দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ?

Chandra grahan
২৮ জুলাই, ২০১৮ তারিখে দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সংঘঠিত হবে। প্রায় ১ ঘন্টা ৪২ মিনিট দীর্ঘস্থায়ী এই চন্দ্রগ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান হবে।

বাংলাদেশে চন্দ্রগ্রহণের সময়সূচি নিম্মরূপ:
চাঁদের উপচ্ছায়ায় প্রবেশ: রাত ১১:১৪:৪৭ (২৭ জুলাই)
চাঁদের প্রচ্ছায়ায় প্রবেশ: রাত ০০:২৪:২৭ (২৮ জুলাই)
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু: রাত ০১:৩০:১৫
সর্বোচ্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: রাত ০২:২১:৪৪
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সমাপ্ত: রাত ০৩:১৩:১১
প্রচ্ছায়া থেকে চাদেঁর বেরিয়ে যাওয়া: ভোর রাত ০৪:১৯:০০
উপচ্ছায়া থেকে চাদেঁর বেরিয়ে যাওয়া: সকাল ০৫:২৮:৩৮

কক্ষপথ পরিভ্রমনের এক পর্যায়ে চাঁদ পৃথিবীকে মাঝখানে রেখে সূর্যের সাথে এক সমতলে এবং এক সরলরেখায় চলে এলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে বাঁধা পড়ে চাঁদে পৌঁছতে পারে না। তখনই ঘটে থাকে চন্দ্রগ্রহণ।

বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের যে ৫টি উক্তি থেকে আমরা জীবনের শিক্ষা পাই

AA

জীবনটাকে অনেক বেশিই কঠিন মনে হয় অনেকের কাছে। কিছু হলেই ভেঙে পড়ি, আফসোস ও চিন্তা করি ভাগ্য নিয়ে। কিন্তু আসল কথাটি কি জানেন? আসল কথা হচ্ছে জীবন অনেক সহজ কিন্তু আমরাই এটাকে কঠিন করে তুলি। যখন একটি সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ায় তখন তা সমাধানের চাইতে সেই সমস্যা নিয়ে ভাবতেই বেশি ব্যস্ত থাকি আমরা।

জীবনটাকে সুখী ও সফল করার শিক্ষা কিন্তু অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষই আমাদের দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা তার কোনোটাই কাজে লাগাই না। বিখ্যাত মানুষজনের অনেক উক্তি জীবন সম্পর্কে অনেক শিক্ষা দেয়, কিন্তু আমরা তা এড়িয়ে যাই। আজকে বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের এমনই কিছু শিক্ষামূলক উক্তি উপস্থাপন করছি যা আমাদের জীবন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে।

নিজের কৌতূহলকে অনুসরণ করো

“I have no special talent. I am only passionately curious”
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মনে করতেন তার মধ্যে কোনো বিশেষ প্রতিভা নেই। তিনি শুধুই নিজের কৌতূহলকে অনুসরণ করতেন, কৌতূহল মেটানোর জন্যই তাঁর এতো সব কাজ করা। তিনি তার উক্তি দিয়ে বলতে চেয়েছেন, যে ধরণের কৌতূহলই হোক না কেন তা অনুসরণ করে ভেতরের মূল কাহিনী বের করা উচিৎ। এতে করে জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

সমস্যাটিকে সময় দেয়া

“It’s not that I’m so smart; it’s just that I stay with problems longer.”
নিজেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান বলে কখনোই আখ্যায়িত করতে চাননি তিনি। তার মতে একটি সমস্যার সমাধান তখনই হবে যখন তার পেছনে আপনি সময় দেবেন। সেই সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবতে থাকবেন। যে বিষয়টি নিয়ে আপনি বিভিন্ন উপায়ে ভাবছেন তার কোনো না কোনো উপায় আপনার সমস্যাটি সমাধান করবেই। কিন্তু আপনি শুরুতেই তা নিয়ে ভাবনা ছেড়ে দিলে এর সমাধান খুঁজে পাবেন না কখনোই।

ভুল করুন

“A person who never made a mistake never tried anything new.”
আমরা মনে করি ভুল করলে আমরা ছোটো হয়ে যাবো, অন্যেরা আমাদের নিয়ে মজা করবে, কে কী বলবে ইত্যাদি। কিন্তু, সত্যিকার অর্থেই যিনি কোনো ভুল করেননি তার অর্থ হচ্ছে তিনি কখনোই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেননি। তিনি যা পারেন তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছেন। অর্থাৎ এই চিন্তা করে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিভাকে সীমাবদ্ধ করে পিছিয়ে পড়ছি। নতুন কিছু করে জীবনটাকে উন্নত করার চেষ্টাই করছি না।

নিজের মূল্য নিজে তৈরি করুন

“Strive not to be a success, but rather to be of value.”
অনেকেই আছেন যিনি শুধুমাত্র সফলতার পেছনে ছুটে চলেন, বাদবাকি অন্য কিছু নজরেই পড়ে না। এতে করে তিনি কী হারাচ্ছেন তা বুঝতে পারেন না একেবারেই। হয়তো সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছেন নিজের মূল্যবান কিছু, নিজের মান-সম্মান। সে কারণেই তাঁর এই উক্তিটি, যার অর্থ হচ্ছে ‘ সফলতার পেছনে সংগ্রাম না করে, নিজের মান রাখার জন্য সংগ্রাম করা উচিৎ’।

কল্পনার অনেক ক্ষমতা

“Imagination is everything. It is the preview of life’s coming attractions. Imagination is more important than knowledge.”
কল্পনার রয়েছে অসীম ক্ষমতা। এটি জ্ঞানের চাইতেও বেশি পরিধি সম্পন্ন। কারণ যিনি সব দিক থেকে অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করেছেন, যার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি সর্বক্ষেত্রে তিনিই অনেক কিছু নিজের ভেতর থেকে কল্পনা করতে পারেন। এবং সেই কল্পনাকে বাস্তবতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা তখন অনেক প্রবল হয়ে ওঠে। এতে করেই মানুষ ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। অনেক ক্ষেত্রে আপনি যখন কোনো ব্যাপার নিয়ে কল্পনা করবেন তখন এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আপনার আরো বেশি জানার আগ্রহ বাড়বে। এজন্যেই তিনি বলেছেন, ‘কল্পনা জ্ঞানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’।

অনলাইনে আজব বিজ্ঞাপন: বাড়ী কিনলে সুন্দরী বউ ফ্রি !

Wife

বাড়ি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক নারী, বাড়ী কিনলে সুন্দরী বউ ফ্রি। আর দশটি বাড়ির মতো একতলা বাড়িটিতে দুটি শয়নকক্ষ, দুটি স্নানাগার, একটি গাড়ি রাখার স্থান ও একটি মাছের পুকুর রয়েছে। কিন্তু তাঁর বিজ্ঞাপনটি দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কারণ বাড়ির ক্রেতার রয়েছে ‘এক বিশেষ প্রস্তাব’।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে জানানো হয়, ইন্টারনেটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে ওই বাড়িটি উল্লেখ করা বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে দেওয়া বিশেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘আপনি যখন বাড়িটি কিনবেন, চাইলে বাড়ির মালিককে সুন্দরী বউ পেতে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন।’ বিজ্ঞাপনে বাড়ির ছবির সঙ্গে ৪০ বছর বয়সী বাড়িটির মালিক উইনা লিনার ছবি দেওয়া হয়েছে। ছবিতে লিনা বাড়ির সামনে রাখা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে।

তবে ওই বিজ্ঞাপনে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। ‘প্রকৃত ও এক দামের’ ক্রেতাদের জন্য বিশেষ প্রস্তাবটি প্রযোজ্য হবে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সলেমানে বাড়িটি কিনতে খরচ হবে ৯৯৯ মিলিয়ন রুপিয়া। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫৮ লাখ টাকা।

এ সংবাদটি প্রচার হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বোল্ডিস ৯৯ নামের জনপ্রিয় একটি অনলাইন ফোরাম জানায়, ‘লি দুর্দান্ত স্মার্ট, তিনি বাড়িটি বিক্রি করবেন, আবার ক্রেতার সুন্দরী বউ হিসেবে মালিকও থেকে যাবেন।’

লেকের পানিতে আগুন জ্বলে! (ভিডিওসহ)

Leker-panite-agun

ছবিতে আপনারা যা দেখছেন তা কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর। শুভ্র সাদা ফেনা। কিন্তু যখন আপনি জানবেন, হ্রদের (লেক) পানিতে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ থেকে দিনে দিনে তৈরি হয়েছে এই ফেনা, তখন আর তা সুন্দর লাগবে না আপনার কাছে। বাস্তবে সেটিই হয়েছে।

ছবিটি ভারতের একটি লেকের। এর ওপরে সাদা যে আস্তরণটা দেখা যাচ্ছে, সেটা হলো অ্যামোনিয়া ও ফসফেট মেশানো পানির ওপরের ফেনা। এই পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই নগণ্য। আর বলাই বাহুল্য যে এই ফেনা খুবই বিষাক্ত। এটা এতটাই বিষাক্ত যে তেল, গ্রিজ ও ডিটারজেন্ট মেশানো এই পানিতে প্রায়ই আগুন ধরে যায়।

যে লেকটির কথা বলা হচ্ছে, সেটির অবস্থান ভারতের বেঙ্গালুরুতে। প্রায় ৩৬ কিলোমিটার চওড়া এই লেকের নাম বেলান্দুর লেক। ফেনায়িত এই লেকের পানি আবার একটি খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় লেকটির এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর যখন বৃষ্টি হয় তখন এই লেকের ময়লা পানি উপচে পড়ে আশপাশের এলাকা ও রাস্তায়। পুরো বিষয়টি দেখতে যেমন খারাপ, এর গন্ধটাও তেমনি বাজে।

আইএফএল সায়েন্স ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এই ফেনায় মাঝে মাঝেই আগুন ধরে যায়। তবে কীভাবে এই্ আগুনের সূত্রপাত হয় তা অবশ্য জানা যায়নি। পানির উপরিভাগে মিথেন গ্যাসের ক্রিয়ায় এই আগুন জ্বলে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত লেকের পানিতে কেউ জ্বলন্ত সিগারেট ছুড়ে ফেলেছিলেন। আর তা থেকেই শুরু হয় এই বিপত্তির।

এদিকে বাতাসে এই ফেনা আশপাশের শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। এতেও পরিবেশদূষণ ঘটছে। এর ফলে কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটুকু বলা যায় যে, পানি, রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ইত্যাদি মিশে যা তৈরি হচ্ছে তা শরীরের জন্য কখনোই ভালো হবে না।

এর আগে ২০০০ সালে এই লেকে বর্জ্য ফেলা নিয়ে একটি রিট করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত জুন মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, অবৈধ স্থাপনা, অনিয়ন্ত্রিতভাবে আবর্জনা ফেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে লেকটির এমন দুর্দশা হয়েছে।

১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর একটি নদীতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে গড়ে ওঠে পরিবেশ আন্দোলন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভারতেও এমন জোরদার আন্দোলন গড়ে ওঠার সময় হয়েছে।

এখানে ভিডিও দেখুন:


 

 

চায়নাতে থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় ১০টি করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে! (ভিডিওসহ)

3d-house

পৃথিবীতে দৈনিক’ই বেড়ে চলছে মানুষের সংখ্যা কিন্তু সে হারে আবাসস্থল বাড়ছে না। তাই বলে কি মানুষ থেমে আছে? নেই, আমারা একের পর নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছি এবং প্রতি ইঞ্চি জমির কিভাবে সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায় সে দিকে মনোনিবেশ করছি।

আপনারা অনেকেই হয়তো এই আগেই থ্রিডি প্রিন্টারের কথা শুনেছেন, যেটির মাধ্যমে ইচ্ছামতো অনেক কিছুই তৈরি করা সম্ভব? হ্যাঁ ছোটখাটো বস্তু সে না হয় মানলাম তাইবলে একটি আস্ত বাড়ি তৈরি করা কিভাবে সম্ভব? তাও আবার ২৪ ঘণ্টায় ১০টি করে। কথাগুলো সত্যি বিশ্বাস করার মতন না। কিন্তু যখন ভিডিওটি দেখবেন আর বিবিসির মতো নিউজ পোর্টাল যখন এটি নিয়ে নিউজ করে তখন আর বিশ্বাস না করে উপায় থাকে না।

চায়নার এই ইঞ্জিয়ারিং কোম্পানিটি 10m X 6.6m প্রিন্টার ব্যবহার করে বাড়ি তৈরি করছে। কাজটি করছে যেভাবে-

প্রথমে সিমিন্টের রেডি মিক্স তৈরি করে নিয়ে সেটি সঠিক মাপ অনুযায়ী স্প্রে করে তৈরি করছে শক্ত পক্ত দেয়ালের বাড়ি।

কথাটা আপনার কাছে একটু জটিল মনে হবে। এক কাজ করুন নিচে দেয়া ভিডিওটি দেখুন। পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবেন।

তবে নতুন এই প্রিন্টার দ্বারা আপাতত বাড়ির ছাদ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না কিন্তু তাতে কি পরবর্তীতে সেটিও যাবে।

আর খরচ? বর্তমানে এই থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি খরচ হচ্ছে ৫হাজার ডলারের মতন।

কোম্পানিটির মতে তারা নতুন এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারবে। এবং ভবিষ্যতে অল্প সময়ে একাধিক বা বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি বানাতে সক্ষম হবেন।

পোস্টটি পড়ার পর সবার আগে আপনার মনে যে প্রশ্নটি আসবে সেটি হল এই প্রযুক্তি আমাদের দেশে কবে আসবে? আমার মতে, জেহুতু চায়নাতে নতুন এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে সো খুব বেশী দিন লাগবে না। কারন চায়না আর কিছু না হোক আইডিয়া শেয়ারিং এ সেরা।

মিলিটারি মা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে তোলপাড়

Military Mother

‘যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন’— প্রাচীন এই প্রবাদ ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরলেন মিলিটারি মায়েরা। তাঁরা দেখালেন, যে মা যুদ্ধ করেন তিনি সন্তানও মানুষ করেন। আমেরিকার এমনই একটি ছবি এই মুহূর্তে চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বদলে দিয়েছে ‘মাদারহুড’এর চলতি ধারণা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে দশ জন মিলিটারি মা তাঁদের শিশু সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন। ছবিটি এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তারা রুবি নামের একজন প্রাক্তন মার্কিন সেনানী। ১৯৯৭-২০০১ পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তারা। বর্তমানে তিনি পেশায় ফটোগ্রাফার।

সম্প্রতি টেক্সাসের এল পাস্তো আর্মি পোস্টের হেডকোয়ার্টারে একটি নার্সিং রুম তৈরি হয়েছে। যেখানে সদ্য মায়েদের বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত চেয়ার, নির্দিষ্ট সময় অন্তর সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য দুধ— এই সব কিছুর ব্যবস্থা থাকছে। ওই বিশেষ ঘরটি তারা বিভিন্ন ছবি দিয়ে সাজাতে চান।

সে কারণেই গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীতে কর্মরতা কয়েকজন মাকে ডেকেছিলেন তারা। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো দু’তিন জন মা আসতে রাজি হবেন। কিন্তু সে দিন দশজন মিলিটারি মা এসেছিলেন। সম্পূর্ণ সেনার পোশাকে সন্তানদের স্তন্যপানের ছবি তুলেছেন তাঁরা।

তা দেখে অভিভূত তারা ফেসবুকে জানিয়েছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, আজ আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। এই গ্রুপ ছবি সেই মিলিটারি মায়েদের কথা বলছে, যারা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রু সামলেও সন্তানদের দেখভাল করছেন। মিলিটারি মায়েদের স্যালুট।’’ তারার তোলা ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে স্যালুট করছে গোটা বিশ্ব।

নির্ধারিত সময়ে সহজে কর্মক্ষমতাকে কিভাবে বাড়িয়ে নেয়া যায়?

Work

প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজেকে শুধু টিকিয়ে রাখা নয়, দরকার এগিয়ে নেয়া। কিন্তু চাইলেই তো আর সবকিছু সম্ভব নয়। অনেক কাজের চাপ থাকলেও অল্প কাজ করে দিনপার করে দেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রয়ে যায়। তবে পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে আপনিই হয়ে উঠবেন সেরাদের কাতারের একজন। আসুন দেখে নেয়া যাক, নির্ধারিত সময়ে কর্মক্ষমতাকে আরও কিভাবে বাড়িয়ে নেয়া যায়-

– ধরুন, আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল অবস্থানে আছেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার কাজের দুইটি আলাদা তালিকা তৈরি করে নিন। প্রথম তালিকাতে থাকবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা অল্পদিনের মধ্যেই করতে হবে। দ্বিতীয় তালিকাতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাখুন। যেগুলো ধীরে সুস্থে করলেই চলবে।

– প্রথম তালিকাটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে আর দ্বিতীয় তালিকাটির কাজগুলো চলুক স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু যে দিন আপনি হালকা কোন কাজ করবেন সেদিন দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাছাই করে দুই-একটা কাজ হাতে নিতে পারেন।

– আপনার আসা ই-মেইলগুলোর জবাব দিতে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন তা আগেই ঠিক করে নিন। গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে ই-মেইলগুলোর জবাব দিন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় এতে ব্যয় করবেন না কখনোই। পরে দেখবেন বলেও ফেলে রাখবেন না, এতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই হারাতে পারেন।

– আপনার পারগতার বাইরে কাজের চাপ নিতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আপনি যখন চরমভাবে পরিশ্রান্ত তখন সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কারণ, একদিনে অত্যাধিক পরিশ্রম কেবল আপনার কর্মক্ষমতার গতিকেই মন্থর করেনা, সঙ্গে পরের দিনের কাজের গতিকেও রোধ করে।

– কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিনের শেষ ভাগে করার জন্য তুলে রাখুন। যদি কাজটি শেষ করতে না পারেন তাহলেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

– অল্প সময়ে বেশি অগ্রগতির চিন্তা করে বর্তমান কাজকে নষ্ট করবেন না। বরং ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটু একটু করে বাড়তি কাজের চাপ নিতে শিখুন, কর্মক্ষমতা এমনিই বেড়ে যাবে।

– নিয়মিত অল্প পরিমানে শরীরচর্চা বজায় রাখতে পারলে কাজের উদ্যাম আসে। অল্পতে ক্লান্তি বোধ হয় না। কাজের পুরো সময়টা আপনি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে পারলে আপনার কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে বাধ্য। আর এতে আপনার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য হাতে এসে ধরা দেবে সহজে। মনে রাখবেন, সফলতার জন্য পরিকল্পিত পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।

জেনে নিন পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে।

সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের মাঝে নতুন কিছু জানার আর জ্ঞান বুদ্ধির চর্চার প্রয়াস লক্ষ করা যাই। প্রাচিন সমাজ বাবস্তাই শিক্ষাটাই মুখ্য হয়ে ওঠেনি হয়তো, এটার একটা কারন হতে পারে ভাষাগত দুর্বলতা এবং তাদের জীবন পরিচালনার ধরন, প্রাচিনকালে মানুষের নিজেদের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ইশারা বা আকার ইঙ্গিত, পরবর্তীতে সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠে ভাষা । ভাষাগত দক্ষতা বিদ্ধির ফলে মানুষের জ্ঞান চর্চার পরিধি এবং সুযোগও বিদ্ধি পাই ।

তবু একটা সমস্যা জ্ঞান বিস্তৃতির পরিধি টা সঙ্কুচিত করে ফেলে, তৎকালীন সমাজ বাবস্তাই শিক্ষাটা সার্বজনীন ছিলনা,সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষের পক্ষেই জ্ঞান চর্চাটা সহজ হতো । পরবর্তী সময় মানুষ উপলব্ধি করতে পারে সভ্যতার ক্রমবিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষা বিস্তারের বিকল্প নেই। এই প্রেক্ষাপটেই জ্ঞানবিজ্ঞানের আঁতুড় ঘর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলছি হয়তো । আসুন তাহলে জেনে নি পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে।
আল-কারাউইয়িন(Al-Qarawiyyin) আরবি (جامعة القرويين) পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় । এটি মরক্কের (Morocco) ফেজে অবস্থিথ । ফাতিমা আল ফিহরি নামে এক ধনি সম্ভ্রান্ত মহিলা ৮৫৯ সালে উচ্চশিক্ষায় বিশ্বের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি প্রদানকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। তৎকালীন সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হত।

শিক্ষাব্যবস্তাঃ প্রথম থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় এ ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হতো যার প্রেক্ষিতে আরবি ব্যাকারন ,ভাষা বিজ্ঞান এবং ইসলামিক আইন সম্পর্কিত বিষয়ের উপর অধ্যয়নের সুযোগ ছিল। এছাড়াও ফার্সি ,ইংরেজি এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে অধ্যয়ন করা যেত।
সব থেকে মজার বিষয় জেটা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান প্রক্রিয়া ছিল সনাতন পদ্ধতির শিক্ষার্থীদের উপবিত্তকার ভাবে বসে পাঠ নিতে হতো ।
Al-Qarawiyyin বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষার্থী: এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছে আধুনিক উচ্চশিক্ষার পদযাত্রা । এই পদ যাত্রার অগ্রপথিক যারা এখান থেকে অধ্যায়ন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন আর নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন অক্রিত্তিম প্রেরনা, চলুন জেনে নি তাদের কয়েক জনের নাম।

১। গার্বার্ট অব অভার্গন -(পরবর্তীতে পোপ দ্বিতীয় সিলভেস্টার হন। বাকি ইউরোপে আরবি সংখ্যা পদ্ধতি ও শূণ্যের ধারণার প্রচলন ঘটনার জন্য তাকে কৃতিত্ব দেয়া হয়)
২। ইবনে খালদুন-( একজন আরব মুসলিম পন্ডিত। আধুনিক সমাজবিজ্ঞান,ইতিহাস ও অর্থনীতির জনকদের মধ্যে তাকে অন্যতম বিবেচনা করা হয়।)
৩। মাইমনিদেয়াস -(বিখ্যাত ইহুদি দার্শনিক)।
৪।মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিস (বিখ্যাত ভূগোলবিদ)।
৫। জাঁকব গলিউস –( বিখ্যাত গণিতবিদ)।
এছাড়াও , Muhammad Taqi-ud-Din al-Hilali, Abdullah al-Ghumari, Imam al-Bannani, Leo Africanus, Nicolas Cleynaerts, Abd el-Krim el-Khattabi, Allal al-Fassi এর নাম উল্লেখযোগ্য ।
সুপ্রিয় পাঠক সাধ্যমত চেষ্টা করেছি সঠিক তথ্য গুলো জানানোর তবুও ভুল হলে গঠন মূলক সমালোচন করতে ভুলবেন না  , আপনাদের Support ই অনুপ্রানিত করবে আর ভালো তথ্যমূলক লেখার। আমার এই ছোট্ট পরিশ্রম সার্থক হবে যদি আপনাদের জ্ঞানপিপাসু মনের জানালাটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে।

চীনে বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের সেতুতে ফাটল!

Glass Road

চীনের তিন হাজার পাঁচশো ৪০ ফুট উঁচু পাহাড়ের গায়ে তৈরি কাচের সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত সোমবার (৫ অক্টোবর) একজন ভ্রমণকারী ফাটল ধরা ব্রিজের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি জানান, কাচের প্ল্যাটফর্মটি ফেটে যাওয়ার সময় তিনি ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন।

চীনের হেনান প্রদেশে ইউনতাই পর্বতমুখী একটি পাহাড় ঘিরে ইউ শেপের এ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে। জনগণের প্রবেশের জন্য প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয়।
কাচের ওয়াকওয়েটি ফেটে যাওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন ও এটি মেরামতের জন্য আপাতত এখানে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সাক্ষী পর্যটক জানান, তিনি ব্রিজটির শেষ সীমানায় পৌঁছাতেই ঠুং করে কাচ ভাঙার শব্দ শোনেন ও পায়ের নিচে কম্পন অনুভব করেন। নিচের দিক তাকিয়ে দেখেন সেতুতে ফাটল।

ইউনতাই পর্বতের এক মুখপাত্র জানান, এক টুরিস্টের হাত থেকে স্টেইনলেস স্টিলের মগ পড়ে ওয়াকওয়ের গ্লাস ভেঙে গেছে। তবে তিন স্তরের ওয়াকওয়ের প্রথম স্তরটিই শুধু ভেঙেছে। তাই সেটা গুরুতর বিপদজনক কিছু নয়। তবুও পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে পর্টকদের আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি কর‍া হয়েছে।

চীনের সপ্তাহব্যাপী জাতীয় দিবসের ছুটিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারণা অনুযায়ী, এ সময় সেখানে পাঁচশো ৩২ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিলো।
দু্ইশো ২৩ ফুট চওড়া ও আটশো ৫৩ ফুট দীর্ঘ এ প্ল্যাটফর্মটি তিন স্তর বিশিষ্ট কাচের পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে। যার ওজন প্রায় আটশো কিলোগ্রাম।

আজ বাজারে আসছে নতুন ইলিশ

hilsa

১৫ দিন দেশের নদীগুলোতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার রাত থেকে আবারো মাছ ধরা শুরু করেছেন নদী তীরের জেলেরা। আর তাই শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের সকল বাজারে উঠবে নতুন ইলিশ।

এদিকে মৎস্য অধিদফতর বলছে, প্রচুর সংখ্যক ইলিশ সাগর থেকে নদীতে উঠে এসেছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। এবার ইলিশের আকারও বড়। সাগর থেকে উঠে আসা মাছ বেশি পরিমাণে ধরা পড়লে শনিবার পদ্মা ও মেঘনাসংলগ্ন ইলিশের আড়তগুলোতে মাছের দাম কম হবে বলে মনে করছে পদ্মাসংলগ্ন মাওয়া মৎস্য আড়তের ইলিশ ব্যবসায়ীরা।

ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত বছরের চেয়ে এবার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা চার দিন বেশি ছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ করা হয়। তবে জেলেরা নিষেধ না মেনে প্রচুর ইলিশ ধরেছে বলে জানা গেছে। ওই সব ইলিশ বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করা হয়েছে। আজ রাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সেগুলো বাজারে আসবে।