সেনাবাহিনীর বেসামরিক ২২০ পদে চাকরি

army

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বেসামরিক পদে জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম
ইঅ্যান্ডবিআর, বার্তাবাহক, মেসওয়েটার, সহকারী বাবুর্চি, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, উচ্চমান করণিক, অফিস করণিক, ফায়ার ক্রু, অফিস সহায়ক, শ্রমিক, স্টোরম্যান, ট্রেসার, ফিটার এমভি (এইচএস-২), ফিটারগান (এইচএস-২), কার্পেন্টার (স্কিল্ড), ফিটার সি ভিহিকল (এসএস-২), নিরাপত্তা প্রহরী, বাবুর্চি, ইউএসএম, ড্রাফটম্যান, ফায়ারম্যান, বুকবাইন্ডার, পেইন্টার (স্কিল্ড), সহকারী প্যাকার, সার্চার, নিরাপত্তা প্রহরী, বেঞ্চ ফিটার, বাটলার ও মালি।

পদ সংখ্যা: ২২০ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা
অফিস করণিক, বার্তাবাহকের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি ও অষ্টম শ্রেণি, এসএসআই-এর ক্ষেত্রে স্নাতক। এছাড়া অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণি ও মালির জন্য অক্ষরজ্ঞান থাকলেই যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।

শর্তাবলী
সশস্ত্র বাহিনীর অব্যহতি কিংবা অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের ক্ষেত্রে তিনি সামরিক বাহিনীতে যতদিন চাকরি করেছেন ততদিনের জন্য স্বাভাবিক অবসরের বয়স পর্যন্ত বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। কিন্তু অবসর গ্রহণযোগ্য বয়সে উপনীত হলেও নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না, বা বেসামরিক পদে বহাল থাকবেন না।

বয়স
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখে আবেদনকারীর বয়স সকল পদের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে থাকতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় যথাযথ সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

যা যা প্রয়োজন
প্রার্থীকে আবেদনপত্রে পদের নাম, বিজ্ঞপ্তি নম্বর, প্রার্থীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর/জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তারিখে প্রার্থীর বয়স, মাতার নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (পোস্ট কোডসহ), জাতীয়তা, ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ দিতে হবে।

আবেদন পাঠাবেন যেভাবে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফর্ম অনুযায়ী আবেদনপত্র প্রেরণ করতে হবে। তবে চাকরির নির্ধারিত ফর্ম  www.mopa.gov.bd/en এই লিংকে পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিস্তারিত পাওয়া যাবে www.joinbangladesharmy.mil.bd ও পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে।

আবেদনের শেষ সময়
অবশ্যই ৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্রের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

Meat

মাংস কখনোই এক মাসের বেশি ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশংকাই বেশি। এক মাসের বেশি যে মাংস ফ্রিজে রেখে দেয়া হয় তাতে পুষ্টিগুণ খুব কমই অবশিষ্ট থাকে। যত দেরি হবে ততই পুষ্টিগুণ ও স্বাদ দু’টোই কমে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব মাংস খেয়ে ফেলা উচিত বলে জানান তিনি। তবে রোদে শুকিয়ে বা জ্বাল দিয়ে মাংস সংরক্ষণের প্রাচীন যে পদ্ধতি, তাতে কোনো সমস্যা নেই। মাংস জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ করতে চাইলে বেশি পরিমাণে মসলা না দেয়াই ভালো। তাহলে সব বয়সী মানুষের জন্যই তা উপকারী হবে।

ফ্রিজে রাখার জন্য মাংস আলাদা করার সময় কয়েকটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। যে মাংসগুলো ফ্রিজে রাখা হবে সেগুলো শুরুতেই ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেয়া ভালো। তাতে চর্বি ছাড়াতে সুবিধা হয়। রক্তসহ মাংস কোনোভাবেই ফ্রিজে রাখা যাবে না। বরং তরল রক্ত আগে ভালোমতো ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মাংস ফ্রিজে রাখার জন্য প্যাকেট করুন। ফ্রিজে রাখার আগে মাংস পানি দিয়ে না ধুতে চাইলে ফ্যানের বাতাসে একটু শুকিয়ে নিয়ে তারপর রাখুন। তবে জবাইয়ের পরপরই মাংস ফ্রিজে না রেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা ভালো। জবাইয়ের পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা মাংস শক্ত থাকে। এ সময়ের পর মাংস অল্প নরম হয়। তখন মাংস প্যাকেট করে ফ্রিজে রেখে দিন। মাংসে লবণ, ভিনেগার, মসলা মাখিয়ে ফ্রিজে রাখলে স্বাদ কিছুটা অটুট থাকবে। সাধারণত ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংস রাখা উচিত।

এছাড়া কড়া রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য মাংস সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা রোদে দিতে হবে। প্রথম কয়েকদিন প্রতিদিন, তারপর একদিন পরপর দিলেও মাংস ভালো থাকবে। তবে এ ঋতুতে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে প্রতিদিন কড়া রোদ পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই এ চেষ্টা না করাই ভালো। রোদে দেয়া ছাড়া প্রতিদিন জ্বাল দিয়েও মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। এজন্য প্রথমবার ১০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংস সিদ্ধ করুন। এর ফলে মাংসের মধ্যে থাকা নানা জীবাণু মরে যাবে। এরপর নির্দিষ্ট একটি পাতিলে প্রতিদিন নিয়ম করে মাংস জ্বাল দিন। একবার জ্বাল দিলে গরমকালে ১২ ঘণ্টা এবং শীতকালে ২৪ ঘণ্টা মাংস ভালো থাকে

মাংস সংরক্ষণের আরেকটা সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। এক হাঁড়ি পানিতে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাংসের বড় টুকরো হালকা সিদ্ধ করুন। এরপর কোনো চালুনি কিংবা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পানিটুকু ঝরিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। কয়েকদিন পর বের করে পাটায় ছেঁচে রান্না করে খান। মাংস ছাড়া কলিজা, মগজ, ভুঁড়ি, মাথা ও পায়া হলুদ এবং লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে যথাসময়ে বের করে খেয়ে নিন। এছাড়া পরে মাংস দিয়ে কাবাব বানানোর ইচ্ছা থাকলে মাংস মসলা দিয়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। অনেকদিন ভালো থাকবে। মাংস ফ্রিজে রাখার সময় মোটা পলিথিন ব্যবহার করুন। তাহলে এক প্যাকেটের গন্ধ অন্য প্যাকেটে অথবা পুরো ফ্রিজে মসলার গন্ধ ছড়াবে না। মাংস বের করার সময়ও সুবিধা হবে।

রান্না করা মাংস বেশি হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাংস ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। গরম মাংস ফ্রিজে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কোনো একটা বক্সে ভরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাংস ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। অনেকদিন ভালো থাকবে।

 গ্রন্থনা ষসাইফ বিন আইয়ুব

স্বপ্ন পূরণে হোমলোন

home-loan-

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। বরং বলা যায় স্বপ্নেই বাঁচে। কারণ স্বপ্নই যদি না দেখে তবে বাস্তবে রূপ দেবে কীভাবে। একজন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় স্বপ্ন নিজের একটি বাসস্থান। বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষই ঢাকামুখী। তাই বাসস্থান সমস্যা দিন দিন বাড়ছেই। ঢাকায় মানুষের সংখ্যা দেড় কোটির বেশি। যদিও মানুষের প্রথম ও প্রধান মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে বাসস্থান একটি, তবুও এই চাহিদাটি খুব কমই পূরণ হয়।
এ সমস্যা সমাধানে উঁচু দালানকোঠা তৈরি করা হচ্ছে। যদিও নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত_ এই তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হিসাবে জানা যায়, ঢাকায় বসবাসকারী যেসব পরিবার মাসে ৫০ হাজার টাকার কম আয় করে তাদের মধ্যবিত্ত পরিবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ শ্রেণীর একটা ঠাঁই করতে হলে নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করতে পারবেন। আবার দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি এবং সুদের হার কমানো গেলে অন্তত মধ্যবিত্তদের ঠাঁই হবে।
যদিও এখন এ সমস্যা সমাধানে বেসরকারি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এগিয়ে এসেছে; কিন্তু অনেক প্রতারণা আর মিথ্যা তথ্যের ভয়ে সে দিকেও পা বাড়াতে চান না। তবে বাজারে কমপিটিশনের কারণে দাম একটু কমেছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ব্যাংকগুলোও। তারা এখন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিচ্ছে। ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি নির্মাণ, পুরনো বাড়ি সংস্কার ও বর্ধিতকরণের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। এতে আবাসন সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এ ঋণ কীভাবে এবং কোথা থেকে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে জানা যাক_
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় সাধারণ মানুষ কীভাবে ভালো সেবা পেতে পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন চালু করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ গ্রহণ কিছুটা হলেও সহজ। তাই যার একখণ্ড জমি আছে অথচ টাকার অভাবে বাড়ি করতে পারছেন না, তিনি খুব সহজে ঋণ নিয়ে বাড়ি করতে পারছেন। এ ঋণ দেশের ৬টি করপোরেশন এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও সাভার পৌর এলাকার আওতাধীন এলাকায় পাওয়া যাবে। ঋণ গ্রহীতার অবশ্যই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এটা পরিবর্তনযোগ্য। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ ২০ বছর।
ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত এ ব্যাংক। ব্যাংক দুই ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করে থাকে। প্রথমত ব্যক্তি পর্যায়ে, দ্বিতীয়ত প্রকল্পভিত্তিক ঋণ সুবিধার যোগ্যতা হিসেবে বিভিন্ন পেশার মানুষ নিতে পারবে। অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট বা নির্মিত বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিনিয়োগ হবে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, যা ২০ লাখ টাকার বেশি হবে না। তবে গ্রাহকের নিজের জমির ওপর নতুন বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ৬০ শতাংশ ঋণ দেবে যা ৩০ লাখ টাকার বেশি হবে না। দেশের বর্তমান আবাসন সমস্যা লাঘবে এবং সীমিত আয়ের চাকরিজীবীদের গৃহায়নে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গৃহায়ন বিনিয়োগ প্রকল্প চালু রয়েছে। যেসব ব্যক্তি সুদভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করতে চান না, সেসব ব্যক্তির জন্য ইসলামী শরিয়াসম্মত বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে যোগ্যতা হতে হবে চাকরিজীবী হলে বেতন ২৫ হাজারের ওপর। যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে একটু বেশিই আয় হতে হবে। বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগের ৮০ শতাংশ ব্যাংক দিয়ে থাকে। বাড়ির ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ ২০ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সুদের হার ৯ দশমিক ৫০ থেকে ১০ শতাংশ।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী শরিয়াহ মতে চলে এ ব্যাংক। বাংলাদেশে বসবাসকারী মুসলিম পরিবারকে তারা ঋণ দিয়ে থাকে। বিনিয়োগের ৪০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। ২৫ বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।

সিদ্ধ থেকে কাঁচা ডিমে রূপান্তর করে নোবেল জয়!

Collin_Raston

সিদ্ধ ডিমকে আবার আগের অবস্থায় ফেরত পেতে ‍চান? হাস্যকর শোনালেও তা এখন সম্ভব। অস্ট্রেলীয় এক বিজ্ঞানী এমন একটি মেশিন উদ্ভাবন করেছেন, যার ভেতর সিদ্ধ ডিম দিলে তা আবার কাঁচা অবস্থায় ফিরে যাবে।

কলিন রাস্টোন নামে ওই বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত মেশিনটির আপাতত কোনো কার্যক‍ারিতা খুঁজে পাওয়া না গেলেও তিনি পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। অব‍াক হচ্ছেন? এমন একটি ‘অপ্রয়োজনীয়’ আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার! হ্যা, ‘ইগনোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কলিন।

প্রতিবছর অস্বাভাবিক ও তুচ্ছ আবিষ্কারের জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে প্যারোডি নোবেল খ্যাত ‘ইগ-নোবেল’ (IG Nobel) পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমে মানুষকে হাসানো পরে চিন্তা করানোই ইগ-নোবেল পুরস্কারের উদ্দেশ্য।

অ্যাডিলেডের ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের প্রফেসর কলিন রাস্টোনের উদ্ভাবিত ওই মেশিনটির নাম ভরটেক্স ফ্লুইডিক ডিভাইস। মেশিনটির ভেতর সিদ্ধ ডিম দিলে ডিমের জমাট বাঁধা প্রোটিনগুলির বাঁধন যায় খুলে, ডিমটি ফিরে পায় তার প্রাকৃতিক দশা।

কলিন রাস্টোনের উদ্ভাবিত মেশিনটি আপতত অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও তা ফার্মাসিটিউক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়ে উঠতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

কেনাকাটায় ২০% ক্যাশ ব্যাক!

bkash

ঈদুল আযহা উদযাপনের অংশ হিসেবে বিকাশ-এর গ্রাহকরা দেশজুড়ে  ৩৬৫টি  আউটলেটে  বিকাশ  দিয়ে কেনাকাটায়  মূল্য পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক পাবেন। এই ক্যাম্পেইন চলবে ঈদ-উল-আযহার দিন পর্যন্ত।

বিকাশ  লাইফস্টাইল,  ই-কমার্সসহ দেশের সেরা ৩৯ টি ব্র্যান্ডের সহযোগিতায় এই ক্যাশ ব্যাক অফার দিচ্ছে। এই ব্র্যান্ডগুলোর  মধ্যে আড়ং, লোটো, ক্যাটস আই, জেনিস, এক্সপ্রেস লেদার, স্বপ্ন,  আগোরা, ডেইলি শপিং,  আম্বার লাইফস্টাইল, রিলুস, রেড, মুনসুন রেইন, কে জেড ইন্টারন্যাশনাল, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড, জেমস গ্যালারি, ব্যাঙ,  ইরানী বোরখা হাউস, সেইলর,  সহজ ডট কম, বাসবিডি ডট কম।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, কুমিল্লাসহ  বিভিন্ন জেলার আউটলেটগুলিতে কেনাকাটার মূল্য বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করলে এই ক্যাশ ব্যাক মিলবে।

গ্রাহক পেমেন্ট করার পরবর্তী দুই কর্ম দিবসে তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট টাকা ফেরত আসবে। এক্ষেত্রে কোনো সার্ভিস চার্জ আরোপ হবেনা।

এ প্রসঙ্গে বিকাশ-এর হেড অব মার্কেটিং আসিফ আহমেদ বলেন, “ বিকাশ দিয়ে টাকা লেনদেনের বাইরেও অনেক কিছু করা যাচ্ছে। একজন বিকাশ গ্রাহক নিজের একাউন্ট ব্যাবহার করে কেনাকাটা, মোবাইল ফোনের টাকা রিচার্জ, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম ও হাসপাতালের বিলও দিতে পারছেন”।

ঔষধী গাছ আর মধু সেবনে ডায়াবেটিকস স্থায়ীভাবে ভাল হয়

diabetis

ঔষধী গাছ আর মধু সেবনে ডায়াবেটিকস রোগ স্থায়ীভাবে ভালো হয়। “আসুন আমরা ঔষধী গাছ চিনে নেব এবং আবাদ করবো, নিজের চিকিৎসা নিজে করবো- ডায়াবেটিকস মুক্ত জীবন গড়ব” এই শ্লোগান নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারী কলেজ মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিকস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেক ডায়াবেটিকস রোগী ভাল হয়েছে বলে জানা গেছে।

মো. মাসুদ মিয়া ঔষধী গাছ-গাছরার উপর গবেষনা করে ২০০৬ সালের শুরুর দিকে ডায়াবেটিকস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা পদ্ধতি বের করেন। পরে তার আবিস্কৃত ডায়াবেটিকস ঔষধ খেয়ে আশপাশের কয়েকজন রোগী স্থায়ীভাবে সুফল লাভ করেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়াবেটিকস রোগীরা দুরদুরান্ত থেকে এসে প্রতিদিন মাসুদ মিয়ার চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে আসছে। মাসুদ মিয়ার ঔষধ খেয়ে ইনসুলিন নেয়া অনেক রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হয় না। ডায়াবেটিকস্ স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ঐ রোগীরা আগের মতো মিষ্টিসহ সব খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরও আর ডায়াবেটিকস বেড়ে উঠেনি।

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেপারী পাড়ার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে (ডায়াবেটিকস রোগী) সাইদুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত ডাইবেটিস রোগে ভুগতে ছিলাম। পরে মাসুদ মিয়ার কাছে গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভাল হয়েছি।

বেড়াবুচনা ভালুককান্দি গ্রামের ফজল মিয়ার স্ত্রী তারাবানু জানান, তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহন করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না। পরে মাসুদ মিয়া গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। বর্তমানে তিনি ভাল আছেন। এমন আরো ১০/১৫ জন রোগীর সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ দিকে গবেষক মাসুদ মিয়া  জানান, গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ৭/৮ বছরের ইনসুলিন নেয়া যে কোন ডায়াবেটিকস রোগী স্থায়ীভাবে ভাল হতে পারবেন। আর তাই গাছ-গাছরা সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। এই সকল ঔষধী গাছ-গাছরার বাগান গড়ে তুলতে পারলে অনেক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব। তাই তিনি সরকার ও দেশের মানুষের কাছে ঔষধী গাছের নার্সারী করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অন্তু দাস হৃদয় এর সাথে। ফোন : ০১৯৩২২৩৭৮৫০

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দিন দিন আকর্ষন কমে যাচ্ছে – কিন্তু কেন ?

Husband - wife

বিশেষ করে বেশিরভাগ স্বামীই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীর প্রতি আর আকর্ষণ অনুভব করতে থাকেন অন্য নারীদের প্রতি। অনেকে জড়িয়ে যান পরকীয়াতেও! স্ত্রীর ওজন বৃদ্ধি, সন্তান হওয়া, কিংবা স্রেফ “একঘেয়ে লাগছে” ইত্যাদি বাহানায় বাড়তে থাকে স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব। বিয়ের কিছু বছর যেতে না যেতেই সমস্যাটি প্রকট হয়ে ওঠে। আর সেটা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যৌন আগ্রহ কমে যায়।
স্বামীরা কেন স্ত্রীর উপরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে

স্বামী স্ত্রীর সর্ম্পক থাকবে মধুর থাকবেনা কো বিভেদ থাকবেনা কোন দুরত্ব । কিন্তু বিশেষ কওে আমাদেও দেশে দিনে দিনে এই সমস্য প্রকট আকার ধারন করছে। মায়ার এ বন্ধনে আবদ্ব হয়ে বছর না ঘুরতেই নানা সব কারনে স্ত্রীর বা স্বামীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে,শুরু হয় নতুন করে দুরত্ব এর জন্য তো কারন রয়েছেই কিন্তু সেটি কি?

বিন্দু বিন্দু বালি জমে তৈরি হয় একটি বিশাল চর। ঠিক তেমনি করে আপনাদেও মধ্যে যদি যে কোন বিষয় নিয়ে চলতে ভুল বোঝাবোঝি বা পারিবারিক যে কোন বিষয় নিয়ে টুকটাক কলহ তাহলে কিন্তু সেই নদীর চরের মত ছোট ছোট বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বড় চরের মত বাড়তে থাকে, এবং এই চর এতটাই বড় হয় পরবর্তীকে কিন্তু সেটিকে আর ঠিক করা অসম্ভব হয়ে পরে। তাই প্রতিদিনের ছোট খাট ভুল গুলো আমাদেও সম্পর্কেও মধ্যে কিন্তু দুরত্ব বাড়াতে থাকবে।

সমাধান কি এই সমস্যার? কীভাবে বৃদ্ধি করবেন যৌন জীবনে আপনার প্রতি স্বামীর আগ্রহ?

শরীরের যত্ন নিন:- যৌনতার সাথে শরীরের সম্পর্ক সবচাইতে বেশি। “ভালোবাসায় বান্দরকেও সুন্দর লাগে”- এই ধরণের চিন্তা ভাবনা বাদ দিন। নিজের শরীরের ভালো যত্ন নিন নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে। পরিষ্কার থাকুন, নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নিন ভালো সুগন্ধী ব্যবহার করুন, চুলগুলোকে সুন্দর রাখুন। এইসবই পুরুষদের অত্যন্ত পছন্দ।

আকর্ষণীয় নাইটি ও অন্তর্বাস :- সাধারণ ঘরের কাপড়ে কি আপনাকে দেখতে আকর্ষণীয় লাগে? নিশ্চয়ই নয়! বেডরুমে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে ব্যবহার করুন স্টাইলিশ ও ভিন্নধর্মী সব পোশাক।

পরিবেশ তৈরি রাখুন রোমান্টিক :- কাজ করে এলোমেলো ভঙ্গিতে বিছানায় এসেছেন- এমন হলে কি যৌন জীবনে আগ্রহ থাকে? কারোই তো থাকে না। সুন্দর রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য মিষ্টি পরিবেশও চাই। শোবার ঘরকে আকর্ষণীয় করে তুলুন, মিষ্টি আলো ব্যবহার করুন। মমের আলো, শান্ত মিউজিক ইত্যাদি সবই রোমান্সকে করে তোলে আনন্দময়।

তাঁর প্রশংসা করুন, বাহবা দিন :- একান্ত মুহূর্তে প্রশংসা করুন। তাঁকে বলুন যে আপনি কতটা সুখী বা তাঁকে কত তীব্র ভাবে চান। দেখবেন, ¯^ামীর একটা অন্যরকম আগ্রহ জন্মে যাবে আপনার প্রতি।

কখনো নিজেই উদ্যোগী হয়ে উঠুন :- সবসময় অপেক্ষা করে স্বামী আপনাকে কাছে ডাকবেন? নিজেই উদ্যোগী হয়ে উঠুন, তাঁর কাছে যান, যৌন মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করুন ভালোবাসার সাথে। এটা আপনাকে করে তুলবে অন্যরকম আকর্ষণীয়।

চিরচেনা আচরণের বাইরে কিছু করুন :- প্রত্যেক দম্পতির মাঝেই একান্ত পরিচিত কিছু যৌন আচরণ থাকে আর তাঁরা সেগুলতেই খুব অভ্যস্ত হয়ে যান। এই অভ্যস্ততা থেকে বের হয়ে আসুন, করুন একদম অন্যরকম কিছু আচরণ। নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকার মত আচরণ করতে দেখলে খুশি হন সকল পুরুষই।

একটু ভিন্নতায় ভালবাসুন :- যৌনতার অ্যাডভেঞ্চারাস হয়ে উঠুন। নতুন স্টাইল, নতুন ভঙ্গি , নতুন কৌশল চেষ্টা করে দেখতে মোটেও লজ্জা বা সংকোচ বোধ করবেন না। পুরুষেরা ভালোবাসেন এমন নারীদের যারা কিনা যৌনতায় অ্যাডভেঞ্চার করতে আগ্রহী।

সর্বপরী তার মনকে বোঝার চেষ্টা করুন সে কি ধরনের মানুষ তার মন মানষিকতা সব সময়ই শুধু ভুল না ধরে একটু পজিটিভ দেখুন দেখবেন কোন সমস্যা থাকবেনা।

চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখুন খুব সহজ একটি ছোট্ট কৌশলে ! (ভিডিও সহ)

Glass

অনেকেরই চোখের নানা রকমের সমস্যা আছে। ফলশ্রুতিতে চশমা তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনের সময়ে যদি চশমা খুঁজে না পান, তবে? তখন স্পষ্ট দেখার জন্য এই কৌশলটি চমৎকার কাজে আসবে আপনার। আপনার চশমা অথবা কন্ট্যাক্ট লেন্স খুলে নিয়ে এখনই এর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।

চোখের নানান ধরণের সমস্যার কারণে ছেলে থেকে বুড়ো অনেককেই চশমার সাহায্য নিতে হয়। আধুনিক মানুষেরা এখন লেন্স ব্যবহার, লেজার সার্জারিও করিয়ে থাকেন। কিন্তু খুব দরকারের সময়ে দেখা গেলো চোখ থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেলো চশমাটি, অথবা একটুখানি ধুলো ঢুকে গেলো কন্ট্যাক্ট লেন্সের ভেতর। তখন উপায়?

এই ভিডিওতে হেনরি রিচ খুব সহজ একটি ছোট্ট কৌশল শিখিয়ে দেন আমাদের। নিজের তর্জনী এবং বুড়ো আঙ্গুল ব্যবহার করে ছোট একটি ফুটো তৈরি করুন এবং তার মধ্য দিয়ে তাকান। পৃথিবীটাকে দেখতে অনেক স্পষ্ট মনে হবে, চশমার সাহায্য ছাড়াই। আপনার চশমা অথবা কন্ট্যাক্ট লেন্স খুলে নিয়ে এখনই এর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।

কিন্তু এতো সহজে নিজের চোখের সমস্যাকে পাশ কাটানো কি আসলেই সম্ভব? এ ব্যাপারটি সম্ভব হয় আসলে মানুষের চোখের নিজস্ব ক্ষমতাবলেই। সহজ করে বললে, আলো উৎস থেকে কোনো একটি বস্তুর ওপরে পড়ে এবং সেখান থেকে আমাদের চোখে আসে, ফলে সেই বস্তুটিকে আমরা দেখতে পাই। চোখের লেন্সের মধ্য দিয়ে এই আলো আসে বলেই আমরা দেখতে পাই। লেন্স ছাড়া আমরা এতো স্পষ্ট কিছু দেখতে পেতাম না, সবকিছুকে মনে হতো ঝাপসা একটি পর্দা। আমরা যে বস্তুর দিকে তাকাই, খেয়াল করবেন তা ছাড়া আশেপাশের অন্য জিনিসগুলো কিন্তু আমাদের কাছে ঝাপসা লাগে, কারন আমাদের চোখের লেন্স একই সময়ে একাধিক দুরত্বে ফোকাস করতে পারে না। যাদের চোখে ত্রুটি আছে, চশমা ও লেন্স তাদেরকে ফোকাস করতে সাহায্য করে।

এই ভিডিওতে দেখানো পদ্ধতিটি কেন কাজ করে? কারণ আঙ্গুলের তৈরি করা ছোট ফুটোর মধ্য দিয়ে যখন আলো আসে তখন সেটাকে ফোকাস করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ভিডিও দেখার জন্য এই লিংকটি ব্রাউজ করুন:  How to See Without Glasses

ভাতের মাড়ের অকল্পনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা

rice

অনেকে ভাত রান্না করে ভাতের মাড় ফেলে দেন। কিন্তু জানেন কি এই ভাতের মাড়েই রয়েছে অসাধারণ অনেক উপকারিতা, যা আপনার অজানা। ফেলনা এই জিনিসটির সঠিক ব্যবহার হলে আমরা অনায়াসেই লাভ করতে পারি অনেক সুবিধা। আমাদের আশেপাশেই এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলোর উপকারিতার কথা আমরা চিন্তাও করতে পারিনা। এর মাঝে অন্যতম হচ্ছে ভাতের মাড়। কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ না রেখেই আমরা বলতে পারি এটা অবশ্যই আমাদের সংস্কৃতিতে সৌন্দর্যের একটি গোপন রহস্য যা আমাদের অনেকেরই অজানা। বেশির ভাগ মানুষই হয়তো ভাত রান্নার করে মাড় ফেলে দেন বা রাইস কুকারে ভাত রান্না করেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই লেখাটি পড়ার পর সবাই ভাতের মাড় ফেলে দেয়ার আগে দু’বার চিন্তা করবেন। কারণ ভাতের মাড় সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ যা ত্বকের ও চুলের জন্য খুবই ভালো।

কীভাবে ভাতের মাড় তৈরি করবেন :- ভালো মানের পরিস্কার চাল ধুয়ে খুব ভালো এবং পরিস্কার পানি দিয়ে ফুটাতে হবে। তারপর ভাত হয়ে গেলে অতিরিক্ত পানিটা একটি জগে নিয়ে ঠাণ্ডা করে ঢেকে ফ্রীজে রাখতে হবে। যখন এটা খুব ভালো করে ঠাণ্ডা হবে তখন এটা বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি।

কাপড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অর্থাৎ কাপড়কে মসৃণ ও নতুনের মতো করে তুলতে ভাতের মাড়ের ব্যবহার আমাদের সবারই জানা। এছাড়া এখানে কিছু উপকারিতা তুলে ধরছি যা ভাতের মাড় হতে পাওয়া সম্ভব।

ত্বকের জন্য ভালো :- পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে ভাতের মাড়ের মাঝে তুলো ভিজিয়ে সমস্ত মুখে লাগাতে হবে টোনারের মতো। এটি ত্বককে ফর্সা করার মাধমে ত্বককে করে তুলে দীপ্তিময়। এটি ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার এবং এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে এবং এতে অতিবেগুনী রশ্মি শোষণের ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের ত্বকের উপর তামার প্রলেপ পড়ার প্রবণতা রয়েছে আর ভাতের মাড় সেটা গঠন বাধা দেয় এবং ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেশনে ও বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে।

চুলের জন্য অতুলনীয় :- শ্যাম্পু করার পরে চুলে ভাতের মাড় দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। চালের প্রোটিন চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে চুলকে মজবুত করে নরম ও চকচকে করে।

ত্বকের জ্বালা ও প্রদাহে :- ভালো চালের তৈরি ভাতের মাড় দিয়ে দিনে ২ বার গোসল করলে ত্বকের বিরক্তিকর জ্বালা ও র‍্যাশ ভালো হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য উপকারিতা :- ভাতের মাড় খেলে স্বাস্থ্য সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকে। এতে ৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা দেহের কোষ এবং পেশীকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে। এতে থাকা উচ্চ শর্করা দেহকে কর্মচঞ্চল করে তোলে।

ব্রণ দূরীকরণে :- যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা মাতের মাড় তুলো দিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগালে তা অতি দ্রুত সেরে উঠে এবং ত্বকের লালচে ভাবও দূর করে।

চর্মরোগ প্রতিরোধে :- ত্বকের যেখানে চর্ম রোগ রয়েছে সেখানে ঠাণ্ডা ভাতের মাড় লাগাতে হবে। এভাবে নিয়মিত লাগালে লক্ষনীয় পরিবর্তন চোখে পড়বে। ভাতের মাড়ের শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ চর্মরোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই কার্যকর।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে :- ডায়রিয়া হলে এক গ্লাস ভাতের মাড় নিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ ভালো ভাবে মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত ও কার্যকরী ভাবে তা ডায়রিয়া নিরাময় করে।এইসব উপকারিতাগুলোর সাথে সাথে দৈনিক প্রচুর পানি খেতে হবে এর কার্যকারিতাকে সাহায্য করার জন্য। এছাড়া এটা পানের ফলে সারাদিনের জন্য দেহ উৎফুল্ল ও কর্মমুখর থাকে। তাই পরবর্তীতে ভাতের মাড় ফেলে দেয়ার আগে এইসব উপকারিতা গুলোর কথা অবশ্যই মনে রাখবেন।

সকল চাকরীর প্রস্তুতির জন্য এসেছে ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়াশোনা করার ওয়েবসাইট READBD.COM

সামনে চাকরীর পরীক্ষা। অনেক বই পড়ে শেষ করেছি কিন্তু এখনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। কিন্তু চাকরী তো একটা পেতেই হব। এ সকল সমস্যায় জড়িত আছে আমাদের অধিকাংশ চাকুরী প্রার্থীরা। আর তাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য এসেছে ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়াশোনা করার ওয়েবসাইট Readbd.com

readbd_logo

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অতি সহজে আপনার কাঙ্খিত চাকরীর জন্য অতি অল্প সময়ে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। Readbd.com এ রয়েছে বাংলা, ইংরেজী,গণিত, সাধারন জ্ঞান, ধর্মীয় জ্ঞান এবং আরও সকল বিষয়ে প্রশ্নোত্তর যা চাকুরীর পরীক্ষার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন চাকুরী পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর দেওয়া আছে,সকল ধরনের আপডেট তথ্য এখানে পাওয়া যায়।

সর্বপরি কিভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছান যাবে সেই কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের প্রশ্নোত্তর নিয়ে Readbd.com আপনাদের জন্য তৈরি।বি.সি.এস, ব্যাংক, শিক্ষক নিবন্ধন সহ সকল পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নোত্তর দিয়ে সকলের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানোর জন্য Readbd.com নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

এখানে পড়াশোনা করার জন্য কোন ফি দিতে হয় না। এমনকি কোন কোচিং ছাড়াই ঘরে বসে কোন ফি ছাড়া শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং নিজেই নিজেকে যাচাই করা সম্ভব হয়। এখানে আরও একটি বিশেষ সুবিধা যে ঘরের বাইরে থাকলেও মোবাইল অথবা ট্যাবে পড়াশোনা করা যায়। যার ফলে সবসময়ই নিজেকে পরাশোনার মধ্যে রাখা সম্ভব হয়। পড়াশোনা ছাড়া কখনই ভালো চাকরী পাওয়া সম্ভব নয়।

আর Readbd.com এই পড়াশোনাকে সকলের কাছে সহজ ও সুন্দর করে তুলেছে।তাই আর সময় নষ্ট না করে কাঙ্খিত লক্ষে পৌছানোর জন্য এগিয়ে যেতে হবে। ইন্টারনেট ভিত্তিক পড়াশোনা করার ওয়েবসাইট Readbd.com এর মাধ্যমে আসলেই অনেক কম সময়ে নিজেকে চাকরীর জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব এবং পৌছানো যাবে কাঙ্খিত লক্ষে। ডিজিটাল যুগে আমরাও এগিয়ে যাব সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে