ইংল্যান্ডের সামনে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান

Cricket

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের টেস্ট লড়াই। ২০০৯ সালের মার্চে শ্রীলংকার টিম বান্দুকধারীদের অতর্কিত হামলার পর থেকেই আমিরাতকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করে খেলে আসছে পাকিস্তান।

২০১২ সালে শেষবার যখন ইংলিশরা এখানে এসে খেলে গিয়েছিল। সেবার তাদের হোয়াইওয়াটওয়াশের লজ্জায় অধোবদন হতে হয়েছিল। সেই লজ্জা নিশ্চয় ভুলে যায়নি অ্যালিস্টার কুকের দল। তাই ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে লংকান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং স্পিন পরামর্শক হিসেবে তারা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন আরেক কিউই কিংবদন্তি ডেনিয়েল ভেট্টরিকে।

এতকিছুর পরও কী ফলাফলে পরিবর্তন আনতে পারবে ইংল্যান্ড? সেটা না হয় সময়ের হাতেই তোলা থাক। আবুধাবিতে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২.০০টায়।

২০১২ সালে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল হিসেবে মরুর দেশে এসেছিল ইংলিশরা। আড়াই বছর পর এবার তারা অ্যাশেজ সিরিজে হারিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়াকে। ট্রেভর বেলিসের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করবে স্বাভাবিক। সেখানে তাদের ছন্দপতন ঘটিয়েছেন ফাস্ট বোলার স্টিভেন ফিন। চোট পেয়ে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি।

আবুধাবিকে হাতের তালুর মতো চেনা হয়ে গেছে মিসবাহদের। সর্বশেষ এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৪ সালে একই টেস্টে দ্রুততম দুই সেঞ্চুরি করে ভিভ রিচার্ডসের পাশে বসেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এখানে সাত টেস্টে মিসবাহর গড় ১২০.৫৭। সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি।

তবে প্রথম টেস্টের আগে পাকিস্তানকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে চোটে পড়ে ইনফর্ম আজহার আলীর ছিটকে পড়া। যাকে নিয়ে মিসবাহর ইংলিশ বধের পরিকল্পনা সেই লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে নিয়েও রয়েছে সংশয়। মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থা দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম  ম্যানেজম্যান্ট।

পাঁচ বছর আবার সাদা পোষাকে দেখা যেতে পারে সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া শোয়েব মালিককে। ২০১০ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই শেষ টেস্ট খেলেছিলেন। ৩২ টেস্টে মালিকের গড় ৩৩.৪৫। মালিকের মতো আবার বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন ফাওয়াদ আলমও। ২০০৯ সালে অভিষেকেই সেঞ্চুরি মেরে হারিয়ে গিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ফিরলেন ছয় বছর পর।

বড় মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ইউনিস খান। আর মাত্র ১৯ রান করতে পারলেই পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন ইতিহাসের জন্ম দেবেন এই পাঠান। কিংবদন্তি সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াদাঁদকে ছাড়িয়ে ইউনিস হবেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বর্তমানে ইউনিসের রান আট হাজার ৮১৪। তার উপরে আছেন যিনি সেই মিয়াদাঁদের রান আট হাজার ৮৩২।

আবুধাবি টেস্ট পাকিস্তান হারবে না এমন বাজি ধরলে বাড়াবাড়ি হবে না। কারণ এখানে সাত টেস্টের একটিতেও হারেনি দলটি। চারটিতে পাকিস্তান জিতেছে এবং বাকি তিনটি ড্র করেছে। তাই বলাই যায়, ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জিতে এলেও শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবেই নামবে পাকিস্তান।

পাকিস্তান (সম্ভাব্য): শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ, শোয়েব মালিক, ইউনিস খান, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, ইয়াসির শাহ/ইমরান খান, জুলফিকার বাবর, রাহাত আলী।

ইংল্যান্ড (সম্ভাব্য): অ্যালিস্টার কুক (অধিনায়ক), মঈন আলী, ইয়ান বেল, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, জশ বাটলার, আদিল রশিদ, স্টুয়ার্ট  ব্রড, মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডারসন।

সাকিবকে শীর্ষস্থান থেকে সরাতে পারেনি কেউ

Sakib
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের শীর্ষস্থান থেকে সাকিবকে সরাতে পারেননি কেউ। সর্বশেষ প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে ৩৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। ৭৮ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ।
ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান হারিয়েছেন ভারতের ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। র‌্যাংকিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমে গেছেন তিনি। তাকে হটিয়ে ৮৫৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। ৮৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে কোহলির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বোলিংয়ে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের। ৬৪১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান নবম। ৭৮২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বোলিং র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রি।

অস্ট্রেলিয়ার না আসার নেপথ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই তরুণী

জঙ্গি হামলা আশঙ্কা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের বাংলাদেশে না আসার নেপথ্যে ‘অনুঘটক’ হিসেবে লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই তরুণীকে শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। রুমানা হাশেম ও অজান্তা দেব রায় নামে ওই দুই তরুণী লন্ডনে বসে টুইটারে বাংলাদেশের ২১ জন মুক্তমনা ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখকের হিটলিস্ট প্রকাশ করেন। এরই সূত্র ধরে বিশ্বের কয়েকটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট টিম না পাঠানোর সিদ্ধান্তনেয়। আর এ সিদ্ধান্তগ্রহণের আগে দেশটি বন্ধুভাবাপন্ন কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে শলাপরামর্শও করে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়।

jjjjjjjjjjjjj

এদিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে না আসায় ভাবমূর্তির দিক মাথায় রেখে বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে— প্রাথমিকভাবে ওই গোয়েন্দা সংস্থার বদ্ধমূল ধারণা, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই লন্ডনী তরুণীর একটি টুইট বার্তার কারণেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ পায়। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া দল নিরাপত্তা ইস্যুতে পিছু হটে। এ সংক্রান্তএকটি গোপন প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে।

গোয়েন্দারা রুমানা হাশেম ও অজন্তাদেব রায়ের গ্রামের বাড়িসহ তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। এ ছাড়া গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের দল শিগগির লন্ডনে যাবে। সে দেশের আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় দুই তরুণীর কাছে ২১ জনের হিটলিস্টের সূত্র সম্পর্কে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। রুমানার টুইট পেজে নিজেকে বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট-সমাজবিজ্ঞানী উল্লেখ করেছেন। তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন,  ওই দুই তরুণী ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তমনের লেখালেখি করেন। কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে রুমানা টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি সংবলিত একটি টুইট করেন। টুইটে ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, রুমানা হাশেম তার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি হিটলিস্ট পেয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের হিটলিস্টে নাম ও বর্তমান অবস্থানের ঠিকানায় রয়েছেন প্রখ্যাত লেখক ও কলামনিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (লন্ডন), দাউদ হায়দার (জার্মানি), তসলিমা নাসরিন (ভারত), নিহত ব্লগার অভিজিতের স্ত্রী বন্যা আহমেদ (আমেরিকা), আসিফ মহিউদ্দিন (জার্মানি), অনন্য আজাদ (জার্মানি), ওমর ফারুক লুকস (জার্মানি), ফারজানা কবির খান (জার্মানি), ছদ্মনামধারী ‘নাস্তিকের ধর্মকথা’ (জার্মানি), সুব্রত শুভ (জার্মানি), ফড়িং ক্যামেলিয়া (জার্মানি), কামরুল হাসান (লন্ডন), সুশান্তদাশগুপ্ত (লন্ডন), আরিফুর রহমান (লন্ডন), অজন্তা দেব রায় (লন্ডন), মনির হোসেন (বার্মিংহাম), শান্তনু আদিব (লন্ডন), নিঝুম মজুমদার (লন্ডন), রুমানা হাশেম (লন্ডন), রায়হান আবির (কানাডা) ও নির্ঝর মজুমদার (সুইডেন)।

সূত্র জানায়, রুমানার ওই টুইটের কিছুক্ষণ পর অজন্তা দেব রায় পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন। ‘আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’ পুলিশের ধারণা, অজন্তা লন্ডন পুলিশকে এ ধরনের তথ্য জানান। আর রুমানাকে ২১ জনের হিটলিস্টের তালিকাও অজন্তা সরবরাহ করেন। এ জন্য রুমানার পাশাপাশি গোয়েন্দারা অজন্তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন।

রুমানার টুইটার পেজে দেখা যায়, ওই বার্তা টুইট করার দুদিন পর, অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর, ‘জাতিসংঘ এনজিও কমিটি অন ফ্রিডম অব রিলিজন অর বিলিফ’-এর প্রেসিডেন্ট মিকায়েল ডি ডোরা (গরপযধবষ উব উড়ৎধ) একই টুইটে মন্তব্য করেন। তবে মিকায়েল তার মন্তব্যে রুমানার কাছে হিটলিস্টের তথ্যসূত্র জানতে চান। জবাবে পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর রুমানা একই পোস্টের নিচে সূত্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের কথা উল্লেখ করেন। তবে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ এ ধরনের কোনো হিটলিস্টের কথা স্বীকার করেনি।

এদিকে রুমানার টুইটে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টুইট ঝড়ের ২০ দিন পর বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) কর্তৃক ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখকদের হিটলিস্ট প্রকাশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে লন্ডনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন অসাম্প্রদায়িক ব্লগার, লেখক ও সারা বিশ্বে বসবাসকারী অ্যাক্টিভিস্টদের তালিকা তৈরি করেছে, যাদের হত্যা করা হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ইসলামী জঙ্গিদের এই তালিকা সহিংসতা আকারে রূপ নিলে তা দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তারলাভ করতে পারে।’ এতে বলা হয়, হিটলিস্টে থাকা লন্ডনভিত্তিক টার্গেটকৃত ব্লগারদের মধ্যে ৭ জন জার্মানি, ২ জন যুক্তরাষ্ট্র, ১ জন কানাডা এবং ১ জন সুইডেন আছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা গত ১৮ মাসে সিরিজ হত্যা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গার্ডিয়ানের একদিন পর অন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন টেলিভিশন ও অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক্সট্রিমিস্ট ইন বাংলাদেশ পাবলিশ গ্লোবাল হিটলিস্ট অব ব্লগারস অ্যান্ড রাইটার্স’। প্রতিবেদনে হিটলিস্টে থাকা ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ না করলেও এতে বলা হয়, যারা হুমকির মধ্যে রয়েছেন তারা যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এতে হামলা করতে প্রস্তুত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের আনসারউল্লাহ বাংলা
টিমকে দায়ী করা হয়।

গার্ডিয়ান ও সিএনএনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার একদিনের মাথায় রুমানা হাশেমের প্রকাশ করা হিটলিস্টে থাকা ২১ জনের হুবহু নাম ও তাদের অবস্থানের ঠিকানা সংবলিত অন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের ইন্ডিয়া টিভি। ইন্ডিয়া টিভির অনলাইনে বলা হয়, বাংলাদেশের জিহাদি গ্রুপ আনসারউল্লাহ বাংলা টিম ব্লগারদের গ্লোবাল হিটলিস্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তসলিমা নাসরিনের নামও।

ইন্ডিয়া টিভিতে বলা হয়, ইসলামের শত্রু, মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতাকারী, নাস্তিক্যবাদ, ইসলাম ধর্মত্যাগী, শাহবাগী ব্লগার, ভারতের পক্ষ নিয়ে অভিনয়সহ নানা কারণে হিটলিস্টে থাকা এই ২১ জনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম টার্গেট করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, রুমানা হাশেম, অজন্তা দেব রায় এবং বৈশ্বিক মিডিয়ায় ২১ জনের হিটলিস্ট প্রকাশ করা হলেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একে মিথ্যা বলে আসছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নিজস্ব ওয়েবপেজের দাবিদার ‘জিহাদোলজি’তে ২১ জনের হিটলিস্টকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামে প্রকাশিত তথাকথিত ‘বৈশ্বিক হিটলিস্ট’ এর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব কারণে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন, রুমানা ও অজন্তার টুইট এবং লন্ডনী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিথ্যা হিটলিস্ট নিয়ে কথা বলার পর তা বিশ্বমিডিয়ায় চলে আসে। যে কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপাত আছে মনে করে নিজেদের ক্রিকেট টিমকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া।

সৌরভ গাঙ্গুলী হচ্ছেন আসিসির চেয়ারম্যান!

S. Ganguly
অবাক হওয়ার মতই খবর, শুধু ভারত নয় বিশ্ব ক্রিকেটে একটি বিতর্কিত নাম শ্রীনিবাসন। ক্রিকেটের এই খলনায়ককে সরিয়ে এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের(আসিসি) সভাপতি হতে চলেছেন ক্রিকেট ইন্ডিয়ার সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী!  তবে রবিবার এমনই খবর প্রচার করেছে কলকাতার একটা জনপ্রিয় অনলাইন।
জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের নাম ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন অঙ্ক৷ গুঞ্জন চলছে আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে শ্রীনিবাসনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠবেন মনোহরা৷ তাই এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে, এসজিএমে শশাঙ্ক বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে শ্রীনিকে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে রাখা হচ্ছে না।
স্বাভাবিকভাবেই খোঁজ পড়েছে নতুন চেয়ারম্যানের। আর এ পদে বোর্ড কর্তাদের নামের তালিকায় সবচেয়ে পছন্দের নামটি সৌরভ গাঙ্গুলী। সৌরভদের চেষ্টাতেই বিসিসিআইয়ের সভাপতির আসনে বসতে চলেছেন শশাঙ্ক। তাই ক্রিকেটের দাদার সঙ্গে নতুন সভাপতির আসনে বসতে যাওয়া মনোহরের সম্পর্কটাও তাই আমে-দুধে। তাই শশাঙ্কও চান আসিসির চেয়ারম্যান পদে সৌরভই বসুক। দেখা যাক কি হয় শেষ পর্যন্ত।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা

Argentina-at-top-of-FIFA-world-rankings

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। তবে পিছিয়ে গেছে নেইমারের দেশ ব্রাজিল। এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। তবে এক ধাপ পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে বেলজিয়াম।

দুই ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। এক ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে কলম্বিয়া।

পাঁচ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে স্পেন। দুই ধাপ পিছিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এছাড়া অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে ওয়েলস, কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলি ও ইংল্যান্ড।

সর্বশেষ ঘোষিত ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নয় ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮২ নম্বরে রয়েছে মামুনুল বাহিনী।

স্মিথের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া

au

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের পালাবদলের সঙ্গে আবার বাংলাদেশের নামটা জড়িয়েই যাচ্ছে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে রিকি পন্টিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। আরেকটি বাংলাদেশ সফরের আগমুহূর্তে আবারও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বদল। এবার ক্লার্কের জায়গায় টেস্ট দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হচ্ছে স্টিভেন স্মিথের কাঁধে। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

ব্যর্থতার দায় নিয়ে গত সপ্তাহে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট শেষেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্লার্ক। জানিয়েছিলেন, ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টই হবে তাঁর বিদায়ী ম্যাচ। শুধু অধিনায়কত্ব নয়, ক্যারিয়ারেরও ইতি টেনে দিচ্ছেন। ক্লার্কের বিদায়ের সঙ্গে নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছেন, সে প্রশ্ন অবধারিতভাবে চলে এসেছিল সামনে। স্মিথের নামটি একপ্রকার অনুমিতই ছিল। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেটাই সারা হলো।
এরই মধ্যে অধিনায়কত্বে স্মিথের হাতেখড়ি হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বরে ক্লার্কের চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিন টেস্টের একটিতে জয় ও ড্র হয়েছিল দুটিতে। সর্বশেষ দুটি টেস্ট বাদ দিলে এমনিতে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে রয়েছেন ৩২ টেস্ট খেলা স্মিথ। অধিনায়ক হিসেবে খেলা ভারতের বিপক্ষে তিনটি টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনটিতেই। অধিনায়ক স্মিথ যেন আরও ভয়ংকর!
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশেই। স্মিথের নেতৃত্বেই ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া। ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট। ১৭ অক্টোবর ঢাকায় দ্বিতীয়টি। এই সফরে কেবল টেস্ট খেলেই চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়কের নামটা নিশ্চিত থাকলেও সহ-অধিনায়ক কে হচ্ছেন এ নিয়ে কিছুটা জল্পনা ছিল। ৪২ টেস্ট খেলা ডেভিড ওয়ার্নারই পেলেন আস্থা ভোট। যদিও মাঠের বাইরে তাঁর কিছু কাণ্ডকীর্তি এ দায়িত্বে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। তবে সিএর প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ বলেছেন, ‘ডেভিড অনেক পরিণত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, নেতৃত্বের ভার সে ভালোভাবেই সামলাবে।’ তথ্যসূত্র: এএফপি, রয়টার্স।

মুস্তাফিজের বোলিং রহস্যটা না হয় অজানাই থাকুক

  • আরেফিন তানজীব

ক্রিকেট ইতিহাসে বোলিংয়ে কাটার শব্দটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, রিচার্ড হ্যাডলি, ইয়ান বোথামরা অফ কাটার, লেগ কাটার বল করেছেন। তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের তরুণ তুর্কী মুস্তাফিজুর রহমান। কী এমন রহস্য মুস্তাফিজের বোলিংয়ে! যার জন্য সম্প্রতি নাজেহাল হতে হয়েছে ভারতকে?

ডেব্যু ওডিআইতে পাঁচ উইকেট আর পরের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে ভয়ংকর সুন্দর কাটার দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। চলতি সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও কুইন্টন ডি কক কে একমাত্র পেসের জোরেই পরাস্ত করেছিলো মুস্তাফিজ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে বল যে অহরহ করতে পারে তাকে তো সম্মান দিতেই হবে। মুস্তাফিজ বল সুইং করার সাথে সাথে দুই ধরনের কাটার যোগ করেন। একটা স্লোয়ার

এবং অন্যটা ফাস্ট।

কোনটা স্লোয়ার এবং কোনটা ফাস্ট সেটা নিয়ন্ত্রণ করে মুস্তাফিজের বলের উপরে রাখা দুই আঙুল। বলের এই বৈচিত্র্যের ফলে ব্যাটসম্যানরা দ্রুত বুঝতে পারেন না কোনটা স্লোয়ার এবং কোনটা ফাস্ট।

মুস্তাফিজের বোলিংয়ের বৈশিষ্ট্য হলো স্লোয়ার ও কাটার সঙ্গে আউট সুইং। এটার সঙ্গে ওর স্টকে দুটো ভেরিয়েশন আছে। একটা স্লোয়ার অফ কাটার, একটা ফাস্ট অফ কাটার। ওর স্লোয়ার ও ফাস্ট কাটারের মধ্যে ওর হাতের অ্যাকশনের যে পার্থক্য, এটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ধরা প্রায় অসম্ভব। ফলে ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারছিল না যে, ওর কোন কাটারটা স্লোয়ার আর কোন কাটারটা ফাস্টার। মুস্তাফিজ আরো একটি অস্ত্র বোলিংয়ে ব্যবহার করে, তা হলো পিচের ধরণ মতো বাউন্সার দেওয়া।

বিশ্বের সেরা সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সফল লম্বা রেসের ঘোড়া, বিস্ময় বালক মুস্তাফিজ। অমিত বোলিং প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফিজের বোলিং রহস্যটা নাহয় অজানাই থাক। উন্মোচিত না হোক এ রহস্যের।

(ক্রিকইনফোতে প্রকাশিত আকাশ চোপড়ার প্রতিবেদন থেকে অনুদিত)