ঘরে বসেই পেতে পারেন মজার মিষ্টি

misti

এখন আর মাতৃভান্ডারের রসমলাই খেতে কুমিল্লা কিংবা টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম খেতে টাঙ্গাইল যেতে হবে না, ঘরে বসেই পেতে পারেন বাংলাদেশের সকল জেলার ঐতিহ্যবাহী, বিখ্যাত ও সুস্বাদু মিষ্টি। চালু হয়েছে মিষ্টি বাড়ি নামে একটি অনলাইন সপ যেখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সকল জেলার ঐতিহ্যবাহী, বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রি করা হয়। ঘরে বসে ফোনে অর্ডার করলে অর্ডারকৃত মিষ্টি দেশের যেকোন প্রান্তে ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

যেসব মিষ্টি পাওয়া যায়:

• কুমিল্লা জেলার মনোহারপুরের বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই
• টাংগাইল জেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য পোড়াবাড়ির চমচম
• যশোর জেলার জামতলার বিখ্যাত সাদেক গোল্লা (রস গোল্লা)
• মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী সাবিত্রী মিষ্টি, রসকদম মিষ্টি
• সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত পেড়া সন্দেশ
• ফরিদপুর জেলার বাগাট রাজকুমারের সাগর ভোগ, শরমালাই, মালাইছাপ, সেন্ডুইজ স্পেশাল, শাহী চমচম, লালমোহন, মৌচাক, গোপালভোগ, শুকনা রসগোল্লা, ক্ষীরের সন্দেশ, বরফী সন্দেশ, ইলিশ কুটি সন্দেশ, ক্ষীরের কেক , ছাপ সন্দেশ, ক্ষীরের সন্দেশ, কাচা ছানা, খেজুর মিষ্টি
• মিষ্টি বাড়ির স্পেশাল কাটারিভোগ, তালশাঁস, সাবানী ভোগ, ইলশেপেটি, চমচম, কালোজাম

মিষ্টি অর্ডার দেওয়ার নিয়ম:

Mishti Bari – মিষ্টি বাড়ি ফেসবুক পেইজে মেসেজ দিয়ে অথবা 01776849885 এই নাম্বারে ফোন দিয়ে মিষ্টি অর্ডার দেয়া যায়। অর্ডারকৃত মিষ্টি ঢাকা জেলার মধ্য এক দিন এবং অন্যান্য জেলা তে তিন দিনের মধ্যে ডেলিভারি দেয়া হয়। সর্বনিম্ন ১ কেজি ও সর্বোচ্চ ৪০ কেজি মিষ্টি অর্ডার দেয়া যায়। ঢাকা তে ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে অগ্রিম পেমেন্ট করতে হয়।

অ্যাম্বুলেন্সের ফোন নম্বর

আদ-দ্বীন হাসপাতাল
৯৩৬২৯২৯

আঞ্জুমান-ই-মফিদুল ইসলাম
৯৩৩৬৬১১, ৭৪১১৬৬০, ৭৪১০৭৮৬
আপনজন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১২৫৪২০
আলিফ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৮১১৭৫৭৬, ৯১৩১৬৮৮
ডে-নাইট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১২৩০৭৩, ৮১২২০৪১
গ্রীন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯৩৩৪১২১, ৮৬১২৪১২
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৫০৫০২৫-২৯, ৫০০১২১-৫
বারডেম হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯৬৬১৫৫১-৬, ৮৬১৬৬৪১-৫০; এক্স: ২৩০১
সিএমএইচ (ঢাকা) অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯৮৭১৪৬৯
আল-মারকাজুল ইসলামী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১২৭৮৬৭, ৮১১৪৯৮০
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (মিরপুর কন্ট্রোল রুম)
৯০০৪৭৩৪

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (নগর ভবন কন্ট্রোল রুম)
৯৫৫৬০১৪, ৯৫৫৬০১৮, ৯৫৫৭১৮৬-৮৭

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
৮৩১১৭২১-৫, ৯১১৩৫১২
আইসিডিডিআরবি (মহাখালী) অ্যাম্বুলেন্স সার্ভি
৮৮১১৭৫১-৬০, ৬০০১৭১-৮
মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিস
৮১১৩৭২১, ৯১২০২৮৮
মনোয়ারা হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৮৩১৮১৩৫, ৮৩১৯৮০২, ৮৩১৮৫২৯
ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১২২৫৬০-৭২
প্রাইম জেনারেল হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯৫৬২২৬৭
রাফা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১১০৬৬৩
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯৩৩০১৮৮-৯, ৯৩৫৮৭৯৯
শেফা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৯১১১৭৫৮, ৮১১০৮৬৪
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
৭৩১৯০০২-৬
শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসপাতাল
৯১৩০৮০০
কলেরা হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৮৮১১৭৫১-৬০
লাইফ লাইন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৮১৫৫৫৫০-২
শিশু হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
৮১১৬০৬১-২, ৮১১৪৫৭১-২
সাউথ এশিয়ান হাসপাতাল
৮৬১৬৫৬৫, ৯৬৬৫৮৫২

বাংলাদেশীরা বিনা ভিসায় ঘুরতে পারেন যেসব দেশে

maldives-

ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে:
• এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে ভুটান (যত দিন ইচ্ছা)
• শ্রীলংকা (৩০ দিন) আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে কেনিয়া (৩ মাস)
• মালাউই (৯০ দিন)
• সেশেল (১ মাস)
• আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে ডোমিনিকা (২১ দিন)
• হাইতি (৩ মাস)
• গ্রানাডা (৩ মাস)
• সেন্ট কিট্স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস)
• সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস)
• টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন)
• মন্টসের্রাট (৩ মাস)
• ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন)
• ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস)
• কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন)
• নাউরু (৩০ দিন)
• পালাউ (৩০ দিন)
• সামোয়া (৬০ দিন)
• টুভালু (১ মাস)
• নুউ (৩০ দিন)
• ভানুয়াটু (৩০ দিন)
• মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।
এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে:
• এশিয়ার মধ্যে আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার)
• জর্জিয়া (৩ মাস)
• লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
• মালদ্বীপ(৩০ দিন)
• মাকাউ (৩০ দিন)
• নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
• সিরিয়া (১৫ দিন)
• পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
• আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক)
• মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ)
• মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার)
• টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ)
• উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)।
তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন। আর আপনার কাছে ফিরতি টিকেট ও হোটেল বুকিং এর কাগজ অবশ্যই থাকতে হবে।

আউটসোর্সিং: ঘরে বসেই আয় করবেন যেভাবে

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের বলে ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিংয়ের কাজের খোঁজ থাকে, এমন সাইটে যিনি কাজটা করে দেন, তাঁকে বলা হয় কনট্রাক্টর। আর যিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন, তাঁকে বলে বায়ার/এমপ্লয়ার।

অনেক কাজের সুযোগ
আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন : ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা, সফটরয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।

নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ-ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপ্লিমেনটেশন ইত্যাদি।

রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে কারিগরি নিবন্ধ লেখা (টেকনিক্যাল রাইটিং), ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি। তবে এইসব কাজের ভিতরে সবচেয়ে সহজ হল ওয়েব রিসার্চ ও ডেটা এন্ট্রি।

ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এই বিভাগের মধ্যে আছে গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি মডেলিং, ক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, প্রকৌশল ও কারিগরি ডিজাইন ইত্যাদি।

কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।

বিক্রয় ও বিপণন
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), জনসংযোগ, টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভেস, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।

বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইনানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড প্ল্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসাল্টিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি। এগুলো সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। ভুয়া সাইটও আছে তাই সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওডেস্ক। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো—
http://www.odesk.com
http://www.freelancer.com
http://www.elance.com
http://www.getacoder.com
http://www.guru.com
http://www.vworker.com
http://www.scriptlance.com

কোন কাজে কী যোগ্যতা লাগে
সাধারণত অনলাইনে কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা বলা হয়েছে। এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কী ধরনের যোগ্যতা লাগে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট : এই কাজে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন- এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, মাইএসকিউএল ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা পরীক্ষা দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট : সফটওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন জাভা, সি শার্প, ভিজু্যয়াল বেসিক, মাইএসকিউএল, ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম : ডেটাবেইস, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তবেই নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ক নানা কাজ পাবেন।
লেখা ও অনুবাদ : এ ধরনের কাজের জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার- এসব ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া : আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়।
গ্রাহকসেবা : এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা ও বলা- দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
বিক্রয় ও বিপণন : ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক, টুইটার), বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস : এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন
প্রথমে http://www.odesk.com ঠিকানায় গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে Sign up-এ ক্লিক করুন বা সরাসরিhttp://www.odesk.com/w/signup.php? ঠিকানায় যান। এখন Freelance Contractor সিলেক্ট করুন (ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন ভার্সনের কারণে নানা রকম ইন্টারফেস আসতে পারে। আমি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। আপনি Contractor সিলেক্ট করে Sign up-এ ক্লিক করবেন)। নিচের ফরমটি পূরণ করে continue-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে-
1. Verify your email address-তে ক্লিক করুন। এখন আপনার ই-মেইল আইডিতে গিয়ে দেখবেন, একটি মেইল এসেছে। সেখানে একটি লিংক আছে, সেটাতে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Click here to continue-তে ক্লিক করুন। এখন
2. Fill out contact information-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে। ফরমটি পূরণ করে Save and continue-তে ক্লিক করুন। এখন 3. Complete your oDesk Profile-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Job Category-তে আপনি যা যা পারবেন, তা সিলেক্ট করে দেন। যাঁরা একেবারেই নতুন, তাঁরা Blog & Article Writing, Data Entry, Personal Assistant, Email Response Handling, Other – Administrative Support, Customer Service & Support, Other – Customer Service, Advertising, Email Marketing, SMM – Social Media Marketing ইত্যাদি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। নিচে Primary Role থেকে Data Entry Professional সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Desired Hourly Rate-এ 1 অথবা 2 দিতে পারেন। Availability-তে আপনি সপ্তাহে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন, তা নির্বাচন করে দিন।
এখন Title-এ Internet, Facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে Save and continue-এ ক্লিক করুন। এখন 4. Accept the oDesk User Agreement-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে I agree to the terms and conditions বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save and continue-এ ক্লিক করুন।
এখন Post my profile বাটনে ক্লিক করুন। My Contractor Profile-এর My Account Summary-তে দেখবেন Title, Portrait, Personal Email ইত্যাদি লেখা আছে। Portrait-এর ডান পাশে Upload portrait-এ ক্লিক করে আপনার ছবি যোগ করতে পারেন। ছবি যোগ করলে দেখবেন, আপনার প্রোফাইল ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে লেখা আসবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস যত বেশি হবে, প্রতি সপ্তাহে তত বেশি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন; এবং আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। (আপনি যদি অন্য পেজে চলে গিয়ে থাকেন, তাহলে বাঁ পাশ থেকে My Contractor Profile-এ ক্লিক করুন, তাহলে দেখতে পাবেন।) এখন oDesk Ready-এর ডান পাশে Take the oDesk Readiness Test-এ ক্লিক করুন। oDesk Readiness Test-এর নিচের লেখাগুলো পড়ুন, তারপর Ready to take the test বাটনে ক্লিক করুন।

১১টি প্রশ্নের টেস্ট
oDesk সাইটের নিয়মকানুনের ওপর আপনাকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ১১টি প্রশ্নের একটি টেস্ট দিতে হবে। উত্তরগুলো প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন। টেস্ট দেওয়ার জন্য Start test বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচে continue-তে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে Click here to start the test বাটনে ক্লিক করুন, টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন ওই প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলে। ১১টি প্রশ্নের উত্তরই সঠিক হলে এ টেস্টে পাস করবেন। ফেল করলে আপনার পাবলিক প্রোফাইলে এটি লেখা থাকবে না। পাস করলেই কেবল লেখা থাকবে। পাস না করলে আবার টেস্ট দেন। যতবার খুশি এই টেস্টটি দিতে পারবেন।
পরীক্ষায় পাস করার পর প্রতি সপ্তাহে আপনি ১০টি করে জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। এখন আপনার My Contractor Profile পেজে যান। এখন Add a Skill-এ ক্লিক করে স্কিল যোগ করুন। নতুনেরা internet, facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। এগুলোর এক-দুটি বর্ণ লিখলেই অটো সাজেশন চলে আসবে। সেখান থেকে সিলেক্ট করে Save করতে হবে। এখন দেখবেন প্রোফাইল ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, লেখা আসবে। তারপর Add Employment History-তে ক্লিক করে আপনি কোনো জব করে থাকলে এখানে যোগ করতে পারেন।
তাহলে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। জব অনলাইনেরই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কোনো একটা হলেই হলো। মোটকথা, ওই ঘরটা পূরণ করা আছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। কারও জব এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও সমস্যা নেই। এখন নিচে My Public Profile-এর নিচে Edit বাটনে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে অনেকগুলো অপশনের মধ্যে Years of Experience-এ আপনি যত দিন ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করেন, তত বছর সিলেক্ট করে দিতে পারেন। English অপশনে আপনি ইংরেজি কেমন জানেন তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। তবে ৫ দিবেন। Objective-এ অবজেকটিভ লিখবেন। কীভাবে লিখবেন তা অবজেকটিভ বক্সের নিচে Example দেওয়া আছে। Example-এ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন।
এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রোগ্রামিং ভাষা আপনার জানা না থাকলে আপনি নিজের মতো করে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ই-মেইল ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে পারেন যে আমি গত দু-তিন বছর ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুকের নিয়মকানুন জানি, দ্রুত গুগল সার্চ করতে পারি, দ্রুত টাইপ করতে পারি, এম এস ওয়ার্ড ভালো জানি, ইত্যাদি ইংরেজিতে লিখতে পারেন। তারপর সেভ করুন। দেখবেন আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। এখন Education-এ ক্লিক করে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করতে পারেন।
তারপর Portfolio Projects-এ আপনি আগে কোনো প্রজেক্ট করে থাকলে সেটি যোগ করুন। কোনো প্রজেক্ট না করে থাকলে http://www.blogger.com ঠিকানায় গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে একটি লেখা পোস্ট করলেই আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে। সেটির লিংকটা দিতে পারেন। তাহলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। Other Experiences-এ কোনো কিছু থাকলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই।
সার্টিফিকেশনসে কোনো কিছু না দিলে সমস্যা নেই। এখন দেখবেন, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস অনেক বেড়ে গেছে। যদি আরও বাড়াতে চান, তাহলে http://www.odesk.com/tests ঠিকানা থেকে দু-তিনটি টেস্ট দিতে পারেন। তিন-চারটি টেস্ট দিলে প্রতি সপ্তাহে আপনি ২০টি কাজের (জব) জন্য আবেদন করতে পারবেন। Basic English test, English spelling test, MS word test, Windows xp test ইত্যাদি টেস্ট অনেক সহজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ওপরের প্রতিটি সেটিংস যতবার খুশি ততবার পরিবর্তন করতে পারবেন। কাজেই কোনো কিছু ভুল হলে সমস্যা নেই, তা যেকোনো সময় আবার ঠিক করে নিতে পারবেন। আগের সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এই সাইটে লগইন করলেই ডান পাশে দেখবেন আপনার নাম এবং ছবির নিচে Edit Profile লেখা আছে। না থাকলে ওপর থেকে Find Work-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই সবকিছু আবার পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইলটি অন্যরা, মানে যাঁরা (বায়ার) আপনাকে জব দেবেন, তাঁরা কেমন দেখতে পাবেন সেটি দেখার জন্য Find Work-এ ক্লিক করে নিচে ডান পাশে দেখবেন Your Profile Completeness-এর নিচে লেখা আছে View your public profile। এখানে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন, আপনার পাবলিক প্রোফাইলটি কেমন।

কীভাবে জব খুঁজবেন
এ সাইটে লগইন করে Find Work-এ ক্লিক করুন। এখন সার্চ বক্সে আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিন। আপনি যদি Facebook লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে ফেসবুক-সম্পর্কিত অনেকগুলো জবের তালিকা আসবে। একটি একটি করে পড়ে যেগুলো পারবেন, সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করুন। আরেকটু কাস্টমাইজ করে সার্চ দিতে চাইলে সার্চ বাটনের পাশে দেখবেন Advanced লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার পছন্দমতো সার্চ অপশনগুলোতে লিখে এবং চেক বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সার্চ দিতে পারেন। এভাবে ফেসবুকের বাইরেও, যেমন: Internet, twitter, php, sql, c#, mysql, wordpress, joomla, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে সার্চ দিতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিতে পারেন।

যেভাবে কাজের আবেদন করবেন
ওয়েব বা পত্রিকায় কোনো চাকরি বা কাজের বিজ্ঞাপন পছন্দ হলে অনেকেই সেখানে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। কোনো একটা পদে এক বা দুজনকে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে অনেকেই সিভি পাঠান। চাকরিদাতা সেই প্রতিষ্ঠান কিছু সিভি বাছাই করে তাঁদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। তারপর সেখান থেকে এক বা দুজনকে নিয়োগ দেয়। তেমনি আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো কাজের ঘোষণা (জব পোস্ট) দেওয়া হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে গ্রাহক বা বায়ার কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেন। তারপর এক বা দুজনকে কাজটি করতে দেন। এ প্রক্রিয়াকেই বলে বিডিং বা বিড করা।

সাক্ষাৎকার নেয় কীভাবে
আপনাকে ওই সাইটেই বার্তা পাঠানো হবে—আপনি কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ফিরতি বার্তায় এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজটি করতে দেবে। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপ সফটওয়্যারে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপিতে (http://www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো।
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটি কাজের জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টি কাজের আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাজটি করে দেওয়ার জন্য কত কম ডলার চাচ্ছেন তার ওপর। কোনো একটা কাজ ওই সাইটে প্রকাশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা যায়, ততই ভালো। আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ওয়েবে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে মানে ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রতি মিনিটে দেখবেন নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে।
কোনো একটা কাজের (জব) বিজ্ঞপ্তি খুলে এর ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। যেসব বায়ারের Payment Method Verified লেখা আছে, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন। কোনো একটি জবের বিজ্ঞাপন ভালোভাবে পড়ার পর এর নিচে দেখবেন Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন।
নতুন একটি পেজ আসবে। এ পৃষ্ঠার ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন।
অর্থাৎ জবের বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়, তার উত্তর দিয়ে কভার লেটারটি লেখার চেষ্টা করুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু লাগবে না। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
কোনো কাজ যদি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অর্থাৎ ফিক্সড প্রাইসের হয়, তাহলে ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে কত ডলারের বিনিময়ে কাজটি করতে চান, তা লিখুন।
তবে ফিক্সড প্রাইসের কাজ না করা ভালো
Estimated Duration-এ কাজটি কত দিনের, তা নির্বাচন করে দিন। Cover Letter বক্সে আগের মতো করে একটি কভার লেটার লিখুন। এখন Agree to Terms বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। Upfront payment (optional) এবং Attachment লাগবে না। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন। জবে অ্যাপ্লাই করা হয়ে গেছে। তারপর বায়ার আপনার ইন্টারভিউ (মেসেজ দেওয়া-নেওয়া) নেওয়ার পর আপনি সিলেক্ট হলে আপনাকে কাজটি করতে দেবে, মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার্ড করা হবে। জবটি সক্রিয় হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে ।
কীভাবে একটি ভালো কভার লেটার লিখতে হয়, তা জানতে পারবেন http://kb.odesk.com/questions/ 136/What+is+a+good+cover+letter?
ঠিকানা থেকে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে Click This Link)/#upfront ঠিকানায় যেতে পারেন।

কীভাবে কাজ করবেন
ওডেস্কে দুই ধরনের কাজ আছে। একটা হলো—ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি), আরেকটা হলো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে (ফিক্সড প্রাইস)। ফিক্সড প্রাইসের কাজগুলো ইচ্ছামতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো যাচাই করবেন। এরা আপনাকে পারিশ্রমিকের অর্থ (পেমেন্ট) দেবেন। আর ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রেhttp://www.odesk.com/downloads ঠিকানা থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিতে হবে। এটি ইনস্টল করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে সাইন-ইন করতে হবে। এরপর যে কাজটি করতে চান অর্থাত্ যে জবটি পেতে চান, সেটি নির্বাচন করে Start-এ ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে।
ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি করে। সময় গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি ইচ্ছা করলে ডিলিটে ক্লিক করে এক-দুইটা স্ক্রিনশট মুছেও দিতে পারবেন।
কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract । তখন বায়ার আপনার কাজের মূল্যায়ন বা ফিডব্যাক জানাবেন। আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে নম্বর দেবেন এবং বায়ারও আপনাকে নম্বর দেবে। কেউ কারওটা আগে দেখতে পাবেন না। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন। সাধারণত ৫-এর নিচে কেউ ফিডব্যাক দেয় না। আপনি বায়ারের সঙ্গে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন এবং তিনি আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক নিয়ে আপনি যতটুকু টেনশনে থাকবেন, বায়ারও ততটুকু টেনশনে থাকবেন। কারণ, আপনিও বায়ারকে বাজে ফিডব্যাক দিতে পারেন।
ফিডব্যাক আপনার ও বায়ার উভয়েরই প্রোফাইলে যুক্ত থাকবে—যা সবাই দেখতে পাবে। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য ওপরে ডধষষবঃ-এ ক্লিক করে Transaction History-এ ক্লিক করুন।

কীভাবে টাকা তুলবেন
ওডেস্কে কাজ করেছেন, আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে নিজের কাছে আনবেন কীভাবে? এর জন্য প্রথমে ওপরের Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Payment Methods-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা খুললে দেখবেন অনেকগুলো লেনদেনের পদ্ধতি আছে। এসবের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারেন। এর একটি পদ্ধতি হলো, পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড। পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের ডান পাশে Sign Up Now-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে সবার নিচে Get your prepaid MasterCard card now বাটনে ক্লিক করুন। এরপর Order Card-এর নিচে তিনটি বাটনের প্রথমটি Start Here-এ ক্লিক করুন।
একটি ফরম আসবে সেটি পূরণ করে বাকি দুটি বাটনে ক্লিক করে সেগুলোও পূরণ করে Finish-এ ক্লিক করুন। এখন এক মাসের মধ্যে আপনার বাসার ঠিকানায় (ফরম পূরণের সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড আসবে। এর জন্য কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না। তবে আপনি যখন ওডেস্ক থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রথমবার এই মাস্টার কার্ডে ডলার লোড করবেন তখন শুরুতে ১০-১৫ ডলার এই কার্ডের সার্ভিস চার্জ বাবদ কেটে নেবে। প্রতি মাসে তিন ডলার করে আপনার মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেবে।
কাজেই প্রথমবার ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে ১৫ ডলারের মতো খরচ হবে। ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থ (ডলার) উত্তোলন করতে প্রথমে ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Withdraw-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে Withdrawal Method থেকে কোনো মেথড সিলেক্ট করে Amount থেকে কত ডলার তুলতে চান, তার পরিমাণ লিখে Withdraw বাটনে ক্লিক করুন। দুই দিন পর আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার চলে আসবে। প্রতিবার ওডেস্ক থেকে ডলার ট্রান্সফার করতে দুই ডলার খরচ হয়। মাস্টার কার্ডের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব এটিএম বুথ থেকে ডলার তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে তুললে ডলার অটো টাকায় কনভার্ট হয়ে সমপরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসবে।
এছাড়াও আপনি Moneybookers এর মাধ্যমে সরাসরি আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ডলারকে টাকা বানিয়ে নিতে পারবেন। এইটাই সবচেয়ে ঝামেলামূক্ত এবং নিরাপদ ।

বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়লে

Bideshe-kaj-Final

শিক্ষা, জীবন ও জীবিকার সন্ধানে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। এসব জনগণকে প্রতিনিয়তই অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের বহুমুখী কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে।

বিদেশে বিপদে পড়লে
বিদেশে অবস্থানকালে কোন ব্যক্তির যদি কোন প্রকার কনস্যুলার সেবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিংবা দেশে তাঁর নিকটজন তাঁর পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক কনস্যুলার সেবা নিতে পারেন।

বিদেশে আটক হলে
প্রবাসে কোন বাংলাদেশি আটক হলে বা কারাদণ্ড হলে এবং তার আত্মীয়স্বজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগে যোগাযোগ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বল্পতম সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে যোগাযোগের সুবিধার্থে আটক ব্যক্তির সঠিক ও বিশদ পরিচয় বিবরণী (নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, আটকের স্থান ও সম্ভাব্য টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি) এবং আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর থাকা প্রয়োজন।

দেশে ফিরতে চান?
প্রবাসে কোন বাংলাদেশির দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) বরাবর আবেদন করলে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্য যে কোন সমস্যা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) বরাবর আবেদন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমতি নিয়ে বিদেশে গমন করেন, তাদের মধ্যে কেউ বিদেশে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহায়তায় এবং উক্ত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন কর্তৃক প্রদত্ত খরচে তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা নেয়।

ক্ষতিপূরণ আদায়ে সহায়তা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা চাকুরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে চাকুরির শর্তানুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীগণের আবেদনের ভিত্তিতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো আদায়কৃত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নোক্ত দলিলাদি/তথ্যাদি থাকা প্রয়োজন। মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট/পরিচয়পত্র; নিয়োগকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা; মৃত্যুর স্থান, তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ; আবেদনকারীর পূর্ণ ঠিকানা; বৈধ উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সনদ। এছাড়াও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বা পঙ্গুত্ববরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।

দ্বৈত নাগরিকত্ব
কোন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) অথবা ইউরোপের কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে সে দেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য পঠিতব্য শপথ বাক্যে বা কোন দলিলে যদি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না থাকে, তাহলে তাঁর বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিকত্বধারী প্রবাসী বাংলাদেশি তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার ও নবায়ন করতে পারবেন।

মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা
প্রবাসে কোন বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা অথবা নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবকের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রবাসে তার লাশ সনাক্ত/দাফনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বরাবর মৃত ব্যক্তির নিম্নোক্ত তথ্যসহ একটি আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়। বাংলাদেশি নাগরিকত্ব প্রমাণের সনদপত্র; পাসপোর্ট (প্রথম পাঁচ পাতা)/ট্রাভেল পারমিট-এর অনুলিপি; চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (যেমন, চাকরিস্থল, চাকরিদাতার পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যাদি যদি থাকে)। উপর্যুক্ত তথ্য সম্বলিত আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত তিন কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনপত্রটি প্রয়োজনীয় কার্যার্থে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে প্রেরণ করে থাকে। উল্লেখ্য, লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার পর তা নিকটাত্মীয়/বৈধ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) (ঠিকানাঃ ৮৯/২, কাকরাইল, ঢাকা। ফোনঃ ৯৩৩৯৭০৫, ৯৩৫০৮৪৮; ফ্যাক্সঃ ৮৩১৯৯৪৮) করে থাকে। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির কোন নিকটাত্মীয় বা শুভানুধ্যায়ী তাঁর সঙ্গে থাকলেও তিনি সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্ট মিশন একই রকম সহযোগিতা প্রদান করবে।

জরুরি অবস্থায় সহায়তা
প্রবাসী ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত অবস্থায় হঠাৎ কোন জরুরি বা দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার শিকার হলে সে দেদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত প্রবাসী ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে (যেমনঃ প্রাকৃতিক বা অন্য কোন দুর্যোগ আক্রান্ত প্রবাসীদের এক স্থান থেকে অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া)।

প্রবাসে হারিয়ে গেলে
প্রবাসে হারিয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তির সন্ধান লাভের জন্যও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও অণু বিভাগ নিম্নোক্ত সেবা প্রদান করে থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কনস্যুলার সেবা ও ডকুমেন্ট সত্যায়নের সময়সূচি: ডকুমেন্ট গ্রহণের সময় সকাল ৮:৩০ থেকে বেলা ১১:০০টা পর্যন্ত ডকুমেন্ট প্রদানের সময় একই কর্ম দিবসে বিকাল ৩:০০টার পর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ কর্তৃক এই সকল সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

দলিল-দস্তাবেজ প্রত্যয়ন সংক্রান্ত নিয়ম
১. বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদ (Board/University Certificate): সরকারি/বেসরকারি বোর্ড/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যাচাই (verification) প্রত্যয়নপূর্বক (attestation) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের/বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশিষ্ট শাখা কর্তৃক প্রত্যয়ন এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষরসমূহের প্রত্যয়ন করে।
২. পারিবারিক সনদসমূহ ও বিবাহসংক্রান্ত অন্যান্য দলিলাদি(Family Certificate and Marital Documents): ইউপি চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত পারিবারিক দলিলসমূহ নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রত্যয়নপূর্বক এবং বিবাহসংক্রান্ত দলিলাদি নোটারি পাবলিক ও আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন সাপেক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষর প্রত্যায়িত করে।
৩. জন্ম সনদ/মৃত্যু সনদ (Birth/Death Certificate): সিটি করপোরেশন/স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (Sanitary Inspector) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদসহ হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদ গ্রহণযোগ্য। মৃত্যুর সনদ (death certificate) সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সরকারী ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত হতে হবে। নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৪. অবিবাহিত সনদপত্র (Marital Status Certificate): সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রদত্ত “অবিবাহিত সনদপত্র” নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৫. অভিভাবক সনদপত্র (Guardianship Certificate): সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অভিভাবক সনদপত্র (guardianship certificate), পারিবারিক আদালতের রায়ের কপি (প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সত্যায়িত) নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৬. পুলিশ প্রত্যয়নপত্র (Police Clearance Certificate): সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট পুলিশ প্রত্যয়নপত্র স্বাক্ষর করে একটি অধিপ্রেরণপত্রের মাধ্যমে পররাষ্ট্র সচিব বরাবর প্রেরণ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত প্রত্যয়নপত্রের সিল ও স্বাক্ষর প্রতিস্বাক্ষরিত করে স্ব স্ব জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট কার্যালয়ে প্রেরণ করে থাকে ।
৭. বাণিজ্যিক সনদপত্র (Commercial Documents) : বীমা ও বাণিজ্যিক সনদপত্র (Insurance and Commercial documents) স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স, প্রযোজ্য, ক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার, অথবা সংশ্লিষ্ট বীমা অফিস ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়নপূর্বক নোটারি পাবলিক কর্তৃক প্রতি-সত্যায়নপূর্বক জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৮. ব্যাংক বিবরণী/সনদপত্র (Bank Statement): ব্যাংক বিবরণী বা সনদপত্র অর্থ মন্ত্রণালয় ও অনুমোদিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়নপূর্বক জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উক্ত বিবরণ/সনদপত্রের সিল ও স্বাক্ষরসমূহ প্রত্যায়িত করে।
৯. আম মোক্তারনামা (Power of Attorney): বিদেশ থেকে প্রেরিত আম মোক্তারনামা (power of attorney) সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্হিত বাংলাদেশ দূতবাস/মিশন কর্তৃক সত্যায়ন করে অনুলিপিসহ জমা দিতে হয়। সংশিষ্ট ব্যক্তি অথবা যথাযথভাবে কর্তৃকপ্রাপ্ত (authorized) ব্যক্তি তাঁর পাসপোর্ট-এর কপিসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে সনদপত্রের সীল ও স্বাক্ষরসমূহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যায়িত করে।
১০. অনুদিত সনদ (Translated Documents): যে কোন অনুবাদ প্রত্যয়নের জন্য মূল সনদপত্র ও এর অনুবাদ অভিন্ন অনুমোদিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যায়িত করে। উল্লেখ্য, উভয় সনদপত্রের ওপর সংশ্লিষ্ট অনুবাদ প্রতিষ্ঠান ও অনুবাদকের সিল ও স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক।

দলিলাদি প্রত্যয়নের ক্ষেত্রে
যিনি সেবা গ্রহণে ইচ্ছুক তিনি নিজে উপস্থিত থেকে অথবা তাঁর পক্ষে কোন নিকটাত্মীয় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে দলিলাদি জমা দেবেন। পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য পাসপোর্টের প্রথম তিন পৃষ্ঠার অনুলিপি জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট না থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি অথবা চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার থেকে ছবিসহ প্রত্যয়নপত্র বা গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্রসহ জমা দিতে হবে। বিদেশে অবস্থানকারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্টের প্রথম তিন পৃষ্ঠার অনুলিপি এবং কর্তৃত্বপ্রাপ্ত (authorized) ব্যক্তির মাধ্যমে জমা দিতে হবে। নিম্নোক্ত দলিলাদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন করা হয় নাঃ  জীবনবৃত্তান্ত; ভিসার জন্য আবেদন; অনুদান বা সাহায্যের আবেদন; ব্যবসায় সংক্রান্ত দলিলপত্রাদি; সরকারী সার্কুলার, গেজেট বা কোন সরকারি আদেশ। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সত্যায়নসহ লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে নোটারি পাবলিক কর্তৃক পুনঃসত্যায়ন করা হলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যায়িত করে থাকে।

চাকরি: আরজে নিচ্ছে রেডিও মাসালা

রেডিও জকি পদে লোক নেবে বেসরকারি রেডিও স্টেশন রেডিও মাশালা লিমিটেড। ২০ জন আরজে নেবে প্রতিষ্ঠানটি। স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে হবে ৩১ আগস্ট ২০১৫ তারিখের মধ্যে। বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে-(Please click for large view):

chakri

হুমায়ূনপুত্র নুহাশ এবার চলচ্চিত্রে

nuhash_77804

আশুতোষ সুজনের ছবি ‘আমার বাবা’য় অভিনয় করবেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ আহমেদ। ছবিটিতে নিজের চরিত্রেই অভিনয় করবেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন নুহাশ। ওটাই তার প্রথম এবং একমাত্র পর্দা উপস্থিতি। ‘আমার বাবা’ হবে নুহাশের প্রথম অভিনয়।

এরই মধ্যে পিরোজপুরের বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির প্রথম ধাপের দৃশ্যধারণ হয়েছে। অক্টোবরে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। তখনই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন নুহাশ। এছাড়াও ছবিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী।

যে ফুল বৃষ্টি ছুঁলেই কাঁচের মতো!

Flower1

পাহাড়ের ঢালে ফুটে রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুটফুটে সাদা ফুল। কিন্তু বৃষ্টি পড়লেই ম্যাজিক! নিমেষে রং হারিয়ে স্বচ্ছ্ব হয়ে ওঠে ফুলের পাপড়ি। প্রকৃতির এই ইন্দ্রজাল চাক্ষুস করা যায় চীন, জাপান আর আমেরিকার পাহাড়ি রাজ্যে।
পোশাকি নাম ডাইফাইলিয়া গ্রায়ি (diphylleia grayi)। তবে লোকমুখে জনপ্রিয় ‘স্কেলিটন ফ্লাওয়ার’ নামে। চীন, জাপান এবং আমেরিকার অ্যাপালাশিয়ান পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফুলের আধিক্য দেখা যায়। সম্প্রতি এমন এক ‘সাধারণ’ ফুল নিয়ে টুইটার তোলপাড়। আসল মজাটা লুকিয়ে রয়েছে ফুলের অদ্ভুত চরিত্রগত বৈশিষ্টে।
লুকোচুরি খেলতে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু এই মজার খেলায় সবাইকে টেক্কা দেয় প্রকৃতি। শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে তাই রং পাল্টায় গিরগিটি, অচেনা স্পর্শে পাতা মুড়ে ফেলে লজ্জাবতী লতা, মরা ঘাসের আড়ালে অনায়াসে গা ঢাকা দেয় বনের রাজা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এমনকি ঘন ডালপালার আড়ালে বিশাল দেহ লুকিয়ে ফেলতে ওস্তাদ হস্তিযূথ।

Flower2

মূলত গ্রীষ্ম ও বসন্তে পাপড়ি মেলে স্কেলিটন ফ্লাওয়ার। এই সময়ে ট্রেকিং অভিযানে গিয়ে অনেকেই পাহাড়ের ঢালু জমিতে সাদা ফুলের গোছা দেখতে পান। অনেকটা ছাতার মতো আকৃতি গাছের পাতার। মানে আর পাঁচটা বুনো ফুলের মতোই তেমন নজরকাড়া রূপ তার নেই। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে যায় যদি আচমকা এক পশলা বৃষ্টি এসে পড়ে। জলের ফোঁটার স্পর্শে শুরু হয় তার ভেল্কি। চোখের সামনে যেন ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় পাপড়ির সাদা রং। বদলে কাচের মতো স্বচ্ছ্ব হয়ে ওঠে এই ফুল। রং-রূপ হারিয়ে যেন সত্যিই এক কঙ্কালে রূপান্তরিত হয় সে।
টুইটারে এই ফুলের ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ময়ের বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেকে বলছেন, এ যেন রূপকথার পাতা থেকে সরাসরি উঠে এসেছে। আবার কেউ টিপ্পনি কেটেছেন, বৃষ্টি পড়লেই স্বচ্ছ্ব। ঠিক যেন অন্তর্বাস!
কিন্তু, ‘যা খুশি ওরা বলে বলুক, ওদের কথায় কী আসে যায়…?’ তাই মন্তব্যের ফেরে না পড়ে আসুন যাবতীয় সমস্যা ক্ষণিকের জন্য সরিয়ে রেখে স্ফটিক-স্বচ্ছ্ব পাপড়ির স্বপ্নে মশগুল হওয়া যাক।

চাকরি ছাড়ার আদব-কায়দা

quite
চাকরি পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউয়ের যেমন কিছু নিয়ম আছে, তেমনই চাকরি ছাড়ারও কিছু নিয়ম আছে৷
আজকের এই “হাতের মুঠোয় দুনিয়ায়” চাকরির ক্ষেত্রে এক নৌকা থেকে অন্য নৌকায় পা দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার৷ কিন্তু আপনি এত বছর যে কোম্পানিতে কাজ করেছেন সেখানে চাকরি ছাড়ার বিষয়টা জানাবেন কীভাবে? তাই চাকরি বদলের সময় পা ফেলুন বুঝে৷ কারণ হতেই পারে নতুন চাকরি আপনার মনের মতো হলো না৷ তখন আবার পুরনো সংস্থাতেই ফিরতে হলো৷ কিংবা নতুন সংস্থায় আপনার বস হয়ে এলেন আপনার আগের কোনও সিনিয়র৷ তাই চাকরি ছাড়ার সময় কোনও ভুল পদক্ষেপ না নেওয়াই ভালো৷ পদত্যাগ পত্র বা রিজাইন লেটার দেওয়ার সময় কী কী মাথায় রাখা উচিত তা তুলে ধরা হলো।
ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো: পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার আগে আপনার প্রধান কাজ হবে বসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা৷ তার সঙ্গে দেখা করে আপনাকে মৌখিকভাবে পুরো বিষয়টা জানাতে হবে৷ আলোচনা করার পর অবশ্যই জানাবেন যে আপনি আপনার লিখিত পদত্যাগপত্র খুব শীঘ্রই জমা দিতে চান৷ তবে মাথায় রাখবেন, আপনার হাতে যেন অন্তত সপ্তাহ দুয়েক সময় থাকে৷ কারণ প্রতিটি অফিসেই একটা নোটিস পিরিয়ড থাকে৷ তাছাড়া বসকে আপনার পদত্যাগের বিষয়টা জানানোর আগে তা যেন অন্য কোনও সহকর্মী জানতে না পারেন৷ তাই পুরো বিষয়টা একটু গোপোনীয়তা বজায় রেখে করাই ভালো৷
অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে হবে: মৌখিকভাবে আপনার পদত্যাগের বিষয় বসকে জানানোর পর আপনাকে অনেক পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে৷ সব অসর্ম্পূণ কাজ বা প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে ফেলতে হবে৷ খেয়াল রাখবেন, আপনার পদত্যাগের প্রক্রিয়াটা এমন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে যাতে তা আপনার বর্তমান ম্যানেজমেন্টকে কোনওভাবে অসন্ত্তষ্ট করতে না পারে৷ আর এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কোনও কাজের দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো৷
ইস্তফাপত্র দেওয়ার তারিখ ঠিক করে নিন: আপনি নিশ্চই ইস্তফাপত্র দেওয়ার একটা তারিখ ভেবে রেখেছেন৷ বসের সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনা করার সময় জানিয়ে দিন ঠিক কোন তারিখে আপনি আপনার পদত্যাগপত্র জমা দিতে চান৷ এরপর আপনাকে স্বাভাবিকভাবেই নোটিস পিরিয়ডে থাকতে হবে৷ সেই নোটিস পিরিয়ডের পর্ব কাটাতে আপনার যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ তবে পাশাপাশি ওই দুই সপ্তাহে আর কোনও কাজ এগিয়ে দিতে হবে কিনা তা আপনি বসকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন৷ এটা নেহাতই সৌজন্য৷ আপনার জায়গায় যে কাজ করবে তাঁকে সমস্তরকম কাজ বুঝিয়ে দিন৷
অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিস ফেরত দিন: কোম্পানির যাবতীয় প্রয়োজনীয় ফাইল বা বই কিংবা ফোন অথবা আইকার্ড যথাসময়ে মানবসম্পদ বিভাগে ফেরত দিন৷ উপরন্তু আপনার সমস্ত ড্রয়ারের চাবিও হস্তান্তর করে দেওয়া আপনার দায়িত্ব৷ শুধু তাই নয়, আপনার কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ( যদি থাকে) তাও জানিয়ে দিন বর্তমান কর্তৃপক্ষকে৷
খেয়াল রাখুন: মাথায় রাখুন লিখিত পদত্যাগপত্র দেওয়ার আগে দেখে নিন, নতুন জায়গায় জব অফার লেটার পেয়েছেন কিনা। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করুন যে আপনি বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি চান এবং এই মর্মে যেন কোম্পানির সমস্ত নিয়মনীতি অনুযায়ী সংস্থা সেই ব্যবস্থা নেয়। আপনার সমস্ত কাজ যে আপনি সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেছেন তাও উল্লেখ করুন ইস্তফাপত্রে৷ আপনার কাজের দায়িত্ব আপনার কোন সহকর্মীকে হস্তান্তর করলেন তাও উল্লেখ করে দিন৷ সহকর্মীদের একটা গ্রুপ মেলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান৷ সঙ্গে আপনার মেল আইডি এবং অলটারনেটিভ নম্বর কোনও ব্যক্তি বা ম্যানেজমেন্টের বিরূদ্ধে বিষোদগার করা উচিত নয়৷ এতে আপনার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ওয়ালটনের ৪০ মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে

TV
আগামী ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ সিআরটি টিভি বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন। ব্র্যান্ড নিউ পিকচার টিউব দিয়ে তৈরি ৪০ মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে এনেছে তারা। সেইসঙ্গে আকর্ষণীয় মূল্যে এলইডি টিভিও দিচ্ছে তারা। দেশে টিভি বিক্রিতে বাজারের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন এবার রেকর্ড পরিমাণ টেলিভিশন বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গুণগত উচ্চমান এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে ভারত ও নেপালসহ কয়েকটি দেশে ওয়ালটনের সিআরটি টিভি রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ওয়ালটনই টিভি রপ্তানি করছে।
বাংলাদেশের বাজারে এলইডি টেলিভিশনের চাহিদা বিগত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি সিআরটি (ক্যাথোড রে টিউব) টিভির জনপ্রিয়তায়। সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ঝকঝকে ছবি এবং উন্নত শব্দ পাওয়া যায় বলে এখনও বেশির ভাগ বিনোদনপ্রেমীর আস্থা সিআরটি টিভির প্রতি।
বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সিআরটি টিভির উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ৪০টিরও বেশি মডেলের সিআরটি টিভি এনে বাজারের বড় একটা অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে ওয়ালটন। এছাড়া শতভাগ ব্র্যান্ড নিউ পিকচারটিউব দিয়ে সিআরটি টিভি উৎপাদন করায় গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে দেশীয় এই ব্র্যান্ড। দেশের টেলিভিশন বাজারে এতোগুলো মডেল ও ডিজাইন আর কারোরই নেই।
ওয়ালটন টেলিভিশন বিপণন বিভাগের ইনচার্জ মওদুদ পারভেজ মামুন বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে সিআরটির জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের মেধা ও শ্রমে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের টিভি। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় কমে আসছে টিভির দাম।
ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় উচ্চমানের সিআরটি ও এলইডি টিভি উৎপাদন করছে ওয়ালটন। ফলে উচ্চমান বজায় রেখে গ্রাহকদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী টিভি তৈরি করতে পারছে ওয়ালটন।
তিনি জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিনোদনপ্রেমীদের চাহিদা মেটাতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি এবার ব্যাপক পরিমাণে টেলিভিশন বিক্রি করবে ওয়ালটন।
তিনি বলেন, টেলিভিশন বিক্রির ক্ষেত্রে এখন ওয়ালটনের প্রতিদ্বন্দ্বী কেবল ওয়ালটনই।
দেশজুড়ে শক্তিশালী বিক্রয় নেটওয়ার্ক এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের দ্বারা দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। টিভির যন্ত্রাংশ নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হয় বিধায় দ্রুততম সময়ে সেবা পৌঁছে যায়।
ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, ওয়ালটন টিভির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চ গতির অটো ইনসারশন, এসএমটি (সারফেস মাউন্ট টেকনোলজি) মেশিন এবং পরিবেশ বান্ধব ওয়েব সোল্ডারিং মেশিন। পর্দার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ছবিকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সিআরটি টিভিতে কালো রং এর ম্যাট্রিক্স ব্যবহৃত হয়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে নিশ্চিত হচ্ছে সর্বোচ্চ মান।
জানা গেছে, ওয়ালটনের সিআরটি টিভির ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল আনলিমিটেড হওয়ায় যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে ভালো ছবি দেখা যায়। পাশাপাশি কালার টেম্পারেচার ৯৩০০° K হওয়ায় ওয়ালটন টিভি চোখের জন্য সহনীয়। তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় সংকেতকে পরিশ্রুত করে অডিও-ভিডিও সংকেতকে আরো সমৃদ্ধ করতে হাইপার ব্র্যান্ডের টিউনারে আছে ত্রিমাত্রিক ফিল্টার।
বাংলাদেশ টিভি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টেলিভিশন দেশে উৎপাদন ও সংযোজন হয়। প্রায় দুই লাখ টেলিভিশন সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
গুণগত উচ্চমানের পাশাপাশি কালারের ভেরিয়েশন ও দেশব্যাপী সার্ভিসিং নেটওয়ার্ক থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। গ্রাহক সেবা দিতে সারা দেশে কাজ করছেন প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানসহ ১২শ’রও বেশি দক্ষ কর্মী।