পৃথিবীকে বিছানা বলা কি কুর’আনে বৈজ্ঞানিক ভুল?

প্রথমে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করি।কুর’আনের আয়াত ব্রাউজ করতে ভিজিট করুন tanzil.net
সূরা বাক্বারা (২>২২)
“তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিছানা স্বরূপ বানিয়েছেন…”
সূরা ত্ব-হা (২০>৫৩) এবং সূরা যুখরুফ (৪৩>১০)
“তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিছানা বা শয্যা করেছেন”
অথবা অনুবাদ -“যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিস্তৃত গালিছারূপে সৃষ্টি করেছেন
অর্থ্যাৎ পৃথিবীকে গালিচার মত বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুর’আনের এই বক্তব্যকে বৈজ্ঞানিক সত্যের বিরোধী মনে হয়। কেননা বিজ্ঞান বলে পৃথিবী চ্যাপ্টা বা সমতল নয়, গোলাকার (Spherical)।
ব্যাখ্যাঃ
১. এটাকে ভুল মনে হবার কারণ, মানুষ মনে করে শুধু সমতল বা চ্যাপ্টা তলের উপরই মাদুর বা গালিচা বিছানো যেতে পারে। এটা ঠিক নয়। বর্তমান যুগে এটা খুবই প্রচলিত যে গোলাকার তলের উপরিপৃষ্ঠে খুব সহজেই  গালিচা বিছানো যায়। যেমন ধরুন নিচের গোলকের উপরিভাগে আপনি চাইলে গালিচা বিছিয়ে দিতে পারেন।

কুর’আন কিন্তু বলেনি আমি পৃথিবীকে চ্যাপ্টা করে বানিয়েছি। সেটা হল আমাদের বোঝার ভুল।
তাহলে, এই আয়াতের উদ্দেশ্য কী?
সূরা যুখরুফের ৪৩ নং আয়াত পুরোটা পড়লে জানা যায় –
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার।
অন্য আয়াতে আছে, “…যাতে তোমরা সহজে চলাফেরা করতে পার”
ভূতত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা থাকলে আমাদের এই আয়াত নিয়ে মোটেই প্রশ্ন উঠবে না।
আমরা জানি, পৃথিবীর উপরিভাগ বা ভূত্বক (Crust) কঠিন হলেও অভ্যন্তর ভাগ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
পৃথিবীর গঠনকে চারটি স্তরে বিভক্ত করা যায়-
১. Crust বা উপরিভাগ। এটা সম্পূর্ণ কঠিন অবস্থায় আছে।

২. Mantle উপরিভাগ পরবর্তী আবরণ। এ অংশের সান্দ্রতা বেশি।
৩. Outer Core (বহিঃস্থ শাঁস)। এ স্তর তরল যার সান্দ্রতা Mantle এর চেয়ে কম।
৪. Core (অভ্যন্তরভাগ। কেন্দ্রস্থ এই অংশ সম্পূর্ণ কঠিন।

ভিতরে উত্তপ্ত তরল কঠিনের মিশ্রণকে স্থিতিশীল রাখার জন্য উপরে ভূত্বক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ভূত্বক না থাকলে পৃথিবী কোন মতেই বাসযোগ্য হত না। যেমন ধরুন উপরে প্রথম চিত্রের গোলকটি যদি শুধু শিক দিয়ে বানানো হয়, কোন আবরণ না দেওয়া হয়, তাহলে এবার পৃথিবীকে  এরকম চিন্তা করুন আর ভাবুন আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম তখন চলত কিনা।
২. আমরা জানি কোন গোলক যত বড় হবে তথা এর ব্যাসার্ধ যত বড় হবে এর পৃষ্ঠের বক্রতা তত কম হবে। পৃথিবী একটি বিশাল ক্ষেত্র যার ব্যাস প্রায় ৬৪০০ কি.মি (প্রায় ৪ হাজার মাইল)। আমরা দৈনন্দিন জীবনে পৃথিবীপৃষ্ঠের খুব সামান্য অংশ নিয়ে কাজ করি। এই অংশটুকু বাস্তবে গোলকের অন্তর্গত বক্র চাপ হলেও উপলদ্ধি করার মত নয়। যেমন এক মাইল পরিমাণ দূরত্বেও মাত্র ১ ডিগ্রির মাত্র ৭০ ভাগের এক ভাগ কোণ তৈরি হয়। মাত্র ১ ডিগ্রি পরিমাণ বক্রতা উপলদ্ধি করা যাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে ১১২ কি.মি পথ বিবেচনা করলে।
তাহলে, গণিতের ভাষায় যেই ক্ষেত্রের ব্যাসার্ধ অতি বিশাল তার তলকে সমতল বলা চলে।
সূত্রঃ
১. আল কুর’আনে বিজ্ঞান- ইসলামিক ফাউন্ডেশান
২. http://en.wikipedia.org/wiki/Structure_of_the_Earth
৩. http://www.colorado.edu/physics/phys2900/homepages/Marianne.Hogan/inside.html

মাত্রারিক্ত সাবানে লিভার ক্যান্সার !

Soap

পরিচ্ছন্নতা সকলেরই পছন্দ। অনেকে পরিচ্ছন্নতার ঝোঁকে সাবানের খুব বেশি ব্যবহার করেন। তা শরীরের জন্য ডেকে আনে ভয়ঙ্কর বিপদ।

সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্টের মধ্যে উপস্থিত যৌগ ট্রাইক্লোস্যান লিভার ফাইব্রোসিস ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ রুপে কাজ করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে চমকে দেওয়া এই তথ্য।

দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণে সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করলে এই জিনিসগুলির অন্যতম সাধারণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ট্রাইক্লোস্যান উপকারের বদলে অপকার করতে শুরু করে। লিভারের টক্সিসিটি বাড়িয়ে তোলে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান দিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক রবার্ট টার্কি জানিয়েছেন, ট্রাইক্লোস্যান যখন একই কার্যক্ষমতা সম্পন্ন অনান্য যৌগের সঙ্গে মিশে থাকে তখন ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। গবেষকরা ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন ট্রাইক্লোস্যান লিভারের কার্যক্ষমতা বহুলাংশে কমিয়ে ফেলে।

ছ’মাস ধরে কিছু ইঁদুরকে ট্রাইক্লোস্যানের সংস্পর্শে রাখার পর দেখা গেছে তাদের লিভার ক্যান্সারের সম্ভাবনা ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। লিভারজুড়ে বিশাল বড় বড় টিউমার জন্ম নিয়েছে। এই গবেষণা অনুযায়ী ট্রাইক্লোস্যান লিভারের মধ্যে অবস্থিত অ্যান্ড্রোস্টেন রিসেপটরগুলোকে নষ্ট করে ফেলে। এই রিসেপটরগুলো আসলে এক ধরণের প্রোটিন যা শরীরে ফরেন পার্টিকাল তাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে লিভারকোষ গুলির অনিয়মিত বিভাজন শুরু হয়। কোষগুলি ফাইব্রোটিক হয়ে পড়ে। লিভারে লাগাতার ফাইব্রোসিস টিউমার তৈরি করে।

শ্যাম্পু, সাবান, টুথপেস্টের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী হিসাবে ট্রাইক্লোস্যানের ব্যবহার সর্বাধিক।

ফেসবুকের ৬টি অজানা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ট্রিকস জেনে নিন

FB tips-tricks

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এখন অসংখ্য ব্যবহারকারী রয়েছে। আর এ বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে নানা পরিবর্তন করছে ফেসবুক। এ কারণে নানা কৌশলের সহায়তায় ফেসবুকের বিভিন্ন বিষয় নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকটি ট্রিকস বা কৌশল।

১. আপনার নামের উচ্চারণ

আপনার নামের উচ্চারণ কেমন হবে তা যদি অন্য ফেসবুক বন্ধুদের বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে এ ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক ৮০টিরও বেশি ভাষায় ব্যবহৃত হয়। আর এ বিপুল সংখ্যক মানুষের নামের উচ্চারণ নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই যায়। এ বিভ্রান্তি দূর করতে আপনার প্রোফাইলের “about”-এ যান। এরপর “details about you” কিংবা মোবাইল ফোন থেকে “more about you”-এ ক্লিক করুন। এরপর “name pronunciation” পেয়ে যাবেন। এখানে আপনার নামের উচ্চারণ ঠিক করে দিন। এরপর ফেসবুক বন্ধুরা আপনার নামের উচ্চারণ করতে না পারলে তাদের এখানে দেখে নিতে বলুন।

২. অস্থায়ী পাসওয়ার্ড

বহু মানুষের ভিড়ে বা পাবলিক প্লেসে আপনার কি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড টাইপ করতে অস্বস্তি হয়? তাহলে ব্যবহার করুন ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। এজন্য “otp” লিখে 32665 নম্বরে পাঠিয়ে দিন। এরপর আপনি আট ক্যারেক্টারের একটি পাসওয়ার্ড পাবেন, যা পরবর্তী ২০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে। বারবার এ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। তবে এ নাম্বারটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখতে পাবেন এ লিংকে- অস্থায়ী পাসওয়ার্ড বিষয়ে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

৩. আনসাবস্ক্রাইব

ফেসবুকে কোনো পোস্ট আপনার পছন্দ না হলে সে বিষয়টি যেন আপনাকে বিরক্ত না করে সেজন্য আনসাবস্ক্রাইব করা যায়। এজন্য নোটিফিকেশনে সেই পোস্টটির ওপরের ডান দিকে ‘X’ বাটনে ক্লিক করুন। এছাড়া কোনো গ্রুপের নোটিফিকেশন বেশি বা কম প্রয়োজন হলে তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন এখান থেকেই।

৪. গোপনে সম্পর্ক স্ট্যাটাস পরিবর্তন

আপনার সম্পর্ক বিষয়ে স্ট্যাটাস পরিবর্তন বন্ধুদের জানাতে চান না? তাহলে এটি গোপনেই সারুন। এজন্য আপনার প্রোফাইলে গিয়ে “about” খুঁজে বের করুন। এরপর বাম পাশের “family and relationships”-এ আপনি একটি ধূসর আইকন পাবেন। এখানে “friends” কিংবা “public” থাকলে তা পাল্টে “only me” করুন। এরপর রিলেশনশিপ পরিবর্তন করে নিন। পরে আবার তা “friends” কিংবা “public” করতে পারবেন।

৫. পিকচার পারফেক্ট

আপনার ছবিতে যদি লেখা কিংবা স্টিকার (যেমন সানগ্লাস, কর্ন ডগ) যোগ করতে চান তাহলে একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন। পিকচার পারফেক্ট নামে এ টুলটি এখন শুধু আইফোনেই ব্যবহার করা যায় তবে শীঘ্রই অ্যান্ড্রয়েডে আসবে বলে জানা গেছে। ছবি আপলোড করার সময়েই এ টুলটির একটি চিহ্ন আসে (magic wand icon)। এটি থেকেই পরবর্তী কাজ করা যায়।

৬. সিকিউরিটি চেক

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে আগের চেয়ে নিরাপদ করতে চাইলে নতুন এ অপশন ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য “security checkup” টুলটিতে রয়েছে বেশ কিছু অপশন। এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুকে ওয়েব ব্রাউজার লগইন করা এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কিত নানা বিষয়। এছাড়া অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করার চেষ্টা হলেও এটি আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে।

ভিডিও আপলোডে কড়াকড়ি আরোপ করছে ফেসবুক

FB

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রকৃত নির্মাতার অনুমতি ছাড়া ভিডিও আপলোডে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে। নকল ভিডিও পোস্টের হার বাড়ায় সম্প্রতি বিভিন্ন ভিডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনার মুখে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অবৈধ ভিডিও শনাক্ত করার সফটওয়্যার তৈরি করছে তারা।

জানা যায়, অননুমোদিত ভিডিও শনাক্ত করতে ফেসবুক এরইমধ্যে অডিবল ম্যাজিক নামে এক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিচ্ছে। অডিও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে অননুমোদিত ভিডিও শনাক্ত করতে কাজ করছিল এ দুই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে জানা যায়, এবার ফেসবুক সরাসরি বিভিন্ন ভিডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুক জাসিয়েছে, ভিডিও ম্যাচিং সফটওয়্যার তৈরিতে ভিডিও নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ফুলস্ক্রিন, জুকিন মিডিয়া, জেফরের মতো প্রতিষ্ঠান।

ফেসবুক সূত্র মতে, নতুন সফটওয়্যারটি তৈরি হলে ফেসবুকে ভিডিও নির্মাতারা বিভিন্ন পেজ, প্রোফাইল ও গ্রুপে পোস্ট করা নকল ভিডিও শনাক্ত করতে পারবে। সেগুলো সরিয়ে নিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে পরবর্তীতে জানানো হবে।- ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

ক্যারিয়ার গড়ুন নব অভিযানে

nabo Avijan

নব অভিযান প্রকাশনীতে কিছুসংখ্যক লেখক ও জনবল নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: নব অভিযান প্রকাশনী

পদের নাম: লেখক, ফিজিক্স
পদ সংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

পদের নাম: লেখক, কেমিস্ট্রি
পদ সংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

পদের নাম: লেখক, বায়োলজি
পদ সংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

পদের নাম: কম্পিউটার কম্পোজার
পদ সংখ্যা: ০১ জন
অভিজ্ঞতা: অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

পদের নাম: মেকআপ ম্যান
পদ সংখ্যা: ০১ জন
অভিজ্ঞতা: অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

যোগাযোগের ঠিকানা
৩১, নিলক্ষেত (২য় তলা), কাটাবন, ঢাকা-১২০৫।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

১০ জন প্রকৌশলী নেবে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি

kpcl

খুলনা পাওয়ার লিমিটেডে কিছুসংখ্যক প্রকৌশলী নিয়োগ করা হবে। আগ্রহীরা আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড

পদের নাম: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
পদ সংখ্যা: ১০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/ডিপ্লোমা
অভিজ্ঞতা: ৩ বছর।

আবেদনের ঠিকানা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ল্যান্ডমার্ক (৪র্থ তলা), ১২-১৪ গুলশান নর্থ বা/এ, গুলশান-২ ঢাকা-১২১২।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সহসাই ভারত হবে ইসলামিক রাষ্ট্র- প্রবীণ টাগোডিয়া

pd

সহসাই ভারত হবে ইসলামিক রাষ্ট্র। এমন কথা বলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রবীণ টাগোডিয়া। তিনি এ জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন যেন ভারতে দ্বিসন্তান নীতি বাস্তবায়ন করা হয়।  এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়, রোববার সাম্প্রতিক জরিপ উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন শিগগিরই ভারতে ‘বিলুপ্তি’ ঘটবে হিন্দুদের। এর কারণ, মুসলমানরা ‘জনসংখ্যা জিহাদ’ চালাচ্ছে। এ জন্য তিনি সারা ভারতে দ্বি-সন্তান নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলিমদের সংখ্যা অসমভাবে বেড়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)এর মুখপাত্র ‘অর্গানাইজার’-এর এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ১৯৫১ সালে ভারতে হিন্দুদের শতকরা হার ছিল ৮৪ ভাগ। তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ ভাগে। ওই সময়ে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল শতকরা ১০ ভাগের নিচে। কিন্তু এখন তা বেড়ে শতকরা ১৪ ভাগের ওপরে। দেশে জনসংখ্যার এই পরিবর্তনের জন্য তিনি অবশ্যই একটি সরকারি মানদ- মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমরা যদি ‘জনসংখ্যা জিহাদের’ বিরুদ্ধে অবস্থান না নিই তাহলে ভারত হবে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র। তাই দ্বি-সন্তান নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বশেষ জরিপের ফলকে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পাল্টে গেল গুগলের লোগো ও আইকন (ভিডিওসহ)

google logo

নতুন কোম্পানি অ্যালফাবেটের অধীনে চলে যাবার পর এবার পাল্টে গেল সার্চ জায়ান্ট গুগলের লোগো। গতকাল গুগল সার্চের হোমপেইজে নতুন লোগো ও আইকনের দেখা মিলে। লোগোতে ১৭ বছর ধরে ব্যবহার করে আসা পাঁচটি বর্ণের নীল, লাল, হলুদ, সবুজ রঙ পরিবর্তিত হয়নি। শুধুমাত্র বর্ণগুলোর স্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। গুগল জানিয়েছে, বিভিন্ন আকারের ডিভাইসে লোগোটি আরও ভালোভাবে কাজ করবে। এছাড়া আইকন হিসেবে আগের ছোটো হাতের ‘জি’র বদলে বড় হাতের ‘জি’ অক্ষরটি ব্যবহৃত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের আইকনটির ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল ও ‘জি’ অক্ষরটি সাদা রঙের ছিল। কিন্তু এবার বড় হাতের ‘জি’ শব্দটি চারটি ভিন্ন রঙের সমষ্টিতে তৈরি। ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা রঙের। গুগল নিজেদের অফিসিয়াল ব্লগে এ পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। গুগলের মতে, এ লোগোটি ‘সাধারণ, বিশৃঙ্খলামুক্ত, রঙিন ও বন্ধুসুলভ’ এবং গুগলকে সবচেয়ে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে গুগল তাদের লোগো পরিবর্তন করে। সমালোচক মার্ক সিনক্লেয়ার বলেছেন, এ পরিবর্তনটি তাৎপর্যপূর্ন। কেননা, এর আগে অনেক টেক-জায়ান্ট সরল লোগো বেছে নিলেও, গুগল নেয়নি। কিন্তু অ্যালফাবেটের অধীনে চলে যাবার কয়েক সপ্তাহ পরই এ সিদ্ধান্ত নিল গুগল।

ভিডিও দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: Google Logo

স্বাস্থ্য: জন্মগত ত্রুটির কারণে আগুনে হাঁটা যায়!

Walking3

যন্ত্রণা যেকোনো অসুখের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু যদি এমন কোনো অসুখ থাকে‚ যাতে মানুষের ব্যথা-বেদনা-যন্ত্রণার বোধশক্তি লুপ্ত হয়? হ্যাঁ এরকম অসুখ‚ বা বলা ভালো অস্বাভাবিকতাও আছে‚ যখন মানুষের যন্ত্রণা-বোধ লোপ পায়। এই অস্বাভাবিকতার পোশাকি নাম Congenital Analgesia। গবেষণা করে দেখা গেছে‚ মস্তিষ্কে অতি মাত্রায় এন্ড্রোফিনস্-এর ক্ষরণ হলে মানুষ এই জন্মগত ত্রুটির শিকার হয়। এর ফলে দুই রকমের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। প্রথমত‚ মানুষের কোনো যন্ত্রণা বোধই হয় না। অর্থাৎ তখন সে অবলীলায় খালি পায়ে হেঁটে যেতে পারে দগদগে আগুন কিংবা তীক্ষ্ণ ফলার উপর দিয়েও। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মানুষ যন্ত্রণা পায়। কিন্তু নিজের অনুভূতি বা কষ্ট সে ব্যক্ত করতে পারে না। হাজার কষ্ট দেয়া হলেও নির্বিকারভাবে বসে থাকে সে। চিকিৎসকরা মনে করেন‚ দ্বিতীয় অবস্থাটি বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ মানুষ এখানে যন্ত্রণাবিদ্ধ হচ্ছে‚ অথচ প্রকাশ করতে পারছে না। এর চেয়ে মর্মান্তিক অবস্থা বোধ হয় অনুমান করাও কষ্টসাধ্য।

হাঁটা ও সাইকিলিংকে এসডিজিতে অন্তর্ভুক্তের আহ্বান

Walking

হাঁটা ও সাইকেল চালানোকে এসডিজি’র অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) ২০০০-২০১৫ মেয়াদ শেষে সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) ২০১৫-২০৩০ অনুমোদিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলির সরকার প্রধানদের নিয়ে আগামী ২-২৭শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বিশেষ সামিট হতে যাচ্ছে। এসডিজি’র ১৭টি গোলের মধ্যে ১১ নম্বর গোলটি নগরকে নিরাপদ, টেকসই ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার বিষয়টি নির্দেশ করে। যার অধীনে ১১.২ এ গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর বিষয়টি সেখানে অনুপস্থিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন জ্বালানী সংকট আসন্ন এবং পরিবেশ দূষণ একটি অন্যতম মুখ্য সমস্যা, তখন হাঁটা এবং সাইকেল চালানো একটি যুগোপযোগী সমাধান। হাঁটা ও সাইকেলে চলাচল স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সমতা আনয়নে ভূমিকা রাখে। কাজেই এসডিজি’র ১১.২-এ হাঁটা এবং সাইকেলের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা জরুরী। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিবৃতিতে তারা বলেন, নিয়মিত হাঁটা ও সাইকেলে চলাচল স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটায়। সমাজে সমতা আনয়নে ভূমিকা রাখে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে বিশ্বে বছরে প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ মারা যান। নগরে এই সঙ্কট আরো প্রকট। নগর জীবনে আলাদা করে ব্যায়ামের সময় বের করার সময় পাওয়া দুস্কর। তাই হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতের সুবিধা মানুষের প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রম পেতে সাহায্য করবে এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করবে। একই দাবিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি) যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছে। সেখানে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজনীন কবীর, সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা হোমনা’র নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, বিসিএইচআরডি‘র মাহবুবুল হক পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আতিক মোরশেদ প্রমুখ অংশ নেন।