ইয়েমেনের সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে সরকারপন্থি বাহিনী

war

ইয়েমেনে হুতিবিরোধী বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে দেশটির সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটি। ব্যাপক লড়াইয়ের পর রণে ভঙ্গ দিয়ে সরে যায় হুতি বিদ্রোহীরা। গত মার্চ থেকে এ ঘাঁটি শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু তাদের সফলতা খুব বেশিদিন অক্ষত থাকেনি। সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার বলেছে, দক্ষিণ ইয়েমেনের লাহেজ প্রদেশে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটি আল-আনাদের নিয়ন্ত্রণ এখনও সরকারপন্থি বাহিনীর হাতে। আরব-জোট বাহিনীর সাহায্যে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। আল-আনাদ সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হওয়াটা শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের বেশির ভাগ অংশই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেনের নিয়ন্ত্রণও কয়েক দিন আগে দখলে নিয়েছে সরকারপন্থি বাহিনী। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জোটভুক্ত পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটিজের একজন কর্মকর্তা জানান, লাহেজ প্রদেশের আল-সাদের ও আল-মদিনা আল-খাদ্রার মাঝামাঝি আরেকটি সামরিক ঘাঁটি দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে তাদের বাহিনী। তবে আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটিজ মূলত শিয়া হুতিদের বিরোধী হলেও, নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদিকে তারা অতটা সমর্থন দেয় না। মূলত হুতিবিরোধী অবস্থান থেকেই সরকারপন্থি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, গত বছর হুতি বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা শুরু হলে ইয়েমেন সেনাবাহিনী ব্যাপক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। কেননা, দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ আবার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহর হয়ে হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ হয়ে লড়ছে। বাকিরা অবশ্য হাদি সরকারের প্রতি বিশ্বস্তই রয়েছে। সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী বর্তমানে হুতিবিরোধী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। নতুন নতুন সমরাস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে। ৪০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত আল-আনাদ বিমানঘাঁটিতে রয়েছে একটি সামরিক বিমানবন্দর, যুদ্ধ কলেজ ও সমরাস্ত্র মজুতঘর। এর আগে ইয়েমেনে আল-কায়েদার ওপর ড্রোন হামলায় ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে এ ঘাঁটি ব্যবহার করেছিল মার্কিন বাহিনী। হুতিবিরোধী বাহিনীকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আর্মার্ড ভিহাইকলসহ নতুন বহু সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছে। এরপর থেকেই হুতিবিরোধী বাহিনী নতুন করে আক্রমণ পরিচালনা করে। আল-আনাদ ঘাঁটি দখলের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটিজেরও ২৩ সেনা নিহত হয়েছে।

গ্রামীণফোন সিম রিচার্জে সাবধান!

আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইলের সিমে রিচার্জ করে থাকি। বর্তমানে গ্রামীণফোন সিমে রিচার্জের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে আর যদি তা না করেন তাহলে পড়তে হবে বিপদে। গ্রামীণফোনে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক টাকা রিচার্জ করা থেকে বিরত থাকলেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

gp

কত টাকা রিচার্জ করা থেকে বিরত থাকতে হবে :

১২, ১৩, ২২, ২৪, ৩৬, ৫১, ৫৬, ৬১, ৭৮, ৮৪, ৯১, ১১৯, ১২১, ১৯৯, ২১১ টাকা রিচার্জ করলেই অন হয়ে যাবে ইন্টারনেট প্যাক, মিনিট প্যাক, এসএমএস প্যাক সহ বিভিন্ন প্যাক কিন্তু মেইন একাউন্টে কোন টাকা যাবে না। তাই যারা রিচার্জ করে মেইন একাউন্টে টাকা রাখতে চানা তারা রিচার্জের পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং উপরে দেয়া অঙ্কের টাকা গুলো রিচার্জ করা থেকে বিরত থাকুন

জমজমের কূপের পানির রহস্য উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞান এর সূচনালগ্নের অনেক পরে জমজমের পানি সম্পর্কে নতুন রহস্য প্রকাশ করেছে এবং এটা কিভাবে গৌরবময় কোরানের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত হয়। আপনি আশ্চর্য হবেন! আমরা সাম্প্রতিককালে মাদুলীর বা তাবিজের ব্যবহারের মূল্য বুঝতে সমর্থ হয়েছি। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়েছে যে পান যোগ্য পানির উপরে যা পাঠ করা হয় তা দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয়। জাপানের বিজ্ঞানী মাশারো ইমোটোর একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

jom

তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি বইতে পড়েছেন যে আকাশ থেকে পড়া তুষার কনা হচ্ছে অনন্য। তিনি বলেছেন যে তার বৈজ্ঞানিক অনুভূতি তাকে বলেছিল যে এটা সত্য হতে পারে না। তুষার কনার জ্যামেতিক আকার এর রাসায়নিক গঠন দ্বারা নির্ধারিত হয়। পানির গঠন সু-পরিচিত। দুইটি হাইড্রোজেন পরমানু ও একটি অক্সিজেন পরমানু দ্বারা এটা গঠিত হয়।

তাই আকাশ থেকে পড়া তুষার কনাগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা কিভাবে হতে পারে? তিনি বলেছেন, “আমি দৃঢ় মানষিকতা বদ্ধ ছিলাম যে এই তত্ত্বকে কিভাবে ভুল প্রমানিত করব।” তিনি একটি গবেষনাগার তৈরি করেছিলেন যাতে একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল। যেহেতু কোন তরল পদার্থ যদি হঠাৎ করে জমাটবদ্ধ করা হয় তাহলে একটি জ্যামেতিক আকার গ্রহণ করতে পারে না।

জমাট বাধা অবশ্যই ধীরে হতে হবে যাতে করে পরমানুগুলো বিধাতা দ্বারা নির্ধারিত আকারে স্ফটিকায়ন হবার সুযোগ লাভ করে। একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল। মাইনাস (-৭ ) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি ঠান্ডা কক্ষ এবং ক্যামেরা দ্বারা সুসজ্জিত কতগুলি অনুবীক্ষন যন্ত্র ছিল যাতে করে তুষার কনা গলে যাওয়ার আগে এগুলোর আলোকচিত্র গ্রহণ করা যায়।

বিজ্ঞানীরা এই কক্ষে গরম কাপড় পরে কাজ করা শুরু করে। তিনি বলেছিলেন, “আমি গবেষনাগারে দুইটি নলের থেকে নমুনা নিয়েছিলাম, আমি এদেরকে জমাট করি, এবং প্রতিটি নমুনা আমাকে একটি আলাদা তুষার কনা দিয়েছিল।

নমুনাগুলি দুইটি আলাদা কুপের থেকে, দুইটি আলাদা নদীর থেকে এবং দুইটি আলাদা হ্রদের থেকে গ্রহণ করেছিলাম। আমি পাগল হয়ে গেছিলাম এবং ভেবেছিলাম এটি একটি যাদু মন্ত্র।” টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত একজন সৌদি ছাত্রের সাথে তার হঠাৎ করে দেখা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে কি ভুল হয়েছে। মাশারো তাকে তার সমস্যা সম্পর্কে বলে।

ছাত্রটি তাকে বলে যে, “আমাদের আর্শীবাদ পুষ্ট পানি আছে যাকে জমজমের পানি বলে। আমি আপনাকে এই পানির একটি নমুনা দেব যাতে করে আপনি এর উপর পরীক্ষা চালাতে পারেন। জমজমের পানি যাদু মন্ত্র বা জীন দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই এটা ব্যবহার করা হলে এটা সমগ্র তত্ত্ব প্রমান বা মিথ্যা সাব্যস্থ করবে।” ইমোটো জমজমের পানির একটি নমুনা নিলেন এবং বললেন, “আমি এটাকে স্ফটিকায়ন করতে পারি নি, এমনকি পর্যন্ত পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করার পরেও।” অন্য কথায় তিনি ১ ঘন সেন্টিমিটিারকে ১ লিটারে রূপান্তর করেন।

তিনি বলেন যে তিনি যখন পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করেন এবং জমাটবদ্ধ করেন তিনি তখন একটি অনবদ্য আকারের স্ফটিক লাভ করেন। দুইটি স্ফটিক গঠিক হয় একটি অপরটির উপরে, কিন্তু এগুলি একটি অনন্য আকার গ্রহন করে। যখন তিনি তার মুসলিম সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন কেন দুটো স্ফটিক হলো তিনি তাকে বলেন যে যেহেতু জমজম দুইটি শব্দ দ্বারা গঠিত, “জম এবং জম”। মাশারো ইমোটো বলেন, “আমার মুসলিম সহকর্মী পানির উপর কোরআনের আয়াত পাঠ করার প্রস্তাব দেয়”।

সে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসে এবং কতগুলি কোরআনের আয়াত বাজায় এবং আমরা সবচাইতে নিখুত আকৃতির স্ফটিক লাভ করি। তার পরে সে আল্লাহ (সর্বশক্তিমান) এর ৯৯টি নাম বাজায়। প্রতিটি নাম একটি অনবদ্ধ আকারের স্ফটিক তৈরি করে। যখন ডাক্তার ইমোটো এইসব পরীক্ষা সম্পন্ন করেন যা ১৫ বছর স্থায়ী হয়েছিল তিনি একটি ৫ খন্ডের বই নির্মান করেন যার নাম হচ্ছে “পানির থেকে বার্তা”। তিনি লেখেন, “আমি প্রমান করেছি যে পানি, ঐ বিশেষ তরলটি চিন্তা করার, মাপার, বোধ করার, উত্তেজিত হওয়ার এবং নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে”।

ডাক্তার মাশারো ইমোটো নিম্নোক্তভাবে লিখেছেন, জমজম পানির গুণ/বিশুদ্ধতা এই পৃথিবীর অন্য কোথাও পানিতে এর যে গুণ আছে তা পাওয়া যাবে না। তিনি নানো নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, এবং জমজম পানির উপর প্রচুর গবেষনা করেন এবং দেখতে পান যে যদি জমজম পানির ফোটা নিয়মিত পানির ১০০০ ফোটাতেও মিশ্রিত হয় তবুও নিয়মিত পানি জমজম পানির মত সমান গুণ লাভ করবে।

তিনি আরো দেখতে পান যে জমজম পানির এক ফোটাতে একটি খনিজ পদার্থের এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে যা এই পৃথিবীর অন্যকোন পানিতে পাওয়া যাবে না। তিনি কিছু পরীক্ষাতে দেখতে পান যে জমজম পানির গুণ বা উপকরণ পরিবর্তন করা যায় না, কেন, বিজ্ঞান এর কারণ জানে না। তিনি এমনকি পর্যন্ত জমজম পানির পুন-প্রক্রিয়াজাত করেন, কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় নি, এটা বিশুদ্ধ ছিল। এই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে মুসলমানেরা খাওয়া বা পান করার আগে বিসমিল্লাহ বলে। তিনি বলেন যে নিয়মিত পানিতে বিসমিল্লাহ বলা হলে এর ফলে নিয়মিত পানির গুণে কতগুলি অদ্ভুতপরিবর্তন ঘটে।

এর ফলে এটা সবোর্ত্তম পানি হয়। তিনি আরো দেখতে পান যে যদি নিয়মিত পানির উপর কোরআন পাঠ করা হয় তা হলে এটা বিভিন্ন ব্যাধি চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা লাভ করে। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয় আল্লাহর এটা একটি কুদরত। জমজম পানি পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে এটা আল্লাহর কুদরত যে জমজম ক্রমাগত প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হারে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে পাম্প করা হয় তখন পানির পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায়, কিন্তু যখন পাম্প করা বন্ধ করা হয় তখন পর্যায় দ্রুত ১১ মিনিট পরে আবার ১৩ ফুট উচ্চতায় ফিরে আসে।

প্রতি সেকেন্ড ৮০০০ লিটার অর্থ হল ৮০০০ x ৬০ = ৪,৮০,০০০ লিটার প্রতি মিনিটে, প্রতি মিনিটে ৪,৮০,০০০ লিটারের অর্থ হল ৪,৮০,০০০ x ৬০ = ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার প্রতি ঘন্টায় এবং প্রতি ঘন্টায় ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার মানে হচ্ছে ২৮৮০০০০০ x ২৪ = ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার প্রতি দিনে। তাই তারা ২৪ ঘন্টায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি পাম্প করে, কিন্তু এটা কেবলমাত্র ১১ মিনিটে আবার পূর্ণ হয়। এখানে দুইটা কুদরত আছে, প্রথমটি হলো জমজম দ্রুত পুনর্ভর্তি হয় এবং দ্বিতীয় হলো আল্লাহ অসামান্য শক্তিশালী একুফার ধারণ করেন যা কুপের বাইরে কোন অতিরিক্তজমজম পানি নিক্ষেপ করে না। অন্যথায় পৃথিবী ডুবে যেত।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন যে, “আমরা তাড়াতাড়ি তাদেরকে বিশ্ব ভ্রমান্ডে আমাদের চিহ্ন দেখাব এবং তাদের নিজস্ব আত্মায় আমাদের চিহ্ন দেখাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয় যে এটা হচ্ছে সত্য। এটাকি আপনার প্রভু সম্পর্কে যথেষ্ট না যে তিনি সকল জিনিসের উপরে একজন স্বাক্ষী?” (৪১:৫৩)!

জেনে নিন কি করে সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়

গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকাটা জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারপরও অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আপনি যতই দক্ষ চালক হোন না কেনো আইনের বেড়াজাল টপকাতে পারবেন না। এজন্য যানবাহন চালনোর সময় সঙ্গে রাখুন লাইসেন্সের মূল কপি। আসুন জেনে নেই কি করে সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়।

বাংলাদেশে যানবাহন চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ)। লাইসেন্সের জন্য বিআটিএ’র ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারেন। সেখানে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এছাড়া আবেদন ফর্মও মিলবে ওয়েব সাইটে। ফর্মটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়া।

গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ‘র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।

২ থেকে ৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টে এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সঙ্গে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।

car

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ জন্ম সনদ/ পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফি, ১ ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫ টাকা ও ২ ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮ টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংকের তালিকা http://www.brta.gov.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে) জমাদানের রশিদ।
৫। সদ্য তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফি।পেশাদার ১৪৩৮ টাকা ও অপেশাদার ২৩০০ টাকা। বিআরটিএ‘র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি:
(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজির নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে।

(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফর্ম পাওয়া যাবে এই লিংকে: (www.brta.gov.bd)

ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফর্মের জন্য এই লিংকে যান: (www.brta.gov.bd)

মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে এই লিংকে: (www.brta.gov.bd)

লাইসেন্সের মেয়াদ:

অপেশাদার হলে ১০ বছর, পেশাদার হলে ৫ বছর।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে তা নবায়ন করতে হয়। বিআরটিএ-তে নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।

নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সাটিফিকেট।

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৪. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।

৫. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন।

৬. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

প্রয়োজনে আবেদনের মাধ্যমে লাইসেন্স এক এলাকার লাইসেন্স অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা যায়।

অপেশাদার হলে

প্রথমে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএ’র নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিকভাবে পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

পেশাদার হলে

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়।

ভূমধ্যসাগরে ৭শ’ অভিবাসী নিয়ে নৌকাডুবি

700

প্রায় ৭শ’ অভিবাসী নিয়ে বুধবার ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। নৌকায় থাকা অভিবাসীরা লিবিয়ার নাগরিক বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নৌকাটি ডুবে যায় বলেও উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র বরাত দিয়ে আলজাজিরা বলেছে, এ পর্যন্ত ১৬ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও টুইটারে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
আয়ারল্যান্ডের নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকার বেশ কিছু যাত্রী মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি নৌকা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আইরিশ নৌবাহিনী।
তবে অন্য একটি সূত্র বলেছে, চারটি নৌকা ও তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ১শ’ লোককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইতালিয়ান কোস্টগার্ড ও স্কাই নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, প্রায় ৭শ’ যাত্রী নিয়ে লিবিয়া উপকূলে বুধবার ডুবে যায় নৌকাটি। ইতালি ও আয়ারল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনকালে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যাকে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম বিমান উড়বে আগামী বছর

Plane

সাধারণ প্লেন নয়, এ হলো যাকে বলে ‘সুপার প্লেন’। পোশাকি নাম স্ট্র্যাটোলঞ্চ কেরিয়ার এয়ারক্রাফ্ট। উড়বে আগামী বছর। প্রস্তুতকারকদের দাবি, এই প্লেন মহাকাশচারীদের ভূপৃষ্ঠে বাইরে নিয়ে যেতে পারবে।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে রানওয়েতে ফেরত আসতে পারবে এই সুপারপ্লেন।
স্ট্র্যাটোলঞ্চ কেরিয়ার এয়ারক্রাফ্টের একেকটি ডানা ৩৮৫ ফুট লম্বা। ছয়টি সিক্স ৭৪৭ ক্লাস ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এই বিমান আগামী বছর উড়ান ভরবে। বিমানটির ওজন ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড।
মাইক্রোসফটের সহ-কর্ণধার পল অ্যালেন ও বার্ট রুটানের মস্তিষ্কপ্রসূত এই বিমানটি নিজের শ্রেণির সর্বশ্রেষ্ঠ বিমান হতে চলেছে। প্রথম বিমানটির নাম দেওয়া হচ্ছে ড্রিম ক্যাচার।

একজন ভাল জীবনসঙ্গীর যে গুন গুলো থাকবে

songi1

songi2

দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকলে তাদের একে অন্যকে সব সময় সমর্থন ও সাহায্য-সহযোগিতা করার প্রয়োজন হয়।

প্রয়োজন হয় তার কাজে সমর্থন যোগানোর। একজন জীবনসঙ্গী এসব কাজের মাধ্যমে তার প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে পারে।

১. অভিনন্দন জানানো সঙ্গীর যে কোনো বিপদে যেমন পাশে থাকা অতি প্রয়োজনীয় তেমন ভালো কাজে বা কোনো অর্জনের পর সেজন্য অভিনন্দন জানানোও ভালো সঙ্গীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সঙ্গীর জানা উচিত যে, কোনো একটি অর্জনে কতোটা খুশি হওয়া সম্ভব। আর একজন ভালো জীবনসঙ্গী সব সময় তার সঙ্গীর ভালো অর্জনে অভিনন্দন জানাবে।

২. সমর্থন করা ধরুন আপনি একজন শিল্পী হতে চান। এক্ষেত্রে আপনার জীবনসঙ্গী যদি আপনাকে সমর্থন না করে তাহলে তা দুরুহ কাজ হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে এমন ধরনের কাজে প্রয়োজন জীবনসঙ্গীর সমর্থন ও পাশে থাকা। অন্যথায় বুঝতে হবে সে আপনার সামর্থের ওপর বিশ্বাস রাখে না।

৩. আকর্ষণবোধ প্রকাশ করা ভালো জীবনসঙ্গীর অন্যতম প্রকাশ হবে তার আকর্ষণবোধ। সে নানাভাবে তার আকর্ষণবোধ প্রকাশ করবে। অনেকে অবশ্য সরাসরি মুখে না বলেও নানাভাবে এ আকর্ষণবোধ প্রকাশ করবে। তবে মুখে বলুক আর নানা কাজের মাধ্যমে তা প্রকাশ করুক, মূল বিষয় হলো আকর্ষণবোধ প্রকাশ।

৪. মনে রাখা স্মৃতিশক্তি যতই খারাপ হোক না কেন, জীবনসঙ্গীর কথা ভুলে গেলে কোনোমতেই চলবে না। আর ভালো সঙ্গী কখনোই তার জীবনসঙ্গীর কথা ভুলবে না। আপনার সঙ্গে জড়িয়ে জীবনের নানা ঘটনার কথা সে সহজেই মনে করতে পারবে।

৫. হাসি আনা ভালো জীবনসঙ্গী প্রায়ই আপনার মুখে ফুটিয়ে তুলবে হাসির ঝর্ণাধারা। আপনি না চাইলেও সে আপনাকে হাসাতে পারবে। আপনার মুখের হাসি সে পছন্দ করবে। আর তাই আপনাকে হাসানোর প্রত্যেকটি সুযোগই সে সদ্ব্যবহার করবে।

৬. প্রিয় খাবার সঙ্গীর প্রিয় খাবারের তালিকা মুখস্ত রাখা ভালো একজন সঙ্গীর বৈশিষ্ট্য। এ বিষয়টি সহজেই বোঝা যাবে কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে। এছাড়া একত্রে রান্না করতে গেলেও সঙ্গীর পছন্দের বিষয়টি নিয়ে তার আকর্ষণবোধ প্রকাশিত হবে।

৭. ভবিষ্যতের চিন্তা একে অন্যের ভবিষ্যতের চিন্তা করা ভালো জীবনসঙ্গীর বৈশিষ্ট্য। ভালো জীবনসঙ্গী অবশ্যই শুধু নিজের কথা চিন্তা করবে না। তার বদলে জীবনসঙ্গীর ভবিষ্যতের চিন্তাও থাকবে তার হৃদয় জুড়ে।

ওয়াসিম আকরামের উপর হামলা, গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

oasim-akrem

জঙ্গি নিশানায় ওয়াসিম আকরাম। বুধবার সকালে করাচি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে আক্রমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

গোটা ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? জানা গেছে, করাচিতে পিসিবির(পাক ক্রিকেট বোর্ড) পেশাদার ক্লিনিক থেকে ফিরছিলেন ওয়াসিম। সেই সময় একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আকরামের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এর পর গাড়ি থেকে নেমে আসেন আকরাম ও তাঁর সাংবাদিক বন্ধু। এর পর নিজেই পাক পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চান তিনি। ঘটনার জেরে ওয়াসিম আকরামের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা ভাবছে পাক প্রশাসন।

এই সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কনভয়ে ঢুকে পড়ে সন্দেহজনক এক গাড়ি। মনে করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে খুন করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোও খুন হন আততায়ীদের হাতে। তবে কখনও কোনও জাতীয় ক্রিকেটারকে খুনের চেষ্টা ঘটেনি পাকিস্তানে। সে দিক থেকে আকরামের উপর হামলাই প্রথম ঘটনা এটা।

অসাধারন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৯ অভ্যাস গড়ে তুলুন !

brain1

Brain2

পঁচিশ পেরোনোর পর থেকেই নাকি স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে । সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে— পঁচিশের পর প্রতি এক দশকে দশ ভাগ করে কমে যেতে থাকে আমাদের প্রাত্যহিক কাজকর্মে প্রয়োজনীয় ‘সচল স্মৃতি’।কিন্তু মস্তিষ্কের নানা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোও যায়। কমিয়ে আনা যায় স্মৃতিভ্রষ্টতার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তিকে ক্ষুরধার রাখতে নিয়মিত চর্চায় আয়ত্তে আনার মতো এমন নয়টি অভ্যাসের কথা এখানে তুলে ধরা হলো।

০১. এক ঘণ্টা আগে ঘুমাতে হবে :
যেকোনো ধরনের ঘুমের সমস্যা, এমনকি এক ঘণ্টা ঘুম না হওয়ার বিষয়টাও স্মৃতিতে গোল পাকাতে পারে। কেননা আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস নামের অংশটি সারা দিনের ঘটনাবলিকে বিন্যস্ত করে সাজিয়ে রাখার কাজ করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মস্তিষ্কের এই কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে আপনি আরও ভুলোমনের হয়ে উঠতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্য বয়সে প্রতিরাতে আট ঘণ্টার ঘুম শেষ বয়সে আলঝেইমার এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

০২. বাম হাতটাও কাজে লাগান :
প্রাত্যহিক কাজগুলো একই রকম ভাবে না করে মাঝে মধ্যে একটু অদল-বদল করুন। যে কাজটা সব সময় ডান হাতে করে থাকেন সেটা বাম হাতে করার চেষ্টা করুন। যেমন ধরুন সকালে দাঁত মাজার কাজটা মাঝে মধ্যে বা হাতে করুন। সকালে প্রতিদিন যে পথে অফিসে যান একদিন তা পাল্টে দেখুন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাত্যহিক কাজকর্মে এমন অদল-বদল মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এতে মস্তিষ্কের কোষগুলোর একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং এসব কোষগুলো অকালে মরে যাওয়া থেকে রেহাই পায়।

০৩. চোখ বন্ধ করুন:
চাবিটা কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না? একটু সময় চোখ বন্ধ করে ভাবলেই হয়তো আপনার মনে পড়ে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখেছেন, চোখ বন্ধ অবস্থায় প্রশ্নের উত্তর দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কিছু স্বেচ্ছাসেবককে এমন এক পরীক্ষায় বসানো হয়। একদলকে চোখ খোলা রেখে এবং আরেক দলকে চোখ বন্ধ রেখে উত্তর দিতে বলা হয়। এতে দেখা যায় যারা চোখ বন্ধ করে উত্তর দিয়েছেন তারা প্রায় ৭০ ভাগ সঠিক উত্তর দিয়েছেন। আর যারা চোখ খোলা রেখে উত্তর দিয়েছেন তারা ৪০ ভাগ সঠিক উত্তর দিয়েছেন। গবেষক, রবার্ট ন্যাশ বলেন,‘চোখ বন্ধ রাখলে আশপাশের কোনো কিছুতে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। এ ছাড়া এটা একটা ঘটনার বিস্তারিত মনে করতেও সাহায্য করে।’

০৪. রক্তচাপ মেপে দেখুন:
উচ্চ রক্তচাপ থেকে এক সময় শিরা-উপশিরাগুলো সরু হয়ে যেতে পারে। এ কারণে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গিয়ে স্মৃতিভ্রষ্টতা দেখা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন মানুষদের মধ্যে স্মৃতিভ্রমের সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ যত বেশি হবে এই সমস্যাও ততটাই প্রকট হয়ে উঠতে পারে। আপনার বয়স যদি চল্লিশের বেশি হয় আর পরিবারে যদি হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে আজই একজন চিকিৎসকের কাছে যান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

০৫. ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন:
ফ্রান্সের তুলুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, ওজন বেড়ে যাওয়া স্মৃতিশক্তির ক্ষতি করতে পারে। কোনো ব্যক্তির ওজন যত বেশি হবে তার স্মৃতি তত দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা আছে। গবেষকদের ধারণা অতিরিক্ত মেদের কারণে ধমনি সরু হয়ে গিয়ে যেমন হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় তেমনি মস্তিষ্কের রক্তনালিতেও এতে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। ফলে মস্তিষ্কে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন না হলে স্মৃতিশক্তির ওপরও তা প্রভাব ফেলতে পারে।

০৬. দর-কষাকষি চালিয়ে যান:
কোনো কিছু কেনাকাটা করতে গিয়ে দর-কষাকষি করা অনেকেরই অভ্যাস। কিংবা কোনো কিছু সুরাহা করা নিয়ে তুমুল বিতর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এটা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। মুদি দোকানিদের কথা ভাবুন, তাদের ছোট ছোট কত পণ্যের দরদাম মুখস্থ রাখতে হয়। আর আমরাও দোকানে গিয়ে কেনাকাটার সময় কত কথা বলি। এ সময় নাকি মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। কেননা, তখন একই সঙ্গে আমাদের অনেক হিসাব মেলাতে হয়, অনেক কিছুর কথা মাথায় রাখতে হয়।

০৭. খরচাপাতির কথা মাথায় রাখুন:
কেনাকাটা কিংবা দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমাণ টাকা-পয়সা খরচ হচ্ছে তা হয়তো অনেকেই মনে রাখেন না। কিন্তু এই সব ছোট্ট ছোট্ট হিসাবপাতি মস্তিষ্কের প্রাত্যহিক কর্মক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। এগুলো মস্তিষ্ককে সচল রাখে। আর মাথার ঘিলু এমনই বস্তু যে আপনি যত বেশি তা খরচ করবেন ততই তা বাড়তে থাকবে। গবেষকেরা বলেন, ২৫ বছর বয়সের পর থেকে আমাদের ‘ওয়ার্কিং মেমোরি’ বা প্রাত্যহিক কাজকর্মে সচল থাকা স্মৃতি প্রতি এক দশকে ১০ শতাংশ করে কমতে থাকে। কিন্তু নানা অনুশীলন এই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে।

০৮. মুরগির মাংস ও মাড়ির স্বাস্থ্য:
ডিমের মতোই মুরগির মাংস, মাছ ও সীম জাতীয় সবজিতে চোলিন নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান আছে। এটা মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। গবেষকেরা বলছেন, চোলিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বিকশিত হয় এবং ডেমনেশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তবে, মুরগির মাংস বা তা থেকে তৈরি স্ন্যাক্স যাই খান না কেন ভালোভাবে ফ্লস করতে ভুলবেন না যেন। কেননা মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো না থাকাটা স্মৃতিশক্তির জন্যও খারাপ। ফলে দাঁত মাজার পাশাপাশি নিয়মিত ফ্লস করাটাও আপনাকে অনেক সুফল দিতে পারে।

০৯. নিয়মিত রুটি আর ভাত:
ভেতো বাঙালির উর্বর মস্তিষ্কের রহস্য বোধ হয় ভাতেই! কেননা ভাত ও রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ মস্তিষ্কের প্রধান জ্বালানি এই কার্বোহাইড্রেট। গম ও চাল ভিটামিন-বি এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে সমৃদ্ধ। আর এর অভাবে স্মৃতিভ্রষ্টতা তৈরি হতে পারে। তবে ভাত-রুটির পাশাপাশি মাছ-মাংসও খেতে হবে। কেননা অনেকেরই মাছ-মাংসের প্রতি আসক্তি যেমন আছে তেমনি শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও আছে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলো জেনে নিন !

খাবারের অতিরিক্ত লোভ এবং আলস্য জীবন যাপন ডায়াবেটিস রোগের মূল উপকরন। ডায়াবেটিস (Diabetes) শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Diabainein থেকে । সর্বপ্রথম ১৪২৫ সালে Thomas Willis ডায়াবেটিস মেলিচীস সম্পর্কে মেডিক্যাল বইতে লেখেন। ১৭৭৬ সালে Mathew Dobson মূত্র এবং রক্তে সুগার খুজে পান। তার সূত্র মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে Diet, Drug and Discipline এই তিনটি শব্দ মনে রাখলেই আপনি প্রাথমিক পর্যায়ের ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে পারেন । ডায়াবেটিস নিরাময়ে সকলের ভাল অভিজ্ঞতা থাকা অবশ্যই দরকার। আজ আপনাদের সাথে মুক্তমঞ্চ.কমে এর আলোচনার বিষয় হচ্ছে ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সমূহ।

ডায়াবেটিস (Diabetes) কি ?

অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ। ( সহজ ভাবে যা বুজি শরীরে অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ ) আমরা যা খাই, সব খাবার পেটে যাবার পর বিভিন্ন enzyme, এসিড দ্বারা এর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর খাবার নরম অবস্থায় ক্ষুদ্রান্ত (Small Intestine) এবং বৃহদান্ত্র (Large Intestine) দিয়ে যাবার সময় হজম হয়। এই হজম হওয়া যেই অংশ সেটাকে আমরা সহজ ভাষায় Glucose বলতে পারি। আর যেটা হজম হয় না, সেটা বেরিয়ে যায় ময়লা বা আবর্জনা হিসাবে – আর এই গ্লকোজ কে নিয়ন্ত্রন করতে ইনুসুলিন যখন ঠিক ভাবে তৈরি হয়না বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় তখন ইহাকেই আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি।

দুই ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে। একটা হলো ডায়াবেটিস মেলাইটাস ( সুগার বেশী হওয়া ) আরেকটা হলো ডায়াবেটিস ইন্সিপিডাস ( সুগার কমে যাওয়া ) এ ছাড়া আরেক ধরনের ডায়াবেটিস আছে যাকে Gestational Diabetes বলা হয় ( ইহা গর্ভ বতি মায়েদের বেলায় হয় ) ।

বর্তমানে অনেকেই ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা এর ব্যাপারে বেশ আগ্রহী । রোগীদের এ আগ্রহের কারণেই সারাবিশ্বেই ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা এর নানা ঔষধ ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় আজ মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের কিছু ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং যেগুলোর কার্যকারিতা গবেষণাগারেও প্রমাণিত হয়েছে এবং বিভিন্ন জার্নালেও তা প্রকাশিত হয়েছে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো:

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে করল্লার রস:

প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় করল্লার রস খেলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাবে,রক্তে ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়বে,অন্ত্রে গ্লুকোজের শোষণ কমে যাবে এবং রক্তে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ কমে যাবে।

karallara-juice-muktomoncho

করল্লার রসে মূল উপাদানঃ

চ্যারানটিন(Charantin),পিপিপি[Insulin like peptide(PPP)], লেকটিন(Lectin), ভাইসিন(Vicin) ,কিউকারবিটেন (Cucurbitane glycosides),মমোরডিন(Momordin) এবং স্যাপোনিন (Saponin).

কীভাবে কাজ করে:

Charantin,PPP, Lectin,Vicin- এরা ইনসুলিনের মত কাজ করে।.Momordin-অন্ত্রে গ্লুকোজ শোষণে বাঁধা দেয়।Saponin-ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়।Cucurbitane glycosides- কোষের গ্লুকোজ গ্রহণে সহায়তাকারী প্রোটিন AMPK কে সক্রিয় করে ফলে সহজেই কোষের মধ্যে গ্লুকোজ ঢুকতে পারে।

নিয়ম:

প্রতিদিন ১০০মিলি করল্লার রস সমান দুই ভাগে ভাগ করে দিনে দুই বার খাবেন খাওয়ার পর পর।এছাড়াও করল্লার রসের পাউডার পাওয়া যায় যা প্রতি কেজি দেহের ওজনের জন্য ১০০মিগ্রা হিসাবে পরিমাণ বের করে তাকে সমান দু ভাগে ভাগ করে দিনে দু’বার ভরা পেটে খাবেন।

সতর্কতা:
মাত্রাতিরিক্ত বা অন্যন্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে ডুমুরের পাতা:
স্পেনের গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে ডুমুরের পাতার চা খেলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক রোগীদের দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা ১২% কমে যায় মাত্র এক মাসে। এছাড়াও ডুমুর পাতার চা পানে রক্তে ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা কমে যায়। (সূত্র:ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন,ইউনিভার্সিটি হসপিটাল,মাদ্রিদ,স্পেন)

fig-leaves-

ডুমুরের পাতার মূল উপাদান: পলিফেনল

কীভাবে কাজ করেঃ
ডুমুরের পাতার চা পলিফেনল হুবহু ইনসুলিনের মত কাজ করে। জেনে নিন কীভাবে এই চা বানাবেন: -আধা লিটার পানিতে ২ টেবিল চামচ শুকনা ডুমুরের পাতার গুড়া ছেড়ে দিন।এরপর ১৫মিনিট বা তার অধিক সময় ধরে ফুটান যাতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়।এখন এই চা পান করুন নাস্তার সাথে।

সতর্কতা:

মাত্রাতিরিক্ত বা অন্যন্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় জিরার ব্যবহার:
প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা পত্রে দাবী করা হয়েছে যে জিরা ১)রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় ২)রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় ৩)ডায়াবেটিক জটিলতার জন্য দায়ী AGE(Advanced Glycated End-product) তৈরীতে বাঁধা দেয়। কোন কোন গবেষক দাবী করেছেন জিরা’র কার্যকারিতা বহুল ব্যবহৃত ডায়াবেটিসের ঔষধ Glibenclamide(যেমন Dibenol) এর সমতুল্য।

cumin-

জিরার মূল উপাদান: কিউমিন অ্যালডিহাইড (Cuminaldehyde).

কীভাবে কাজ করে:
১। জিরার কিউমিন অ্যালডিহাইড ক্ষুদ্রান্তের(পেটের নাড়ী-ভুড়ির অংশ) ভিতরের দেয়ালের কোষের আলফা-গ্লুকোসাইডেজ এনজাইমকে কাজ করতে বাঁধা দেয় ফলে পরিপাককৃত শর্করাজাতীয় খাদ্যের ওলিগোস্যাকারাইড মনোস্যাকারাইডে(গ্লুকোজ) পরিণত হতে বাঁধাগ্রস্থ হয়।
২। কিউমিন অ্যালডিহাইড অ্যালডোজ রিডাকটেজ এনজাইমকে বাঁধাদানের মাধ্যমে দেহের জন্য ক্ষতিকর ও ডায়াবেটিক জটিলতার জন্য দায়ী AGE(Advanced Glycated End-product) তৈরীতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।ফলে ডায়াবেটিসের নানাবিধ জটিলতা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

নিয়ম:

আধা চা-চামচ সদ্য গুড়াকৃত জিরা পানি বা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে সকালে নাস্তার আগে ও রাতের খাবারের আগে। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা মনে রাখতে হবে যে জিরার কিউমিন অ্যালডিহাইড বাতাসের অক্সিজেনের সাথে দ্রুত বিক্রিয়া করে নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই ঔষধীগুণ পেতে তাৎক্ষণিকভাবে গুড়াকৃত জিরাই ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতা:

জিরা’র গুড়ার কার্যকারিতা বহুল ব্যবহৃত ডায়াবেটিসের ঔষধ Glibenclamide এর সমতুল্য হওয়ায় রক্তে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ক্যাসিয়া বা দারুচিনি:

গবেষণায় দেখা গেছে ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল নয় এমন ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত ক্যাসিয়া (আমাদের দেশে যেটা দারুচিনি নামে পাওয়া যায়) খেলে মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে অভুক্ত অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা(FBS) ১৮-২৯% কমে যায়; ট্রাইগ্লিসারাইড কমে ২৩-৩০%; লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন(LDL) কমে ৭-২৭% এবং কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমে ১২-২৬%।

cinnamon-

মূল উপাদান: MHCP ও সিনামিক এসিড।

কীভাবে কাজ করে:

MHCP ইনসুলিনের ন্যায় কাজ করে।আর সিনামিক এসিড PPAR-gamma কে সক্রিয় করে।এর ফলে একদিকে কোষের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমে যাওয়ায় কোষে সহজেই গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে আর অন্যদিকে কোষের মধ্যে চর্বিকে প্রবেশ করিয়ে রক্তে এর মাত্রা কমিয়ে দেয়।

নিয়ম:

প্রতিদিন ৩-৬ গ্রাম ক্যাসিয়া সকাল ,দুপুর ও রাতে সমানভাগে ভাগ করে খেতে হবে।এটা আপনি সরাসরি পাউডার আকারে বা স্টিক চিবিয়ে বা এটা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
সাবধানতাঃমাত্রাতিরিক্ত বা অন্যন্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।তাছাড়া ক্যাসিয়াতে কুমারিনের(কুমারিন রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়) মাত্রা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত সেবনে আঘাতপ্রাপ্তস্থানে রক্ত জমাট বাঁধা বাঁধাগ্রস্থ হয়।তাছাড়া যাদের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা আছে তাদের রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে।কাজেই এসব বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

স্যালাসিয়া বা সপ্তরঙ্গী ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক Prof.Steve Hertzler এর মতে প্রতিদিন সকালের নাস্তার সাথে ১গ্রাম স্যালাসিয়া বা সপ্তরঙ্গীর নির্যাস (Salacia extract) খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে প্রায় ২৩% এবং দেহে ইনসুলিনের চাহিদা কমে ২৯%।স্যালাসিয়ার কাজ ডায়াবেটিসের ঔষধ Acarbose (যা আমাদের দেশে Gluco-A,Sugatrol,Carbos ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) এর মত।

saptrangi

মূল উপাদান: স্যালিসিনল (SALICINOL) ও কোটাল্যানল (KOTALANOL)- উভয়েই অত্যন্ত শক্তিশালী আলফা-গ্লুকোসাইডেজ এনজাইমের কাজে বাঁধাদানকারী।

কীভাবে কাজ করে:

শর্করাজাতীয় (ভাত,রুটি,আলু…) খাবার পরিপাককৃত হয়ে অপেক্ষাকৃত সরল শর্করা ওলিগোস্যাকারাইড ও ডাইস্যাকারাইডে পরিণত হয়।অন্ত্রের ভিতরের দেয়ালের কোষের আবরণীতে থাকা আলফা-গ্লুকোসাইডেজ এনজাইম এসব শর্করাকে ভেঙ্গে অতিসরল শর্করা বা মনোস্যাকারাইডে(যেমন-গ্লুকোজ) রূপান্তরিত করে।স্যালিসিয়ার স্যালিসিনল ও কোটাল্যানল এই এনজাইমের কার্যকারিতাকে বাঁধা দেওয়ায় শর্করাজাতীয় খাবার অতি দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হতে পারে না।ফলে খাওয়ার পর পর দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে না।
মাত্রাঃপ্রতিদিন ১গ্রাম স্যালাসিয়া এক্সট্র্যাক্ট (নির্যাস) সকালে নাস্তার সাথে।এক্সট্র্যাক্ট না পাওয়া গেলে ৩-৬ গ্রাম স্যালাসিয়া গাছ/কাঠের গুড়া বা গুড়া দিয়ে তৈরী চা পান করলেও চলবে।
সাবধানতাঃস্যালাসিয়া হাইপোগ্লাইসেমিয়া না করলেও অপরিপাককৃত শর্করার কারণে পেট ফাঁপতে পারে,পেট ভার লাগতে পারে,পেট ব্যাথা হতে পারে কিংবা ডায়রিয়া হতে পারে।

জামের বীচিতে ডায়াবেটিস নিরাময়:

আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের ভেষজ চিকিৎসায় জামের বীচির ব্যবহার অতি পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে জামের বীচি (Eugenia jambolana) ১)অভুক্ত অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় ২)মাংসপেশীর কোষে গ্লুকোজ গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেনে পরিণত হওয়া তরান্বিত করে এবং ৩)রক্তে চর্বির মাত্রা কমায়।

jami-pip-

মূল উপাদানঃজাম্বোলিন (Jamboline)

কীভাবে কাজ করেঃ
১। ধারণা করা হয় জাম্বোলিন ইনসুলিন নিঃসরণ করায় বা নিজেই ইনসুলিনের মত কাজ করে
২। জাম্বোলিন পেশীকোষের গ্লুকোজ পরিবহণকারী প্রোটিনকে সক্রিয় করে ফলে রক্ত থেকে গ্লুকোজ সহজেই মাংসপেশীতে ঢুকে রক্তে এর মাত্রা কমায়
৩। গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষণের জন্য দায়ী এনজাইমকে উত্তেজিত করে মাংসপেশী ও লিভারে এদের সঞ্চিত হতে সাহায্য করে।—এই ত্রিমুখী কার্যকলাপে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।
মাত্রাঃজামের শুকনো বীচির গুড়া ১গ্রাম করে সকালে,দুপুরে ও রাতে খাওয়ার অব্যবহিত পূর্বে।

সতর্কতা:

মাত্রাতিরিক্ত বা অন্যন্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে গুরমারির পাতা:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরমারির (Gymnema sylvestre) পাতার ব্যবহার বেশ পুরোনো।হামদর্দ এর ডায়াবেটিসের ঔষধ ‘দোলাবী’র মূল উপাদান গুরমারি।গবেষকদের বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিতও হয়েছে।কিন্তু যেটি তারচেয়েও বেশী চমকপ্রদ তা হলো কিছু গবেষণা থেকে ধারণা করা হচ্ছে এটি ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।যদি বিষয়টি সত্যি হয় তবে ডায়াবেটিস থেকে চিরমুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মূল উপাদান: জিমনেমিক এসিড (Gymnemic acid)

কীভাবে কাজ করে:

জিমনেমিক এসিডের গঠনের সাথে গ্লুকোজ অণুর মিল থাকায় পরিশোষণ (absorption) কিংবা মিষ্টি স্বাদ উদ্রেক করতে(sweet taste) গ্লুকোজ কোষের যে রিসেপ্টরের সংযুক্ত হয় জিমনেমিক এসিডও সে রিসেপ্টরের সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আগে গিয়ে সংযুক্ত হয়।ফলে জিমনেমিক এসিড ও গ্লুকোজ একই সাথে উপস্থিত থাকলে গ্লুকোজের মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয় না এবং সঠিকভাবে অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে রক্তে দ্রুত যেতে পারে না।
অামি নিজেই পরীক্ষা করে দেখেছি,গুরমারির পাতা চিবিয়ে খাওয়ার পর চিনি বা গ্লুকোজ খেলে ২ ঘন্টা পর্যন্ত মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয় না।

নিয়ম:

প্রতিদিন সকালে ও রাতে ৪০০মিগ্রা করে গুরমারি পাতার নির্যাস (extract) খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে।

বংশলোচন ডায়াবেটিস কমায়:

বংশলোচন বা তাবাশীর (Tabasheer) এক বিশেষ প্রজাতির বাঁশের ভিতর গিঁটে জমে থাকা তরল ক্রমান্বয়ে জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে তৈরী হয়।বংশলোচনের মূল উপাদান অর্গানিক সিলিকা।গবেষণায় দেখা গেছে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়,চর্বির(কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড) মাত্রা কমায় এবং লিভারের সুরক্ষা প্রদান করে। ডায়াবেটিসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে Qurs Tabasheer বহুল ব্যবহৃত ঔষধ Glimepiride ( Amaryl, Dialon,Secrin ইত্যাদি নামে অামাদের দেশে পাওয়া যায়) চেয়েও বেশী কার্যকরী বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।হামদর্দের জনপ্রিয় ডায়াবেটিসের ঔষধ ‘দোলাবী’র প্রতিটি ট্যাবলেটে ৯৫.৬০মিগ্রা বংশলোচন আছে।

tabasheer-

মূল উপাদান: অর্গানিক সিলিকা (Silicic acid)

কীভাবে কাজ করে:

বংশলোচন কীভাবে কাজ করে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও রক্তে এর উপস্থিতিতে লিভারে গ্লুকোজ ও চর্বি বিপাকের সাথে সংশ্লিষ্ট কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমের মাত্রার তারতম্য ঘটে।যেমন Glucose-6-Phosphatase ও Fructose-1-6-biphosphatase এর মাত্রা কমে যায় এবং Hexokinase এর কার্যকারিতা বেড়ে যায়।ধারণা করা হয় বংশলোচন এসব এনজাইমের কাজকে প্রভাবিত করেই রক্তে গ্লুকোজ ও চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

নিয়ম:

১-৩ গ্রাম প্রতিদিন সমান দু’ভাগে ভাগ করে দিনে ২বার খেতে হবে।
সাবধানতাঃমাত্রাতিরিক্ত বা অন্যন্য ডায়াবেটিসের ঔষধের সাথে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।কাজেই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে নিম পাতার জুড়ি নেই:

নিম গাছের ঔষধি গুণের কথা আমরা সবাই জানি।নিম গাছের পাতার নির্যাস ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।International Research Journal of Biological Sciences [Vol. 1(6), 76-79, October (2012)] থেকে জানা যায় ডায়াবেটিক ইঁদুরকে মাত্র ১ডোজ নিমের পাতার নির্যাস খাওয়ানোর পর তার রক্তে glucose এর মাত্রা কমেছে 18%,cholesterol কমেছে 15%,triglycerides কমেছে 32%,urea কমেছে 13%,creatinine কমেছে 23% এবং lipids বা চর্বি কমেছে 15%।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও নিমের পাতার ডায়াবেটিস বিরোধী গুণের কথা প্রমাণিত হয়েছে যা Bangl. J. Vet. Med.(2010). 8(1): 75 – 80 তে প্রকাশিত হয়েছে।তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটি দিয়েছে Evidence-Based Complementary and Alternative Medicine [Volume 2011 (2011), Article ID 561625] নামক জার্নালটি।সেখানে বলা হয়েছে নিম পাতার নির্যাস ইনসুলিন উৎপাদনকারী বিটা কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।এটা বাস্তব হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসকে চিরতরে বিদায় জানানো সম্ভব হবে।

neem-leaves-

মূল উপাদান: 

নিম পাতার নির্যাসে প্রায় ১৩৫টি ঔষধীগুণসম্পন্ন উপাদান পাওয়া গেছে।তবে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন কোন কোন উপাদান ডায়াবেটিস নিরাময়ে কাজ করে।গবেষণায় দেখা গেছে নিম পাতার জলীয় নির্যাসের (aqueous extract) এর তুলনায় ক্লোরোফর্ম দ্বারা নিষ্কাষিত নির্যাসের (chloroform extract) ডায়াবেটিস নিরাময়ের ক্ষমতা অনেক বেশী।

কীভাবে কাজ করে:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার নির্যাসের কার্যকরী উপাদান নিম্নোক্ত উপায়ে কাজ করে থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে-
১। খাদ্যের শর্করাকে গ্লুকোজে রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম হলো অন্ত্রের গ্লুকোসাইডেজ।নিম পাতার নির্যাস অন্ত্রের এই এনজাইমের কার্যকারিতা ৩৫%-৫২% পর্যন্ত কমিয়ে দেয় ফলে পরিপাকের পর খাদ্য থেকে গ্লুকোজ খুব দ্রুত ও বেশী মাত্রায় রক্তে প্রবেশ করতে পারে না।
২। ইনসুলিন নিঃসরণকারী অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের কার্যকারিতা ও সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
৩। রক্তে প্রবেশের পর অতিরিক্ত গ্লুকোজ বিভিন্ন কোষে প্রবেশ করে গ্লাইকোজেন আকারে জমা হয় ফলে রক্তে মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজের উপস্থিতি থাকে না।গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনে রূপান্তরে glucose-6-phosphate dehydrogenase এনজাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ডায়াবেটিসে এই এনজাইমের কার্যকারিতা বেশ কমে যায়।নিম পাতার নির্যাস এই এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
৪। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিতে বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়।কিন্তু সেরোটোনিন ইনসুলিন নিঃসরণে বাঁধা সৃষ্টি করে।নিম পাতার নির্যাস সেরোটোনিনের কাজে বাঁধা দেওয়ার মাধ্যমে ইনসুলিনের স্বাভাবিক নিঃসরণ বজায় রাখে।

নিয়ম:

ডায়াবেটিসে কার্যকরী নিম পাতার উপাদান খুব ধীরে ধীরে পানি ও ক্লেরোফর্ম দ্রবণে বের হয়ে আসে। যেহেতু chloroform extract ঘরে করা সম্ভব নয় (যদিও এটি ডায়াবেটিস নিরাময়ে সবচেয়ে কার্যকরী) তাই আপনাকে নিম পাতার জলীয় দ্রবণেই এর কার্যকরী উপাদানকে বের করে আনতে হবে।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক (অভিজ্ঞ হেকিম/কবিরাজ কর্তৃক নির্দেশিত) তাজা নিম পাতা বেঁটে তা ১০০মিলি মাঝারি মাত্রার গরম পানিতে (ফুটন্ত পানি নয়) মিশিয়ে একটি হটপটে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন।২৪ ঘন্টা পর সেটি পান করুন। এটি কেবলমাত্র সকালে নাস্তার সময় পান করতে হবে।

সতর্কতা:

মাত্রাতিরিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদী নিমের নির্যাস সেবন লিভার ও কিডনীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।নিমের তেল (বীচি থেকে প্রাপ্ত) যদিও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় তবুও এটি একটি বিষাক্ত উপাদান;এক্ষেত্রে মৃত্যঝুঁকিও রয়েছে।এছাড়াও নিম পাতা গর্ভপাত ও গর্ভনিরোধে ব্যবহৃত হয়।সুতরাং গর্ভধারণে ইচ্ছুক বা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এটা কোনক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।রক্তে ক্ষতিকর মাত্রায় গ্লুকোজ কমে যাওয়ার (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে।

গুরমার গাছের পাতা ব্যাবহার করে দেখতে পারেন:

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই পাতা ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। গুরমারের পাতা সেবনেই অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্করা মাত্রা মানে সুগার লেভেল। এক মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

gymnema-sylvestre-

নিয়ম:
– শুকনা পাতা গুঁড়া করে খাবারের আগে খেতে হবে।
– গবেষণায় দেখা গেছে গুরমার অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
– বহুমূত্র বা ডায়াবেটিক রোগ দেখা দেয়ার শুরুতে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এছাড়াও শিলাজিত বা অ্যাসফল্টাম,চুকা পালং শাক,কালোজিরা,বাগান বিলাসের নির্যাস,গুরচা,মেথী,চিরতা,কাঁচা ঢেঁড়শ ইত্যাদি নানাবিধ প্রাকৃতিক উপাদানে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের খুবই কার্যকরী উপাদান রয়েছে।কিন্তু সম্মানিত পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতির বিষয়টি মাথায় রেখে আর্টিকেলটির কলেবর অার বৃদ্ধি করলাম না।

কিছু কথা না বললেই নয়:
১। উপরোক্ত অার্টিকেলটি কেবলই তথ্যমূলক;কোনক্রমেই তা রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি এবং সম্পূর্ন তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
২। রেজিস্টার্ড ভেষজ চিকিৎসক (হেকিম/কবিরাজ) এর পরামর্শ ছাড়া এসব প্রাকৃতিক উপাদান চিকিৎসায় ব্যবহার না করার অনুরোধ রইলো।
৩। যেহেতু এসব প্রাকৃতিক উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় তাই এগুলোর মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণে বা অন্যন্য ডায়াবেটিক বিরোধী ঔষধের সাথে সেবন করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে ক্ষতিকর মাত্রায় গ্লুকোজ কমে যাওয়া) হতে পারে। কাজেই ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। লেখাটি আপনার ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা গেলো। আমাদের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন।