ডুবন্ত ছেড়া দ্বীপ

chera Deep

বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ। বৃহৎ এই বদ্বীপের সর্ব  দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপের নাম হলো ছেড়া দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দক্ষিণে এ দ্বীপটির অবস্থান। ছেড়া দ্বীপের আয়তন তিন কি: মিটার। ২০০০ সালের শেষের দিকে এই দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়।

ছেড়া দ্বীপে দেখা যাবে অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সামুদ্রিক ঢেউ আর সারিসারি নারিকেল গাছ। প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরী বিভ্ন্নি কারুকার্য  চোখে পড়বে ছেড়া দ্বীপে গেলে। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরুপ সাজে। চাঁদনী রাতে  যে কোন ভ্রমণকারীর মনভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরুপ শোভা অবলোকন করে।

ছেড়া দ্বীপ জোয়ারের সময় অনেকাংশে ডুবে যায়। ভ্রমণকারীকে এই সময়ে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সাবধান না থাকলে ঘটতে পারে যে কোন ধরনের বিপদ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দূরে ছেড়া দ্বীপ অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে জাহাজ কিংবা নৌযানে করে সেন্টমার্টিন যেতে হয়। সেন্টমার্টিন থেকে আবার জাহাজে করে ছেড়া দ্বীপে যেতে হয়।

স্মার্টফোনে পাঁচটি মজার কাজ

smart-phoone

দিন যত গড়াচ্ছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা তত বাড়ছে। বিজ্ঞানের একের পর এক নিত্যনতুন আবিস্কার মানুষের অনেক সমস্যার সমাধান করছে। এর মধ্যে স্মার্টফোন প্রযুক্তি মানুষের বর্তমান কর্মজীবনের অনেক কাজই সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়ে এমন কিছু কাজ করা যাচ্ছে, যা আগে কল্পনাও করা যেত না। তেমন কয়েকটি মজার কাজ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ।
১. ড্রোন ও খেলনা নিয়ন্ত্রণ
বাজারে এখন বেশ কিছু রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল বিমান বা ছোট ড্রোন। এগুলোর অনেকগুলোই এখন স্মার্টফোন দিয়ে চালানো যায়। স্মার্টফোন দিয়ে কিছু খেলনা নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও এগুলো দিয়ে লাইভ ভিডিও দেখাও সম্ভব।
২. হোম থিয়েটার
গান শোনার জন্য ব্যবহৃত আধুনিক হোম থিয়েটারে এখন ব্যবহৃত হয় তারহীন প্রযুক্তি। আর এ প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্মার্টফোন অ্যাপও তৈরি হচ্ছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬ স্মার্টফোনে রয়েছে আইআর ট্রান্সমিটার, যা ইউনিভার্সেল রিমোট কন্ট্রোল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। এটি দিয়ে কিছু হোম থিয়েটার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া রয়েছে ওয়াইফাই ব্যবহার করা কিছু হোম থিয়েটার। এগুলো স্মার্টফোন অ্যাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩. বাড়ি অটোমেশন
বাড়িতে ব্যবহৃত অটোমেটিক বা ডিজিটাল যন্ত্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহৃত হয়। এসব যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ডিসওয়াশার ও স্মার্ট প্রযুক্তি সংযুক্ত লাইট। এর অর্থ আপনি ঘরে-বাইরে যে কোনো স্থান থেকে এ অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
৪. গাড়ি
শীতপ্রধান দেশগুলোতে গাড়ির তাপমাত্রা ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন। এক্ষেত্রে গাড়িতে ঢোকার কিছুক্ষণ আগেই স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা একটি জনপ্রিয় কাজ।
৫. নিরাপত্তা ক্যামেরা
নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত সিসি টিভি ও অনুরূপ ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয় স্মার্টফোন অ্যাপ। এ ধরনের বেশ কিছু স্মার্ট আইপি ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নজরদারি এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ।

ফেসবুক টাইমলাইনে পর্নো এলে যেভাবে প্রতিকার করবেন

facebook-timeline

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তির নেশায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে থাকি এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট/তথ্য আদান-প্রদান করি। আমাদের ফেসবুকে থাকে হাজার হাজার বন্ধু। আমরা যা স্টাট্যাস দেই তা আমাদের সকল বন্ধু দেখেন। কিন্তু আপনি নিজে কোনো স্টাট্যাসে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছেন না, অথচ আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক পর্নো ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। এতে নিশ্চয়ই আপনার মান সম্মানে আঘাত লাগছে।

এটা এক ধরনের ম্যালওয়ার যা প্রন-ট্রোজান নামে পরিচিত। কারও দেয়া লিংক খারাপ ফেসবুক অ্যাপস ক্লিকে আক্রান্ত হতে পারে আপনার আইডিটি। আক্রান্ত আইডি থেকে সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ২০ এর অধিক পর্নো বন্ধুদের টাইমলাইনে ট্যাগ হতে থাকে এবং সমস্ত পিসিতে ম্যালোওয়ার ছড়িয়ে পড়ে।

টাইমলাইনে পর্নো এলে যা করবেন:

১. তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

২. যে সব পর্নো ভিডিও আপনার টাইমলাইনে ইতোমধ্যে শেয়ার হয়েছে সেইগুলি ডিলিট ও রির্পোট করুন।

৩. ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনার পিসিটি স্ক্যান করুন। কিছু কিছু ভাইরাস স্ক্যান করতে ব্যর্থ হয় এবং তা F-Secure scan, Trend Micro scan, ESET scan, Microsoft security software এর যে কোন একটি দিয়ে অনলাইনে সরাসরি স্ক্যান করুন। যদি আপনার ব্রাউজার গুগলক্রোম হয় তবে browser-specific scan স্ক্যান করুন।

৪. আপনার ব্রাউজারের ভার্সন আপডেট করুন।

৫. আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি স্ট্রং করে ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline?>>>Enable করুন।

৬. Suspicious ব্রাউজারের আড-অন রিমুভ করুন।

৭. এর পরেও আবারও পর্ণে শেয়ার হলে ,৭-৮ ঘন্টার জন্য আপনার একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভ করুন।

৮. আপনার একাউন্টে পর্নো শেয়ারের পরিণতির জন্য (দুঃখিত) একটি স্ট্যাটাস দিন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও খারাপ পোস্ট চোখে পড়ে বা কোনও লিঙ্ক চোখে পড়ে তা যেন ক্লিক না করেন।

টাইমলাইনে যেন পর্নো না আসে তার জন্য করণীয়:

১. কারও দেয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।

২. ফেসবুকে ছড়ানো খারাপ ভিডিওতে ক্লিক বা শেয়ার করবেন না ।

৩. ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline? >>>Enable করুন।

৪. খারাপ ফেসবুক অ্যাপ বা গেইমস এ ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক অ্যাপ ডিলিট করুন।

আড়াই হাজার টাকায় ডেস্কটপ ‍পিসি!

remix

রিমিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান অ্যানড্রয়েড ভিত্তিক মিনি ডেস্টটপ পিসি তৈরি করেছে। রিমিক্স এই মিনি পিসিটি তৈরির জন্য চীনের বেইজিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিদে টেকের সহায়তা নিয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন অপারেটিং সিস্টেম রিমিক্স ওএস। এটা অনেকটা অ্যানড্রয়েডের মতই। রিমিক্স ওএসে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের খানিকটা পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন আনা হয়েছে। পিসিটিতে এইচডিএমআই পোর্টের মাধ্যমে ডিসপ্লেতে সংযুক্ত করলে পুরো কম্পিউটারের সুবিধা নেয়া যাবে।

রিমিক্স পিসিতে টেক্সটপ ফিচার রয়েছে। উইন্ডোজের মত টাস্কবার, মাল্টি উইন্ডো এবং মাল্টি টাস্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে এটাতে। ডেস্টটপ পিসির মতই এতে কিবোর্ড এবং মাউস সংযুক্ত করা যাবে। অন্যদিকে অ্যানড্রয়েড ভিত্তিক সব অ্যাপসই এতে চালানো যাবে।

রিমিক্সের পিসি ১ জিবি, ২জিবি, ৮জিবি এবং ১৬ জিবি ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে।

এতে আছে ৬৪ বিটের ১.২ গিগাহার্টজের কোয়াডকোর প্রসেসর, বিল্টইন মেমোরি স্টোরেজ। ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে এতে এক্সর্টানাল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা যাবে। পিসিটিতে এইচডিএমআই পোর্ট, মাইক্রো ইউএসবি স্লট রয়েছে। এছাড়া এতে ওয়াইফাই এবং ইথারনেট সংযোগ আছে। এটিতে গান শোনার জন্য আছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক।

ভারতের বাজারে ১ জিবি ভার্সনের রিমিক্স পিসিটির দাম ২০০০ হাজার রুপি। বাংলাদেশি টাকায় এটির মূল্য দাঁড়ায় ২৫০০ টাকা।

বাংলাদেশে শুরু হলো “টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৫”

ict

বিশ্বব্যাপী তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য টেলিনর গ্রুপের আয়োজন টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এ বাংলাদেশ থেকে অংশ নিতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এই ফোরামের লক্ষ্য সমাজে প্রযুক্তিগত রূপান্তরের বিষয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তরুণদের মধ্যে সংযোগ ঘটানো।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এই ফোরামের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অফ এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল ও গ্রামীণফোনের সেন্টার অব এক্সপারটাইজ, পিপলস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন।
এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অসলোতে ইয়ুথ ফোরামটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ইয়ুথ ফোরামে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে প্রভাব বিস্তারকারী তরুণেরা অংশগ্রহণ করবেন। প্রযুক্তির উত্থানের এই সময়ে তরুণদের একসঙ্গে কাজ করার একটি মঞ্চ করে দেয়ার মাধ্যমে একটি প্রজন্মের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই এই ইয়ুথ ফোরামের উদ্দেশ্য। এ বছর এ ফোরামের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে “সবার জন্য জ্ঞান”।
প্রথম ধাপে স্থানীয়ভাবে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, তরুণ শিক্ষাবিদ ও উদ্ভাবকেরা এ প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, নিবন্ধনের সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা, ডিজিটাল কমিউনিকেশন সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ওপর প্রভাব ফেলে এ নিয়ে তাদের নিজস্ব ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গী উপস্থাপন করবেন।
টেলিনর গ্রুপের ব্যবসা আছে বাংলাদেশসহ এমন ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে দুজন করে প্রতিযোগী নরওয়ে মূল প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হবেন। ২৮ বছর বয়সের নিচে মুক্তমনা ও দৃঢ়চেতা তরুণ, যাদের ভাবনার জায়গাটা এখনো নবীন ও সৃষ্টিশীল, তারা অসলোর মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হবেন।
এ বছরের অক্টোবর মাসে একটি সংক্ষিপ্ত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় বিচারকদের চূড়ান্ত রায়ে একটি গালা অনুষ্ঠানে চার ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হবে। এ চার ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে দুজন ডিসেম্বরে অসলোতে যাবেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও টেলিনরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক নির্বাচন প্যানেলের মাধ্যমে চার ফাইনালিস্ট থেকে দুজন বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। যারা মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত হবেন।
গত বছর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল হক সিফাত ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশিন মেহজাবিন চৌধুরী বাংলাদেশের টেলিনর ইয়ুথ সামিট জিতে অসলোতে টেলিনরের মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার নাম ছিলো “টেলিনর ইয়ুথ সামিট”। এ বছর থেকে ইয়ুথ ফোরাম শুধুমাত্র অসলোর মূল প্রতিযগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একই সঙ্গে সরাসরি ও ডিজিটাল পরস্পর সক্রিয় সংলাপে রূপান্তরিত হবে। এ সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে Youth Forum website থেকে।

কম বয়সে বিয়ে করার ৬টি সুফল

বিয়ের সঠিক বয়স কোনটি তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই বলবেন বিয়ে এবং সম্পর্ক আসলে কি তা বুঝে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। আর এই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত থাকে বলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই বিয়ের কথা ভাবেন না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, দ্রুত বিয়ে করে ফেলার সিদ্ধান্ত কিন্তু বেশ ভালো বুদ্ধিমানের মতো কাজ। বয়স একটু কম থাকলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত, এতে জীবনটা অনেক বেশিই সহজ মনে হবে আপনার কাছে। অনেক ধরনের সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারবেন। কীভাবে জানতে চান? পড়ুন…………

১) আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে বিয়ে করার কথা তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করে ফেলা ভালো, যখন আবেগ কাজ করে অনেক।

২) বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য কতটা সময় পান? বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। আর একবার সন্তান হয়ে গেলে দুজনের একান্ত সময় কাটানো আর হয়ে উঠে না। কিন্তু অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেললে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে।

৩) ‘একজনের চেয়ে দুজন ভালো’ -বিষয়টি নিশ্চয়ই না বোঝার কথা নয়। একাই সুখ দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দুজনে ভাগাভাগি করে নিলে অনেকটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অল্প বয়সেই বিয়ে করলে দুজনের জীবনের সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায় বলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে।

৪) সন্তানের জন্য খুব ভালো মাতা-পিতার উদাহরণ হতে পারবেন যদি বিয়ে আগে করে ফেলেন। সত্যি বিষয়টি কেউ মানুন আর নাই মানুন না কেন মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমে এসেছে। আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টিও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানিসকতাও কিন্তু দিনকে দিন নষ্ট হতে থাকবে।

৫) দুর্ঘটনাবশত অনেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত ঠিক নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়ছে। জলদি বিয়ে করার কিন্তু এই দিক থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে অল্পতেই ভেঙে যায় তাহলে জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া যায় যা দেরিতে বিয়ে করলে পাওয়া সম্ভব হয় না।

৬) এগুলো তো গেল সিরিয়াস বিষয়, এখন শুনুন আগে ভাগে বিয়ে করে ফেলার একটু অন্যরকম সুবিধাগুলো। আগে বিয়ে করে ফেললে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ আছে কি’ ইত্যাদি ধরনের বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

টুকিটাকি: টুথপেস্টের নানা ব্যবহার

Blue toothbrush and paste

দাগ লাগা জুতা

চামড়ার জুতায় দাগ লাগলে পালিশ করতে পারেন টুথপেস্ট দিয়ে। দাগ উঠে যাবে। অল্প একটু পেস্ট নিয়ে নরম কাপড় দিয়ে দাগের ওপর ঘষতে থাকুন। দাগ থাকবে না।

স্নিকার্স

স্নিকার্সের রাবার অংশটি আরো সাদা বা পরিষ্কার করতে ফ্লোরাইড পুরনো টুথব্রাশে লাগিয়ে জোরে জোরে ঘষতে থাকুন। পরে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

ইস্ত্রি

দাগ পড়া ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় ইস্ত্রি করলে কালো দাগ পড়ে। এ ক্ষেত্রে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ঠাণ্ডা ইস্ত্রির নিচের অংশে লাগিয়ে কাপড় দিয়ে ভালো করে ঘষে পরে মুছে ফেলুন। নতুন হয়ে যাবে।

হীরার আংটি

পুরনো টুথব্রাশে অল্প একটু ফ্লোরাইড টুথপেস্ট নিয়ে হীরার আংটি ঘষে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। চকচক করবে।

ফিডার

ফিডার থেকে দুধের গন্ধ দূর করতে একটু টুথপেস্ট ভেতরে লাগিয়ে ভালোভাবে পানি দিয়ে ঝেঁকে ধুয়ে ফেলুন। গন্ধ থাকবে না।

আয়না

বাথরুমের ঝাপসা আয়নার কারণে শেভ করতে গিয়ে কেটে ফেলেছেন? ফ্লোরাইড টুথপেস্ট আয়নায় লাগিয়ে পরিষ্কার করে নিন। আয়নায় পানি লাগলেও আয়না ঝাপসা হবে না।

বেসিন

ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে বেসিন পরিষ্কার করুন। বেসিন ঝকঝকে হবে, জীবাণু থাকবে না।

দেয়ালের দাগ

শিশুরা দেয়ালে আঁকাজোকা করবেই। মুছতে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে জায়গাটায় ভালো করে ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে মুছে ফেলুন।

লিপস্টিক বা কালির দাগ

কলমের কালি পকেটে লেগেছে কিংবা কাপড়ে লিপস্টিকের দাগ ভরেছে। তাহলে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দাগের ওপর ভালোভাবে ঘষে নিন। যদি প্রথমবারে পুরোপুরি না ওঠে, তবে আরো কয়েকবার চেষ্টা করে দেখুন, দাগ থাকবে না।

ফার্নিচার

জলছাপ পড়েছে ফার্নিচারে? কিংবা দুধ, চা-কফি। ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে কাঠের ওপর নরম কাপড় দিয়ে আস্তে করে ঘষুন। দাগ থাকবে না।

ব্রণ

জেল টুথপেস্ট ব্রণের ওপর হালকাভাবে রাতে লাগিয়ে রাখুন। এটা ব্রণের পানি এবং ত্বকের তেল শুষে নেয়। তবে স্পর্শকাতর ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

হাতের দুর্গন্ধ

দুর্গন্ধ দূর করতে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট হাতে মেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। গন্ধ থাকবে না।

কাঠের শোপিস বানিয়ে আয়

কাঠ দিয়ে তৈরি হয় দৃষ্টিনন্দন শোপিস। দেশ-বিদেশে এসব শোপিসের রয়েছে দারুণ চাহিদা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন শেখ ফায়সাল ও সানজিদ আসাদ

show pies

কাঠের শোপিস বানাতে হাতে যশ থাকা চাই। অভিজ্ঞ কারো সঙ্গে কাজ করেও শিখতে পারেন। সম্ভব না হলে কারিগর রেখেও শোপিস তৈরি করতে পারেন। নাটোরের সিংড়ার ফরিদুল ইসলামের তৈরি কাঠের হস্তশিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে ছয়টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রথমে অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছেন পাঁচ-ছয়জন কর্মচারী। ফরিদুল জানান, কাঠ দিয়ে তিনি তৈরি করেন তাজমহল, টেবিল ল্যাম্প, ফুলদানি, কলমদানি, নৌকা, মাছ, পাখি, হাতি, জুয়েলারি বক্স, টেবিলঘড়ি, দেয়ালঘড়ি, গাড়ি, পাউডার কেস, মোমদানিসহ হরেক রকম শোপিস। খুব বেশি বিনিয়োগের দরকার হয় না। অব্যবহৃত একটি ঘর কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

উপকরণ

ঢাকার মানিকনগরের শোপিস কারিগর আবদুল্লাহ মমিন জানান, কাঠ, ফেলনা কাঠের টুকরা এবং গুল্ম দিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ধরনের শোপিস। নিখুঁতভাবে কাঠ খোদাই করে তৈরি করা হয় এসব বাহারি পণ্য। তাতে প্রয়োজন অনুসারে রং করা হয়। শোপিস আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বার্নিশ করা হয়। বার্নিশে অনেকে এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করেন। জোড়া দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন ভালো মানের আইকা।

সতর্কতা

আবদুল্লাহ মমিন জানান, শোপিস যত নিখুঁত হবে, দামও হবে তত বেশি। তাই তৈরির সময় সতর্ক থাকতে হয়। বিশেষ করে কাঠ খোদাই করার সময়। এ ছাড়া একটু অসাবধানতায় ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে পণ্যটি।

শোপিসের বাজার

আবদুল্লাহ মমিন জানান, ঢাকার বিভিন্ন সুপার মল, উপহার সামগ্রীর দোকান, হস্তশিল্পের দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি দামে বিক্রি করা হয় শোপিস। এ ছাড়া কারখানা থেকেই হকাররা পাইকারি দামে কিনে নিয়ে শহর ও গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য বিক্রি করেন।

বিদেশেও এসব শোপিসের দারুণ চাহিদা আছে। ফরিদুল জানান, তাঁর তৈরি শোপিস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইতালি, জার্মানি, আরব আমিরাত, মরিশাস, দুবাই, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।

ঢাকার চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের বিসমিল্লাহ কটেজের কর্ণধার হেলাল খান জানান, চাহিদা অনুযায়ী শোপিসের সরবরাহ কম। সব ধরনের ক্রেতাই ঘর সাজাতে বা উপহার দিতে কাঠের শোপিস কিনে নিয়ে যান। তবে ছাত্রছাত্রী ও গৃহিণীরা এসব পণ্য বেশি কিনে থাকেন।

আয়ের হিসাব

ফরিদুল ইসলাম জানান, কারিগরদের দৈনিক হিসাবে মজুরি দিতে হয়। প্রতি পিস পণ্য বিক্রি হয় প্রকারভেদে ২০ থেকে ৫০০ টাকায়। আবদুল্লাহ মমিন শুরু করেছিলেন মাত্র ২৫ হাজার টাকায়। এই টাকা দিয়ে তিনি কিছু পরিত্যক্ত কাঠ, শোপিস তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বার্নিশ ও কেমিক্যাল কিনেছিলেন। শুরুতে মাসে আয় হতো ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। এখন ব্যবসা বড় হয়েছে, লোকবলও অনেক। এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ১২ জন কর্মচারী। সব খরচ বাদে মাসে আয় থাকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

হজ পালনে শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশ

hoojj

বিগত দশ বছরে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন প্রায় অাড়াই কোটি মানুষ। এই ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে সৌদি আরব যান ২০১২ সালে। সেবার প্রায় ৩১ লাখ ৬০ হাজার মুসল্লি পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন করেছিলেন।

সবচেয়ে কম মানুষ হজ পালন করেছিলেন ২০১৩ সালে। সেবার ১৯ লাখ ৮০ হাজার মুসল্লি হজ পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে প্রায় ২১ লাখ লোক হজ পালন করেছেন। এ খবর দিয়েছে সৌদি গেজেট।

২০১৩ সালে হজ পালনকারীদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হলো, তখন মক্কা ও মদিনার বর্ধিতকরণের কাজ চলায় সৌদি সরকার দেশীয় হজ পালনকারীদের সংখ্যা ৫০ ভাগ ও বিদেশী হজ পালনকারীদের সংখ্যা ২০ ভাগ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত বছর প্রায় ২১ লাখ লোক হজ পালন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ৯৭ হাজার হচ্ছেন পুরুষ এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার হচ্ছেন নারী। বিদেশী হজযাত্রী ছিলেন প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার। বিদেশী হজযাত্রীদের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ছিলেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। সে দেশ থেকে হজ পালনের নিমিত্তে সৌদি আরব গেছেন প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ, যা মোট বিদেশী হজযাত্রীর ২১ শতাংশ।

এরপর পাকিস্তান থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার ও ভারত থেকে ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ হজ পালন করেছে। এ দু’টি দেশ রয়েছে বিদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। এরপর মিশর থেকে হজ পালন করতে গিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ জন। দেশটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৯০০ জন। বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার পঞ্চম স্থানে।

সৌদি আরবে থাকা যেসব মানুষ হজ পালন করেছেন, তার মধ্যে সৌদি আরবের স্থানীয়দের বাইরে মিশরীয় রয়েছেন প্রায় ৬৭০০০, পাকিস্তানি রয়েছেন প্রায় ৪১৯০০ জন।

হজযাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা দিতে সৌদি সরকার প্রায় ১০০০০ কোটি ডলার খরচ করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। ওই নির্মাণ কাজ শেষ হলে হজ পালনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সৌদি যেতে পারবেন সেই সঙ্গে অনেকটা নির্বিঘ্নে হবের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

সৌদি গেজেটের তথ্যানুযায়ী ২০০৫ সালে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৬০ হাজার, আর পরের বছরই এ সংখ্যা বেড়ে ২৩ লাখ ৮০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। এ সংখ্যা ২০০৭ সালে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৫০ হাজারে। কিন্তু পরের বছরই ২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ১০ হাজারে। এরপর ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্রমেই বেড়েছে হজযাত্রীর সংখ্যা। তবে ২০১৩ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমে যায় হজযাত্রীদের সংখ্যা।

এর পরের বছর আবার বেড়েছে হজ যাত্রীর সংখ্যা। বিগত ১০০ বছরের হজযাত্রীদের পরিসংখ্যান সংরক্ষিত রয়েছে সৌদি সরকারের কাছে। ১৯২০ সালে বিদেশী হজযাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারেরও কম।

ওজন কমানোর জন্য কার্যকর ৬৩টি উপায় জেনে রাখুন

weight

শরীরের ওজন ঠিক রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। আপনার ওজন যদি হয় বেশি, তাহলে তা কমিয়ে ফেলার বিকল্প নেই। তাড়াহুড়া করে ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই বিপদের মুখোমুখি হন। তাই এ লেখায় দেওয়া ৬৩টি উপায় অনুসরণ করে ঝরিয়ে ফেলুন আপনার দেহের বাড়তি ওজন।
১. নিজের খাবার নিজেই বানান
আপনার রান্নার হাত ভালো নয়? তার পরেও নিজের হাতে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার কয়েকটি রেসিপি শিখে নিন।
২. অনুশীলনের ডিভিডি সংগ্রহ করুন
শারীরিক অনুশীলনের নানা উপায় এখন ডিভিডিতেই পাওয়া যায়। এ ধরনের ডিভিডি সংগ্রহ করে তা দেখে দেখে অনুশীলন করলে যথেষ্ট উপকার পাবেন।
৩. সার্ভিস সাইজ শিখে নিন
খাবার গ্রহণ মানেই থালা ভর্তি করে খেতে হবে, এমন ধারণা বাদ দিন। ছোট পাত্রে করে সামান্য খাবার গ্রহণ করুন।
৪. আগের ও পরের ছবি তুলুন
আপনার ওজন বিষয়ে সচেতন হওয়ার আগের ও পরের ছবি তুলুন। উভয় ছবির তুলনা করুন।
৫. নাচ
নাচ ভালো একটি শারীরিক অনুশীলন। এর মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।
৬. খাবারের ভালোমন্দ শিখে নিন
কোন খাবারটি আপনার শরীরের জন্য ভালো এবং কোন খাবারটি খারাপ তা শিখে নিন। এরপর সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৭. অনুশীলনে বৈচিত্রতা আনুন
আপনার শারীরিক অনুশীলন যদি একঘেয়ে হয়ে যায় তাহলে তা কোনো কাজ করবে না। এ কারণে শারীরিক অনুশীলনে বৈচিত্রতা আনতে হবে।
৮. কল্পনা করুন
আপনার শারীরকে যেমন বানাতে চান, সে অবস্থার কথা কল্পনা করুন। এতে আপনার আগ্রহ তৈরি হবে।
৯. আঁশজাতীয় খাবার খান
আঁশজাতীয় খাবার পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখাসহ নানা উপকার করে। শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ ধরনের খাবার বেশি করে খেলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
১০. হাঁটুন বা সাইকেল চালান
যান্ত্রিক শক্তিচালিত যানবাহনের বদলে হাঁটা বা সাইকেল চালানো অভ্যাস করুন।
১১. বাস্তববাদী হোন
ওজন কমানোর বিষয়ে বাস্তববাদী হতে হবে। মাত্র কয়েকদিন অনুশীলন করেই আপনি শরীর অর্ধেক কমিয়ে ফেলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে মাসে প্রায় ১০ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব।
১২. প্রোটিন বাদ দেবেন না
ডিম, মাংস, মাছ ইত্যাদি প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ওজন কমানোর সময়েও এসব খাবার শরীরের প্রয়োজন। তবে আপনি যদি নিরামিশাষী হন তাহলে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে অনুরূপ পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে পারেন।
১৩. অনুশীলনের সময় শ্বাস নিতে ভুলবেন না
শারীরিক অনুশীলন করার সময় শ্বাস প্রশ্বাস কমাবেন না। বেশি করে অক্সিজেন গ্রহণ করুন।
১৪. পাউরুটি বাদ
আপনার খাদ্যতালিকা থেকে পাউরুটি বাদ দিন।
১৫. নিয়মিত মাপ নিন
অনুশীলনের ফলে আপনার শরীরের যে পরিবর্তন হচ্ছে, সে বিষয়ে নিয়মিত দৃষ্টি রাখুন। এজন্য হাতের কাছে এটি টেপ রাখুন।
১৬. কাজের পর বিশ্রাম নিন
কাজের পর আপনার মাংসপেশিগুলোর বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ করুন।
১৭. সালাদ ড্রেসিং বাদ দিন
সালাদ খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু এতে ড্রেসিং ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
১৮. প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার নয়
শিল্পকারখানায় প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বাদ দিন। তার বদলে স্বাস্থ্যকর তাজা ফলমূল ও খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
১৯. ক্র্যাশ ডায়েট নয়
ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়া করে ক্র্যাশ ডায়েট বাদ দিন। এতে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
২০. আবেগগত খাবার বাদ দিন
শারীরিক প্রয়োজনে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে খাবার খান। তার বদলে মানসিক সন্তুষ্টির জন্য, লোভের বশে কিংবা খাবারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাড়তি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২১. দৈনিক পাঁচবার খাবার খান
দৈনিক পাঁচবার খাবার খাওয়া হলে আপনার পরবর্তী খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধা কমে যাবে।
২২. অন্যমনস্কভাবে খাবেন না
খাবার খাওয়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করুন।
২৩. সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না
সকালে নাস্তার বহু ইতিবাচক উপকারিতা রয়েছে। ওজন কমাতেও এটি কার্যকর।
২৪. খাওয়ার আগে টিভি বন্ধ করুন
খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য টিভি বন্ধ করে তারপর খেতে বসুন।
২৫. সঙ্গে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
রাস্তাঘাটে জাংক খাবার খাবেন না। প্রয়োজনে সঙ্গে রাখুন একবাটি সালাদ, বাদাম কিংবা ফলমূল।
২৬. অল্প মানুষের সঙ্গে খান
বেশি মানুষের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলে তা আপনার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
২৭. নাস্তার তালিকা করুন
বারবার নাস্তার মতো খাবার দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব খাওয়ার সময়ও নির্ধারণ করে নিন। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ইত্যাদি সব মিলিয়ে যেন পাঁচবারের বেশি না খাওয়া হয়।
২৮. খাবারের নোট রাখুন
দৈনন্দিন কী কী খাবার খাচ্ছেন, তা একটি নোটবুকে টুকে রাখুন। এতে কতোখানি খাবার খেলে ওজন কেমন হয় তা বোঝা সহজ হবে।
২৯. জাংক ফুড বাদ দিন
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাবার কেনা ও বাড়িতে নিয়ে আসা বাদ দিন।
৩০. তালিকা করুন
যেসব কারণে আপনি ওজন কমাতে আগ্রহী, তার একটি তালিকা করুন। নিয়মিত এ তালিকায় চোখ রাখুন।
৩১. খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ
উপযুক্ত খাবার খাওয়ার পর কিছুটা মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। খালিপেটে মিষ্টি খাওয়া বাদ দিন।
৩২. বিরতি নিন
ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করার পাশাপাশি এতে অল্প সময়ের জন্য বিরতিও নেওয়া যেতে পারে।
৩৩. শেয়ার করুন
আপনার বন্ধুদের সঙ্গে খাবার শেয়ার করুন। এতে ক্যালরির পরিমাণ যেমন কমবে তেমন বন্ধুত্বও বাড়বে।
৩৪. ছুটির দিনের হিসাব করুন
অনেকেই সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে শারীরিক অনুশীলনের কথা ভুলে যান। এ অভ্যাস ত্যাগ করে ছুটির দিনগুলো কাজে লাগান।
৩৫. ধীরে ধীরে খান
খাবার ধীরে ধীরে খাওয়া হলে তা সঠিক পরিমাণে খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই খাবার গতি কমাতে হবে।
৩৬. ব্যস্ত থাকুন
আপনার হাতে অনেক সময় থাকলেও সময়টি কোনো কাজে ব্যয় করুন। অলস সময় আপনার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেবে।
৩৭. নিজেকে পুরস্কার দিন
ওজন কমানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আপনার দেহকে পুরস্কার দিন। হতে পারে এটি কোনো একটি মজার খাবার বা পানীয়।
৩৮. শরীরের কথা শুনুন
আপনার কতোখানি খাবার খাওয়া প্রয়োজন তা শরীরই বলে দেবে। শরীরের সে কথা শুনুন।
৩৯. অস্বাস্থ্যকর খাবার বদলান
আপনার খাদ্যতালিকায় থাকা অস্বাস্থ্যকর খাবার বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪০. মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ ওজন বাড়ানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী। মানসিক চাপ কমানো তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪১. সোডা বাদ দিন
সোডার মতো কোমল পানীয় পান করা পুরোপুরি বাদ দিন। তার বদলে পান করতে পারেন স্বাস্থ্যকর টাটকা ফলের রস।
৪২. ফিটনেস ম্যাগাজিন ও বই পড়ুন
ওজন কমানোর জন্য নানা পরামর্শ পাবেন ফিটনেস ম্যাগাজিন বা এ বিষয়ে বইতে। এসব বই থেকে আপনার জন্য মানানসই উপায় খুঁজে নিন।
৪৩. পর্যাপ্ত ঘুম
ওজন কমানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিদিন সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমান।
৪৪. পর্যাপ্ত পানি খান
আমাদের মস্তিষ্ক ক্ষুধা ও তৃষ্ণার অনুভূতি অনেকাংশে এক করে ফেলে। এ কারণে পর্যাপ্ত পানি খেলে তা ক্ষুধাও কমাতে পারে।
৪৫. অনুপ্রাণিত হোন
ওজন কমানোর জন্য নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করুন।
৪৬. খাবার আগে এক গ্লাস পানি
খাবার ১৫-২০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে আপনার ক্ষুধা কমানোসহ পাকস্থলিতে হজমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।
৪৭. ভালোবাসুন
কাউকে ভালোবাসলে তা ওজন কমানোয় সহায়ক হয় বলে গবেষণায় জানা গেছে। তাই বেশি করে ভালোবাসুন।
৪৮. কালো কফি পান করুন
চিনি ও দুধ মুক্ত কফি পান করুন। এটি ওজন কমাতে সহায়ক হবে।
৪৯. গাড়ি দূরে রাখুন
ব্যক্তিগত গাড়িতে করে চলাচল করলে গাড়িটি দূরবর্তী স্থানে পার্ক করুন। এতে গাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য হাঁটার প্রয়োজন হবে।
৫০. চুম্বন
প্রতি মিনিটের চুম্বন পাঁচ থেকে ছয় ক্যালরি করে ক্ষয় করে। তাই ওজন কমানোর একটি উপায় হতে পারে এটি।
৫১. সিঁড়ি ব্যবহার করুন
সুযোগ পেলেই লিফট বর্জন করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এতে যথেষ্ট উপকার হবে।
৫২. হাল ছাড়বেন না
ওজন কমানোর কাজটি হঠাৎ করেই হয় না। এজন্য ধৈর্য্য ধরে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হয়। আর হঠাৎ করে এ বিষয় শুরু কিংবা শেষ করলে তা নানা শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা তৈরি করে।
৫৩. সমমনা বের করুন
একা যদি ওজন কমানোর কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হয় তাহলে কোনো বন্ধুর সঙ্গে একত্রিত হোন। দুজনে একসঙ্গে কাজটি করুন।
৫৪. তারকার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিন
অনেক তারকাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছেন। আপনার প্রিয় কোনো তারকার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিন।
৫৫. নেতিবাচকতা বাদ দিন
জীবনের সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচকতা ক্ষতিকর। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক চিন্তাধারা আপনাকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই নেতিবাচকতা বাদ দেওয়ার বিকল্প নেই।
৫৬. ট্রেইনারের সহায়তা নিন
নিজে নিজে যদি ওজন কমানোর পন্থা নির্ধারণ করতে না পারেন তাহলে পেশাজীবীদের সহায়তা নিন। তারা এ বিষয়ে দক্ষ।
৫৭. ইতিবাচকদের সঙ্গে থাকুন
ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে থাকলে তা আপনার মানসিক উদ্যম অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণও অনেক সহজ হবে।
৫৮. পছন্দমতো স্লিম পোশাক কিনুন
আপনার ওজন কম হলে যেমন পোশাক প্রয়োজন হবে, তেমন পোশাক কিনুন। এতে আপনার সেই পোশাক পরার জন্য হলেও ওজন কমানোর আগ্রহ দেখা দেবে।
৫৯. সঙ্গী নিন
ওজন কমানোর প্রোগ্রাম একা একা চালানো অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কোনো সঙ্গী থাকলে তা অনেক সহজ হয়ে যায়।
৬০. খেলাধূলার পোশাক কিনুন
খেলাধূলার উপযোগী পোশাক কিনুন। সেসব পোশাক পরে শারীরিক অনুশীলন অনেক আরাম ও আনন্দদায়ক হবে।
৬১. প্রতিদিন কিছু না কিছু অনুশীলন করুন
আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রমের সঙ্গে কিছু না কিছু অনুশীলন করুন। এতে শরীর যেমন ফিট থাকবে তেমন ওজন কমানোও সহজ হবে।
৬২. ওজন মাপা যন্ত্র এড়িয়ে যান
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ওজন মাপা যন্ত্র দিয়ে শরীরের ওজন মাপার প্রয়োজনীতা থাকবেই। কিন্তু এ যন্ত্রটির অতিরিক্ত ব্যবহার না করে শরীরের আকার পরিবর্তন নির্ণয়ের জন্য টেপ ব্যবহার করুন।
৬৩. নাস্তার আগে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম
সকালে নাস্তার আগে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম দেহের ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। খেয়াল রাখবেন, এ ব্যায়ামে যেন আপনার হৃৎস্পন্দন মিনিটে ১২০ থেকে ১৩০-এ উঠে যায়।
–ওয়েবসাইট অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব