে, তিতির‚ ইমু এবং বিভিন্ন জাতের মুরগি ও হাঁসের ডিম । তবে হোটেলটির ওয়েবসাইটে: http://wingseggs.com -এ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী  উটপাখির ডিম খেতে হলে অন্তত দুই দিন আগে জানাতে হবে। তবেই আপনার জন্য রেস্তোরাঁর টেবিলে হাজির থাকবে প্রায় দেড় কেজি ওজনের ডিমটি।

‘উইংগস এগস’ রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের সূত্রে হাফিংটন পোস্ট জানায়, সাধারণ ডিমের তুলনায় উটপাখির ডিম প্রায় ২৪ গুণ বড়। আর এর খোসা অত্যন্ত শক্ত থাকায় এই ডিম সম্পূর্ণ সিদ্ধ হতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। আর রান্নার পর এই ডিমে পেট ভরে যাবে অন্তত ১০ জন ক্ষুধার্ত মানুষের। এই খাবার খেতে গুনতে হবে একটু বেশি পরিমাণ টাকা। রেস্তোরাঁর মেন্যুকার্ড অনুযায়ী একটি উটপাখির ডিমের দাম ৫৫ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা সাত হাজারের কাছাকাছি। তবে দাম একটু বেশি হলেও ‘অফট্রাকের’ এই খাবার খেতে আগ্রহীর কমতি হয় না কখনোই।

অনলাইনে আয়: পিটিসি মানেই টাইম লস এবং চিটিং : পিটিস কেন করা উচিত নয়

ptc-scam

অনলাইনে আয় ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশী খোজ করা বিষয়ের মধ্যে একটি। আর অনলাইনে আয় নিয়ে এই ক্ষেত্রে ধোকাবাজিও কম নয়। অনেকেই  অনলাইনের আয়ের উপায় হিসাবে পিটিসি করছেন। শুধু মাত্র ক্লিকের মাধ্যমে অনলাইনে আয়। আসুন জেনে নেই এই পিটিসি সাইট গুলো কিভাবে আপনাকে ধোকা দেয়।
পিটিসি সাইটের বিভিন্ন নেগেটিভ বিষয়গুলো বলার আগে জেনে নেই পিটিসি সাইট কি?
পিটিসি=পেইড টু ক্লিক। যেখানে আপনি রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে নিদির্ষ্ট কিছু ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করবেন। এর ফলে আপনাকে ০.০০১ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৮ পয়সা) বা ০.০৫ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৪ টাকা), কিছু ক্ষেত্রে ০.১০ ডলার প্রদান করে থাকে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আপনাকে ৩০ সেকেন্ড বা ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে।
পিটিসি সাইটগুলো কিভাবে আয় করে
কোন কোম্পানি নতুন সাইট বা প্রোডাক্ট বাজারজাত করলে প্রয়োজন বিজ্ঞাপন। পিটিসি সাইট এই কাজটিই করে। ধরুন আমার ওয়েবসাইট itshikkha নতুন তৈরী করা হল। এখন বিজ্ঞাপনের জন্য পিটিসি সাইট আমার সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করল। ১০০০ ডলার এর বিনিময়ে আমার সাইটে পিটিসি সাইটগুলো ১০০০০ ভিজিটর পাঠাবে। তার মানে আমি প্রতি ভিজিটরের জন্য আমি ০.১০ ডলার বা ৮ টাকা সরবরাহ করছি আর পিটিসি সাইটটি আপনাকে প্রদান করছে ০.০০১ ডলার বা ৮ পয়সা। বাকিটুকু সম্পুর্ণ টাই পিটিসি সাইটের লাভ।
পিটিসি সাইটের আরএকটি বিষয় হচ্ছে রেফারেল। আমার পরিচিত একজন পিটিসি সাইটে জয়েন করল ১ জন রেফারেল নিয়ে সারা মাসে ০.৮০ ডলার মানে বাংলাদেশী টাকায় ৬৪ টাকা আয় করেছে। তার নেট বিল কত গেল ?? রেফারেল পাওয়ার জন্য সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় স্প্যামিং করেছে। ব্যক্তি সন্মান ও ক্ষুন্ন হল। বাংলাদেশে একসময় এমএলএম দেশের জনগণের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। একটি নিদিষ্ট সময় শেষে আপনি দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টে মেসেজ দেখাচ্ছে আপনার ব্যালেন্স কেটে নেওয়া হয়েছে রেফারেল প্রোগ্রাম বা অ্যাকাউন্টটি আপগ্রেড করার জন্য। তার মানে কি হল ?? আপনার সাথে চিটিং করছে। আপনি যদি ১০০ রেফারেল ও পান তবে াসে ১০ ডলার ও আয় করতে পারবেন না। আর রেফারেল পাওয়া কি এতই সোজা ?? ধরুন আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবদের হাত জোড় করে বা ব্রেইন ওয়াশ করে ১০০ রেফারেল পেলেন। তারা কি প্রতিদিন কাজ করবে ??
আপনি যদি প্রতিদিন পিটিসি এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক এবং রেফারেলের জন্য ২ ঘন্টা সময় ব্যায় করেন তাহলে একমাসে আপনি ব্যায় করবেন ৬০ ঘন্টা। ৬০ ঘন্টা পরিশ্রম করে বেসিক ওয়েব ডিজাইন শিখা সম্ভব। একজন ওয়েব ডিজাইনার আয় করতে পারেন প্রতিমাসে হাজার ডলার ও। শুধু ওয়েব ডিজাইন করে নয় ওয়েব ডিজাইনারের আরও অনেক ধরনের আয়ের রাস্তা আছে। দেখুন : ওয়েব ডিজাইনারের আয় । ২ ঘন্টায় যদি আপনার ইন্টারনেটে ১০০ এমবি করে কাটে তাহলে প্রতিমাসে ৩০০০ এমবি কাটবে মানে ৩ গিগা। ৩ গিগাবাইট ডাটার মুল্য কত ?? ১০০ টাকা করে হলেও ৩০০ টাকা। আপনি আয় করবেন কত ??
এর মধ্যে অধিকাংশ পিটিসি সাইট ফেইক। পেমেন্ট দিবে না। বিভিন্ন কারনে আইডি বন্ধ করে দিবে আরও কত সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই পিটিসি করার আগে অন্তত ১০০ বার ভাবুন। অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে জানুন। অনলাইনে আয় সম্পর্কে জানতে দেখতে পারেন নিচের লিংকটিতে।
অনলাইনে আয়

ফেসবুকের মাধ্যমে চাকরি খোঁজার ৭ পরামর্শ

Job Facebook

ফেসবুকে যেন অনেকেরই এখন নিত্য সময়ের সঙ্গী, সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়ই ফেসবুকেই চুপটি মেরে বসে থাকা।

বেশি দিন হয়নি ফেসবুকে এক দিনে ১০০ কোটি মানুষ লগ ইন করেছেন। এ বছরই পিউ রিসার্চ সেন্টার এক গবেষণায় জানায়, প্রযুক্তির যুগে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী খোঁজার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে সোশাল মিডিয়াকে। এর মধ্যে ফেসবুক রয়েছে সবচেয়ে বড় ক্ষেত্রটি নিয়ে।

এর আগে ২০১৪ সালে সোশাল রিক্রুট সার্ভে জানায়, ৬৬ শতাংশ নিয়োগ ঘটেছে ফেসবুকের মাধ্যমে। তাই আপনি যদি চাকরি খুঁজতে থাকেন, তাহলে ফেসবুককে কাজে লাগান। এখানে এ কাজে ৭টি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

১. অডিট করুন:
গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে নিজের নাম সার্চ দিন। সার্চের পর প্রথম পেজে যে ফলাফল আসবে তা নোট করে নিন। এ ক্ষেত্রে এমন লিঙ্ক আসবে যেখানে আপনার নাম রয়েছে। এখানে ফেসবুক প্রোফাইলের ক্ষেত্রে যে লিঙ্কটি আসবে তাতে ক্লিক করুন। ফেসবুকে আপনার পোস্টটি যদি আপডেট দেখায় তাহলে তা পাবলিক পোস্ট হিসেব আপডেট করা আছে। অর্থাৎ, এটা সবাই দেখবেন এবং কমেন্ট করতে পারবেন। এখানে ব্যক্তিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য পোস্ট যেনো সবাই দেখতে পান যে অপশন দিয়ে রাখুন।

২. প্রাইভেসি সেটিং সম্পর্কে ধারণা নিন:
ফেসবুক ঘন ঘন প্রাইভেসি সেটিং বদলায়। যেকোনো মানুষ আপনাকে যদি ফেসবুকে ইমেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে খুঁজে পেতে চান, তবে আপনার প্রাইভেসি সেটিংস-এর Who can see my stuff’, Who can contact me’ এবং ‘Who can look me up’ অংশে অপশন দিতে হবে। চাকরিদাতারা যেন আপনাকে সহজে খুঁজে পান তার ব্যবস্থা তো রাখতে হবে।

৩. চাকরি দেখতে গ্রুপ:
ফেসবুক চাকরির বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা নয়। তবে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে যেখানে চাকরিরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী চেয়ে থাকে। যে শহরে থাকেন তার নাম এবং ‘jobs’ শব্দটি যোগ করে ফেসকু সার্চ করুন।

৪. প্রোফাইল পূর্ণ করুন:
যদি ফেসবুকের মাধ্যমে চাকরিদাতাদের নজরে পড়তে চান, তবে প্রোফাইলে আগের অভিজ্ঞতার তথ্য জুড়ে দিন। ‘অ্যাবাউট’ অংশে গিয়ে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি তথ্য সরবরাহ করুন।

৫. পেশাদার হোন:
চাকরিপ্রার্থীদের সবচেয়ে বড় ভুলটি হলো অতিরিক্ত শেয়ার দেওয়া এবং অপেশাদার আচরণ করা। যদি তা করেই থাকেন, তবে রিজ্যুমি ফেসবুকে রাখা ঠিক নয়। আপত্তিকর পোস্ট, ছবি বা কোনো আচরণ থেকে বিরত থাকুন।

৬. নেটওয়ার্ক:
স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে? থাকলে হয়তো আপনার পরিস্থিতি ভিন্নরকম হতে পারতো। আসল কথাটি হলো, নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে হবে। যত বেশি মানুষের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগ থাকবে আপনার সুযোগ তত বাড়বে।

৭. সমাধানের উপায় হবে ফেসবুক:
চাকরি খুঁজতে ফেসবুকে সময় দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা এমনিতেই ফেসবুকে পড়ে থাকেন, তারা এর মাধ্যমে চাকরি খুঁজলে অনেক বাড়তি সুবিধা ভোগ করত পারবেন। আর যারা ফেসবুকে সময় দেন না, তাদের চাকরি খুঁজতে এখানে সময় দেওয়া জরুরি।