মন ভোলানো স্বাদের পায়েস

Paes

মন ভোলানো স্বাদের পায়েস যেখানে ঘন দুধের ননী স্বাদ আর পছন্দসই মিষ্টি মিলেমিশে একাকার। জিভের স্বাদের সঙ্গে চোখের প্রশান্তিও দেবে পায়েস সাজানো বাহারি রঙের ফলের কুচি। আপনার হাতে হয়ে যাক মন ভোলানো স্বাদের পায়েস। দেরি না করে দেখে নিতে পারেন সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

চিনি গুড়া চাল ৫০০ গ্রাম, বাদাম বাটা ১০০ গ্রাম, ঘনদুধ দুই লিটার, চিনি স্বাদমতো, এক চিমটি লবণ, ঘি ৫০ গ্রাম, কাজু বাদাম ১০০ গ্রাম, কিশমিশ ১০০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন

প্রথমে চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে ঝরঝরা করে নিন। দুধ, চাল, বাদাম বাটা, চিনি একত্রে চুলায় বসিয়ে নাড়তে থাকুন। চাল ফুটে গেলে ঘি দিয়ে দিন। স্বাদের জন্য কেউ এক চিমটি লবণ দিতে পারেন, আবার নাও দিতে পারেন। এবার ঘন দুধ, ছোট টুকরা করা কাজু বাদাম, কিশমিশ মিশিয়ে দিন। একটু পরে নামিয়ে পছন্দের ডিসে উপরে কাজু বাদাম, কিশমিশ, ডালিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মন ভোলানো পায়েস।

স্বাস্থ্যকর খাবারের সহজ পাঁচ টিপস

Foods

দিন দিন আমাদের ব্যস্ততা এতই বাড়ছে যে ক্ষুধা লাগলে কি খাব আর খাব না তা ভাবার সুযোগই পাই না। কেননা যখন ক্ষুধা লাগে তখন সামনে যা পাই তাই যেন খেয়ে ফেলতে পারি এমন একাট প্রবণতা রয়েছে আমাদের। এ প্রবণতার কারণে আমরা অনেক সময় সঠিক খাবার গ্রহণ করতে পারি না। যা সুস্থ থাকতে খুবই দরকার। অথচ আমরা স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে বার্গার, পিৎজার মত এমন কিছু ফাস্টফুড গ্রহণ করি যা স্বাস্থ্যকর তো নয়ই বরং অনেক রোগের কারণও বটে। তাই সুস্থ থাকতে হলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও অবশ্যই কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রেখে খাবার গ্রহণ করা উচিত। যা সুস্থ, কর্মক্ষম ও নীরোগ রাখবে।
সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তা হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কথায় আছে, ‘সকালে খেতে হয় রাজার মত, দুপুরে রাজপুত্রের মত আর রাতে ভিখারীর মত।’ তাই সকালে খাবার কখন বাদ দেওয়া উচিত নয়। তবে সকালের নাস্তা হতে হবে পুষ্টিকর। ডিম ও সিমের মত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারও রাখতে পারেন এর তালিকায় যাতে দিনের পরের ভাগে ভারী খাবার না খেলেও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
শর্করা জাতীয় খাবার
শর্করা ও ক্যালরি জাতীয় খাবার যত পারেন পরিহার করুন। কেননা এ জাতীয় খাবার হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস এবং মাত্রাতিরিক্ত ওজনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যাদের মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ রয়েছে তারা পরিশোধিত চিনির পরিবর্তে মিষ্টি জাতীয় প্রাকৃতিক খাবার যেমন কর্ন, পালং শাক, বিট ও মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
বেশি বেশি ফল ও শাকসবজি খান
ফাস্টফুডে অন্ধ না হয়ে ফল ও শাক-সবজি জাতীয় খাবার প্রত্যাহিক খাবারে তালিকায় রাখা উচিত। সতেজ ফল ও শাক সবজি ক্যান্সার, হৃদরোগ ও বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
খাবারের তালিকায় রাখুন আঁশজাতীয় খাবার
যারা ওজন কমাতে চান তাদের অবশ্যই খাবারের তালিকায় ব্রকলি, বাঁধাকপি জাতীয় খাবার রাখা উচিত। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ যা দূরারোগ্য রোগ ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।
সময় নিয়ে খাবার গ্রহণ
আমরা যখন দ্রুত খাবার গ্রহণ করেন তখন নিজের অজান্তেই বেশি খেয়ে ফেলেন? এর পেছেনের কারণ হল যখন আমরা দ্রুত খাই তখন বুঝতে পারি না কতটা খেয়ে ফেলেছি। তাই পাঁচ মিনিটের পরিবর্তে এখন থেকে একই পরিমাণ খাবার আধা ঘণ্টা বসে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে এক চুমুক পানিও খেয়ে নিতে পারেন। যা ধীরে খেতে সহায্য করবে। সূত্র: জি নিউজ