জ্যোতির্বিজ্ঞানে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান

– সোহাগ ইসলাম সৌরভ

Muslim Biggani
জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর বাইরের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুসমূহ (Astronomical/ Celestial Objects), যেমন- গ্রহ (Planets), নক্ষত্র (Stars), ধূমকেতু (Comets), নীহারিকা (Nebula), নক্ষত্রপুঞ্জ (Star Clusters), ছায়াপথ (Galaxy), প্রভৃতি এবং বিভিন্ন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা (Astronomical Phenomenon) সম্পর্কিত বিজ্ঞান।

অন্যদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র হলো কিছু পদ্ধতি, প্রথা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি যাতে মহাকাশে জ্যোতিষ্কসমূহের আপেকি অবস্থান এবং তৎসংশ্লিষ্ট তথ্যাদির মাধ্যমে মানব জীবন, মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মানবীয় ও বহির্জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় প্রাচীনকালের বিজ্ঞানীদের মাঝে এই দুই শাস্ত্রের সমান্তরাল চর্চা দেখতে পাওয়া যায়। তবে বিজ্ঞানের অনগ্রসরতা, গোঁড়ামি এবং সাধারণ মানুষের বিজ্ঞানবিমুখিতা গ্রহ-নত্রের পাঠকে ঠিক মতো বৈজ্ঞানিক ধারায় চালিত হওয়ার সুযোগ দেয়নি। মুসলমানদের মাঝেও এই দুই শাস্ত্রের চর্চা প্রথম শুরু হয়। উনারা এই চর্চাকে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের পর্যায়েই উন্নীত করেননি, বরং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তত্ত্ব ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে একে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, যা এক কথায় অভূতপূর্ব। কেমন করে এটি সম্ভব হলো, তা নিয়ে আলোচনা থাকছে এখন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানে মুসলমানদের আবিষ্কার এবং অর্জন এত ব্যাপক এবং এত বেশি সময় ধরে বিস্তৃত যে, স্বল্প পরিসরে তার বর্ণনা দিতে গেলে অনেক তথ্যই হয়তো বাদ পড়ে যাবে। তারপরেও স্থানাভাবে এখানে কেবলমাত্র একেবারেই বর্ণনা না করলেই নয়, এমন আবিষ্কার নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে। সন্দেহ নেই, পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মতো আরবেও জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা সুপ্রাচীনকাল হতেই চলে আসছিল। এছাড়া, পেশাগত জীবনে ব্যবসায়ী এমন আরববাসীর সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল না। ফলে, স্থল ও জলপথে বাণিজ্য পরিচালনাকালে আকাশের তারকা দেখে পথনির্দেশনা লাভের বিদ্যা নিশ্চয়ই কিছু পরিমাণে ছিল না? কিন্তু, এই জ্ঞান ও এর চর্চা দিয়ে আর যাই হোক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী হওয়া সম্ভব ছিল। প্রথম যাত্রা শুরু হয়, অত্যন্ত স্বল্প সময়ে একটি বিশাল ভূখণ্ড (প্রায় ১৩,০০০,০০০ বর্গকিলোমিটার) মুসলমানদের অধিকারে এসে যাওয়ার পর। এই বিশাল অঞ্চলব্যাপী বিস্তৃত মুসলমানদের ইসলামী সব বিষয়ই সরাসরি চন্দ্র-সূর্য এবং দিকের সাথে সম্পর্কিত ছিল। এ সমস্যা সমাধান করতে গিয়েই জ্যোতির্বিদ্যার বৈজ্ঞানিক চর্চার সূত্রপাত এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রায় সকল মুসলমান বিজ্ঞানী আর যে েেত্রই অবদান রাখুন না কেন, চেষ্টা করেছেন এ বিষয়ে অবদান রাখতে। উনারা একের পর এক অনুবাদ করেছেন, গবেষণা চালিয়েছেন, জিজ্ (তল) লিখেছেন। উল্লেখ্য যে, জ্যোতির্বিদ্যার উপর মুসলমানদের লিখিত বইগুলো জিজ্ নামেই বেশি পরিচিত।

স্পষ্টতইঃ নানান অঞ্চলের নানান ভাষার জ্যোতির্বিদ্যার গ্রন্থের আরবী অনুবাদ দিয়ে শুরু পথ চলা। এেেত্র প্রথমেই যে নামটি আসে, তা হচ্ছে ইয়াকুব ইবনে তারিক। তিনি এবং আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম আল-ফাজারী মিলিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে ‘আজ জিজ্ আল-মাহ্লুল মিন আস্-সিনহিন্দ্ লি-দারাজাত্ দারাজা’ রচনা করেন। অবশ্য, কাজের শুরুটা করেন পূর্বোক্ত মুহাম্মাদ আল ফাজারীরই পিতা ইব্রাহীম আল ফাজারী। এর সাথে সাথে গ্রীক ‘আল-ম্যাজেস্ট’(ল্যাটিন- Almagest; আরবী, al-kitabul-mijisti) এবং এলিমেন্টস্ (Elements)সহ অন্যান্য গ্রন্থ একের পর এক আরবীতে অনূদিত হতে থাকায় প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ঘুমিয়ে থাকা জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানভাণ্ডার একসাথে যেন মুসলমানদের সামনে খুলে যায়। এর পরেই এেেত্র আবির্ভূত হন বিজ্ঞানের জগতের সর্বকালের এক মহান দিকস্রষ্টা আবু আব্দুল্লাহ্ মুহম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজ্মি, গণিতে যাঁর অবদানকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানেও এই গণিতবিদের মৌলিক আবিষ্কার রয়েছে। উনার রচিত ‘জিজ্ আল-সিন্দ্হিন্দ্’ (তল Al-Sindhind- Astronomical tables of Sind and Hind) এেেত্র এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ যাতে তিনি প্রায় ৩৭টি অধ্যায় এবং ১১৬টি ছক সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করেছেন। উনার রচনায় ভারতীয় উৎস হতে অবাধে তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং ব্যবহার করেছেন। চন্দ্র, সূর্য ও সে আমলে জানা পাঁচটি গ্রহের গতিবিধি, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ, ঋতু পরিবর্তন নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। একই সময়ে আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ হাবাশ আল-হাসিব আল মারওয়াজি উনার The Book of Bodies and Distances গ্রন্থে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্যের পরিধি, ব্যাস ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হিসেব করেন। আবু আল-আব্বাস আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর আল-ফারগানী হচ্ছেন সেসময়ের পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদ। তিনি ৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে আল-ম্যাজেস্টের সংপ্তি ভাষ্য লিখেন যা দ্বাদশ শতকে Elements of astronomy on the celestial motions শিরোনামে ল্যাটিনে অনূদিত হয় এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। সমসাময়িককালে আরো যাঁরা জ্যোতির্বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তাঁদের মধ্যে সাবিত ইবন্ েক্বরাহ্, জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আবু মাশার আল-বল্খী এবং বনু মুসা ভ্রাতৃত্রয়ের অগ্রজ আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবন্ েমুসা আল-শাকির নাম নিতেই হয়।

এতণ পর্যন্ত যে সব তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রধানত টীকা-ভাষ্যের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু, এর পরে যা হলো তা এক কথায় অভূতপূর্ব। সময়ের অতি স্বল্প পরিসরে মুসলমানদের মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মৌলিক অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গের সংখ্যা এত বেশি যে, মাঝে মাঝে রূপকথা কিংবা অতিকথন মনে হয় অনেকের!

এেেত্র প্রথমেই যিনি আসেন তিনি আবু আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ ইবনে জাবির ইবনে সিনান আল-বাত্তানী। মুসলমানদের বিজ্ঞানের ইতিহাসে উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদও বলেন কেউ কেউ। কোন প্রকার টেলিস্কোপের সাহায্য ছাড়াই কেবল খালি চোখের পর্যবেণ এবং গণিতের প্রয়োগে তিনি সে সময়েই এক সৌর বছরের (One Solar Year) মান হিসেব করেন, যার সাথে আজকের দিনের আধুনিকতম হিসেবের (৩৬৫দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড) সাথে মাত্র তিন মিনিটের গরমিল পাওয়া গিয়েছে। তিনিই আপন অে পৃথিবীর ঝুঁকে থাকার পরিমাণ হিসেব করেন, যা আধুনিক হিসেবের সাথে মাত্র অর্ধডিগ্রি বেশি! ৫৭টি অধ্যায় সম্বলিত উনার ‘আল-জিজ্ আল-সাবী’ একটি অসাধারণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক সংকলন যা ষোড়শ’ শতকে De Motu Stellarum নামে ল্যাটিনে অনূদিত হয় এবং পাশ্চাত্য জ্যোতির্বিদ্যার উত্তরণে সরাসরি অবদান রাখে। তারপরেও, তিনি সেই তিনি দুর্ভাগা বিজ্ঞানীত্রয়ের একজন কোপার্নিকাসের সৌর মডেলে যাঁদের অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপো করা হয়েছে।

মুসলিম দর্শনের অন্যতম পুরোধা আবু নার্স আল-ফারাবী জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিকেও হাত বাড়িয়েছিলেন। তবে, গ্রীকবিজ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত উনার দার্শনিক পরিচয়ের নিচে সে সব অবদান খুব বেশি মাথা তুলতে পারে নি। আবদুর রহমান আল-সুফী সে সময়ের আরেক প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ। Book of Fixed Stars উনার অমর গ্রন্থ। আমাদের আকাশগঙ্গা (Milky Way) ছায়াপথের সবচেয়ে নিকটবর্তী ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা (Andromeda) আবিষ্কারের কৃতিত্ব অনেকে উনাকেই দিয়ে করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানে একটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র অ্যাস্ট্রোল্যাবের (Astrolabe) অন্ততঃ ১০০০টি ভিন্নধর্মী ব্যবহার তিনি বর্ণনা করেন। আবু মাহমুদ খুজান্দী নিজের মতো করে পৃথিবীর ঝুঁকে থাকার পরিমাণ (Axial Tilt) হিসেব করেন যা ফারাবীর কাছাকাছিই আসে। উনার বিস্তৃত কাজের বিবরণ পাওয়া যায় পরবর্তী সময়ের বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ নাসিরউদ্দীন তুসীর লেখায়। তবে, ৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে উনার যে আবিষ্কারটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, তা হচ্ছে সেক্সট্যান্ট (Sextant) যন্ত্র। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আবদুর রহমান ইবন্ েআহ্মদ ইবন্ েইউনুস আরেকটি অবিস্মরণীয় নাম। উনার ‘আল-জিজ্ আল-কবির আল-হাকিমী’ একটি মৌলিক গ্রন্থ যার অর্ধেকই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে বা চুরি হয়ে গেছে। এ গ্রন্থে তিনি ৪০টি গ্রহ সমাপতন (Planetary Conjunction) এবং ৩০টি চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) সম্পর্কিত ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

খ্রিস্টীয় একাদশ শতক মুসলমানদের বিজ্ঞানের জগতে এক রতœগর্ভা শতাব্দী। ইবনেুল হাইছাম, আল-বিরুনী এবং ইবনে সীনার মতো তিন তিনজন শাহানশাহী বিজ্ঞানীর আবির্ভাবে ধন্য এ শতক। আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন ‘কিতাবুল মানাজির’-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে ইবনুল হাইছাম (৯৬৫-১০৩৯) জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এছাড়া উনার মিযান আল-হিক্মাহ্ (Balance of Wisdom) এবং মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার (On the Light of the Moon)  গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।

আবু রায়হান মুহাম্মাদ ইবন্ েআহ্মাদ আল-বিরুনী (৯৭৩-১০৪৮) অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদান রাখতেও ভোলেননি। সকল বস্তুই ‘পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়’- এ বাক্যের মাধ্যমে তিনি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির (Gravity) ধারণা দেন (কিন্তু পরে এেেত্র এর আবিষ্কারের কৃতিত্ব পায় হিংসাবশত: বিজ্ঞানী নিউটন)। তিনি বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের উপর ‘কানুন মাস্উদী’ নামে একটি বিশাল গ্রন্থ রচনা করেন, যার চতুর্থ খণ্ডটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের আলোচনায় পূর্ণ। এতে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ত্রিকোণমিতিকে তিনি একই সঙ্গে ব্যবহার করে উভয়েরই উন্নতি সাধন করেন। দ্রাঘিমা, অরেখা, সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়, দিক নির্ণয় ও গ্রহ-নত্রের অবস্থানজ্ঞাপক সংজ্ঞা নির্ণয়ে এ খণ্ডের অধিকাংশ পৃষ্ঠা ব্যয় হয়েছে। স্থানাংক নির্ণয়ে আংশ (Latitude) এবং দ্রাঘিমাংশের (Longtitude) ব্যবহারের শুরুটা উনার হাত দিয়েই হয়। তিনি সে যুগেই প্রায় নিখুঁতভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন যা আজকের দিনের পরিমাপের চেয়ে মাত্র ৩২ কিলোমিটার কম। অ্যারিস্টটলের পৃথিবীকেন্দ্রিক (Geo-centric) বিশ্ব ধারণার তিনি একজন কড়া সমালোচক তথা ভুল প্রমাণ করেন। এভাবে আল-বিরুনীর হাত দিয়েই সুস্পষ্টভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের পথ আলাদা হয়ে যায়। অবশ্য, আল-বিরুনী এখানেই থেমে যাননি, বরং চান্দ্র-সৌর দিনলিপি (Lunisolar Calendar), তারকাদের অবস্থানমাপক যন্ত্র (Planisphere) এবং প্রাথমিক গতিমাপক যন্ত্র (Odometer) উনার হাতেই আবিষ্কৃত হয়। এছাড়া তিনি অ্যাস্ট্রোল্যাব এবং সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের উন্নতিসাধন করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের অমর সাধক ইবন্ েসীনা (৯৮০-১০৩৭) শুক্র (Venus) গ্রহের উপর প্রচুর কাজ করেছেন। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে কাছে- এটি উনার আবিষ্কার। তিনিও জ্যোতির্বিদ্যাকে জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে আলাদা করে দেখতেন। তিনিও আল-ম্যাজেস্টের একটি ভাষ্য রচনা করেন। গ্রহসমূহের আবর্তনকালে টলেমী প্রস্তাবিত মডেলে যে সমস্যাটি অ্যাকোয়েন্ট সমস্যা (equant problem) নামে পরিচিত, ইবনে সীনা তার একটি সমাধান বের করেন বলে জানা যায়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানে মুসলমানরা কতদূর আবিষ্কার রেখেছেন তা উপরের লেখা থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায়। কিন্তু, এগুলো পুরো অবদানের প্রথম অংশ মাত্র! ইবনে সীনার পরে আরো চার শতক ধরে এেেত্র মুসলমানরা অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে ছিলেন। সূত্র : waytojannah

লিভার নষ্ট হবার ১০টি কারণ !!

Liver

১) রাতে খুব দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা।

২) সকালে মূত্রত্যাগ ও পর্যাপ্ত পানি পান না করা।

৩) অতিরিক্ত খাবার খাওয়া।

৪) সকালে নাস্তা না করা।

৫) মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা।

৬) প্রিজারভেটিভ, ফুড কালার ও খাবার মিষ্টি করতে কৃত্রিম সুইটেনার ব্যবহার করা খাবার বেশি খাওয়া।

৭) রান্নায় অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা।

৮) ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া ও ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা।

৯) মাত্রাতিরিক্ত যে কোন কিছুই ক্ষতিকর। খুব বেশি পরিমাণে কাঁচা খাদ্য খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

১০) অ্যালকোহল সেবন করা।

মাটির গয়নায় আয়

Matir Goina

– আফরিন মুশতারি রাইকা

নারীর প্রধান অনুষঙ্গ গয়না। গয়না বিনে নারী বেমানান। সে গয়না শুধু যে স্বর্ণের হবে তা নয়। বিশেষ করে বাঙালি ললনা কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে বিয়ে-শাদী, বর্ষবরণ, দিনক্ষণ, মাস, ঋতু উদযাপনে স্বর্ণ, রৌপ্য, হোয়াইট গোল্ড, এমেটি স্বর্ণ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি বাহারি ডিজাইনের গয়না পরে থাকে। তবে এত দামি ও দীর্ঘস্থায়ী গয়না রেখে ইদানীং অনেকে মাটির তৈরি গয়নার দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতিতে জড়িয়ে থাকা নারীরা মাটির গয়না হরহামেশাই পরে থাকেন। এ কারণেই এ শিল্পের প্রতি চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবশ্য মাটির গয়নার চল বহুদিন থেকেই ছিল। তবে আগের তুলনায় এখন অনেক বাহারি নকশার মাটির গয়না পাওয়া যায়। শিল্পমনা যে কেউ মাটির গয়না তৈরি ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হতে পারে। এ ব্যবসায় বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আয় হয় ভালো। মাটির গয়না তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন হোসনে আরা বেগম। তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীরা মাটির গয়না তৈরি করে পড়ালেখার খরচ জোগানোর পাশাপাশি পরিবারেও সহায়তা দিতে পারে।

উৎপাদন উপকরণ : মূল উপকরণ এঁটেল মাটি। এছাড়া প্রয়োজন হয় কানের দুলের আংটা, ম্যাটেরিয়ান পাথর, নরমাল সাদা পাথর, চিকন তার, সলিউশন গ্লুু, টারসেল, ব্লকের রঙের গুঁড়া, ব্লœকের রঙের কেমিক্যালস, কার্ড পেপার, ছোট পলিপ্যাক ইত্যাদি। পাইকারি দরে চকবাজার থেকে এগুলো সহজেই সংগ্রহ করা যায়। এসব উপকরণ গ্রোস (১ গ্রোস=১২ ডজন) হিসেবে বেচাকেনা হয়ে থাকে। মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কিংবা মূর্তির কারিগরদের কাছ থেকে মাটি সংগ্রহ করা যেতে পারে।

উপার্জন : একজন উৎপাদনকারী মাসে কম করেও ১০০ সেট গয়না তৈরি করতে পারেন। এ হিসেবে মাসে আট থেকে বার হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।

উৎপাদন প্রক্রিয়া : এঁটেল মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে মেখে নিতে হয়। তারপর একটু একটু করে মাটি হাতে নিয়ে নকশা করতে হবে। আংটা লাগানোর জন্য চিকন তার ছোট করে কেটে জোড়া লাগানোর জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। তারপর আগুনের পাশে রেখে শুকিয়ে গয়নাগুলো চুলার আগুনের মধ্যে দিতে হবে। লাল হয়ে এলে আগুন থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে। তারপর সলিউশন গ্লুু লাগিয়ে স্টোন বসিয়ে রঙ করতে হবে। সব শেষে কার্ড পেপারে গেঁথে পলিথিন দিয়ে মুড়ে দিতে হবে।

প্রশিক্ষণ ও বিক্রয় কেন্দ্র : রাজধানীতে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ ও বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। আজিজ সুপার মার্কেটের আইডিয়াস ও জাহানারা কটেজ ইন্ডাস্ট্রিতে মাটির গয়না বিক্রি হয়। নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমলের ফ্যাশন হাউসগুলোতে এ গয়না বিক্রি হয়। প্রশিক্ষণ দেয় এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা। এনআর ক্রাফট ইন্সটিটিউশন, ১৬৬/২, ভূঁইয়াপাড়া, ব্যাংকপাড়া (মিনারা মসজিদের সামনে), খিলগাঁও, ঢাকা, ফোন : ০১৯১৫৭৫৮৩৮২। হোসনে আরা ইন্সটিটিউট, মিরপুর চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্টাফ কোয়ার্টার, ঢাকা, ফোন : ০১৭২৬০৪১৯০৭।

এই গাছগুলো পৃথিবীতে আছে আপনার বিশ্বাসই হবে না!

বাসাবাড়িতে দু একটি গাছ থাকলে যেনো পুরো বাড়ির লুকটাতেই পরিবর্তন চলে আসে। কিছুটা সবুজ বাড়ির চারপাশে থাকলে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে তেমনই মন থাকে প্রফুল্ল। আর যদি সেগুলো ফুলের গাছ হয় তাহলে তো কথাই নেই। আজকাল ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে অফিসের ডেকোরেশনের জন্যও ব্যবহার করা হয় অনেক ধরণের গাছ। এগুলো তো গেল ছোটোখাটো গাছের কথা। কিন্তু আগের যুগের সেই উঠোনে একটি বড় গাছ এখন একেবারেই দেখতে পাওয়া যায় না। কিংবা একটু গ্রাম এলাকাও বিশাল আকারের বড় বড় গাছের সংখ্যাও ইদানীং কমে এসেছে। তারপরও খুঁজলে পুরোনো বেশ বড় কিছু গাছের দেখা পাওয়া যাবে এখনো।
এতো গেল আমাদের দেশের কথা। বাইরের দেশগুলোর অবস্থাও কি একই ধরণের? কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। আবার কোনো কোনো দেশে অসাধারণ সুন্দর ধরণের কিছু গাছের দেখা মেলে। এই মনোমুগ্ধকর অবিশ্বাস্য ধরণের সুন্দর গাছগুলো নিয়েই আমাদের আজকের ফিচার। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কিছু শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর গাছের ছবি।

প্রায় ১২৫ বছরের বেশি বয়সী এই রোডোড্রেন্ডোন গাছটি এখনো আগের মতোই রঙিন ফুলের সুবাস ছড়িয়ে যায় নিয়মিত। এই গাছটি রয়েছে কানাডাতে।


প্রায় ১৯৯০ স্কয়ার মিটার (আধা একর) জায়গা জুড়ে থাকা এই গাছটি পৃথিবীর বড় গাছগুলোর মধ্যে একটি। এই ১৪৪ বছর বয়েসী ওয়েস্টেরিয়া গাছটি রয়েছে জাপানে। প্রচ্ছদে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন তা অবিশ্বাস্য সুন্দর এই গাছটিরই।

ওয়িন্ড সুইপ্ট ট্রি অফ সুইজারল্যান্ড। বিপুল শক্তির বাতাসের সাথে লড়াই করে বেড়ে ওঠা এই গাছগুলোর আকৃতি কোনাকুনিই হয়ে গিয়েছে বর্তমানে।

জাপানিজ ম্যাপেল ট্রি, পোর্টল্যান্ড, অরেগন।

আর্জেন্টিনা ও চিলির কাছে এন্টার্টিক বিচে বেড়ে উঠা আরেকটি ম্যাপেল ট্রি।

এই অ্যাঞ্জেল ওক গাছটি প্রায় ১৪০০-১৫০০ বছর পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। এই গাছটি প্রায় ৬৬.৫ ফিট উঁচু। এটি রয়েছে সাউথ ক্যারোলিনায়।

দ্য ড্রাগনব্লাড ট্রি। অদ্ভুত রকমের এই গাছগুলোর দেখা মেলে ইয়েমেনে।

এই গাছটির নাম ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’। বিশ্বের সবচাইতে উঁচু গাছের তালিকায় এর অবস্থান ৩ নম্বরে। ২৪১ ফিট উচ্চতা এবং ৯৩ ফিট ব্যসের এই জায়ান্ট সেকুয়া গাছটি ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত।


মাদাগাস্কারে এই অদ্ভুত রকমের বাওবাবস গাছগুলো দেখা যায়। এই গাছগুলোর মোটা কাণ্ডে এরা পানি জমিয়ে রাখে। এবং চরম মাত্রার খরায়ও বেঁচে থাকে এই গাছগুলো।


রেইনবো ইউক্যালিপটাস গাছ, কাউয়েই, হওয়াই।

মাকড়শার জাল থেকে তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতের বর্ম!

Army
যুদ্ধের ময়দানে বর্মের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে গা বাঁচাতে অনেক প্রাচীন সময় থেকেই বিভিন্ন উপাদানে বর্ম তৈরি করা হতো। যুদ্ধ আছে এখনো, কিন্তু ভারি ধাতব বর্মের দিন বুঝি শেষ হয়ে এলো, কারণ এখন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আসছে মাকড়শার জালের তৈরি বর্ম!
প্রাকৃতিক বিভিন্ন তন্তুর মাঝে অন্যতম শক্ত তন্তু হলো মাকড়শার জাল। হালকা এবং নমনীয় এই তন্তু অজনের হিসেবে ইস্পাতের চাইতে শক্ত! চিন্তা করুন, উড়ে যাওয়া একটি পোকার গতি থামিয়ে দিতে পারে মাকড়শার জাল। এটা প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হতে থাকে আর শুষে নেয় আটকা পড়া পোকার শক্তি। বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করলে অনেক বড় এমন একটি জাল হয়তো একদিন থামিয়ে দিতে পারবে ধ্বংসাত্মক মিসাইল!
শুধু বর্মই নয়, অস্ত্রোপচারের সুতোর মতো বস্তু বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হতে পারে এ দিয়ে। মিশিগানের ক্রেইগ বায়োক্র্যাফট ল্যাবরেটরিতে জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জন্ম দেওয়া হয়েছে এমন সব রেশম পোকা যারা কিনা তৈরি করবে মাকড়শার তন্তু। আর এই তন্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এমন সব দস্তানা যাদের দৃঢ়তা কিনা শীঘ্রই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে।
এই আইডিয়া নিয়ে যে আগে কাজ করা হয়নি তা নয়। কিন্তু মাকড়শার তন্তু থেকে বর্ম তৈরির কাজটি নেহায়েত ছেলেখেলা নয় আর অনেক প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হয়ে ইতোমধ্যেই রণে ভঙ্গ দিয়েছে। কিন্তু ক্রেইগ বায়োক্র্যাফট রেশম পোকা ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারে সাফল্য। কারণ জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এসব রেশম পোকা তাদের সন্তান-সন্ততির মাঝেও এমন তন্তু উতপাদনের ক্ষমতা রেখে যাবে ফলে সম্ভব হবে বাণিজ্যিকভাবে এই তন্তুর উৎপাদন।
২০১১ সালে এই ধরণের রেশম পোকার ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রথমে গবেষকেরা মাকড়শার থেকে একটা ডিএনএ সিকোয়েন্স সংগ্রহ করেন যার মাঝে তন্তু তৈরির প্রোটিনটি থাকে। এর পরে এই প্রোটিনের মাঝে এমন একটি “অন” এবং “অফ” সুইচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, যাতে রেশম পোকা একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানর পরেই তা এমন তন্তু উৎপাদন করে।
ধারণা করা হচ্ছে বাণিজ্যিক পর্যায়ে যাবার পর এই তন্তুর প্রতি কেজি উৎপাদনের জন্য খরচ পড়বে ১৫০ ডলার বা তারো কম। প্রথমে এই তন্তু দিয়ে তৈরি মজবুত রেশমি কাপড় বাজারে ছাড়া হতে পারে এবং আশা করা হচ্ছে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ঠিক কখন এই তন্তু দিয়ে সেনাবাহিনীর জন্য বর্ম জাতীয় পোশাক তৈরি করা হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে অবশ্যই এই তন্তু ব্যবহার করে আঘাত প্রতিরোধের ওপরে আরও পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হবে।

চট্টগ্রামের সুখ্যাত ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংসের “পারফেক্ট” রেসিপি (ভিডিওসহ)

Mejbani
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংসের সুনাম আছে পুরো দেশ জুড়ে। নামজাদা বাবুর্চির হাতে মেজবানি মাংস খেয়ে মুগ্ধ হননি এমন ভোজন রসিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আচ্ছা, যদি বলি বাড়িতেই রাঁধা সম্ভব এই দারুণ মজার মেজবানি মাংস? হ্যাঁ, আজ আপনাদের জন্য মেজবানি মাংসের একদম নিখুঁত রেসিপিটি নিয়ে এলেন শৌখিন রাঁধুনি সামিয়া রহমান। আসুন, জেনে নেই ভীষণ সহজ রেসিপিটি। আর দেখি দারুণ ছবি।

উপকরণ:

গরুর বিভিন্ন অংশের মাংস, কলিজা ও হাড় মিলিয়ে ৫ কেজি,
পেঁয়াজকুচি ২ কাপ,
আদাবাটা ৩ টেবিল-চামচ,
রসুনবাটা ২ টেবিল-চামচ,
লাল মরিচবাটা ৩ টেবিল-চামচ,
জিরা গুঁড়া দেড় টেবিল-চামচ,
ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ,
হলুদ গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ,
সাদা তিলবাটা ১ টেবিল-চামচ,
পেঁয়াজবাটা আধা কাপ,
সরিষা তেল আড়াই কাপ,
মিষ্টি জিরাবাটা ১ চা-চামচ,
রাঁধুনিবাটা ১ চা-চামচ,
সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ,
পোস্তদানাবাটা ১ টেবিল-চামচ,
তেজপাতা ৭-৮টি,
এলাচ, দারচিনি ও লবঙ্গবাটা ১ টেবিল-চামচ,
কাবাব চিনিবাটা ১ টেবিল-চামচ,
জায়ফল-জয়ত্রিবাটা ১ চা-চামচ,
গোলমরিচবাটা ১ চা-চামচ,
মেথিবাটা ১ চা-চামচ,
পানি ৪-৫ কাপ,
লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি:

  • -তেলে পেঁয়াজকুচি লাল করে ভেজে গরম মসলা ছাড়া বাকি মসলা মাখিয়ে মাংস ঢেলে ভালোভাবে কষান।
  • -আধা ঘণ্টা পর ৪-৫ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
  • -মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে নামিয়ে নিন। তৈরি আপনার মেজবানী মাংস!

এ সম্পর্কে ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন:  মেজবানি মাংস

শরতেও জমজমাট নৌকার হাট

boat

শরতেও জমজমাট বরিশাল অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী আটঘরের নৌকার হাট। মূলত বর্ষা ঋতুকে কেন্দ্র করে খাল-বিল আর নদীবেষ্টিত বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় নৌকার হাট জমে ওঠে। তবে পুরোদমে বিক্রি চলে হেমন্ত পর্যন্ত।

বর্ষা মৌসুমের পেয়ারা, আমড়া কিংবা মাছের ঘের সবখানেই নৌকা প্রধান বাহন। শুধু কৃষি কাজই নয়, এ অঞ্চলে অনেক এলাকা আছে যেখানে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতেও নৌকা ছাড়া ভাবাই যায় না। এখানের প্রতি হাটে দেড়-দুই লাখ টাকার নৌকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাজারে ১০০ টাকা করে ইজারা নেন ইজারাদার। হাটে আসা সন্তোষ মিস্ত্রি নামের এক নৌকা বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক একটি নৌকা। বছরের চার মাস এখানে প্রতি শুক্রবার নৌকার হাট বসছে। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলার হাজার হাজার মানুষ শত বছর ধরে এ পেশায় জড়িত বলে জানান ওই নৌকা বিক্রেতা।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের মিস্ত্রি আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামের সাধারণ গাছ যেমন রেইনট্রি, মেহগনি এমনকি সাড়ি চাম্বল গাছ থেকেও নৌকা তৈরি করা হয়। এক একটি নৌকা তৈরি করতে কমপক্ষে ৭ দিন লেগে যায়। হাটের ইজারার টাকা দিয়ে এক একটি নৌকা বিক্রি করে ৩০০ টাকা লাভ হয়।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামের মো. আব্দুল খালেক নৌকা কিনতে আসেন এই হাটে। তিনি জানান, প্রতি বছরই তিনি এ মৌসুমে ডিঙি নৌকা কিনে থাকেন। দেড়-দুই হাজার টাকায় দুই একটি করে সিজোনাল নৌকা কিনে তা দিয়েই চলাচল করেন।

এ ব্যাপারে কথা হয় ঝালকাঠি বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক অসীম কুমার ঘোষের সঙ্গে। তিনি  বলেন, বিসিক এ শিল্পটিকে সহায়তা করে আসছে। তবে নৌকা তৈরির কারিগররা চরম দরিদ্র পরিবারের। ফলে পুঁজি না থাকায় এ শিল্পকে প্রসারিত করতে পারছেন না তারা।

তিনি আরো জানান, এ শিল্পে জড়িতদের সরকারিভাবে সুদমুক্ত ঋণ কিংবা এককালীন অনুদান দিলে নৌকা তৈরির এ পেশাকে সারা বছরের স্থায়ী পেশায় রূপান্তর করা করা যায় বলে পরামর্শ দেন বিসিকের ওই কর্মকর্তা ।

পেশা হিসেবে ভেটেরিনারি মেডিসিন : সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত

World-Veterinary-Day-2015

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিক্ষেত্রে আমুল উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন অপরিহার্য। আর এ প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান। প্রাণী চিকিৎসকরাই সাধারণত ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে পরিচিত। একটি দেশের পুষ্টি বিশেষ করে প্রোটিন, আমিষের চাহিদার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করেন প্রাণী চিকিৎসকরাই। বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন প্রাণির নতুন জাত উদ্ভাবন ও জাত উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি যেমন- দুগ্ধ উৎপাদন, ডিম উৎপাদনে এ ভূয়সী ভূমিকা রাখেন তারা। বিশ্বে যতগুলো সাবজেক্ট আছে তন্মধ্যে ভেটেরিনারি অন্যতম most wanted subject.

বাংলাদেশে ভেটেরিনারি শিক্ষা সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে ধারনা কম ছিল, তবে বর্তমানে এ দেশে ভেটেরিনারিয়ানদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং কাজের সুযোগের পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনথ্রাক্স, বার্ডফ্লু প্রভৃতির মতো ভয়াবহ zoonotic disease এর প্রাদুর্ভাবের ফলে ভেটদের চাহিদাও এখন প্রচুর। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ভেটেরিনারি অতীব পরিচিত একটা বিষয়, কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে এ পেশার যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও লোকজন ততটা সচেতন নন।

১৮ কোটি মানুষের এ দেশে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে আরো গুরত্ব সহকারে না দেখলে পুষ্টি, খাদ্য সমস্যার সমাধান, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি কোনটায় সম্ভব নয়।

সৃষ্টির উষালগ্ন সেই আদিকাল হতে আদিম বনবাসী, গুহাবাসী মানুষ সভ্যতার আলো দেখেছিল পশুপাখির হাত ধরে। যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী,বছরের পর বছর মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে ( যেমন -যাতায়াত-যোগাযোগ, অর্থনৈতিক নির্ভরতা, খাদ্যেও নির্ভরতা, সৌর্দয্য চর্চা, একাকীত্ত্বেও বন্ধু, পাহারাদারি, অবর্থ্য গোয়েন্দাগিরি ইত্যাদি ) পশুপাখি ব্যবহৃত হচ্ছে।

তাই কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য সবার আগে প্রয়োজন livestock agro based revolution. এই গুরুত্বপূর্ণ ভেটেরিনারি শিক্ষা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় শিক্ষার্থী এমনকি অভিবাবকরাও ক্যারিয়ার গঠনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই ভেটেরিনারি শিক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি…

ভেটেরিনারি শিক্ষা একটা প্রফেশনাল শিক্ষা যা ভেটেরিনারি কাউন্সিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেমন- মেডিকেল কাউন্সিল, বার কাউন্সিল ইত্যাদির মত।

১. ভেটেরিনারি শিক্ষা এখন মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অনান্য সমমানের পেশার মত সমমান মর্যাদাপূর্ণ একটা পেশা।

২. শেষের দিকের মেডিকেলে পড়ার চেয়ে ভেটেরিনারীতে পড়া অনেক ভাল যা আজ ভুক্তভুগীরাই জানে।

৩. ভেটেরিনারির ছাত্র হিসেবে প্রতি মাসে আপনি পাচ্ছেন দু’শত টাকা করে বৃত্তি যা ব্যাতিক্রম। এছাড়া ইন্টার্ণশীপ সময়ে আপনি পাচ্ছেন প্রতিমাসে ৫-৮ হাজারা টাকা যা ভেটেরিনারি ও মেডিকেলেই সম্ভব।

৪. একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার হতে হলে তাকে অধ্যায়ন করতে হয় : এনাটমি, হিস্টোলজি, অ্যানিম্যাল সায়েন্স, নিউট্রিশন, পোল্ট্রি সায়েন্স, ডেইরী সায়েন্স, ফিজিওলজি, বায়োক্যামিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি ও থেরাপিউটিক্স টক্সিকোলজি, প্যাথলজি, প্যারাসাইটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ব্যাক্টেরিওলজি, ভাইরোলজি, সেরোলজি, এনিম্যাল জেনেটিক্স ও ব্রিডিং, মেডিসিন, সার্জারী, ভেটেরিনারি এপিডিমিওলজি, গাইনীকোলজী ও অবস্ট্রাট্রিক্স, থ্রেরিওজেনোলজি, রেডিওলজী- ল্যামনেস এন্ড সাউন্ডন্যাস, অপারেটিভ সার্জারী, পরিসংখ্যান, গ্রামীন সমাজবিজ্ঞান, কৃষি অর্থনীতি, মার্কেটিং, কৃষি সম্প্রসারন বিদ্যা, ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ প্রভৃতি বিয়য়াদি।

৫. পড়াশোনার শেষ বছরে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বাইরে ইন্টার্ণশীপের সুযোগ রয়েছে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক ভূমিকা রাখে।

৫. বর্হিবিশ্বে scholarship এর দ্রুত সুযোগ ভেটেরিনারি মত অন্য কোন subject এ সম্ভব নয়।

৬. দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ফিনল্যান্ড, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে সম্মানজনক চাকুরির সুযোগ ভেটেরিনারী পেশার ক্ষেত্রে সহজ যা http://www.jobrapido.com   ভিজিট করলেই বোঝা যাবে। এ সব দেশ গুলোতে উন্নত বেতনের লোভনীয় অফার রয়েছে ,পদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা যায়।

৬. দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে একই common subject হতে bangla, english, physics, math, social science etc.) প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এক সাথে বের হয়, ফলে চাকুরির বাজারে স্বল্প বেতনের চাকুরি খুঁজতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়, অন্য দিকে veterinary graduate দের চাকুরির বেতন শুরু হয় ২৫,০০০-২৭,০০০ টাকা হতে ।

৭. বিদেশে scholarship পাওয়া সহজ ভেটেরিনারি হতে যা ইন্টারনেট খুজলেই পাওয়া যাবে।

৮. DVM পাশ করার পর যেকোন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে microbiology, biochemistry, pharmacy সহ যে কোন Subject এ MS করার সুযোগ রয়েছে।

৯. BCS এ রয়েছে special cota veterinary graduate দের জন্য। এছাড়া BCS এ VET রা অনান্য ক্যাডারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে।

১০. বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যেমন ICDDRB, BLRI, LRI, FRI এগুলোতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার ও বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ রয়েছে।

১১. বিভিন্ন পোষা প্রানী যেমন- বিড়াল, কুকুর, বিভিন্ন জাতের পাখির চিকিৎসা করেও এই পেশায় উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়া যায়।

১২. সেনাবাহিনীতে ভেটেরিনারি পেশার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কোর যার নাম RVFC(Remount Veterinary and Farm core) এবং বছরে ২ বার এ সুযোগ পাওয়া যায় সরাসরি সেকেন্ড লেফটেনেন্ট হিসেবে।

১৩. আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় ঔষধ কোম্পানীগুলোতে ভেটেরিনারিয়ানদের জন্য নির্দিষ্ট আসন রয়েছে।

১৪. বিভিন্ন livestock product company যেমন- Ice cream, juice, butter, candy, cola, milk & meat industry তে কাজ করার অপার সুযোগ। বিভিন্ন কোম্পানী যেমন- Pran, Milk vita, Arong, Aftab, RD Milk, BRAC meat, Bengal Meat ইত্যাদি কোম্পানীতে বেতন ৩০,০০০-৪০,০০০ টাকা। ৬টি বোনাসসহ গাড়ী ও বাড়ি সুবিধা ।

১৫. এছাড়া বিভিন্ন চর এলাকায় নানা project এ কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন- CLP PKSF, BRAC   ইত্যাদি বেতন -২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।

১৬. দেশের বিভিন্ন feed mill, hatchery এ আকর্ষণীয় বেতনের চাকুরীর সুযোগ রয়েছে। যেমন – Kazi farms, Aftab, Paragoan, Nourish, Anchor feeds, Dhaka hatchary, Eggs & Hens, Rafid, Universal, Goalanda, Denim, Bangladesh hatchery ইত্যাদি।

১৭. অনেকের মধ্যে একটা থাকে যে, confusion ভেটেরিনারি পড়ে অন্য কোন চাকরী করা যাবে কিনা? তাদের জন্য বলি চিন্তার কোন কারণ নাই। কেহ যদি ডাক্তারী পেশা নিতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে এই গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি দিয়ে বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক এ মর্যাদাপূর্ন চাকরী করা যাবে।

১৮. বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়, সাফারী পার্কে , সুন্দরবনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও চিকিৎসক হিসেবে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।

১৯. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন, পাবলিকেশন এ চাকরীর সুযোগ রয়েছে।

২০. বিভিন্ন Media যেমন- Animal Planet, Discovery, National Geography এগুলোতে Handsome বেতনের চাকরীর সুযোগ রয়েছে।

২১. প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, পাঁচ তারা হোটেলগুলোতে Meat Inspector, Public Health Officer হিসেবে চাকরীর সুযোগ রয়েছে।

২২. Quarantine এর নিমিত্তে আমদানী রপ্তানী প্রতিষ্ঠানে Animal Product, Fish Product ইত্যাদি আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের চাকরীর সুযোগ রয়েছে।

২৩. কেবলমাত্র DVM ডিগ্রিধারীরাই BCS এ ২৯ ক্যাডারের এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যাডারে আবেদন করতে পারে।

২৪. একজন ভেটেরিনারিয়ান এর Private Practice, Farm Business, Laboratory, Vaccine এ কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানী যেমন ACME laboratory, SQUARE pharmaceuticals, RENETA, EON group, BEXIMCO pharmaceuticals, OPSONIN pharmaceuticals, FNF pharmaceuticals, TECHNO pharmaceuticals, RAMPAT POWER pharmaceuticals, SKF pharmaceuticals, NOVERTIS pharmaceuticals, POPULAR pharmaceuticals ইত্যাদি বড় বড় pharmaceuticals এর এ্যানিম্যাল ডিভিশন এ Technical officer / Area manager / Technical support officer / consultant হিসেবে নিশ্চিত সুযোগ রয়েছে।

দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান অবস্থা :

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এ মাত্র ৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতি বছর এ সম্মানজনক ডিগ্রি গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জে আরও একটি ভেটেরিনারি কলেজের কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায় ক্যরিয়ার গঠনে ভেটিরিনারি শিক্ষা গ্রহন অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত।

সূত্র :

১. প্রফেসর ডা: এ কে এম .সাইফুদ্দিন ,২০০৯, ক্যারিয়ার গঠনে ভেটেরিনারি শিক্ষা।

২. ডা: অনুপ কুমার তালুকদার, ২০১১, বাংলাদেশে ভেটেরিনারি শিক্ষা : ১৯৪৭-২০১১, রংধনু ম্যাগাজিন  (বর্ষপূর্তি সংখ্যা ১৪১৮)।

৩. ইন্টারনেট

৪. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট।

৫. http://www.jobrapido.com

মূল লেখক : মো: মুস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক,  ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স এ্যাসোসিয়েশন ( ভিএসএ), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন ( বিভিএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটি।    

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় সহায়ক ওয়েবসাইটের ঠিকানা

studyabroad

১। সাইপ্রাস http://moi.gov.cy
২। ইটালী https://www.visaservices.org.in/Italy-Bangladesh-Tracking
৩। সিংগাপুর www.mom.gov.sg

৪। পাকিস্তান http://www.moitt.gov.pk/
৫। সৌদি আরব http://www.moi.gov.sa/
৬। দুবাই/আরব আমিরাত www.moi.gov.ae
৭। মিশর http://www.moiegypt.gov.eg/english/
৮। বাংলাদেশ www.moi.gov.bd
৯। তানজানিয়া www.tanzania.go.tz
১০। নেপাল http://www.moic.gov.np/
১১। আলবেনিয়া http://www.moi.gov.al/
১২। জামবিয়া http://www.moi.gov.gm/
১৩। জর্দান http://www.moi.gov.jo/
১৪। ইন্ডিয়া http://labour.nic.in/
১৫। কেনিয়া www.labour.go.ke/
১৬। কাতার http://www.moi.gov.qa/site/english
১৭। কুয়েত www.moi.gov.kw
১৮। গ্রীস http://www.mddsz.gov.si/en
১৯। শ্রীলংকা http://www.labourdept.gov.lk/
২০। দক্ষিণ আফ্রিকা www.labour.gov.za/
২১। ইরান http://www.irimlsa.ir/en
২২। গানা http://www.ghana.gov.gh/
২৩। তাইল্যান্ড www.mfa.go.th
২৪। বাহরাইন www.mol.gov.bh
২৫। ভূটান www.molhr.gov.bt/
২৬। কলমবিয়া www.labour.gov.bc.ca/esb/ www.gov.bc.ca/citz
২৭। কানাডা www.labour.gov.on.ca/english/
২৮। বারবাডোস www.labour.gov.bb/
২৯। কোরিয়া www.moel.go.kr/english
৩০। জাপান www.mhlw.go.jp/english/
৩১। সাইপ্রাস http://www.mfa.gov.cy/
৩২। ভিয়েতনাম english.molisa.gov.vn/
৩৩। নিউজিল্যান্ড www.dol.govt.nz/
৩৪। নামিবিয়া www.mol.gov.na/
৩৫। মালদ্বীপ mhrys.gov.mv/
৩৬। মায়ানমার www.mol.gov.mm/
৩৭। লেবানন http://www.labor.gov.lb/
৩৮। পোল্যান্ড www.mpips.gov.pl/en
৩৯। ইংল্যান্ড www.ukba.homeoffice.gov.uk
৪০। বুলগেরিয়া http://www.mlsp.government.bg/en
৪১। আমেরিকা www.dvlottery.state.gov/ESC http://www.dol.gov/
৪২। স্পেন www.mtin.es/en
৪৩। ইউক্রেইন http://www.mlsp.gov.ua/
৪৪। উগান্ডা http://www.mglsd.go.ug/
৪৫। পেলেস্তাইন www.mol.gov.ps/
৪৬। ব্রুনাই http://www.labour.gov.bn/
৪৭। ইয়ামেন http://www.dol.gov/
৪৮। নেদারল্যান্ড http://english.szw.nl/
৪৯। জামবিয়া www.mlss.gov.zm
৫০। অষ্ট্রেলিয়া http://www.workplace.gov.au/
৫১। জিমবাবুয়ে http://www.dol.gov/
৫২। ফিলিফাইন www.dole.gov.ph/
৫৩। মালয়েশিয়া www.mohr.gov.my
৫৪। রাশিয়া http://www.labour.gov.on.ca/
৫৫। ভারতীয় ভিসা আবেদন : http://www.indianvisaonline.gov.in/visa/
http://indianvisaonline.gov.in/visa/indianVisaReg.jsp
৫৬।দুবাই : http://www.mol.gov.ae/arabic/newindex.aspx
http://www.mol.gov.ae/english/newindex.aspx
৫৭।কানাডা : http://www.cic.gc.ca/english/index.asp
৫৮।আমেরিকা : https://www.vfs.org.in/UKG-PassportTracking/
৫৯।ওমানের ভিসা : http://www.rop.gov.om/
৬০।আবুধাবী ( দুবাই), http://www.mol.gov/
৬১।বাহরাইন http://www.markosweb.com/www/mol.gov.sa/
৬২।সৌদি আরব, http://www.saudiembassy.net/
৬৩।কানাডা, http://www.huembwas.org/ হাঙ্গেরী
৬৪।সংযুক্ত আরবআমিরাত : http://www.mol.gov.ae/ownersservices/employeeCredential.aspx
৬৫।ওমান : http://www.rop.gov.om/english/onlineservices-visastatus.asp
৬৬।U.A.E ভিসা চেক করার লিঙ্ক হল http://united-arab-emirates.visahq.com/
৬৭। সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক দিতে চাইলেhttp://singapore.embassyhomepage.com/
৬৮। Entry Permit চেক করার জন্য http://www.moi.gov.ae

সৌজন্যেঃ

WARISHA EDUCATION
77 MUJIB SAROK KHAN COMPLEX, JESSORE, Bangladesh, Mob: +8801955811346

দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!

– আলমগীর কবির সামির

মাঝে মাঝে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। অর্থাৎ খুঁজে পাওয়াটা খুব কষ্টকর। আরও সহজে বলা যায় যে, আমার দরকারি কাগজ-পত্র কোথায় রাখলাম তা দরকারি সময়ে খুঁজে পাই না। হরহামেশাই এমনটা আমার নিজের সাথেই ঘটে থাকে। কোথায় রাখলাম তা হন্যে হয়ে খুঁজি। পরে যখন পাই তখন নিজের উপর রাগ উঠে। যদি ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ধরে নিতে হবে যে ‘স্মরণশক্তি দুর্বল’।

এমন কিছু কৌশল রয়েছে যা এই দুর্বলতা দূর করা যায় ক্রমশই। ধীরে ধীরে তা অনুশীলন করে যেতে হবে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত মনে রাখা অবশ্যই জরুরী হয়ে পরে। সুতরাং আমারা এই কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলনে সচেষ্ট থাকবো।

১. মন দিয়ে অনুধাবনঃ মন কে যোগ করতে হবে আমাদের শিক্ষা উপকরণের প্রতি। স্মৃতি মনে রাখতে মনোযোগ হল শ্রেষ্ঠ উপাদান। স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তিকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সুতরাং যখন যেই কাজটাই করি না কেনো তা মনোযোগের সহিত পালন করতে হবে।

২. মুখস্ত বিদ্যা পরিহারঃ আমরা মুখস্ত করায় ব্যস্ত থাকি। তবে মজার ব্যাপার হল, মুখস্ত বিদ্যা দীর্ঘমেয়াদী নয়। এক সময় ঠিকই স্মৃতি থেকে মুছে যাবে। তাই মুখস্ত-বিদ্যায় নিজের স্মৃতিশক্তিকে স্বল্পমেয়াদী না করাই ভালো।

৩. গঠনগত এবং সংঘবদ্ধ অধ্যয়নঃ গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন তথ্য গঠনগত এবং সংঘবদ্ধভাবে অধ্যয়ন করলে তা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে রক্ষিত থাকে। সুতরাং আমাদের এই সুযোগটি নিতে হবে। যেকোনো তথ্য হোক কিংবা কিছু মনে রাখতে হবে এমন বিষয়গুলো নিজের মতো করে গঠন এবং সংঘবদ্ধ করে অধ্যয়ন করা উচিৎ।

৪. সম্প্রসারিত করার অভ্যাসঃ দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখতে আমারা যাই অধ্যয়ন করি না কেন তার খাতা-কলমে লেখা চাই। এতে করে সেই বিষয় খুব দ্রুত এবং সহজেই মনে থাকবে।

৫. অবগত বিষয়ে সম্পর্ক স্থাপনঃ যখন আমারা অজানা বিসয়গুলো পড়াশোনা করি, তখন জানা বিষয়গুলোর সাথে কিছুটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতে পারি। অর্থাৎ নতুন কোন ধারণা আমারা পুরনের সাথে যুক্ত করে মনে রাখতে পারি।

৬. কল্পনা করাঃ আমারা যে সকল জিনিশ নিয়ে পড়াশোনা করবো তা নিয়ে কল্পনা করতে পারি। এবং এতে খুব কাজে লাগবে মনে রাখবার জন্য। সুতরাং আমারা এই কাজটি অনুশীলনের মাধ্যমে করতে পারি।

৭. অন্যকে সাহায্য করাঃ অন্যকে সাহায্য করবেন কিভাবে? হ্যাঁ অবশ্যই অন্যকে নতুন কিছু শেখানোর জন্য সাহায্য করবেন। এতে তার যেমন নতুন কিছু তথ্য জানা হবে তেমনি আপনারও সেই সম্পর্কে জানাটা ভালো থাকবে।

আমারাদের মন এবং শরীর এই দু’ই সুস্থ রাখাটাও জরুরী। কারন শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে। তাই শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া এমনকি ঘুমের প্রয়োজন।

এই কৌশলগুলো ছাড়াও আপনি আপনার নিজের মতো করে কিছু কৌশল তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো নিয়মিত পালন করতে পারেন। আপনার যেমন দীর্ঘমেয়াদী ভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়তে তেমনি আপনার জ্ঞানও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।