মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট-খাটো সমস্যা ও সমাধান !

Karl

প্রাত্যহিক জীবনে নানা ছোটখাটো সমস্যা পড়তে হয় সব নারীকেই। হঠাৎ জামার বোতামের সেলাই খুলে যাওয়া কিংবা চুলের নতুন স্টাইলের জন্য কার্লার না থাকা এধরণের ছোট খাটো সমস্যায় প্রতিদিনই মূল্যবান বেশ কিছু সময় নষ্ট হয়। কিন্তু দৈনন্দিন এসব সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যায়। আসুন দেখে নেয়া যাক মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট-খাটো ৭টি  সমস্যা ও সমাধান !

০১. আংটির রঙ ঠিক রাখুন:
ইমিটিশনের আংটি কিছুদিন পরার পড়ে ভেতরের দিকে এর রঙ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় একটু সবুজ আভা পড়ে যায় এবং আঙ্গুলেও দাগ হয়ে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে আঙটির ভেতরের অংশে স্বচ্ছ নেইল পলিশ লাগিয়ে দিন।
০২. ব্রা এর ফিতা লুকানো:
জামার গলা বড় হলে অনেক নারীরই ব্রা-এর ফিতা বের হয়ে যায়। ফলে মানুষজনের সামনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এই সমস্যা এড়াতে যেই জামার গলা বড় সেটার কাঁধে আলাদা একটি ফিতা লাগিয়ে দিন বোতাম সহ। এবার ব্রায়ের ফিতাটি ফিতার লুপে আটকে দিয়ে বোতাম লাগিয়ে দিন। ব্যাস এবার আর বের হবে না ব্রায়ের ফিতা।
০৩. জামার বোতাম খুলে যাওয়া থেকে মুক্তি:
অনেক সময় জামার বোতামের সেলাই ছুটে যায়। ফলে বোতাম খুলে চলে আসে। এই সমস্যা এড়াতে বোতামের সেলাইয়ের উপর স্বচ্ছ নেইলপলিশ লাগিয়ে দিন। সেলাই মজবুত হয়ে যাবে এবং খুলবে না।
০৪. চুল কার্ল করা:
সব সময় কি চুল স্ট্রেট করতে ভালো লাগে? মাঝে মাঝে চুল কার্ল করে নিন আপনার সখের স্ট্রেইটনারটি দিয়েই। ছবির মত চুল পেঁচিয়ে নিন স্ট্রেইটনারে। কিছুক্ষন ধরে রেখে ছেড়ে দিন। কার্লিং মেশিন ছাড়াই চুল কার্ল হয়ে যাবে।
০৫. নেইল পলিশের আটকে যাওয়া ঢাকনা খোলা:
নেইল পলিশের ঢাকনা অনেক সময়েই শক্ত হয়ে আটকে যায়। ফলে তা খুলতে খুবই বিপাকে পড়তে হয়। এই সমস্যা এড়াতে নেইল পলিশের ঢাকনায় রাবার ব্যান্ড পেঁচিয়ে নিন। তাহলে বেশ সহজেই খুলে ফেলা যাবে নেইল পলিশের ঢাকনা।
০৬. ব্যাগে জুতা নেয়া:
বেড়াতে গেলে কাপড়ের ব্যাগেই জুতা নিতে হয়। আর তাই কাপড়ে জুতার ময়লা লাগা এড়াতে ব্যবহার করতে পারেন পুরানো শাওয়ার ক্যাপ। শাওয়ার ক্যাপের ভেতরে জুতা ভরে নিলে কাপড়ে একটুও ময়লা লাগবে না।
০৭. স্ট্রেইটনার দিয়ে কাপড় ইস্ত্রি:
তাড়াহুড়ার মধ্যে অনেক সময় কাপড় ইস্ত্রি করার সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু কাপড়ের কিনার গুলো কুঁচকে থাকলেও খারাপ দেখায়। তাড়াহুড়ার মধ্যে কাপড়ের কিনারগুলো ঝটপট হেয়ার স্ট্রেইটনার দিয়ে ইস্ত্রি করে নিতে পারবেন।

অদ্ভুত পাখির বাসা যার ভারে ভেঙে পড়ে গাছ ! (ভিডিওসহ)

Nest

গাছের উপর ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট চওড়া বাসা। বলুন তো এ বাসায় কে থাকে? ভাবছেন চিতা বাঘ কিংবা অন্য কোনো জন্তু? না আপনার ধারণা ভুল, এ বাসায় পাখির বাস!
কি আশ্চর্য হলেন?
আশ্চর্য হওয়ার মতো আরো ঘটনা এখনো আছে ।
শুনুন তাহলে :
এই পাখির বাসা এর ওজন দুই হাজার পাউন্ডেরও বেশি। বাসাটি প্রায় এক শ’ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাসার উত্তরাধিকার বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে। মোটা ঘাস, পাখির পালক, বাতাসে ভেসে আসা তুলো, খড়কুটো আর গাছের ডাল দিয়ে নিজেদের বাসা তৈরি করে

সোস্যায়েবল ওয়েভার। তবে সমস্যা হল বাসাটি অক্ষুন্ন থাকলেও অনেক সময় মারা যায় আশ্রয়দাতা গাছটি। এমনকি পাখির বাসা র ভারে ভেঙেও পড়ে।

আশ্চর্য এই পাখির নাম সোস্যায়েবল ওয়েভার। যা আমাদের দেশের বাবুই পাখির মতো।

আজব এই পাখির বাসা দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে। এই অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা যেমন প্রচণ্ড বেশি, রাতে তার উল্টো। এ বাসাই অতিরিক্ত গরম এবং ঠাণ্ডা থেকে সোস্যায়েবল ওয়েভারকে রক্ষা করে।

ভিডিও দেখার জন্য এই লিংকটি ব্রাউজ করুন:  Weavers Build Huge Communal Nests in Kalahari

মন্ত্রীদের এক সন্তান নীতি ও প্রিয়জন হারানোর দুঃখ

Bangladeshi-Political-leader-moudud-Ahmeds-son-dies

-তাহসিন আহমেদ

বাংলাদেশের সফল একজন আইনমন্ত্রী, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন । এতো সফল একজন মানুষ যিনি বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষমতাশীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকার থেকে শুরু করে এরশাদের সামরিক শাসনামলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। বিএনপির আমলে আইনমন্ত্রী।

জীবনের গোধূলি বেলায় উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারলেন না ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ডেঙ্গু জ্বরে দীর্ঘদিন ভুগে অনেকেই সুস্থ হচ্ছে। অথচ একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক আমান মমতাজ মওদুদ ডেঙ্গুর সাথে লড়াইয়ে পারলেন না সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে। একজন বৃদ্ধ পিতা যিনি বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী একজন পার্লামেন্টারিয়ান তাকে নিয়তির নিষ্ঠুর পরিণতিতে আমৃত্যু পুত্রশোক বয়ে নিয়ে যেতে হবে।

জীবনের গোধূলি বেলায় উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারলেন না। ডেঙ্গু জ্বরে দীর্ঘদিন ভুগে অনেকেই সুস্থ হচ্ছে। অথচ একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক আমান মমতাজ মওদুদ ডেঙ্গুর সাথে লড়াইয়ে পারলেন না সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে। একজন বৃদ্ধ পিতা যিনি বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী একজন পার্লামেন্টারিয়ান তাকে নিয়তির নিষ্ঠুর পরিণতিতে আমৃত্যু পুত্রশোক বয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশের বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও ২৪ বছর আগে হারিয়েছেন নববধূ আমাতুল্লা রীনাকে (সম্পর্কে ওনার চাচাতো বোন, বিয়ের সাল ১৯৯০ এর শেষদিকে)। ১৯৯১ সালে তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারানের পর ২৪ বছর একা কাটিয়ে দিয়েছেন। এখনও প্রয়াত স্ত্রীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বনানী কবরস্থানে কবর জিয়ারত করতে যান।

বাংলাদেশের সাবেক ২ অর্থমন্ত্রীও দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। দেশের সবচেয়ে সফল সাবেক অর্থমন্ত্রী ২০০৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করেন। আরেক সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়াও ২০০৫ সালে গ্রেনেড সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মৃত্যুবরন করেন।

উল্লেখ্য বাংলাদেশের শেষ ৩টি রাজনৈতিক সরকারের অর্থমন্ত্রী সিলেটের অধিবাসী।

মৃত মানুষকে খুব বেশিদিন কেউ মনে রাখে না; প্রিয়জন ছাড়া। মৃত মানুষের স্মৃতি যতটা আপনজন অথবা কাছের মানুষের মধ্যে শূন্যতা তৈরি করে ঠিক তাঁর বিপরীত হয় দূরের মানুষদের বেলায়। মৃত মানুষটি যখন জীবিত ছিল তখন তাঁর থেকে নেয়া আর্থিক অথবা অন্য কোন নিঃস্বার্থ অবদানও অনেকে ভুলে যায়। শুধু প্রিয়জনের বেলায় ব্যতিক্রম। হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া অন্য ভুবনের বাসিন্দাদের স্মরণ করে মনে করে আপনজন বা প্রিয়জনরা মনে করিয়ে দেয় দূরে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়। মৃত মানুষের স্মৃতি হটাত মনে করিয়ে দেয় লেবাননের কবি কাহলিল জিবরানের দি প্রফেট (The Prophet) কবিতার সেই এপিটাফ I am alive like you, and I am standing beside you. Close your eyes and look around, you will see me in front of you.

মোবাইল সিম কার্ড নিবন্ধনে নতুন নিয়ম, ভুয়া পরিচয়পত্রে নিবন্ধিতদের ৭ দিনের সুযোগ

sim-cards

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বিজয় দিবসের দিনে মোবাইল সিম কার্ডের সঠিক নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রগুলো জানায়, নতুন সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের পর তা চালু হতে ৭২ ঘণ্টা সময় নেওয়া হবে। গ্রাহকের দেওয়া তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে তারপরেই সিম সক্রিয় করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চালুর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার কেনা এবং খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে তা স্থাপন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেও মোবাইল অপারেটরদের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিষয়টি সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে।

সিম কার্ড বিক্রি ও নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে গত আগস্টে প্রথম প্রস্তাব দেয় বিটিআরসি। গত মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের এ বিষয়ে একটি আলাদা বৈঠক হয়েছে।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন চালু করতে আগামী নভেম্বরে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ থেকেই এ পদ্ধতি চালু করা হবে। বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব আর সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবে বিটিআরসি।

সিম কার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। গ্রামীণফোনের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, গ্রামীণফোন তা বাস্তবায়নে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।’ আরেক অপারেটর রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র ইকরাম কবির বলেন, আমরা আশা করি, সিম নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়নে যথাযথ সময় দেওয়া হবে।

বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মোবাইল অপারেটররা তাদের গ্রাহক নিবন্ধনের তথ্য নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের (এনআইডি ) কাছে সরবরাহ করছে। এনআইডি ওই সব তথ্য তাদের কাছে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করছে। এ বাছাইয়ের মাধ্যমে যেসব সিম ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধন করা হয়েছে, তার তথ্য বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠাবে এনআইডি। আবার যেসব প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক সিম নিবন্ধিত আছে, তার তথ্যও বের করার কাজ করছে এনআইডি।

এসব তথ্য যাচাইয়ের পর ভুয়া পরিচয়পত্রের মাধ্যমে যেসব নিবন্ধিত আছে, সেগুলোর ব্যবহারকারীকে প্রকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধনের জন্য খুদে বার্তা পাঠাতে হবে মোবাইল অপারেটরদের। এ জন্য একজন গ্রাহককে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনি সঠিকভাবে নিবন্ধন না করলে ওই সিম চূড়ান্তভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর প্রকৃত পরিচয়পত্রের বিপরীতে যাঁদের একাধিক সিম নিবন্ধিত থাকবে, তাঁদেরও খুদে বার্তা দিয়ে জানানো হবে, তিনি কয়টি সিমের মালিকানা রাখবেন। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গ্রাহককে সাত দিন সময় দেওয়া হবে।

এ প্রক্রিয়াগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করে ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক বা হাতের ছাপ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গত মঙ্গলবার বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় চেতনার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই ওই দিনটিতে একটি ভালো কাজের সূচনা আমরা করতে চাই।’

সব সিম ব্যবহারকারীকেই কি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, ‘এখন যে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে, তাতে যাঁদের নিবন্ধন ঠিক থাকবে, তাঁদের এ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে না।’ বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সবাইকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে হবে কি না, তা চলমান যাচাই প্রক্রিয়া শেষে পরিষ্কার হবে। বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোবাইল সিমের সংখ্যা ১২ কোটি ৮৭ লাখ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে মোবাইল অপারেটরদের প্রবেশের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে বাল্ক গ্রাহকদের যাচাই শুরু হয়েছে। সিম ও রিম নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট ‘বাল্ক ভেরিফিকেশন’ সম্পন্ন করতে বিভিন্ন অপারেটরকে নিজ নিজ গ্রাহকের তথ্য প্রকল্প পরিচালকের (এনআইডি) কাছে হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে। এ জন্য গ্রামীণফোনকে ১৫ দিন, রবি আজিয়াটাকে ১০ দিন, বাংলালিংককে ১০ দিন এবং এয়ারটেল, সিটিসেল ও টেলিটককে সাত দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিম কার্ডের ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদেরও তালিকা করা হবে। মুঠোফোন অপারেটরদের কাছ থেকে এ তালিকা নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তাঁরা নিবন্ধিত হবেন।

       সূত্র -পি এ 

খেজুরে লুকিয়ে আছে ক্যান্সার রোগের মহৌষধ

dates

আমাদের দেশে সৌদি আরবের খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও মূলত রমজান মাস ছাড়া ফলটি খুব একটা কেউই খায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন আরবের এই ফলটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সাতটি রোগের মহাওষুধ। আসুন জেনে নিই খেজুরের সেই সাতটি রোগের বিরুদ্ধে কিছু স্বাস্থ্যগত গুণের কথা।

১। দ্রুত শক্তি প্রদানকারী
খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ যা আপনাকে শক্তি দিয়ে থাকে। এটি খুব দ্রুত কাজের শক্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসে শরীরে। আপনি যদি খুব ক্লান্ত থাকেন তখন কিছু খেজুর খাবেন, দেখবেন শরীরের ক্লান্তি এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

২। রক্ত স্বল্পতা দূর করে
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুর রক্ত উৎপাদন করে দেহের রক্তের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

৩। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। ফলে আপনি সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

৪। ওজন কমিয়ে থাকে
মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। আর এই কয়েকটি খেজুর শরীরের শর্করার চাহিদাও পূরণ করে থাকে। ফলে আপনি শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করলেও শরীরে শর্করার অভাব হয় না।

৫। হজমে সাহায্য করে
কখনো বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া করে ফেললে, অনেক সময় বদহজম হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি দেবে কয়েকটি খেজুর।

৬। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাক হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ডায়রিয়া হলে কয়েকটি খেজুর খান। এটি ডায়রিয়া রোধ করতে সাহায্য করবে।

৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ
অবাক হলেও সত্য খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এক গবেষনায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে যায় অনেকখানি।

জেনে নিন, মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করার নিয়মাবলী!!

Mobile call

ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল নম্বর ফোন রিসিভকারী ব্যক্তি পেয়ে যান। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যান। অপরিচিত ব্যক্তিরা শুধু শুধু ডিস্ট্রাব করতে থাকে। তাই এখনই জেনে নিন, কিভাবে মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করা যায় তার নিয়মাবলী।

মূলত এ সমস্য থেকে আপনি নিশ্চিত মুক্তি পেতে পারেন কিছু কার্যকরি অ্যাপস ব্যবহার করে। নানা ধরনের অ্যাপ অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করা যায় কিন্ত তারজন্য আবার একটি ভুয়া নম্বর ব্যবহার করতে হয়। এজন্য অবশ্য বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। এসব অ্যাপের সাহায্যে কাওকে ফোন করার সময় বদলে ফেলা যায় নিজের মোবাইল নম্বর। এক্ষেত্রে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর আসল নম্বর লুকিয়ে রাখে এবং ব্যবহারকারীর দেওয়া অন্য একটি ভুয়া নম্বর প্রদর্শন করে থাকে।

অনেকেই পরিচয় বদলের এই জাতীয় অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করছেন যেমন Voxox, Lifehacker, Spoofcard, Tracebust, CallerIDFaker ইত্যাদি। এসব অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে Tracebust অ্যাপটি।
প্রাথমিকভাবে এর ট্রায়াল ভারসন ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু পরবর্তীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। প্রযুক্তি বিশ্বের এইসব সুযোগগুলো ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই। তবে পাওয়ানাদারের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ধারে এমন অ্যাপ আপনি ব্যবহার করতেই পারেন।

চাঁদ যদি না থাকতো

– গোলাপ মুনীর

Moon

চাঁদ যদি না থাকতো তবে কেমন হতো আমাদের এই চাঁদহীন দুনিয়া? চাঁদ না থাকলে থাকতো না চন্দ্র কিংবা গড়ড়হ বলে শব্দ। থাকতো না চাঁদমুখ, চন্দ্রমুখী, অর্ধচন্দ্র, মধুচন্দ্র্রিমা, চাঁদনিরাত, honeymoon, hunters moon(পূূর্ণিমার চাঁদ), New moon(অমাবস্যা), moon beam (চাঁদের আলো), moon calf (আজন্ম নির্বোধ), moonlight (চাঁদনি), moon rise (চন্দ্রোদয়), moonset (চন্দ্রাস্ত), moonstone(চন্দ্রকান্তমণি) এমনি আরো অনেক শব্দ।

চাঁদ না থাকলে চাঁদ এর কক্ষপথে ঘুরতো না। তখন পৃথিবী এর নিজ অক্ষের ওপর আরো বেশি গতিতে ঘুরতো। কারণ, পৃথিবীর সমুদ্রের ওপর চাদের টান (Gravity pull) কাজ করতো না। চাঁদের টানেই তো পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা হয়। পৃথিবীর ওপর চাঁদের টান ও স্রোতের প্রবাহের ওপর চাঁদের প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিদিনের ঘূর্ণনগতি কমে যায়। শত শত কোটি বছর আগে পৃথিবী এর নিজ অক্ষের ওপর আরো অনেক বেশি গতিতে ঘুরতো। এক সময় দিন ও বাতের চক্র ঘটতো ১০ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে।
পৃথিবী যদি নিজ অক্ষের ওপর আরো বেশি গতিতে ঘুরতো, তার আরো নানা ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যেত। বায়ু প্রবাহের গতি আরো বেশি হতো। কোনো প্রবাহ ঘটতো আরো বেশি সময় ধরে। জুপিটার গ্রহের কথাই ধরা যাক। জুপিটার তার নিজের অক্ষের ওপর একবার ঘুরতে সময় নেয় প্রায় ১০ ঘণ্টা। সে জন্য জুপিটারে প্রচুর হ্যারিকেন দেখা দেয় এবং এ হ্যারিকেন চলতে পারে শতবর্ষ ধরে।
চাঁদ না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীর ওপরও এর একটা দৃশ্যমান প্রভাব পড়তো। যেমন বায়ুপ্রবাহের ধরন পাল্টে গেলে এর প্রভাব পড়তো আমাদের হাঁটাচলা, কাজকর্ম, কথাবলা ইত্যাদির ওপরও। এর প্রভাব পড়তো সমুদ্রের জাহাজ চলাচলের ওপরও। সে জন্য বলা যায়, মহাকাশে আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী চাঁদ আমাদের জীবনযাত্রার এক বড় অংশ। সে জন্য এর পর যখন চাঁদের দিকে তাকাবেন, তখন ভাববেন চাঁদ আমাদের জীবনে কী ভূমিকা পালন করছে, আর চাঁদ না থাকলেই বা আমরা কী হারাতাম।
চাঁদহীন জীবন
জীবন (Life) হচ্ছে একটি অতি সূক্ষ্ম বিষয়। আমাদের পৃথিবীটার অবস্থান সৌরজগতের habitable zone তথা বসবাসযোগ্য অঞ্চলে। পৃথিবীর ওপর অনবরত বর্ষিত হচ্ছে সৌর বিকিরণ ও অসংখ্য মহাজাগতিক রশ্মি (solar radiation and cosmic rays)। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরময় অনেক মহাজাগতিক বস্তু সৃষ্টির পর অব্যাহতভাবে অতিক্রম করছে পৃথিবীর কক্ষপথ। এগুলো ছিলো পৃথিবীবাসী অনেক প্রাণীর বিলুপ্তির জন্য হুমকি। প্রকৃতপক্ষে, এটি প্রায় নিশ্চিত ছিল যে আমাদের পৃথিবীপৃষ্ঠের অসংখ্য প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটতো, যদি আমাদের উপকারী প্রতিবেশী চাঁদ না থাকতো। পৃথিবীতে এমন অনেক মহাজাগতিক দুর্ঘটনা ঘটতো, যা ঘটতে দিচ্ছে না এই চাঁদ।
আকাশে আমরা অসংখ্য বস্তু দেখি। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় এগুলোকে বলা হয় গাগনিক বস্তু বা Celestial body। চাঁদ হচ্ছে অনন্য এক গাগনিক বস্তু। বামন-গ্রহ (dwarf planet) প্লুটোর কথা বাদ দিলে চাঁদের মতো আর এমন কোনো উপগ্রহ (Satellite) নেই যার আকার মাতৃগ্রহের (mother planet) কাছাকাছি, আর পৃথিবী-চাঁদ ব্যবস্থাটি হচ্ছে একমাত্র টাইডলি লকড পেয়ার। অর্থাৎ পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে একটা প্রবাহগত বন্ধন রয়েছে। অধিকন্তু সৌরজগতে একমাত্র চাঁদই একটি বুদ্ধিমান সভ্যতার (intelligent civilization) চারপাশে ঘুরছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, সাড়ে ৪ শত কোটি বছর আগে নতুন Earth নামের  planetesimal গঠিত হতে শুরু করে সূর্যের বর্ধিষ্ণু ধূলিকণা ও পাথরের চাকতি থেকে। প্ল্যানেটেসিমাল হচ্ছে সৌরজগৎ সৃষ্টির সময়কার অসংখ্য গাগনিক বস্তুর একটি। যা-ই হোক পৃথিবীর আশপাশে আরো বেশ কয়েকটি গ্রহও গড়ে উঠছিল। বিশেষ করে একটি প্লটোপ্ল্যানেট সৃষ্টি করে যাচ্ছিল কিছু উদাহরণতুল্য অগ্রগতিÑ পৃথিবীর ঘূর্ণন এলাকার আশপাশে ঘুরাফেরা করে। এটি ঘুরতে থাকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে নিরাপদ নিরপেক্ষ অভিকর্ষ দূরত্বে থেকে। শৈশবের  Earth ও এর ক্ষুদ্রতম প্রতিপক্ষ Thiea যখন বেড়েই চলছিল, তখন তাদের মধ্যকার অভিকর্ষ বল এমন মাত্রায় পৌঁছুল যে, এ দুয়ের এক হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এ দিকে চাঁদও গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় ছিল। এর আগে পৃথিবীর আবর্তন গতি তথা নিজ অক্ষের ওপর ঘুরে চলার গতি নির্ণয়ের ব্যাপার নিয়ে ভাবেননি। তবে এটি এখন প্রমাণিত। এর পর থেকে পৃথিবীর আবর্তন গতির শুরু। সে সময় চাঁদ পৃথিবীর আরো বেশি কাছে ছিল। তখন চাঁদকে সূর্যের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি বড় দেখাতো। দীর্ঘ একটা সময় চাঁদ ছিল একটি ম-ের মতো এবং এর একটা চৌম্বকক্ষেত্র ছিল, যার ভূতাত্ত্বিক চিহ্ন রয়ে গেছে আমাদের পৃথিবীতে। যখন সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক হয়ে এলো, তখন একটা যুগ আসে যার নাম Late planetary Bombardnest, সে যুগেই পৃথিবী ও এর সাথীর ওপর বর্ষিত হয় গ্রহজাত বর্জ্য বা আবর্জনা কিংবা গ্রহের ধ্বংসাবশেষ। যুগ যুগ ধরে ক্ষয়ের ফলে পৃথিবী থেকে প্রাচীনকালের এসব চিহ্ন উধাও হয়ে গেছে। কিন্তু চাঁদ বর্ষিত কিছু প্রস্তরখণ্ড হিমায়িত অবস্থায় অপরিবর্তিত আকারে থেকে যায়, এমন প্রমাণ মিলেছে। অ্যাপোলো-১৫’র নভোচারীদের চাঁদ থেকে সংগৃহীত বিখ্যাত পাথর genesis rock তেমনি একটি নমুনা।
সৌরব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা জানতে পারি, চাঁদের জন্ম হওয়াটা বরং ছিল অস্বাভাবিক। অন্যান্য গ্রহগুলোর সবগুলোতেই হয় কোনো উপগ্রহ নেই, নয়তো তা ধারণ করেছে অন্য জায়গা থেকে। অবশ্য শুধু চাঁদই পৃথিবীর একমাত্র অস্বাভাবিক আবাসী (unusual resident) নয়। এর উপরিভাগ হামাগুড়ি দিয়ে চলছে অদ্ভুত ও মজার মজার কার্বনভিত্তিক নানা ধরনের প্রাণী নিয়ে। Rare Earth theory-র অনুসারীরা বলেন, আমাদের এই চাঁদ শুধু জীবনের জন্য উপকারীই নয়, বরং অপরিহার্য এক প্রয়োজন। যদিও আমাদের গ্রহগত প্রতিবেশী মঙ্গলগ্রহ কারিগরি দিক থেকে সৌরজগতের হেভিটেবল জোনের মধ্যেই অবস্থান করে, তবুও এমনটি ভাবার কারণ নেই যে, এর অক্ষ কাত হয়ে থাকার কারণে সেখানে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না। হতে পারে মঙ্গলগ্রহের অক্ষ আজকের ২৫ ডিগ্রি কাত হওয়ার বদলে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত কিংবা তারও কম কাত কোনো সময়ে থাকতে পারে। এর একটি মেরু এমন অবস্থায় থাকতে পারে, যে জন্য এর একটি মেরুর বরফ পুরোপুরি গলে যায়। এর ফলে বায়ুমণ্ডল পরিপূর্ণ হয়ে থাকতে পারে বাষ্পকণায়। পরবর্তী মওসুমে আবার তা জমে উঠতেও পারে। এভাবে মঙ্গলে অক্ষের কাত ও সোজা হওয়ার ফলে এক সময় বরফ জমা আর অন্য সময় বরফ গলা দেখা যেতে পারে। মে মাসে মঙ্গোলীয় আইসক্যাপের কাছে পোযিনিক্স ল্যান্ডারস ল্যান্ডে আমরা এই বরফযুগের চক্র হয়তো দেখতে পারি মঙ্গলের পৃষ্ঠে। পৃথিবীপৃষ্ঠেও এক সময় বরফ যুগ নেমে এসেছিল। তখন চাঁদের অভিকর্ষ কাজ করেছে একটি গ্রাইস্কোপ হিসেবে, পৃথিবীর অক্ষকে স্থিতিশীলভাবে ২৩.৫ ডিগ্রি কাত অবস্থায় রাখতে। এর ফলে আমরা বেঁচে যাই মঙ্গলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষম আবহাওয়া পরিবর্তনের হাত থেকে। এই দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য নিয়মিত মৌসুমি পরিবর্তনচক্রের মাঝেও পৃথিবীর প্রাণীরা বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবে জোয়ার-ভাটার অবদানও মহামূল্যবান ছিল। সূর্য একাই কিছু কিছুটা জোয়ার-ভাটা ঘটাতে হয়তো সক্ষম ছিল, কিন্তু জোয়ার-ভাটায় চাঁদের ভূমিকা সূর্যের চেয়েও বেশি। শুধু ঢেউয়ের ফেনায় অনেক প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ পেতো না। চাঁদের টানে বড় ধরনের জোয়ার আসার ফলে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়মিত ভেজা ও শুকনা অবস্থায় থাকে। এ পরিবর্তনীয় এলাকায় উদ্ভব ঘটে প্রথম দিককার সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর। এরা উপকূলীয় এলাকাকেই বেছে নেয় যথাযোগ্য আবাস হিসেবে। সমুদ্রতীর থেকে দূরের অঞ্চল শুষ্ক। সাধারণ নিম্নমাত্রার জোয়ার সেখানে গিয়ে পৌঁছে না। কেউ সমুদ্রতীরের যত বেশি কাছাকাছি আসবে, তার জন্য বায়ুর সান্নিধ্যকাল তত বাড়বে। যত বেশি সমুদ্রের কাছাকাছি যাওয়া যাবে পানিহীন শুষ্ক পরিবেশ ততই কমবে। আবহাওয়ার ক্রমপরিবর্তনের সুযোগটাই হয়তো পূর্বকালের প্রাণীরা নিয়েছিল।
চাঁদের অভিকর্ষ টানের প্রভাব শুধু পানির ওপরই পড়ে, তেমনটি নয়। সম্ভবত চাঁদ পৃথিবীর অন্তর্বর্তী এলাকা ও সমুদ্রকে অধিকতর গরম রাখতে সাহায্য করে, চাঁদ না থাকার অবস্থার তাপমাত্রার তুলনায়। যেহেতু চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে মাসে একবার ঘুরে, এবং পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘুরে, চাঁদের অভিকর্ষ সৃষ্টি করছে ভূপৃষ্ঠের ওপর এক ধরনের টান। এর ফলে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে; চাঁদের অভিকর্ষ পৃথিবীর ওপর টান অনুভব করে, ঠিক রুটি দলাই করে দলা তৈরির মতো এর ফলে সৃষ্টি হয় এক গুরুভার ভাঙা পি-। ওই পি-কে আমরা বলি  plate tectonics. এমনকি পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিও কমে যায় চাঁদের টানে। চাঁদ না থাকলে পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর আরো বেশি গতিতে ঘুরতো। এর ফলে আবহাওয়া থাকতো আরো অস্থির। ফলে অব্যাহতভাবে প্রবাহিত হতো আমাদের এই পৃথিবীতে প্রবল বায়ু। এমন প্রবল বায়ু বইতো যে, গায়ে কাপড় রাখা পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে পড়তো।
যেহেতু চাঁদের কক্ষপথ ধীরে ধীরে প্রতি বছর দেড় ইঞ্চি করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এতএব চাঁদের অভিকর্ষীয় টান এর ফলে কমে যাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি চাঁদের কক্ষপথের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য। একদিন হবে ৯৬০০ ঘণ্টায় এবং চাঁদ শুধু দেখা যাবে পৃথিবীর অর্ধাংশ থেকে। অবশ্যই তখন সূর্য পৌঁছুবে প্রসারমান red-giant পর্যায়ে। এবং সূর্য ধীরে ধীরে গিলে খাবে এর গ্রহগুলোকে।
লেখক : বিজ্ঞান লেখক ও সাংবাদিক

কুরবানির তাৎপর্য ও শিক্ষা

Photo

– ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ খান

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি মানবজাতিকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে দিয়েছেন সম্মান ও মর্যাদা। মানুষকে তার আসল মর্যাদায় টিকিয়ে রাখার জন্য দিয়েছেন বিভিন্ন বিধি-বিধান। কুরবানির বিধান এর মধ্যে অন্যতম, যার মাধ্যমে মানুষ একদিকে যেমন ত্যাগস্বীকারের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে আল্লাহর আনুগত্যের অধীনে থাকার সুযোগ পায়। অন্য দিকে তার মাঝে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণের সুযোগ পেয়ে থাকে। বাহ্যত কুরবানি হচ্ছে তার নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করা। কুরবানির রয়েছে শরয়ি মর্যাদা ও গুরুত্ব। আবার কুরবানি আমাদের জীবনপ্রবাহে এনে দেয় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও শিক্ষা যা জীবনকে আল্লাহর আনুগত্যের অধীনে থেকে নতুনভাবে ঢেলে গঠন করতে সাহায্য করে। নিম্নে এ সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপিত হল :
কুরবানি কী?
শাব্দিক দিক : কুরবানি শব্দটি আরবি কারনুন মূলধাতু হতে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : নিকটবর্তী হওয়া।
নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম। যেমন বলা হয়- “সৎকর্ম দ্বারা আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া”
কুরবানির অর্থ : সৎকাজ, নৈকট্য, সন্নিকটে, ঘনিষ্ঠ হওয়া।
কুরবানি- উৎসর্গ, আত্মীয়তা, সান্নিধ্য।
শরিয়তের দৃষ্টিতে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবেহ করাকে কুরবানি বলে। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এ জন্য একে কুরবানির ঈদ বলে। এদিনের অন্য নাম ঈদুল আজহা। আরবি শব্দ আজহা অর্থ কুরবানির পশু। যেহেতু এদিনে কুরবানির পশু জবেহ করা হয়। তাই একে ঈদুল আজহা বলা হয়। কুরআনে এসেছে- “তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানি কর।” (সূরা আল কাউসার-২)
পারিভাষিক অর্থে কুরবানি : ইমাম রাগিব বলেন- “যে বস্তু দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। চাই তা জবেহকৃত বা অন্যকোন দান খয়রাত হোক।” তাফসিরে মাযহারির বর্ণনা মতে- “আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নজর-মানত রূপে যা পেশ করা হয় তাকেই কুরবানি বলে।” ইমাম আবু বকর জাস্সাস বলেন- “আল্লাহর রহমতের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য কৃত প্রত্যেক নেক আমলকে কুরবানি বলে।”
কুরবানির ইতিহাস : হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিটি ধর্মে, সকল যুগে কুরবানির প্রথা চালু রয়েছে। যদিও একেক ধর্মের নিয়ম পদ্ধতি একেক ধরনের। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে যেহেতু প্রত্যেক নবীর যুগে কুরবানির বিধান ছিল সেহেতু এর গুরুত্ব অত্যধিক। যেমন ইরশাদ হয়েছে- “আর আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি। তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ স্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জীব দিয়েছেন সেগুলোর ওপর তারা যেন আল্লাহর নাম স্মরণ করে।” (সূরা আল হজ-৩৪)
এ আয়াতের ব্যাখায় আল্লামা আলুসি (রহ) বলেন- “আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানির প্রথা সকল আসমানি ধর্মে বিধিবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মানুষের ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানির প্রচলন করা হয় হযরত আদম (আ) এর পুত্র হাবিল ও কাবিলের হাতে। কুরআনে সূরা আল মায়েদায় বলা হয়েছেÑ “এবং আদম পুত্রদ্বয়ের সত্য ঘটনা লোকদের শোনাও। যখন তারা উভয়ে কুরবানি পেশ করে। অতঃপর একজনের (হাবিল) কুরবানি কবুল হয়। এবং অপরজনের (কাবিল) অগ্রাহ্য হয়। তখন (কাবিল) সে তাকে (হাবিলকে) বলে, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। (হাবিল) সে বলে আল্লাহ পরহেজগারিদের কুরবানিই কবুল করেন। (আয়াত : ২৭)
তাফসিরে হাক্কানিতে বলা হয়েছেÑ “হজরত মূসা, ইয়াকুব, ইসহাক ও ইবরাহিম (আ) এর শরিয়তসমূহে কুরবানি করা ধর্মেও আইনরূপে স্বীকৃত ছিল।
বহুতর বিকৃত বর্তমান বাইবেলেও কুরবানির উল্লেখ রয়েছে অনেক স্থানে। এমনকি হিন্দু ধর্মেও কুরবানির প্রচলন দেখা যায়।
হযরত নূহ (আ) এর যুগে প্রচলিত কুরবানি প্রথার উল্লেখ করে মিসরের প্রখ্যাত আলেম মুহাম্মদ ফরিদ ওয়াজেদি “দায়েরাতুল মায়ারিফ” গ্রন্থে প্রমাণ সহকারে বলেন- “হযরত নূহ (আ) জন্তু জবেহ করার উদ্দেশ্যে একটি কুরবান গাহ নির্মাণ করেছিলেন। এবং তাতে জবেহকৃত জন্তু আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিতেন।
এরপর ইতিহাসে নজিরবিহীন কুরবানি পেশ করেন হযরত ইবরাহিম (আ)। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বন্ধু হযরত ইবরাহিম (আ)কে বিভিন্ন পরীক্ষায় অবতীর্ণ করেছেন এবং ইবরাহিম (আ) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহিমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন। অতঃপর যে তা পূর্ণ করলেন তিনি বললেন- আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা বানাবো। (সূরা আল বাকারা ১২৪)
নিজ পুত্র জবেহ করার মত কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন হযরত ইবরাহিম (আ)। এ বিষয়ে সূরা আস সাফফাতের ১০০ থেকে ১০৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- “তিনি বললেন হে প্রভু আমাকে নেক সন্তান দান করুন। অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম অত্যন্ত ধৈর্যশীল সন্তানের (ইসমাঈল)। পরে যখন সে সন্তান তার সাথে দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ানোর বয়সে পৌঁছলো তখন তিনি (ইবরাহিম আ) বললেন, হে বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আল্লাহর হুকুমে তোমাকে জবেহ করছি। তুমি চিন্তা করে দেখ. তোমার অভিমত কী? তিনি (ইসমাঈল) বললেন, হে পিতা আপনি তাই করুন যা করতে আপনি আদিষ্ট হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন। অতঃপর যখন দু’জনই আল্লাহর আদেশ মানতে রাজি হলেন তখন তিনি (ইবরাহিম) পুত্রকে জবেহ করার জন্য শুইয়ে দিলেন। আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহিম তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই নেক বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এটি একটি বড় পরীক্ষা। আর আমি তাকে বিনিময় করে দিলাম এক বড় কুরবানির দ্বারা এবং যা পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহিম (আ) এর প্রতি।” কুরআনে কুরবানির ঘটনা অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কুরবানির গুরুত্ব : কুরবানি আল্লাহ তায়ালার একটি বিধান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা আল কাউসার ২)
তাফসিরে রুহুল মাআনির ভাষ্যমতে- কতিপয় ইমাম ঐ আয়াত দ্বারা কুরবানি ওয়াজিব হওয়াকে প্রমাণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালন মূলত ওয়াজিব তথা ফরজ। তাই সামর্থ্যবান সকল মুসলমানের ওপর কুরবানি করা আবশ্যক।
হাদিসে হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা) হতে বর্ণিত হয়েছে সাহাবাদের কেউ কেউ রাসূল (সা) কে জিজ্ঞাসা করেন কুরবানি কী? তিনি বললেনÑ কুরবানি হলো তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ) এর সুন্নত। আমরা বললাম, তাতে আমাদের কী লাভ? তিনি বললেন, প্রত্যেকটি চুলের বিনিময়ে একটি করে নেকি। জিজ্ঞাসা করলাম হে রাসূল (সা), পশমের ব্যাপারে কী হবে? তিনি বললেন প্রতিটি পশমের বদলে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে। (ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, হাকিম)
হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন- কুরবানির দিনে আদম সন্তানের কোন নেক কাজই এত প্রিয় নয় যত প্রিয় কুরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কুরবানির পশুগুলো তাদের শিং, পশম ও খুরসহ কিয়ামতের দিন (কুরবানি দাতার নেকির পাল্লায়) এসে হাজির হবে। কুরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট মর্যাদার স্থানে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দচিত্তে কুরবানি কর। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
তিরমিযী শরীফে রয়েছে- হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রা বলেন, রাসূল (সা) দশ বছর মদিনায় ছিলেন এবং প্রতি বছর কুরবানি করতেন।
রাসূল (সা) বলেছেন- “যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।” (ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাদিসটি হাসান)
যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি ত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদিসটি সর্তকবাণী।
রাসূল (সা) এর সময়ে কুরবানি : “ওয়াফাউল ওয়াফা ও কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ” নামক প্রসিদ্ধ কিতাবদ্বয়ে লেখা আছে- “রাসূল (সা) হিজরি দ্বিতীয় সালে মদিনায় ঈদের নামাজ আদায় করেন অতঃপর কুরবানি করেন।”
ইবনুল আসীর লিখিত “তারিখুল কামিল” গ্রন্থে দ্বিতীয় হিজরির ঘটনাবলি বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়, অতঃপর রাসূল (সা) বনু কায়নুকা যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করলে কুরবানির সময় এসে পড়ে। তাই তিনি ঈদগাহের দিকে গমন করেন এবং মুসলমানদের নিয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। এটি মাদানি যুগের প্রথম কুরবানির ঈদ। অতঃপর তিনি দু’টি ছাগল, অন্য বর্ণনা মতে, একটি ছাগল কুরবানি করেন। আর এটি ছিল তার প্রথম কুরবানি যা মুসলমানগণ প্রত্যক্ষ করেন।
কুরবানির শিক্ষা : কুরবানি একটি ইবাদত। আবার কুরবানির এ বিধান আমাদের জন্য অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকে। যেমন,
আনুগত্যের চরম পরাকাষ্ঠা : আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে যে কোন আদেশ দেয়ার ইখতিয়ার রাখেন এবং বান্দাহ তা পালন করতে বাধ্য। আল্লাহর আদেশ সহজ আর কঠিন হোক তা পালন করার বিষয়ে এমন মানসিকতা থাকতে হবে এবং আল্লাহর হুকুম মানার বিষয়ে মায়ামমতা প্রতিবন্ধক হতে পারে না। পবিত্র কুরআন আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে যে, আল্লাহ তায়ালা ইবরাহিম (আ) কে আনুগত্যের চরম পরীক্ষায় অবতীর্ণ করেছিলেন। আর ইবরাহিম (আ) এর আনুগত্য ছিল শর্তহীন। কুরআনে এসেছেÑ “যখন তার প্রভু তাকে বললেন আত্মসর্মপণ কর, তিনি বলেন আমি বিশ্বপ্রতিপালকের জন্য আত্মসর্মপণ করলাম।” (সূরা বাকারা- ১৩২)
হযরত ইবরাহিম (আ) বলতে পারতেন, হে আল্লাহ তোমার জন্য আগুনে গিয়েছি, ঘরবাড়ি ছেড়েছি, আত্মীয়-স্বজন সব কিছু হারিয়েছি। এসব কিছুর বিনিময়ে আমার ¯েœহের সন্তানকে কুরবানি করা থেকে  রেহাই দাও। কিন্তু তিনি তা করেননি বরং আল্লাহ যা হুকুম করেছেন তা শর্তহীনভাবে মেনে নিয়েছেন। এবং তিনি আল্লাহর আনুগত্য পালনের ব্যাপারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। আর আল্লাহ তায়ালা যেভাবে বিশ্বমানবমণ্ডলীকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করেছেন ঠিক সেভাবে সর্বশেষ মুসলিম জাতির পিতা হিসেবে ইবরাহিম (আ) কে মনোনয়ন দিয়েছেন। আল্লাহ বলেনÑ “এটা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের মিল্লাত, তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম।” (সূরা আল হজ -৭৮)
তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন : তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় না। একজন মুসলিমের অন্যতম চাওয়া হলো আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। পশুর রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে কুরবানিদাতা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। কুরআনে এসেছে- “আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না তাদের গোশত, রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে এগুলোকে তিনি তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এ জন্য যে, তিনি তোমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন। সুতরাং আপনি সৎকর্মকারীদের সুসংবাদ দিন (হজ -৩৭)
আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা : সকল ইবাদতের মাঝেই রয়েছে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা। কুরবানি আমাদের সর্বাবস্থায় আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করার শিক্ষা দেয়। আল্লাহ বলেন- “আল্লাহ তোমাদের সহজ চান, কঠিন চান না, যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ করতে পার এবং তিনি তোমাদের যে হিদায়াত দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।” (সূরা আল বাকারা -১৮৫)
ত্যাগ স্বীকার করা : কুরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা তৈরি করা। আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে জান-মালের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কুরআনে এসেছেÑ “আর আমি তোমাদেরকে অবশ্যই ভয়, দারিদ্র্য, সম্পদ ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতি করার মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।” (সূরা বাকারা- ১৫৫)
পশুত্বের দমন ও মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ : কুরবানির পশু কুরবানির সাথে সাথে কুরবানিদানকারী ব্যক্তির ভেতরে থাকা পশুসুলভ আচরণকেও কুরবানি করতে হবে। জাগিয়ে তুলতে হবে মনুষ্যত্ববোধকে। নফসের আনুগত্য ত্যাগ করে আল্লাহর একান্ত অনুগত হওয়ার মহান শিক্ষা দেয় কুরবানি।
কুরবানি ইসলামী শরিয়তের অন্যতম বিধান। ইবরাহিম (আ) ত্যাগের সর্বচ্চ নজির পেশ করে কিয়ামত পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। একই সাথে আমাদের উচিত জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসূল (সা) এর হুকুমের সামনে নিজেদের মত, জীবন, সম্পদের কুরবানি করে নিজেদের আল্লাহর রঙে রঙিন করে তোলা এবং আনুগত্যের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত পেশ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আমরা আল্লাহর রঙ গ্রহণ করেছি, আল্লাহর রঙের চেয়ে আর কার রঙ উত্তম হতে পারে।” (সূরা আল বাকারা- ১৩৯)
লেখক : উপাধ্যক্ষ
তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা

কিভাবে আপনার কুরবানির পশু নির্বাচন করবেন তা জেনে নিন

পবিত্র ঈদ উল আযহা আসন্ন, আর তাই পশু কেনার ধুম পড়ে যাবে। তাই কুরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে থাকছে কিছু পরামর্শ জেনে নিন।

আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু দেখা শুরু করুন। রঙ বা সাজসজ্জা কোন ব্যাপার না পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে। মূল ব্যাপার হচ্ছে, কুরবানির পশুটি ন্যুনতম দুই দাঁতের কিনা, দেখতে আকর্ষণীয় কিনা, লালনপালন হয়েছে কোন এলাকায়, তার চামড়া ইত্যাদি। দেশী পশু নির্বাচনে প্রাধান্য দিন কেননা এতে মাংসের একটি সুস্বাদু স্বাদ পাওয়া যায়। তবে বিদেশী গরু নির্বাচনের ক্ষেত্রে লালনপালনের স্থান, বয়স তথ্য নিয়ে নিন।

জেনে নিন কিভাবে আপনার কুরবানির পশু নির্বাচন করবেন ?

Qurbanir pashu

গরু কেনার সময় তার পুরো শরীরের চামড়া ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, কেননা অনেক সময় দেখা যায় গরুর পায়ুপথ বা শরীরের কোন অংশে চামড়ায় ঘা দেখা যেতে পারে। ঘায়ের রঙ হালকা গোলাপি রঙের হবে এবং সেখানে মাছি বসবে। কিছুক্ষণ পরপরই দেখবেন যে গরু লেজ নাড়ছে। চামড়া কোন অংশে থ্যাতলানো থাকলেও সেই গরু পরিহার করে অন্য গরু পর্যবেক্ষণ করুন। চামড়ার মান ভাল কিনা সেটা বুঝবেন গরুর গলার অংশে চামড়া দেখে ও ধরে। যদি সেখানকার চামড়া ভারি হয় তাহলে বুঝবেন যে চামড়া উন্নতমানের।
গরুর ক্ষুর, পা পর্যবেক্ষণ করবেন ভালভাবে। অনেকসময় গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত থাকে যার কারণে গরু ভালভাবে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারেনা। এটা আপনি স্বচক্ষে দেখতে পারবেন।
কুরবানির গরুর চোখ দিয়ে অবিরাম পানি পড়া, উকুন রোগ, অরুচি, বদহজম ইত্যাদি সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। অতিরিক্ত মোটা, অতীব স্বাস্থ্যবান গরু বা ট্যাবলেট দেওয়া গরু কিনবেন না। এসব গরুর গায়ে টিপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি দেখতে পাবেন যে, টিপ দেওয়া স্থানটি ভিতরের দিকে চুপসে গিয়েছে অর্থাৎ শরীরে পানি জমে গেছে এবং গরু শরীরের অতিরিক্ত ভারের কারণে ভালভাবে দাঁড়াতে বা হাটতে পারবে না।গরুর গোবর আপনি স্বচক্ষে দেখে নিতে পারেন, খুব পাতলা বা খুব ঘন কিনা, সবুজ কিনা ইত্যাদি অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ করে
একইভাবে ছাগল/খাসি/বকরি/মহিষ কেনার সময়ও তার চোখ, চামড়া, ক্ষুর, মুখ, মল ইত্যাদি দেখে নির্বাচন করবেন। পশুর দর কষাকষির আগে আপনার কুরবানির পশু নির্বাচন করুন।
মনে রাখবেন, একটি অসুস্থ পশু আপনার কুরবানির প্রধান অন্তরায়।

মনে রাখুন

সিটি কর্পোরেশন/যথাযথ কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত পশুর হাট থেকে আপনার প্রিয় পশু গরু, ছাগল, ভেড়া নির্বাচন করুন। ছোট কোন অবৈধ হাট বা বাজার বা রাস্তাঘাটের কারো কাছ থেকে পশু ক্রয়ের লেনদেনে যাবেন না। তাছাড়া হাটে একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে পশু কিনতে গেলে ভাল। কেননা এতে দেখা যায়, অসুস্থ পশু ও দালালদের খপ্পরে পড়ে আপনার কুরবানি পণ্ড হয়ে যেতে পারে। হাট থেকে পশু কিনে ইজারাদারের কাছে আপনার পশুর হাসিল পরিশোধ করুন।তবে হ্যাঁ, গরুর মালিক বা রাখাল আপনার একান্ত পরিচিত হলে পশু সম্পর্কে ভালভাবে তথ্য নিয়ে আপনি পশু ক্রয় করতে পারেন।

আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়ানো যায়?

Atmo bisshas

-মোস্তাফিজুর রহমান আশু

আত্মবিশ্বাস একটি মানসিক শক্তি। ব্যক্তিজীবনের প্রত্যেকটি কাজের জন্য এ শক্তি প্রয়োজনীয়। যার আত্মবিশ্বাস যত বেশি, জীবনের সকল ক্ষেত্রে তার সফলতা তত বেশি। তাই মানুষ হিসেবে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাস চর্চা করার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই, কারণ এ সংগ্রামমুখর পৃথিবীতে ইসলামী আন্দোলন করা আরও কঠিন সংগ্রামের। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এটা তো রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। এ চ্যালেঞ্জকে  মোকাবেলা করতে প্রত্যেকটি কর্মীর আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা ও ক্ষিপ্রতার সমন্বয় প্রয়োজন। আর Confidence ঐ তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ের Key Word  হিসেবে কাজ করে।
আত্মবিশ্বাস উন্নয়নের বিভিন্ন কৌশল আছে। Attitude কে প্রভাবিত করে কিভাবে আত্মবিশ্বাসের লেভেলকে উন্নয়ন করা যায় তাই আজকের আলোচনার বিষয়।

৯টি ধাপে আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে পারি
Negative চিন্তাগুলো চিহ্নিত করা
Negative চিন্তাগুলো এ রকম “I can’t do that”  ‘‘আমি এটা করতে পারব না’’ অথবা I will surely fail” “আমি অবশ্যই ব্যর্থ হবো” এ ধরনের চিন্তাগুলো আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে। কোন কোন কাজ আমার দ্বারা সম্ভবই নয় বা কোন কাজগুলোতে আমার ব্যর্থতা নিশ্চিত বলে মনে হয় সেইগুলোকে প্রথমকে খুঁজে বের করা ও ক্রমিক তালিকা তৈরি করা।
Negative চিন্তাগুলোকে Positive-এ রূপান্তরিত করা
নিজের মধ্যের Negative বিষয়গুলোকে ক্রমিকের নিচের দিক থেকে Positive এ পরিবর্তন করে চিন্তা করা। যেমন- “I am going to try it” or I can be successful if I work at it ” বা “People will listen to me” আপনার জীবনের সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে মিলিয়ে এভাবে চিন্তার রাজ্যকে বিস্তৃত করা।
Negative চিন্তাগুলোকে Positive চিন্তা দিয়ে অগ্রাহ্য করা
এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত আপনার Positive thoughts গুলো Negative thoughts  এর ওপর Brain space” তৈরি করবে। এভাবে আপনার Positive চিন্তার পরিধি দিন দিন বাড়তে থাকবে অর্থাৎ Confidence level উন্নত হতে থাকবে।
Positive support network কে maintain করা
পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে তাদের সাথে close সম্পর্ক তৈরি করুন যারা আপনার আত্মবিশ্বাসকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করুন যারা আপনাকে নিরুৎসাহিত করে বা Criticize করে। যেহেতু আপনি আপনার Positive attitude চিন্তা করছেন ও লক্ষ্য পানে অগ্রসর হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন সুতরাং সহজেই আপনি পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা পেতে পারেন। আপনি চিন্তা করুন কোন মানুষগুলো সত্যিই আপনার ভালো চায়। যারা আপনাকে সমর্থন দেবে ও উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখবে সেই মানুষগুলোর সাথে বেশি সময় কাটান।
Negative বিষয়গুলোকে সমন্বয় করুন ও মনের রাখুন
অতীত থেকে শিক্ষা লাভ করে সামনে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করুন। নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন ও সফল হতে চেষ্টা করুন। আপনি চিন্তা করুন আপনি সকল  Negative গুলো উত্তরণ করতে পারবেন এবং জীবনে সকল ক্ষতিগুলো কেটে উঠতে পারবেন।
নিজের যোগ্যতাকে চিহ্নিত করুন
প্রত্যেকের মধ্যেই বিশেষ কিছু দক্ষতার দিক থাকে, সুতরাং খুঁজে বের করুন আপনার মধ্যে কি সেই দক্ষতার দিক এবং আপনার দক্ষতার দিকটাকে Focus করুন। অন্যের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করুন নিজের Art, Music, writing ও ব্যক্তিগত বিশেষ কাজের দক্ষতার প্রয়োগ দিয়ে।
নিজের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধক লালন করুন
আত্মবিশ্বাস যেন গর্ব-অহঙ্কার পর্যায়ে না পৌঁছে বরং তা যেন উন্নত ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক হয়। এটা যাতে মানবতা, প্রতিযোগিতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার চিহ্ন হয়। এ গুণগুলো পরিস্থিতি মোকাবেলা ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
উন্নত করার উপাদানকে গ্রহণ করুন
Positive respond আচরণকে আয়ত্ত করা। যেমন- Saying thank you, and smiling works well” এ ধরনের আচরণকে হৃদয়ঙ্গম করা ও প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করুন। প্রতিশ্রুতিশীল কাজগুলোর তালিকা তৈরি করুন আত্মবিশ্বাসের সাথে সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা করুন।
আয়নার সামনে দাঁড়ান ও মুচকি হাসুন
আয়নার সামনে দাঁড়ান ও নিজেকে পরিবেশের মধ্যে মূল্যায়ন করুন যা Facial feedback theory” এর মূল কথা। নিজেকে এভাবে উপস্থাপন ব্রেনকে Encourage করে এবং যে কোন কাজের Motivation কে বৃদ্ধি করে। সুতরাং প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ান ও মৃদু হাসি ((Smiling) আপনাকে খুশি রাখবে ও দীর্ঘমেয়াদি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
আসুন আমরা আত্মবিশ্বাসী হতে চেষ্টা করি এবং সকল বৈরিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত করি।

লেখক : সাইকোলজিস্ট